ইন্দোনেশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে
আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটিতে দেওয়া বিনিয়োগের
প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় অ্যাপলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে
ইকোনোমিক টাইমস।
ইন্দোনেশিয়ার আইন
অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য
বা সেবায় ব্যয় করতে হবে। আইন মানতে দেশটিতে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল একাডেমি নামে একটি গবেষণা
প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকার
বলছে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়ন নয়, বিনিয়োগ করেছে ৯৫
মিলিয়ন ডলার। জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন
১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে
তারা।
জানা গেছে, আইফোনের
ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মানে আইনিভাবে কেউ নতুন আইফোন ব্যবহার
করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা
হয়েছে।
আইফোন ১৬ বাজারে আসে
গত সেপ্টেম্বরে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় ৯ হাজার সেট
ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮
কোটির কিছু বেশি। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই প্রযুক্তিপ্রেমী। যে কোনো নতুন গেজেট
এলেই সেটির প্রতি আগ্রহী হন তারা। এ কারণে দেশটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বরাবরই
চাঙ্গা। দেশটিতে বর্তমানে শত শত কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিগত
পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে। ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল শাখা খোলে ২০১৮ সালে। তবে এ শাখায়
এখনও কোনো আইফোন বা অন্য কোনো ফোন ম্যানুফ্যাকচারের কাজ হয়নি।
মন্তব্য করুন
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতার বিষয়ে সচেতন ও উৎসাহী করে তোলা এবং তাদের মানবসম্পদে রূপান্তর করা। মাতৃভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশু, কিশোর ও তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনমান, জাতীয় উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত করতে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য সেই লক্ষ্যই তুলে ধরছে। শিক্ষা জাতি গঠনের প্রধান বাহন এবং শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো সাক্ষরতা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাসাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে বলেন।তিক সাক্ষরতা দিবসে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে
এবারের সাক্ষরতা দিবসে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করছে।
বিশ্বব্যাপী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (আইএলডি) উদ্যাপন করা হচ্ছে ১৯৬৭ সাল থেকে।
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলের
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে বন্যায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৭৮ জন। আর নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত
১০৫ জন।
দেশটির
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয়
কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার (৬ মে) জানিয়েছে, বন্যায় ১ লাখ
১৫ হাজারেরে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বারের বিপর্যয় ১৯৪১ সালের ভয়ঙ্কর
বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ছাড়াও দক্ষিণাংশের কয়েকটি শহরে
জলস্তর ১৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
দেশটির
প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা গতকাল রবিবার (৬ মে) সকালে রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে পৌঁছেছেন। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট
বলেছেন, ‘এটি
একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’ স্বেচ্ছাসেবকরা
চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গতকাল
রবিবারেও ১০৫ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন
বাড়িতে লজেন্স খাচ্ছিলেন মৌসুমী মুখোপাধ্যায়।
হঠাৎ সেটা তার গলায় আটকে যায়। দমবন্ধ হয়ে কথা বলার শক্তিও চলে যায় তার। মাকে ওই অবস্থায়
দেখে প্রাথমিক ভাবে ঘাবড়ে গেলেও অসুবিধা বুঝতে দেরি করেনি দুই মেয়ে।
গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে খেলার ছলে দুই
বোন শিখেছিলেন হাইমলিখ কৌশল। সেটাই যে এ ভাবে কাজে লেগে যাবে, কে জানত! আচমকা অসুস্থ
হয়ে পড়া মাকে সুস্থ করে তুললেন কলেজপড়ুয়া দুই বোন। শনিবার (১৩ জুলাই) বাঁকুড়ার সোনামুখী
ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের ঘটনা।
বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় এবং চতুর্থী মুখোপাধ্যায়
নামে দুই মেয়ের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তাদের মা মৌসুমী মুখোপাধ্যায়।
মায়ের উপর হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগ করেন
তারা। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালানোর পর মায়ের গলা থেকে লজেন্সের টুকরো বার করে আনতে
সমর্থ হন বৃষ্টি এবং চতুর্থী। কোনও চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই মাকে সুস্থ করে তুলতে পেরে
খুশি দুই বোন।
বৃষ্টি বলেন, মা আমাদের সঙ্গে বসে গল্প
করছিলেন। মুখে একটা লজেন্স ছিল। হঠাৎ কথা বন্ধ হয়ে যায় মায়ের। গলা থেকে অদ্ভুত একটা
শব্দ বার হতে থাকে। ধীরে ধীরে জিভ বার হয়ে আসছিল। বুঝতে পেরেছিলাম মা সাধারণ বিষম খাননি।
শ্বাসনালীতে লজেন্স আটকে শ্বাসরোধ হয়েছে। দ্রুত আমরা দুই বোন মায়ের উপর হাইমলিখ পদ্ধতি
প্রয়োগ করে লজেন্স বার করে আনি। মা আবার স্বাভাবিক হন।
চতুর্থী বলেন, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী
সমিতির রাধানগর শাখা বেশ কিছু দিন আগে আমাদের গ্রামে একটি অনুষ্ঠান করেছিল। সেই অনুষ্ঠানেই
আমরা হাইমলিখ কৌশল শিখেছিলাম। ওই কৌশল শেখা না থাকলে জানি না মায়ের কী হত! আগামিদিনে
যাতে এই কৌশল অন্যদেরও শেখাতে পারি, সেই চেষ্টা করব।”
মৌসুমী মুখোপাধ্যায় বলেন, দুই মেয়ে
এই কৌশল না জানলে হয়তো মারাই যেতাম গতকাল।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত বলেন, খাবার বা পানীয় আমাদের গলা দিয়ে পেটে
যাওয়ার সময় একটি মাংসপেশি আমাদের শ্বাসনালী আটকে দেয়। শ্বাস নেওয়ার সময় তা খোলা থাকে।
কিন্তু খাবার সময় কথা বললে বা মাংসের হাড় থেকে মজ্জা জোরে শুষে খাওয়ার সময় কিছু ক্ষেত্রে
খাবার শ্বাসনালীতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে দেয়। ফলে রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। কথা বলার
শক্তিও থাকে না তখন। অল্প সময়ের মধ্যে রোগী ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন।
এই সময় রোগীর শ্বাসনালী থেকে খাবার বার করে আনার জন্য হাতে সময় থাকে মাত্র ৪ মিনিট।
ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও থাকে না। এ ক্ষেত্রে আশপাশে থাকা লোকেদের সাহায্যে
বিশেষ কৌশলে ফুসফুসে চাপ দিয়ে খাবারের অংশ বার করে আনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী
কৌশল ‘হাইমলিখ’।
এই কৌশল ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে লক্ষাধিক রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টি
আমাদের অনুষ্ঠানে ‘হাইমলিখ’কৌশল
রপ্ত করে রাখায় তার মাকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন।
মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরে কায়রোতে
অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ মিশর।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর)
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে
সেদেশের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি
জানান, অন্তত পাঁচটি দেশে—তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং নাইজেরিয়ার
সরকার প্রধানগণ আগামী ১৬ থেকে ১৯ ডিসেম্বর কায়রোতে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনের
একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইডলাইন বৈঠকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের
উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান,
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর
প্রচেষ্টায় মিশর সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস এই
সমর্থনকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন মিশর ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে,
যেমন ওআইসি এবং ডি-৮-এ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান,
তিনি মিশরে ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি
আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও ডি-৮ সম্মেলনের সময় মিশর সফর করবেন।
তিনি বলেন, মিশর বাংলাদেশের
তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে চায় এবং পাট চাষ সম্পর্কে
শিক্ষা নিতে আগ্রহী।
তিনি আরো উল্লেখ করেন,
উভয় দেশের মধ্যে কৃষি, টেক্সটাইল এবং ওষুধ শিল্পের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ)
কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা উচিত।
রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত
করেন যে, ২০৩১-৩২ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য আসনে বাংলাদেশের
প্রার্থিতার প্রতি মিশর সমর্থন জানাবে।
মিশরের রাষ্ট্রদূত
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক পদে কায়রোর প্রার্থিতার পক্ষে ঢাকার সমর্থন চান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) পুনরায় শুরু
করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন
গতকাল
(৩ ডিসেম্বর) বিয়ে করলেন অভিনেতা আমির খানের মেয়ে ইরা খান ও তার জিম ট্রেনার প্রেমিক
নূপুর শিখরে। মুম্বাইয়েই বসেছিল তাদের বিয়ের আসর।
আমিরের
প্রথম স্ত্রী রিনার বাড়িতেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে ৪ হাত এক হলো। ইরা
বিয়েতে সাবেকি সাজই বেছে নিয়েছিলেন।
যদিও
আর ৫জন কনের মতো লেহেঙ্গা বা শাড়ি পরেননি আমিরকন্যা। ইরার পরনে ছিল নীল ও গোলাপির
কম্বিনেশনে তৈরি ডিজাইনার পোশাক।
তবে
ইরার স্বামী নূপুর শিখরের সাজে ছিল অন্য চমক। শেরওয়ানি, পঞ্জাবি নয় কালো রঙের গেঞ্জি
ও সাদা হাফপ্যান্ট পরে বিয়ের মঞ্চে এসে উঠলেন জামাই!
