মন্তব্য করুন
নেকবর
হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা
থানার কড়াইবাড়ি গ্রামে নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা
থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঙ্গরা বাজার
থানার উপপরিদর্শক মো. নাহিদ জানান, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন রুবি বেগম (৫৮), তার ছেলে রাসেল
(৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর
রহমান বলেন, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এ তিনজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে
জড়িত। স্থানীয়রা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। এ নিয়ে এলাকায়
সামান্য উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সেখানে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন রয়েছে
বলেও জানান বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।
মন্তব্য করুন
ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ও বিভিন্ন স্কিল সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে ‘জায়ান্ট মার্কেটার্স জব ফেয়ার-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জব ফেয়ার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরজিৎ সর্ববিদ্যা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জায়ান্ট মার্কেটার্সের ফাউন্ডার এন্ড সিইও মো: মাসুম বিল্লাহ ভূইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সিএসই বিভাগের লেকচারার মো: জাহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি
ছিলেন, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোজাম্মেল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার শিহাব উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্ক্ষীরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই জব ফেয়ারে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ। পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশনে অংশ নিয়ে চাকরির জন্য কী কী বিষয় অত্যাবশ্যকীয় সে বিষয়ে রয়েছে জানার সুযোগ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ৯ মামলার আসামী জাহাঙ্গীর (৪৬) ওরফে লতা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোর আনুমানিক ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিকে বিজিবি’র আনন্দপুর বিওপির নায়েক সুবেদার মোঃ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে বাতিসা ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর কাজী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় জাহাঙ্গীরের নিকট থেকে ৯৬পিস ইয়াবা, নগদ ৭,২৮০ টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃত মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর (লতা) বাতিসা ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকার মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে। লতা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অন্তত ৯টি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে চৌদ্দগ্রাম থানার এস. আই হিসাম উদ্দিন।
বিজিবি’র আনন্দপুর বিওপির নায়েক সুবেদার মোঃ আব্দুল হালিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক মাদক মামলার আসামী লতা জাহাঙ্গীরকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী লতা জাহাঙ্গীরকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো:মিজানুর রহমান মিনু,কুমিল্লা
কুমিল্লায় কিছুতেই যেন কমছে না শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল বাতাস আর হার কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির।
দুপুর গড়িয়ে গেলও
সূর্যের দেখা মিলছে না, এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের
মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা।
এদিকে শীতের প্রকোপ
বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শীত জনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক
রোগির সংখ্যা।
আজ কুমিল্লায়
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাইকেলে দিনভর ঘুরিয়ে রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে ৬ বছরের শিশু সন্তানকে পুকুরের পানিতে ছুড়ে ফেলার ঘটনায় পাষণ্ড পিতাকে মুরাদ হোসেনকে(৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পথচারীর সহায়তায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া শিশু তাসিন লালমনিরহাট জেলার সখের বাজার এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগষ্ট) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকায়।রাতে শিশুটিকে পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে ওই এলাকার আজিপুর রহমান শিশুটিকে পুকুর থেকে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান, পরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ দিলে পুলিশ শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসে।
তাসিনের মা ববিতা বেগম জানান, তাহসিনের বাবা মারা যাওয়ার পর ছয় সাত মাস আগে মুরাদের সাথে তার বিয়ে হয়, বিয়ের পর থেকেই তাসিনকে দেখতে পারে না সৎ বাবা মুরাদ, এর আগেও দুই তিনবার তাহসিনকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিলেন মুরাদ, সর্বশেষ গতকাল রাতে ঘুরতে নিয়ে এসে তাকে পুকুরের পানিতে ছুড়ে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি এই পাসন্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালাম জানান, এই ঘটনায় শিশুটিকে উদ্ধারকারী আজিপুর ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার
দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের মৈনগোর গ্রামের সুরুজ মিস্ত্রির ছেলে মোঃ পাবেল
(২৫) কে আটক করে ব্যাপক মারধর করে মুক্তিপণ চায় একটি চক্র। এমন খবরে স্ট্রক করে মারা
যান তার বাবা সুরুজ মিয়া ( ৬০)।
গতকাল
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে এমন ঘটনা ঘটে। পড়ে পরিবারের
পক্ষে ৫০ হাজার টাকা দিলে চক্রটি পাভেলকে ছেড়ে দেয়।
নিহতের
পরিবার জানান, পাবেল রবিবার দুপুরে গৌরীপুর বাজারে কবুতর ক্রয় করতে যান। বাজারে পৌঁছালেই
গৌরীপুর বাজারে একটি চক্র তাকে টার্গেট করে। কিছুক্ষণ পড় ওই চক্রটি সুযোগ বুঝে তাকে
মারধর করে এক পর্যায়ে তার হাত পা চোখ বেধে কোন এক গলির বিল্ডিং এ নিয়ে যায়। পরে আটককৃত
পাভেলের ব্যবহৃত ফোন থেকে বাড়িতে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ছেলের এমন সংবাদে
পাভেলের বাবা স্ট্রক করলে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ( গৌরীপুর) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
"ভাই
তোরা কি মানুষ? এমন নিরহ মানুষদের সাথে কেউ এইরকম করে? আজ তোদের কারনে একটা মানুষের
জীবন শেষ। এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ জানিয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আটকৃত পাভেলের মারধরের ছবি ভাইরাল হয়ে নেট দুনিয়ায়
ছডিয়ে পড়ে।
আটককৃত
পাভেলের মামাতো ভাই মো. কাইয়ূম বলেন, পাবেল একজন সহজ সরল ছেলে। তার বাবার ব্যবসায় চক্রতলা
বাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপের কাজ করেন। তার শত্রু কেউ আছে বলে আমার জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাই ঘটনাটি উদ্ঘাটন করে চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে
শাস্তি দেওয়া হোক।
এবিষয়ে
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের
আটকে পুলিশি তৎপরতা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মুকুল বসু বোয়ালমারী প্রতিনিধি:
সম্প্রতি দেশকে অস্থিতিশীল ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ওয়াপদা মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয় হতে ফরিদপুর ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভিপি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু’র নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর সদর বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, জামায়াত-শিবির, এনসিপি ও আওয়ামী দোসররা এদেশে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের আশায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আর ব্যক্তি নৈরাজ্যের দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ঘাড়ে। একটি ব্যবসায়িক মহলের আন্তঃকোন্দলকে পুঁজি করে নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে যে সমস্ত কটুক্তিমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জামায়াত ও এনসিপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে গণতন্ত্রকামী জনগণ কখনোই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় মেনে নিবে না। সুতরাং আপনারা আগের নিজেদের চরিত্র ঠিক করেন। আপনাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পুনরাজ্জীবিত করার বাসনা কখনোই বিএনপি এদেশে বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, নাজিম উদ্দিন মিয়া মিলু, পৌর বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক জিএস ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, পৌর বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কালামিয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মিনাজুর রহমান লিপন, সাবেক কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হক, সাবেক কাউন্সিলর মো. ফরিদ আহমেদ, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য গোলাম রসূল বিশ্বাস, মো. আলম শেখ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুব হাসান সজিব, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাদমান পাপ্পু, জুয়েল, সাব্বির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা তিতাসে সাময়ন আরিয়ানকে হত্যা অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড; আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিল্লাল পাঠান হলেন- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি পাঠান বাড়ী'র মোঃ খেলু পাঠানের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শেফালী আক্তার (৪৩) হলেন একই উপজেলার কলাকান্দি উত্তর পাড়া মাষ্টার বাড়ীর জামাল মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব আক্রোশের বশবর্তী হইয়া আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ভিকটিম সায়মন আরিয়ান (৭) কে হত্যা করিয়া কলাকান্দি বালুর মাঠে (কাঁশ বনে) লাশ গুম করে।
জানা যায়- ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলবেলা ভিকটিম সায়মন আরিয়ান আসামি শেফালী আক্তারের ছেলে রাফি'র সাথে খেলাধুলা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় বাদীনি তাঁর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি না পেয়ে বাদীনি তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন ঘটনাস্থলে ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট নিহতের গর্ভধারিনী মাতা খোর্শেদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ নয়ন মিয়া ও সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জাহিদুল হক এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জীবন বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আসামি শেফালী আক্তার ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবন বিশ্বাস ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর আসামি বিল্লাল পাঠান ও শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আসিলে চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারী তাহাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্র পক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, "মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে গলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হল"।
আসামি শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ের আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, আসামি শেফালীর উভয় দণ্ড একসাথে চলবে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, শালি-দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে পেলায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশু সায়মন আরিয়ানকে হত্যা করে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা আজ কুমিল্লা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে।
শনিবার ১৭ই আগস্ট কুমিল্লা সদর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে হাসপাতালে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কিছু অনিয়ম, লোকবল সংকট এবং রোগীদের থাকা নানা অভিযোগ নিয়ে এই আলোচনা করা হয়েছে।
কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে কিভাবে কি কি সমাধান আনা যাবে সে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়।
আজকের
আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা: নাসিমা আক্তার,
কুৃমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার
ডা: আব্দুল করিম খন্দকারসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ ।
সদর
হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান, ইব্রাহিম খালিদ হাসান এবং
মোঃ রফিকুল ইসলাম (রকি) উপস্থিত ছিলেন।
আজকের এই আলোচনা সভায় সমস্যার সমাধানে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান আনয়নে তারা কাজ করবেন।
মন্তব্য করুন