অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০০ দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
রোববার (১৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব।
এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আগে তিনি একইসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন। পরে গত ১০ নভেম্বর তিনি শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী জানায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের সরকারি-বেসরকারি কর্মে নিয়োজিত করা এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দুই লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ১০০ দিনে ১৯ হাজার ৪৫২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ৫২ হাজার ১১৫ জন প্রশিক্ষণরত।
যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, বিগত ১০০ দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বিপিএসসি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজস্ব ও প্রকল্প খাতে নতুন ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে রাজস্ব খাতে দুই হাজার ৪৬৮ জন এবং প্রকল্প খাতে (আত্মকর্মী ও উদ্যোক্তা) ৮৩ হাজার ৮০৯ জন। দুই বছরে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে মোট সাতটি ব্যাচে দুই হাজার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক পুলিশ হিসেবে ২৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে নির্যাতন
এর শিকার শিশুটির জীবন ভীষণ সংকটাপন্ন। শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে শিশুটির জন্য দেশবাসির নিকট দোয়া চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে একটি
পোস্ট করা হয়েছে।
শিশুটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে দেওয়া পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
‘মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (Pediatric Intensive Care Unit) চিকিৎসাধীন । প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুটি আজ চারবার Cardiac Arrest এর শিকার হয়েছে এবং CPR প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরো নিম্নমুখী।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ০৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ছয়টায় শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়।
শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।’
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা
গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিচার বিভাগ
সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ রোববার (২২জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে
আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট
জয়নাল আবেদীন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সুপারিশপ্রাপ্ত এ শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত
বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও
চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ
হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত
আহমেদ শুক্রবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টার পর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বলেছেন, বাঙালি জাতি সত্ত্বার
একটি প্রাথমিক স্তম্ভ একুশ। ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে আমার একুশের
সঙ্গে। আমার মা একজন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের
নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় দেশের ভাষা আন্দোলনে
শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের
ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী থাকাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে
নিউইয়র্কে যাবেন । এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত এ সফর করবেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সাত
সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের
বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম,
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন সেটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ
অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন। তবে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সফর করে চলে আসবেন।
ওয়াশিংটনে গেলে হয়ত আরও
কিছু কাজ হতে পারত কিন্তু তিনি অল্প সময়ে খুব তাড়াতাড়ি নিউইয়র্ক থেকে ফিরে আসবেন।
সেখানে কার সঙ্গে বৈঠক হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তো
গেলে হবেই। কিছু কিছু কথা বার্তা হচ্ছে। কিছু বৈঠক হবে এটুকু বলতে পারি। তবে
স্পেসিফিক বলতে পারি না। সব ক্ষেত্রে সব হেড অব স্টেট যান এমনটা তো নয়। নিউইয়র্কে
যে ফরমেট সেভাবে হবে। ওয়াশিংটনে তো তিনি যাবেন না।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়াও দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তখন তিনি এসব কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলমান সংকট নিরসনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। আমাদের সমানে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাদের প্রতিহতের জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ড. খন্দকার মোশাররফ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের
নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছেন।
সোমবার
(৩ মার্চ) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কাকরাইলে আঞ্জুমান জে আর টাওয়ার নামের নতুন
এ ভবনটির উদ্বোধন করা হয়।
নতুন
ভবন উদ্বোধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেন।
প্রধান
উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আলী ইমাম মজুমদার,
আঞ্জুমান মুফিদুলের সভাপতি মুফলেহ আর. ওসমানী ও সহ-সভাপতি গোলাম রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আগামী এক সপ্তাহের
মধ্যে ভোজ্যতেলসহ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় হবে বলে আশা প্রকাশ
করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (১ মার্চ)
সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভা করে জাতীয়
চাঁদ দেখা কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
সভা থেকে চাঁদ দেখার
বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, রমজান আসলে আমাদের দেশে
পণ্যের দাম বাড়ে। এটা একটা কমন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সরকার এবার সচেতন
রয়েছে। যাতে করে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে। সেজন্য বেশকিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো
হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন মালয়েশিয়া-সৌদি আরবসহ বিভিন্ন
দেশে রমজানে পণ্যের ওপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেয়। অথচ আমাদের দেশে
উল্টো।
সরকার এবার সচেতন আছে
জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, বেশকিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। আমাগী এক
সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেলসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামও সহনীয় হবে। ব্যবসায়ী ভাইদের
প্রতি আহ্বান আপনারা নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখুন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চানমিয়া হাউজিং থেকে দুপুরে এক বস্তা অস্ত্র উদ্ধার করেছে ।
উদ্ধার করা অস্ত্রগুলোর মধ্যে আছে শটগান, থ্রি নট ত্রি, কাটা রাইফেল, পয়েন্ট টু টু বন্দুকসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র। অস্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু সচল এবং কিছু মরিচা ধরা ছিল।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে হাউজিংয়ের মুজিবুরের গাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে শেরে-বাংলা নগর আর্মি ক্যাম্পের সেনাসদস্যরা।
অস্ত্র উদ্ধার অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. নিজাম জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
তিনি সকলের উদ্দেশে আরো জানান, এসব অস্ত্র আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আপনাদের কাছে এখনো যদি কোনো অস্ত্র থেকে থাকে, সেগুলো আমাদের কাছে জমা দিয়ে দেন। অন্যথায় কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা আসলে আমরা এই অস্ত্র কারও কাছে পেলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন