

উন্নয়ন
প্রকল্প পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নদীর পানিপ্রবাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে তা নিশ্চিত করার
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৮ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমন্বিত অর্থনৈতিক
করিডোর উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জোং ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের
(ইআরডি) কর্মকর্তাদের একটি দল এই প্রকল্পের বিস্তারিত রূপকল্প, কৌশল এবং বাস্তবায়ন
প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার
আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ
এবং মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেন।
তিনি
বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের নদীপ্রবাহকে। বাংলাদেশ একটি
বদ্বীপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের
ক্ষেত্রে ওই এলাকার জনসংখ্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশ বন্যাপ্রবণ।
তাই পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে
তুলবে। বন্যার সময় আমাদের দেশের মানুষ উঁচু রাস্তা, সেতু এবং রেলপথে আশ্রয় নেয়। সুতরাং
সেতু শুধু নির্মাণ করলে হবে না, এটি জনগণের জন্য আশ্রয় হচ্ছে নাকি বিপদ ডেকে আনছে সেটাও
বিবেচনা করতে হবে।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তৃতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক সংযোগ। আমরা এ অঞ্চলে একটি ইনভেস্টমেন্ট
হাব তৈরি করতে চাই। সেজন্য প্রকল্প এমন হতে হবে যা নেপাল, ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও
সংযুক্ত করবে।
বৈঠকে
এ উন্নয়ন প্রকল্পে পানি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির
নির্দেশ দেন তিনি।
মন্তব্য করুন


আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে কমনওয়েলথের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা সুসংহত করা এবং নির্বাচন কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক—বিশেষ করে কমনওয়েলথের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধের জবাবে মহাসচিব বচওয়ে আশ্বস্ত করে জানান, নির্বাচন এবং এর পরবর্তী উত্তরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে কমনওয়েলথ সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। তিনি উল্লেখ করেন, ৫৬ সদস্যের এই সংগঠন—যার মধ্যে জি–৭ ও জি–২০–এর দেশও রয়েছে—একসঙ্গে কাজ করার বিস্তর সুযোগ তৈরি করে।
এছাড়া তিনি জানান, বাংলাদেশ সফরে তিনি প্রধান বিচারপতি, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তার কথায়, বাংলাদেশের আগামীর যাত্রা নিয়ে তিনি আশাবাদী।
মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে একাধিক পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু করেছে কমনওয়েলথ।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক হলেন মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান।
সোমবার
(১২ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততে
এ তথ্যসহ আরো জানানো হয়েছে যে, মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক,
মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজকে কমান্ড্যান্ট এমআইএসটি এবং মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব
সাজ্জাদ মাহমুদকে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি
সই করেছে ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই
হয়।
এর মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিন সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই করে উভয় দেশ।
‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।
এ দুটি হলো—বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক
নথি সই।
নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো—বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও
সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির
ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক; যৌথ ছোট
স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক এবং ডিফেন্স স্টাফ কলেজের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
নবায়নকৃত তিন সমঝোতা স্মারক হলো—মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক।
এর আগে সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোটর বহরকে পাহারা দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্টে নিয়ে যায়।
এরপর এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার
দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের
পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন অব
প্রেজেন্টেশনে দুদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের
পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের এ কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জাতির পিতা
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাট যান। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন


সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যেকোনো ধরনের স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা-ভাঙচুর না চালাতে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না করতে আহ্বান জানিয়েছেন ।
এ তথ্যটি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে ঢাকায় হাজারো ছাত্রজনতার ঢল নামে। এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দুপুরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
এদিকে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, আমি জনগণের জানমালের দায়িত্ব নিয়েছি। আপনারা আশাহত হবেন না। আপনাদের সব দাবি পূরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


বন্যায় চারদিক যখন ডুবন্ত তখন এক অসহায় অন্তঃসত্ত্বাকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী কাতরাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফেনী জেলার ফুলগাজী থেকে তাকে উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টার।
পোস্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অধীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
ওই নারীকে সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে
সবশেষে বলা হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে আছে এবং তাদের সহায়তা
এবং উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ
(সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময়
বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)
উপলক্ষ্যে দেওয়া শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত
মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়
এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,
সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী
(সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন উল্লেখ করে
এ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ
জানান।
তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন সিরাজাম মুনিরা অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য পবিত্র কুরআনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে। পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে বয়ে আনুক অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি এই কামনা করে তিনি বলেন, সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরো সুসংহত হোক। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক - এ কামনা করি। আমিন।
মন্তব্য করুন


দেশের
সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
প্রধান
উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে
আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার
চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো
হলো-
১।
চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে
হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির
উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ
থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।
২।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা
লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৩।
ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারের
বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে
দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে।
৪।
আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কারের বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে, যা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার
জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি কর্মকর্তাদের
নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি
পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ এবং শিল্প এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে
কাজ করার নির্দেশ দেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও
কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ
প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
কনফারেন্সের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও মতামত আগামীদিনে
সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে
কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক
হবে।’
ড. ইউনুস বলেন, সামনেই রমজান আসছে,
রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু দ্রব্যমূল্য
নয়, জিনিসপত্র আনা-নেওয়া আরও কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার
যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন
দেবে। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও
আলোচনা হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ
সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে,
যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান
কার্ল পেজ ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা
বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল
থাকার সামর্থ্য রাখে না। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে গুরুত্ব সহকারে বিকল্প পরিচ্ছন্ন
জ্বালানি বিবেচনা করার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।
গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজ
পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এবং হাইব্রিড সিস্টেমে অগ্রগতির কথা উল্লেখ
করেন, যা নির্ভরযোগ্য, শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরগুলো
সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতকে কয়েক দশক
ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।
পেজ বলেন, পারমাণবিক শক্তি আজ আর বিশ্বব্যাংকের মতো
বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই
তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, উদ্ভাবনে বাংলাদেশের শক্তিশালী
রেকর্ড রয়েছে। তাই দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে। এর সুফল
হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা
বৃদ্ধি।
পেজ আরও বলেন, বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য
একটি কৌশলগত কেন্দ্র এবং পারমাণবিক উদ্ভাবনে শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ
হতে পারে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি
একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে। এতে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে
অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, পারমাণবিক বিকল্প নিয়ে যেকোনো
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।
তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব।
তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতেই হবে।
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের
সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মন্তব্য করুন


‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন