

ইকবাল আনোয়ার মোস্তফা, প্রতিবেদক:
রাজনীতি ক্ষমতার প্রতিযোগিতা হলেও, কিছু মানুষ আছেন যাদের কাছে রাজনীতি মানে দায়িত্ব, সেবা ও মানবিকতা। কুমিল্লা বিএনপির পরিচিত মুখ হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এমনই একজন নেতা—যিনি দায়িত্বকে ক্ষমতা নয়, বরং ‘আমানত’ হিসেবে দেখেন। তাঁর কর্মীদের চোখে তিনি শুধু রাজনীতিক নন, একজন নীতিবান, মানবিক ও নিষ্ঠাবান পথপ্রদর্শক।
একজন দীর্ঘদিনের কর্মীর ভাষায়—
“আমি প্রায় ২২ বছর ধরে হাজী সাহেবকে কাছ থেকে দেখেছি। অনেক নেতা রাজনীতি করেন ব্যক্তিস্বার্থে, কিন্তু তিনি করেন মানুষের জন্য, দলের জন্য। তাঁর ভদ্রতা, সততা ও মানবিকতা আজও অনন্য।”
মানুষের পাশে, আন্দোলনের প্রথম সারিতে
১/১১-এর দুঃসময় থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত—প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে হাজী ইয়াছিন ছিলেন সামনে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও কুমিল্লা শহর বিএনপি (সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে)–র প্রতিটি কর্মসূচিতে তাঁর সরাসরি নেতৃত্ব ছিল।
দলের কঠিন সময়ে মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের ঝড়ে যখন অনেকেই পিছু হটেছিলেন, তখন হাজী ইয়াছিন দায়িত্ব নেন শতাধিক মামলার আইনি সহায়তার। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের খরচ, চিকিৎসা ও পরিবারের দেখভাল—সবই করেছেন নিজের ব্যক্তিগত অর্থে, নীরবে ও অকৃত্রিমভাবে।
একজন কর্মীর ভাষায়,
“আমি দেখেছি, গভীর রাত পর্যন্ত তিনি মামলার কাগজে কাজ করছেন। কখনো কৃতিত্ব চাননি, বরং কৃতজ্ঞতা ভাগ করেছেন সবার সঙ্গে।”
ত্যাগী নেতৃত্বের প্রতীক
২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি'র হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির প্রতিটি মাঠের দায়িত্ব পালন করেছেন হাজী ইয়াছিন। ৯২ দিনব্যাপী টানা অবরোধে তিনি ছিলেন রাজপথের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নাম।
নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখা, আইনি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া—এসব কাজ তিনি করলেও কখনো নেতৃত্বের কৃতিত্ব দাবি করেননি। তাঁর ত্যাগ ও সততা দলের ভেতরে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠেছে।
সততা ও ক্লিন ইমেজের ধারক
রাজনীতির অঙ্গনে নানা বিতর্ক, সুযোগসন্ধান ও বিভাজনের সময়েও হাজী ইয়াছিন নিজের অবস্থান অটুট রেখেছেন। দলের ভেতরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম বা অনাচারের অভিযোগ কখনো শোনা যায়নি। তাঁর ক্লিন ইমেজই আজ তাঁকে কর্মীদের আস্থার প্রতীক করেছে।
কুমিল্লার উন্নয়নে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিকল্পনা
রাজনীতি ছাড়াও হাজী ইয়াছিনের রয়েছে উন্নয়ন ও মানবিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন।
তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে রয়েছে—
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারণ,
বিমানবন্দর চালু করা,
জলাবদ্ধতা নিরসন,
সরাসরি রেল সংযোগ ও
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
এগুলো তাঁর কাছে শুধু উন্নয়ন পরিকল্পনা নয়—মানুষের জীবনমান উন্নত করার অঙ্গীকার।
একজন সত্যিকারের অভিভাবক
দলের ভেতরে অনেক তরুণ কর্মী তাঁকে শুধু নেতা নয়, অভিভাবক হিসেবে দেখেন।
ঈদ-পূজা বা বিপদের সময় কর্মীদের গোপনে সহায়তা করা, অসুস্থ নেতাদের পাশে দাঁড়ানো, বা হতাশ কর্মীদের সাহস দেওয়া—এসবই তাঁকে মানুষের হৃদয়ে জায়গা দিয়েছে।
একজন কর্মীর কণ্ঠে স্পষ্ট অনুভূতি—
“তিনি শুধু নেতা নন, একজন পথপ্রদর্শক। তাঁর চশমার আড়ালে থাকা সেই শান্ত চোখ আমাদের প্রেরণা।”
শেষ কথা
কুমিল্লা-০৬ আসনে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে কর্মীরা দেখেন যোগ্য, সৎ ও মানবিক প্রার্থী হিসেবে। তাদের বিশ্বাস—যিনি দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন, সেই নেতাই সক্ষম হবেন কুমিল্লাকে সুশাসন, মানবিকতা ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে।
“সবার আগে বাংলাদেশ—এই মন্ত্রে বিশ্বাসী হাজী ইয়াছিন আমাদের হৃদয়ের নেতা,” — এমনই দাবি কুমিল্লা-০৬ আসনের কর্মীদের।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশ, চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, লালমাই ও লাকসাম থানার সমন্বিত টিমের অভিযানে আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের অন্যতম প্রধান নয়নসহ ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম ও দুটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি লাকসাম থানা এলাকা থেকে ডাকাতি হওয়া ৩টি গরু ও ২টি গরুর বাছুরও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ধারাবাহিক ডাকাতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় টহল জোরদার, অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চান্দিনা থানার বরকরই নাথের বাড়ী এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)-এর নেতৃত্বে অপারেশনাল টিম অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে নীল রঙের পিকআপ থেকে ৪/৫ জন পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়। অপর একটি হলুদ রঙের পিকআপ পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করলে ডাকাত নয়ন পুলিশ সদস্যদের ওপর গাড়ি তুলে মারার চেষ্টা করে। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টার দুঃসাহসিক ধাওয়ার পর সদর দক্ষিণ থানার ফিরিঙ্গির হাট এলাকায় ডাকাত নয়ন কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে পুকুরে লাফ দিলে ডিবি পুলিশের সদস্যরা পুকুরে নেমে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গ্রেফতারকৃতরা সাম্প্রতিক সময়ের লাকসাম ও চান্দিনা এলাকায় গরু ডাকাতির ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: চান্দিনা থানার বরকড়ই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ রায়হান (২০), তিতাস থানার দক্ষিণ নারান্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ নয়ন (৩৪), চান্দিনা থানার বরকড়ই গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন (২৪), চান্দিনা থানার দেওকামতা গ্রামের মোঃ সিরাজ কাজীর ছেলে মোঃ নাছির (২৫), চান্দিনা থানার সুরিখোলা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে মোঃ সজীব রানা (২৮)।
পুলিশ সূত্র জানায়, নয়নের বিরুদ্ধে ১১টি, সজীবের বিরুদ্ধে ৫টি এবং রায়হানের বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন পিকআপ, ১টি টোটো রিভাল বার, ১টি বোল্ট কাটার, ২টি কাঠের বাটযুক্ত ছুরি, লোহার চাপাতি, ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি হ্যাকসো ব্লেড কাটার, ৩টি গরু ও ২টি বাছুর উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে দেবিদ্বার ও দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “অপরাধ দমনে জেলা পুলিশের এমন সমন্বিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদর দক্ষিণে প্রবাসী “আবু বকর” হত্যা মামলায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গত (৮ নভেম্বর) শনিবার সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে ২ দুর্বৃত্তের হামলায় প্রবাসী “আবু বক্কর” গুরুতর আহত হন। অতঃপর প্রবাসী “আবু বক্কর” -কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হইলে গত শুক্রবার সকালে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভিকটিম মারা যাওয়ার পুর্বেই এই বিষয়ে ভিকটিম “আবু বক্কর”-এর স্ত্রী সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা করেন। আতঃপর উক্ত মামলার এজাহার নামীয় মুল আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ও সনাতন সোর্স এর সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় মুল আসামী “রাব্বি” ওরফে বাপ্পি (৩০) ও “পারভেজ”(২২) –কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া রাব্বি ও পারভেজ সদর দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের এনায়েতুল্লাহ ছেলে। উভয় আসামী ভিকটিম আবু বক্করকে কিভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তার বর্ননা দিয়ে আমলি আদালত -৬ স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজা’সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন দূর্গাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে শান্ত ইসলাম ও খোকন মিয়া নামের ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোলমাইজ গ্রামের মৃত নাছির মল্লিক এর ছেলে শান্ত ইসলাম এবং কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শরিফপুর গামের মৃত আশরাফ মিয়া এর ছেলে খোকন মিয়া।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা ভগবতী এন্ড পেড়া ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কিরণময় দত্ত ঝুনু পরলোকগমন করায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নিয়ম অনুসারে শেষকৃত্য পালনের জন্য কিরণময় দত্ত ঝুনু'র সহধর্মিণী অনিতা দত্তের হাতে ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বুঝিয়ে দিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম মানিক ও এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য যে, এডভোকেট কিরণময় দত্ত ঝুনু গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার সময় ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন।
মন্তব্য করুন


চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।
গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, গেলো শনিবার ভোরে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা পৌরসভার উত্তর ঠাকুর বাজারে মোঃ আব্দুল কাইয়ূমের দোকান ঘরের স্যাটার ও থাই গ্লাসের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে। ওই সময় চোরেরা দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা, স্মার্ট টিভি, কম্পিউটারসহ ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫ শত টাকার মালামাল চুরি করে।
এ ঘটনায় দোকানের মালিক অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় মামলা দায়ের করে।
রোববার বিকেলে থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রোকন উদ্দিন, ইমাম হাসান ও মহসিন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে পৌরসভার কাজিরকামতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ পিস ইয়াবাসহ চুরির ঘটনায় জড়িত ওই গ্রামের মৃত আঃ সালামের ছেলে মোঃ রিপন (৩৫) ও আবদুল হকের ছেলে আতিকুর সবুজকে (২৭) গ্রেফতার করে।
তাদের দেয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে চুরি যাওয়া কম্পিউটার, ১টি ডেল মনিটর, ১টি মাউস, ১টি কী-বোর্ড ও ২টি সাউন্ড বক্স জব্দ করা হয়।
শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, চুরির ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি যাওয়া কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটককৃত রিপনের কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। সে আগে থেকেই মাদক কারবারের সাথে জড়িত ছিলো। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামী এবং চোরাই যাওয়া বাকি মালামাল উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন


বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারের কামড় খেয়ে
আতঙ্কিত না হয়ে সাপটিকে তেড়ে ধরে পিটিয়ে মারেন এবং একে হাতে ঝুলিয়ে নিয়েই হাসপাতালে
দৌড়ে পৌঁছান এক কৃষক।
রাজশাহীতে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার
দংশন করে হেফজুল আলী (৪৫) নামের এক কৃষককে। আর
শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এভাবেই সাপসহ উপস্থিত হন ওই কৃষক।
কৃষক হেফজুল আলী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার
পিরোজপুর গ্রামের জসিম প্রামাণিকের ছেলে।
জানা যায়, আজ (৩১ মে) সকাল ৮টার দিকে
পিরোজপুর গ্রামের একটি কৃষি জমিতে ধান কাটার কাজ করছিলেন হেফজুলসহ কয়েকজন কৃষক। ধান
কাটার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে একটি রাসেল ভাইপার সাপ হেফজুলের গালে ছোবল দেয়। এতে হেফজুল
ভয় না পেয়ে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। এ সময় হেফজুল ওই সাপসহ দ্রুত চারঘাট উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান।
পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেলা ১১টার দিকে তিনি মৃত রাসেল ভাইপারসহ রামেক
হাসপাতালে যান। তখনও তিনি সাপটির লেজ ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন হাতে। এ সময় তিনি নিজেই
কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ভর্তি হন হাসপাতালটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। আর তার এই দুঃসাহসিক
