মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রূপা হকের এক প্রশ্নের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গোটা দেশ এখন তাদের কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে, তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচনের অস্থায়ী তারিখ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক বলেন, ‘বাংলাদেশ দেখে সত্যিই আমি উৎসাহিত।’ আগামী সাধারণ নির্বাচন দেখতে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস রূপা হককে ব্যাখ্যা করেছেন যে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জনগণের দমন কী কারণে হয়েছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন
আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত কর্মসূচি
অনুযায়ী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১৫ মিনিটে জাতিসংঘ
সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। একই দিন
তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং কুয়েতের যুবরাজ শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ
আল-সাবাহর সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ২৫ সেপ্টেম্বর
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা
এবং ২৬ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, ইউরোপীয়
কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার
তুর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি
জেনারেল এবং এলডিসি, এলএলডিসি এবং সিআইডিএসের উচ্চ প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা, জাতিসংঘের
শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক
গিলবার্ট এফ হাউংবো, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, ইউএনডিপি প্রশাসক
আচিম স্টেইনার এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ড. ইউনূসের
সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইউএনজিএর ৭৯তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য
প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
অবতরণ করে।
এর আগে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ
সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন
সামাজিক ব্যবসার (সোশ্যাল বিজনেস) রূপান্তর
সক্ষম শক্তি এবং এর মাধ্যমে ইতিবাচক টেকসই পরিবর্তন আনার শক্তিশালী উপায়ের ওপর গুরুত্ব
দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সামাজিক ব্যবসা শুধু বাংলাদেশ
নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং নতুন সভ্যতাও তৈরি করতে পারে। এই
ব্যবসার মাধ্যমে ‘একটি সুন্দর ও উন্নত বিশ্ব’ গড়ে তোলা সম্ভব, যা বর্তমানের হতাশা থেকে
মুক্তি এনে তাৎপর্যপূর্ণ রূপান্তর ঘটাতে পারবে।
আজ শুক্রবার সাভারের জিরাবো সামাজিক
কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য
দিয়ে ১৫তম সামাজিক ব্যবসা দিবসের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস মূল বক্তা হিসেবে যোগ দেন।
ইউনূস সেন্টার ও গ্রামীণ গ্রুপ যৌথভাবে
১৫তম সামাজিক ব্যবসা দিবসের আয়োজন করেছে।
‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে
সর্বোত্তম পথ হলো সামাজিক ব্যবসা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সামাজিক ব্যবসা
দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর শক্তিশালী ও আবেগঘন
মূল বক্তব্যে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিশ্ব একটি ভুল পথে চলছে এবং কেবল নিঃস্বার্থ,
ভালো কাজের জন্য স্বপ্নবান হওয়া এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই
ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পৃথিবীতে
সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হল সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে
স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি তরুণদেরকে বৈশ্বিক পরিবর্তন আনার
আহ্বান জানিয়ে বলেন, উদ্যোক্তা হিসেবে ছোট থেকে শুরু করতে হবে, বড় স্বপ্ন দেখতে হবে
এবং একসঙ্গে কাজ করে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে, যার বৈশিষ্ট্য হবে তিনটি শূন্য-‘শূন্য
দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য গড় কার্বন নিঃসরণ।
চাকরি প্রার্থী নয়, উদ্যোক্তা হিসেবে
নিজেকে প্রস্তুত করার মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথম দিন থেকেই যেন জানেন-তারা
চাকরির জন্য এখানে আসেনি। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্রদের স্বপ্ন দেখতে দেওয়া
হয় না। আমি বলি-শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম দায়িত্বই হলো-স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেওয়া।’
ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে স্বপ্ন
দেখতে হবে। তারপর কীভাবে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়, সেই পথ খুঁজে বের করো।
একে অপরকে চ্যালেঞ্জ দাও। এই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে সোশ্যাল বিজনেস শিক্ষার গুরুত্ব
আমাদের কাছে এত বড় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন,
তরুণদের বলবো, যদি তুমি একজন চাকরি প্রার্থী হও, তবে সেটি আমাদের জন্য লজ্জার। কারণ
আমরা তোমাকে নিজেকে আবিষ্কার করার মত সাহায্য করতে পারিনি।’ যদি তুমি নিজেকে আবিষ্কার
করো—তাহলে কখনোই চাকরি প্রার্থী থাকবে না। তুমি একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠবে।
ভারত-পাকিস্তান, ইরান-ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই বছরের প্রেক্ষাপট অতীতের
যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। আগের সোশ্যাল বিজনেস ডে‑গুলোতে আমরা অনুভব করতাম যে,পৃথিবী
একটা আশাব্যঞ্জক দিকে এগোচ্ছে। আমরা ভেবেছিলাম-বিশ্বে যুদ্ধের অধ্যায় শেষ হচ্ছে। আমরা
আশা করেছিলাম-মানবজাতি এখন শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু হঠাৎ করেই এই বছর নানা ভয়াবহ
