নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১৪৪ ক্যান বিয়ারসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটকৃতরা হলো: চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির মোহাম্মদ উল্ল্যার ছেলে মাহমুদ হাসান সজিব (২৯) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসের খিল গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির সিদ্দিক উল্ল্যার ছেলে মো. ইউসুফ(৩৫)।
সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ আরও বলেন, আটকৃতরা একই বাড়ির বাসিন্দা। তাদের দুজনের বাড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাড়ির এক অংশ চাটখিল উপজেলায় ও অপর অংশ সোনাইমুড়ী উপজেলায় অবস্থিত। এজন্য তাদের দুজনের থানা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে তারা দুইজন একসঙ্গে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি সজিবের বাড়ি থেকে ১৪৪ ক্যান রয়্যাল ডাচ বিয়ার জব্দ করা এবং ইউসুফের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ঠাকুরগাঁওয়ে
একটি হাস্কিং মিলের বয়লার বিস্ফোরণে ২ শিশুসহ একই পরিবারের ৩জন নিহত হয়েছেন। আজ (৪
ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার রহিমানপুর পল্লী বিদ্যুৎ দাসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা
ঘটেছে। এ ঘটনায় সাগরের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতরা
হলেন, দীপ্তি দাস (৪০), তার মেয়ে পূজা দাস (১০) ও ভাতিজা পলক দাস (১২)। আহত হয়েছেন
দীপ্তি দাসের স্বামী সাগর দাস।তাদের ঠাকুরগাঁও ২৫০ শষ্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
নিহতের
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ির পাশে রোদ পোহাচ্ছিলেন সাগরের পরিবারের
সদস্যরা। এ সময় বাড়ির পাশে সাইদুল ইসলামের রাইসমিলের বয়লার বিস্ফোরণ হলে সাগরের স্ত্রী,
মেয়ে ও ভাতিজা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঠাকারগাঁও
জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগর দাস বলেন, বিস্ফোরণে বয়লারের ড্রামটি ছিটকে এসে
তাদের ওপর পড়ে। তারপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
ঘটনার
পর জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি
নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় শান্তিপূর্ন ভাবে কচুয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর ২ হাজার ৪শ ৯৬ জন পরীক্ষার্থী কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা অংশগ্রহন করেন।
এদিকে কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৬৪৭ জন, পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৮৩জন, সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৫৩জন, রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৮৮ জন, তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩২০জন ও আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ২০৩ জন পরীক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো শতভাগ স্বচ্ছতা-নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছে।
এসময় চাঁদপুর জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ, কচুয়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক ভৌমিক,সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন মজুমদার, শিক্ষা সচিব আলমগীর চৌধুরী, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি রাকবুল হাসান সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এদিকে শান্তিপূর্ন ভাবে কচুয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংগঠনের সভাপতি মানিক ভৌমিক, সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন মজুমদার সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (০১ জুন) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (০২ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
শনিবার (০১ জুন) রাতে সানারপাড় এলাকার ফুটওভার ব্রিজের নিচ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: সানারপাড় এলাকার নবী হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০) ও কুমিল্লা জেলার আ. বাতেনের ছেলে কাউছার (২৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের জানাযায় সানারপাড় এলাকায় মাদকের বেচাকেনা হবে। এমন খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা পলিথিনের মোড়ানো ১০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
আসামিরা পেশাদার মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।
মন্তব্য করুন
শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন
সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন
পর শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে বাড়ির
পাশের একটি খালে কাদামাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে জনতার সহায়তায় উদ্ধার
করে পুলিশ।
শিশু মুনতাহা হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য এক নারীসহ আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ছয়জনকে আটক করেছে সিলেট
জেলা পুলিশ।
আজ রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তাদের
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল
আওয়াল।
আটককৃতরা হলেন- ইসলাম উদ্দিন, নিজাম
উদ্দিন ও নাজমা বেগম। এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মুনতাহা কানাইঘাট উপজেলার
সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গত ৩ নভেম্বর
সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে শিশু মুনতাহা। দুপুরের
দিকে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে
তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পায়নি। পরে রোববার ভোররাতে মুনতাহার
বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সকালে তিন নারীকে আটক করে
পুলিশ।
মন্তব্য করুন
বান্দরবনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের জয়নবের বাড়ীতে শোকের ছায়া।
আজ (২১ জানুয়ারি) সকালে রৌমারী উপজেলার মন্ডল পাড়ার বাড়ীতে তার মরদেহ নিয়ে আসলে পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের মাতম দেখা যায়।
জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিদ্যা বিভাগের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভ্রমণ করা ছিল তার শখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসুদের সংগঠন ভ্রমণকন্যা’র সদস্য তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট সাইটে কাজ করতেন তিনি। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শহরের মন্ডলপাড়ার আব্দুল জলিল মিয়ার তিন সন্তানের সবার ছোট জয়নব।
অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে জয়নব কোনো প্রকার কোচিং, টিউশনি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। পড়া লেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পড়ার খরচ চালাতো।
জয়নবের বাবা একজন কাঠ মিস্ত্রি। মেয়েকে উৎসাহ ও সাহস দিতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া মেয়ের মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা জুলেখা বেগম।
শুক্রবার সকালে ৫৮ জন ভ্রমণকন্যার একটি দল ৫টি জিপ গাড়ি করে রুমা উপজেলায় যায়। ঘোরাফেরা শেষে শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানের উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কেওকারাডাং থেকে বান্দরবান সদরে ফেরার পথে বগালেক-কেওকারাডং সড়কের দার্জিলিং পাড়া এলাকায় তাদের বহন করা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় জয়নবসহ দু’জন। এসময় আহত হয় ৮ জন।
নিহত জয়নবের মরদেহ জানাজা শেষে রৌমারী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় শিহাব খান নামের একজন বলেন, জয়নব খুবই মেধাবী ছিলেন। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তার পরিবার তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যুতে তার পরিবার খুবই ভেঙে পড়েছে।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, রৌমারীর মন্ডল পাড়া এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী জয়নবের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ জানান, আমি পরিবারটির খোঁজখবর নিয়েছি। পরবর্তীতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা ও সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (২১ জুন) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০), ২। মোঃ শাহিন (৪৮), ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) এবং ৪। মোঃ খোকন (৫০) নামক ০৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ২,৫৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত (২১ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মিজানুর রহমান (২২) এবং ২। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৯,৭৯০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা গ্রামের মৃত শফিক ইসলাম এর ছেলে, ২। মোঃ শাহিন (৪৮) একই গ্রামের মৃত খয়েজ আলী এর ছেলে, ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) একই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম এর ছেলে, ৪। মোঃ খোকন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতোরা চম্পকনগর গ্রামের মৃত তাজুল এর ছেলে, ৫। মিজানুর রহমান (২২) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পরকরা গ্রামের আবুল হাশেম এর ছেলে এবং ৬। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের মানিক মিয়া এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী ও সদর দক্ষিণ থানা এবং এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ধর্মপুর এলাকা হতে দলনেতাসহ সাতজন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৩ জুলাই) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ধর্মপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট হতে
৪ টি কুড়াল, ১ টি চাপাতি ও ৩ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আসামীরা হলো: ১। তাজুল ইসলাম সুমন (১৯), পিতা-মোঃ আব্দুল মালেক, সাং-হায়দারগঞ্জ, থানা-রায়পুর, জেলা-লক্ষীপুর এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ২। মোঃ মাসুদ (১৭), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, সাং-রংপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ রিমন (১৭), পিতা-হারুনুর রশিদ, সাং-মোগড়া, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা; ৪। ফাহিম হোসেন সিফাত (১৫), পিতা-জামাল হোসেন, সাং-পশ্চিম বাগিচাগাও, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৫। তয়বুর রহমান তুহিন (১৭), পিতা-মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, সাং-ছাইচাপাড়া, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা; ৬। আব্দুল কাদের জিলানী (১৬), পিতা-মোঃ আব্দুল হানিফ, সাং-রসুলপুর, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা এবং ৭। অর্পন দাস (১৫), পিতা-গৌতম দাস, সাং-বাগিচাগাও, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ও
আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং এর
সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতির
মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির মাধ্যমে
ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল
বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের বিরুদ্ধে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী-খড়িবাড়ী সড়কের নাওডাঙ্গা পুলেরপাড় সংলগ্ন এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৩১) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন, যিনি বর্তমানে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সাউদপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিহত সাইদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কাশেম বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি উমর আলীর ছেলে এবং ফুলবাড়ী জোবেদা অটো রাইস মিলে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজ শেষে সাইদুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সংঘর্ষের আগে একটি ট্রাককে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল অন্য একটি মোটরসাইকেল, ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সাইদুলের মৃত্যু হয়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খাগড়াছড়ির গুইমারার দুর্গম এলাকায় প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গুইমারার দুর্গম চৌধুরীপাড়ায় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষকৃত গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন অভিযানে যায়। এ সময় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেত কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব চৌধুরী, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন ও মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
ওসি মুহাম্মদ আরিফুল আমিন বলেন, একটি চক্র দুর্গম এলাকায় গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মন্তব্য করুন