কাণ্ড দেখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকেই এসময় হেফজুলের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
ছিলেন।
হাতে করে সাপ ঝুলিয়ে হাসপাতালে আসার
কারণ জানতে চাইলে আহত কৃষক হেফজুল বলেন, দংশনের পর সাপটিকে মেরে সাপসহ উপজেলা স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে যাই। কিন্তু সেখান থেকে চিকিৎসকরা আমাকে রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার পরামর্শ
দেন। পরে রামেক হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। ধারণা ছিল, চিকিৎসকরা সাপ দেখলে দ্রুত সঠিক
ওষুধ (অ্যান্টিভেনম) দিতে পারবেন।
দ্রুত সঠিক চিকিৎসা হবে এমন আশায় সাপটিকে
সঙ্গে নিয়ে আসেন বলে জানান কৃষক হেফজুল।
চিকিৎসকরা জানান, হেফজুলের অবস্থা বর্তমানে
ভালো। অনেকেই সাপে দংশনের পর কবিরাজ কিংবা ওঁঝার কাছে যান, তিনি সেটা না করে হাসপাতালে
চলে এসেছেন। এটি তার সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।
মন্তব্য করুন


রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ডুলাহাজারা পার হয়ে চকরিয়া ঢোকার পথে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে গাছবাহী নসিমনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেন আসার আগে স্থানীয় একটি নসিমন (মালবাহী পরিবহন) রেললাইনে উঠে যায়। তবে ট্রেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আর ২৫ মিনিট পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
এদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের চালক (লোকোমাস্টার) আবদুল আওয়াল রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনের ওপর দাঁড়ানো। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাড়িটির মাঝামাঝি আঘাত করে।
তিনি জানান, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনে আটকে যায়। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে আবদুল আওয়াল রানা তার সহকারী লোকোমাস্টার, স্টাফ এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় নসিমনকে রেললাইন থেকে অপসারণ করে রেললাইন চলাচলের উপযুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা'র উদ্যোগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধিনস্থ ৬ জেলার প্রায় ৫২টি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষকদের মাঝে কর্মশালা- ২০২৪
অনুষ্ঠিত হয়।
২২ জুন শনিবার সকালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালায়
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ নিজামুল করিম।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমিক) ও ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়া কর্মকর্তা
মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়ার সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের শরীর
চর্চা শিক্ষক জি এম ফারুক এর সঞ্চালনায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দিনব্যাপী এই প্রথম
কোন কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং আলোচনা করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মোঃ
নাজিম উদ্দিন ভুইয়া, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাপ্তাহিক অভিবাদন এর সম্পাদক আবুল হাসানাত
বাবুল, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সঞ্চালক বদরুল হুদা জেনু।
এসময় উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠানে বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বোর্ড চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মোঃ নিজামুল করিম বলেন, আজ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এই প্রথমবারের
মতো শরীর চর্চা শিক্ষকদের কর্মশালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষকদের প্রতি
আমি কৃতজ্ঞ। শরীর চর্চা উৎকর্ষ সাধনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। তাই শিক্ষার পাশাপাশি সঠিক প্রশিক্ষণ
নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা করা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। এ কার্যক্রমের
ধারা ভবিষ্যতে যেন অব্যাহত থাকে আমি উপস্থিত সকলের নিকট এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মন্তব্য করুন