ঘটনা ঘটতে শুরু করল। দরিদ্র মানুষ এই যুদ্ধে পিষ্ট হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সামাজিক ব্যবসার বার্তা কী-এই প্রসঙ্গ
উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, সামাজিক ব্যবসার একটি বার্তা হলো পৃথিবীকে
বদলে দেওয়ার বার্তা-এবং এর জন্য প্রয়োজন প্রতিটি জাতির অংশগ্রহণ, প্রতিটি জাতির উচিত
সেইসব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা যেগুলো তারা এত বছর ধরে তুলে ধরেছেন। এবং এই বার্তাটি
খুবই সহজ, যা আমরা বারবার পুনরাবৃত্তি করে আসছি। বার্তাটি হলো—আমরা ভুল পথে চলছি। যদি
আমরা এই পথেই এগিয়ে যেতে থাকি, তাহলে আমাদের সবার জন্যই এক বিশাল বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
আমরা তার থেকে রক্ষা পাবো না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্য একটি
পথ অনুসরণ করার খুবই সহজ উপায় রয়েছে এবং এর জন্য সবকিছু রাতারাতি ধ্বংস করার প্রয়োজন
নেই। ‘আপনি কেবল ধীরে ধীরে ভিন্ন এক পথে হাঁটতে শুরু করুন। ব্যাস, এটাই। এটা খুবই বাস্তবসম্মত
এবং সহজে বাস্তবায়নযোগ্য।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বারবার
বিশ্বকে যা বোঝাতে চেয়েছি তা হলো—পুরো পৃথিবী গড়ে উঠেছে মানুষের স্বার্থপরতার একমাত্রিক
ভিত্তির উপর এবং মানুষকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে স্বার্থপর সত্তা হিসেবে। আমরা এর বিরোধিতা
করছি। আমরা বলছি, হ্যাঁ, আমাদের ভেতরে স্বার্থপরতা আছে, তবে এটাও ভুলে যাবেন না যে
আমাদের ভেতর নিঃস্বার্থ মানসিকতাও আছে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ।
এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার উপর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা নিয়েও তাঁর আশাবাদ পোষণ করেন ।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। আজকের এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাখাতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই জাতির উদ্দেশ্যে তার প্রথম ভাষণ।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে গেছে বিগত সরকার। আমরা তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেবো। এটা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা জানেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল, নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমকেও যুগোপযোগী করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হবে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সবাই এ দেশের নাগরিক। সমান আইনের সুরক্ষার অধিকারী।
তিনি বলেন, তাদের সবার মানবিক অধিকারসহ অন্যান্য সব অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য আমি উপদেষ্টা পদমর্যাদা-সম্পন্ন একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছি, যার দায়িত্ব হবে জাতীয় সংহতি উন্নয়ন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা
গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিচার বিভাগ
সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ রোববার (২২জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে
আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট
জয়নাল আবেদীন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
রোববার
(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
এক আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের
বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের ভঙ্গুর নির্বাচনী পরিস্থিতির কারণে জনগণের মধ্যে
ভোটবিমুখতা তৈরি হয়েছিল, তবে এখন তারা আবারও ভোটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সানাউল্লাহ
আরও বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হতে হবে স্বচ্ছ, যাতে কেউ ভুয়া বা অস্বচ্ছ তালিকার অভিযোগ
তুলতে না পারে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নারী ভোটাররা
যাতে বাদ না পড়ে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন রাতের ভোট দেখতে চায়
না এবং কোনো পক্ষের কর্তৃত্বও মেনে নেবে না।
নির্বাচন
কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্বীকার করেন, অতীতের নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং
এর দায় এড়াতে পারে না নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ভুলের দায় শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
নয়, একজন সাধারণ কর্মচারী পর্যন্ত এ দায় বহন করে।
তিনি
আরও বলেন, কমিশন কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
অন্যদিকে,
ইসি সদস্য আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, কেবল মুখের কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে নির্বাচন
কমিশন নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবে।
ইসি
সদস্য তাহমিদা আহমদ বলেন, ভোট যেন আর আবদ্ধ কক্ষে না হয়, সেজন্য খোলা মাঠে ভোট আয়োজনের
কথা ভাবতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দেবেন।
আজ (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, (তবে) প্রধান উপদেষ্টার যাত্রার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্ক যাবেন। সফরের আগে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউএনজিএ’তে তাঁর সফরসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ইউনূস নিউইয়র্কে এ সফরকালে সীমিত সংখ্যক সাইডলাইন বৈঠকে অংশ নিতে পারেন বলে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫- এ
যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১:১৫ মিনিটে
তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী
আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড
গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান
এবং গত এক দশক ধরে দুবাইয়ে হয়ে আসা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সমাদৃত এই সম্মেলনের
বিষয়ে অবহিত করেন।
উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি।
মন্তব্য করুন