

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দিয়ে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (BSF)। নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাসুদ জানিয়েছেন, শনিবার রাতের এই ঘটনার পর তাদের রোববার ভোরে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন দুই শিশু, নয়জন নারী ও চারজন পুরুষ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “ভোরে সীমান্তে টহলের সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের দেখতে পায়। তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়েছে এবং নিশ্চিতভাবে সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক।” পরে তাদের গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোমস্তাপুর থানার ওসি আব্দুল বারিক বলেন, “পুশইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকরা থানার হেফাজতে রয়েছেন। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন


বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার ১৩ জন জেলে নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ সময় কোনো খবর না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভে ফেটে পড়ে নিখোঁজদের পরিবার। এর জের ধরে আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধে ওই অঞ্চলের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে এবং দ্রুত উদ্ধার অভিযান জোরদারের আশ্বাস দিলে স্বজনরা অবরোধ তুলে নেন।
পরিবারগুলোর অভিযোগ—১০ নভেম্বর ফারুক মাঝির নেতৃত্বে ১৩ জেলে পাঁচ দিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে একটি মাছ ধরার নৌকায় সাগরে পাড়ি জমান। পরদিন ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। এর পর থেকে তাদের নৌকার অবস্থান আর শনাক্ত করা যায়নি। প্রশাসনকে জানালেও তৎপরতা যথাযথ নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বজনরা।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, নিখোঁজদের খোঁজে কোস্ট গার্ড ইতোমধ্যে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছে। তিনি পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাসও দেন।
এদিকে স্থানীয়দের মতে, শীত মৌসুমের শুরুতে সমুদ্রের আবহাওয়া পরিবর্তনশীল হওয়ায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ে। নিখোঁজদের জীবিত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার না হলে পরিবারগুলো চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তান সামরিক একাডেমি (পিএমএ) থেকে প্রশিক্ষণ শেষে মর্যাদাপূর্ণ কমান্ড্যান্টস ওভারসিজ মেডেল অর্জন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাডেট “ জান্নাতুল মাওয় ” । প্রশিক্ষণে অসাধারণ সাফল্যের জন্য তার হাতে এ পদক তুলে দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।
গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের কাকুলে অনুষ্ঠিত পাসিং আউট প্যারেডে অংশ নেন ১৫২তম পিএমএ লং কোর্স, ৭১তম ইন্টিগ্রেটেড কোর্স, ২৬তম লেডি ক্যাডেট কোর্স এবং ৩৭তম টেকনিক্যাল গ্র্যাজুয়েট কোর্সের ক্যাডেটরা। জান্নাতুল মাওয়া অংশ নিয়েছিলেন ২৬তম লেডি ক্যাডেট কোর্সে। এই আয়োজনে বাংলাদেশসহ ইরাক, ফিলিস্তিন, কাতার, মালি, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন ও নাইজেরিয়ার মতো বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রশিক্ষণার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তানে সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জান্নাতুল মাওয়া
প্যারেড শেষে সেনাপ্রধান কৃতিত্বপূর্ণ ক্যাডেটদের হাতে বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেন। ১৫২তম পিএমএ লং কোর্স থেকে একাডেমি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আহমেদ মুজতবা আরিফ রাজা সোর্ড অব অনার এবং ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার জোহাইর হোসেন রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক লাভ করেন।
মন্তব্য করুন


তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের
রক্ষাকবচ।
তিনি
তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ‘কয়েকটি কথা’শিরোনামে
আজ (৯ মে) একটি পোস্টে এই কথা বলেছেন।
তিনি
সেখানে লিখেছেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে
ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার।
আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে
ছিল স্বভাবতই। দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি-না। এই যুক্তি যিনি
দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের
কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা
করে কোনো লাভ নেই।
বলে
রাখা ভালো, দু’জন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের
উপদেষ্টা (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) ও আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও
পক্ষে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন
অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন উক্ত উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।
মিথ্যা
বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের
দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন।
সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দিবেন না। দোষ আমাদেরও
কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।
পুনশ্চ:
আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই।
আপনারা
যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান
থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি। তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের
ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি,
সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের
সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!
আমরা
উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের
মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা
রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল
ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের
নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সাথে চলবেন।
ঐক্যবদ্ধ
হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না।‘এই
প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।’
মাহফুজ
আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম
সংগঠক ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির একজন সমন্বয়ক ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম।
মন্তব্য করুন


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আড়াই হাজারেরও বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং বিমানবাহিনীর একটি অংশ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত একটি কোম্পানি সেনা সদস্য অবস্থান করবে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা “ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে” অবহিত করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তিন বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—দেশের জনগণ যেন নির্ভয়ে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে।”
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে “ড. ইউনূস” বলেন, গত ১৫ মাসে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যে নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।
এ সময় তিন বাহিনীর প্রধানরা আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল “ওয়াকার-উজ-জামান”, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
মন্তব্য করুন


ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের
দাম ১ হাজার ৩৭৭ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি
রেগুলেটরি কমিশন নতুন এ দাম ঘোষণা করে। সিলিন্ডারের নতুন দাম সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর
হবে।
এর আগে ভোক্তাপর্যায়ে আগস্ট মাসের জন্য
১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা
নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে এ দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩ টাকা। সে সময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের
দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম বাজার
অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ দাম নির্ধারণ করে।
মন্তব্য করুন


আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ) ঢাকা সেনানিবাসের এমইএস কনভেনশন হলে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস (এমইএস) এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ এ সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাঁর মূল্যবান দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ এর সভাপতিত্বে আজ (০৯ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে তিন দিনব্যাপী (০৯-১১ ডিসেম্বর) এমইএস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ শুরু হয়।
সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, এমইএস-এ কর্মরত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে এবং ভিটিসি’র মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে আজ সোমবার ঢাকায় তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে কমিশন প্রধানরা সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তারা জানান সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান চিারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দূর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনের প্রধান করে ছয় কমিশন গঠন করা হয়। গত মাস থেকে কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
মন্তব্য করুন


ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির
ওপর হামলাকারী মূল আসামি দেশেই আছে।
আজ
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের
(ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি
বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীদের পাসপোর্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের
ইমিগ্রেশন ডেটাবেইস অনুযায়ী তারা দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। আমরা ফয়সালের পাসপোর্ট নম্বর
পেয়েছি। তার সর্বশেষ ভ্রমণ তথ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ড থেকে সে দেশে এসেছে। এরপর ইমিগ্রেশনে
তার দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।’
নজরুল
ইসলাম আরো বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সীমান্ত পারাপার করার কাজে জড়িত—এমন
দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে
যাচ্ছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। কারণ পরিবারের সদস্যরা রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত।
পরিবারের পক্ষ থেকে যদি আজ বাদী হয়ে মামলা না করা হয়, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা
করবে।’
তিনি জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন হামলার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক। বাকি দুজন অবৈধ
পথে সীমান্ত পারাপার করে থাকে। তাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য আছে কি না, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হচ্ছে। নতুন কোনো তথ্য পেলে পরবর্তীতে জানানো হবে।
মন্তব্য করুন


ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন


স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে রাজধানী ঢাকার
বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, যারা ঘামের বিনিময়ে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাঁরা আমাদের নীরব
নায়ক। ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে পরিচ্ছন্ন ঢাকা-এটাই কর্মের শক্তি, এটাই নিষ্ঠার গল্প। তারা
প্রচারে নেই, তবে তাদের কাজই শহরের মুখ। কোরবানির ঈদের আসল বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
সমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
এটি শুধু দক্ষতা ও কর্মদক্ষতার প্রতিফলন নয়, বরং জনকল্যাণে নিবেদিত স্থানীয় সরকারের
দায়িত্বশীলতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের বাস্তব প্রমাণ।
এর
আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সরেজমিনে অংশ নেন স্থানীয়
সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর
অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নগরবাসীর দায়িত্ববোধের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
সেবা
কার্যক্রমে যুক্ত প্রত্যেক পরিচ্ছন্নতা যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের জন্য বিশেষ
খাবার ও প্রণোদনার কথাও বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ ঈদুল আযহা উদযাপন শুরুর প্রাক্কালে বলেন, কোরবানির আনন্দ হোক সুস্থ, পরিচ্ছন্ন
ও পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং জনগণের সমন্বিত
প্রচেষ্টায়, আমরা পারি ঈদের দিনকেও পরিচ্ছন্ন রাখতে। ত্যাগের এই দিনে আমাদের দায়িত্ব
কেবল কোরবানিতেই শেষ নয়, পরিবেশ রক্ষা করাটাও বড় ইবাদত।।আসুন সবাই মিলে নিজ নিজ এলাকার
কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ি।
মন্তব্য করুন