ইরা
ও নূপুরের বিয়ের ছবি ও ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই নূপুরের সাজপোশাক
নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। নূপুরের এই সাজ দেখে অবাক সবাই। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে
পারে, কেন কালো টি-শার্ট আর হাফপ্যান্ট পরে বিয়ের আসরে এসেছিলেন বর। আসলে প্রায় ৮ কিলোমিটার
দৌড়ে ইরাকে বিয়ে করতে আসেন নুপূর। রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে তাদের। আর স্বাক্ষর করার
সময় স্যান্ডো গেঞ্জিই পরে ছিলেন নুপূর।
আপাতত
রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে করেছেন এই জুটি। আগামী ৮ জানুয়ারি উদয়পুরে হবে জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান।
মন্তব্য করুন
১১ দিনের সরকারি সফরে আজ মঙ্গলবার
(১৫ অক্টোবর) ঢাকা ছেড়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান । এ সময় তিনি
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর করবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতর, যুক্তরাষ্ট্র
ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশ নেবেন ও পারস্পারিক
সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত
বিষয়ে আলোচনা, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত
কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইএসপিআর জানায়, সেনা প্রধান আগামী
২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
মন্তব্য করুন
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধানের
সাথে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো সেনাসদরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময়
ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দু'দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা
করেন। বিশেষ করে তাঁরা সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, যৌথভাবে হাসপাতাল নির্মাণ ও
পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ ও সামরিক
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষনার্থী বিনিময়ের উপর আলোকপাত করেন।
এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্পেশাল ফোর্সেস' অভিযান ইত্যাদি বিষয়ে যৌথ মহড়া পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্তব্য করুন
ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডেকেও দেশে আনা হয়নি। এ নিয়ে দেশের ফুটবলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া এ ক্ষোভ গড়িয়েছে আন্দোলনেও।
এমন পরিস্থিতিতে
রাজধানীর নগর ভবনে আজ দুপুর আড়াইটায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা
হামজা চৌধুরী। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত হয়ে চলমান সঙ্কট নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার
সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
এসময় ক্রীড়া উপদেষ্টা
সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনে
সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে, এমন
কোন কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দেইনি। তবে
ওকে আমরা আরও সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে,
খুব শিগগিরই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার
কিছু নেই।
আন্দোলনের
সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, স্বজনপ্রীতি ও সিন্ডিকেটের কারণেই নেওয়া হয়নি ফাহমিদুলকে।
আলোচনায় সিন্ডিকেট নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনা অভিযোগ এবং ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো
সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে
বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ’
যে কোনো সঙ্কট
মোকাবিলায় বাফুফেকে আরো সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার
আহ্বান জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আলোচনায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আধুনিক ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়াসকে প্রশংসিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান হামজা। বাংলাদেশ ফুটবলকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে হামজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মন্তব্য করুন
হজের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৩৬ হাজার ৯৮৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) হজ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবে আসা সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩৩ হাজার ২৪২ জন।
সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র নিয়েছেন ৫ হাজার ৪৬৪ জন। সৌদি আরবের আইটি হেল্পডেস্ক থেকে প্রদত্ত সার্ভিস সংখ্যা ৫ হাজার ৭০৮টি।
সর্বমোট ইস্যুকৃত ভিসা ৮৪ হাজার ৩১৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা ৯৭ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা ৯৯ শতাংশ। সৌদি আরবে মারা গেছেন ৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
মন্তব্য করুন
এ বছর পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন
৩৮ হাজার ৯৯০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
শুক্রবার (২৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজবিষয়ক প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য মতে, পবিত্র হজ পালন
করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৯৯০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। মোট ৯৮টি ফ্লাইটে তারা
সৌদিতে পৌঁছেন। সৌদি আরবে পৌঁছা হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭
ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার ২৪৩ জন। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৫৪৫টি ভিসা
ইস্যু করা হয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরব গিয়ে আরো একজন হজযাত্রী
মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মক্কায় মো. মুরতাজুর রহমান খান
নামে এ হজযাত্রী মারা যান। তাঁর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি
হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেলেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করবেন ৮৫ হাজার
১১৭ জন।
মন্তব্য করুন