মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এর উদ্যোগে রবিবার (১০ মার্চ) আগরতলা
এনএসআরসিসি বক্সিং হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমিল্লা-ত্রিপুরা ফ্রেন্ডশিপ কাপ কারাতে
চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের আমন্ত্রনে
খেলোয়াড় কর্মকর্ত সহ ১৫ সদস্যের কুমিল্লা কারাতে দল রবিবার আগারতলা সফরে যায়।
রবিবার বিকেলে আগরতলা এনএসআরসিসি বক্সিং হলে দুই দেশের বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা
কারাতে দল ও ভারতের ত্রিপুরা কারাতে দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায়
৮ বছর ১৩ বছর, ১৫ বছর ও ২১ বছর বয়সি খেলোয়ারড় দের মধ্যে ৩০ কেজি, ৪৫ কেজি, ৫০ কেজি
ও ৭২ কেজি ওয়েটের কাতা এবং কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা
জেলা কারাতে দল চ্যাম্পিয়ন হয়।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা কারাতে দল ও ভারতের
ত্রিপুরা জেলা কারাতে দলের মধ্যে কারাতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন এবং খেলোয়াড়দের
হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এর সহ-সভাপতি
শ্রী রতন সাহা। পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা স্পোর্টস
কাউন্সিলের যুগ্মসচিব শ্রী স্বপন সাহা, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, ত্রিপুরা ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অধিকর্তা শ্রী
দেবাশিস নন্দী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ এমদাদুল হক এমদু, ক্রীড়া সংগঠক
জুবায়দুল হক জুয়েল ও সারোয়ার জাহান, ত্রিপুরা ক্রীড়া আধিকারিক ধীমান বিশ্বাস
প্রমুখ।
ত্রিপুরা-কুমিল্লা জেলার মধ্যে কারাতে
প্রতিযোগিতার মুখ্য আয়োজক ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম।
প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করে ক্রীড়া সংগঠন ইউনাইটেড অল স্টাইল কাারাতে
ত্রিপুরা অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সকল পর্যায়ের ক্রীড়ামোদি ও ক্রীড়া
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতি প্রতিযোগিতাকে সাফল করে তুলে।
রবিবার ত্রিপুরা-কুমিল্লা ফ্রেন্ডশিপ কাপ ক্যারাটে
চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এ অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট
প্রতিযোগী ও প্রতিনিধি দল রবিবার ১০ই মার্চ সকালে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর সীমান্ত
এলাকা দিয়ে ত্রিপুরায় যায়। সোনামুরায় কুমিল্রা জেলা কারাতে দলকে স্বাগত জানান
সোনামোরা স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুটন রায় ও সোনামুড়া স্পোটিং এসোসিয়েশনের
অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা
কারাতে দলের সফরে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
তিনি
জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি কারাতে দল নিয়ে আমরা ত্রিপুরা খেলে এসেছি। মূলত আমরা
গিয়েছি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সাধারন সম্পাদক শ্রী সুজিত
রায়ের আমন্ত্রনে। সেখানে সুজিত রায় সহ ত্রিপুরার বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিগণ ও
ত্রিপুরা স্পোটর্স মিনিষ্ট্রির কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে
খেলাধুলা কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিঘ্রই ত্রিপুরা ফুটবল দল
কুমিল্লা সফরে আসবে। পরবর্তিতে আমরা কুমিল্লা জেলা ফুটবল ও ক্রিকেট দল নিয়ে
ত্রিপুরা সফর করবো।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের
জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি
ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-কে আশ্বস্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এএনএফআরইএল এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা
এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদলে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র
কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম
কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট
আফসানা আমেই।
প্রধান
উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল
হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার
উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার
এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে,
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন
স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদলটি
অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী
স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে
চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
মন্তব্য করুন
বিয়ে
করে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নবদম্পতির। এসময় গাড়িতে তাদের সঙ্গে
আরও কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও প্রাণ হারান এ দুর্ঘটনায়।
কনের
বাড়ি থেকে ফেরার পথে গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের
সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। ধাক্কায় গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ির
ভেতরেই আটকে থাকা নবদম্পতিসহ ৫জনের মৃত্যু হয়।
ভারতীয়
গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, রোববার ছত্তীসগঢ়ের বোলুদাতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরই ট্রাক ফেলে রেখে পালান চালক। গাড়িটি পামগড় থেকে আকালতারায় ফিরছিল। পাকারিয়া জঙ্গলের কাছে গাড়িটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মন্তব্য করুন
গত ৯ই-১২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। প্রতিযোগিতায়ে এশিয়ার প্রায় ১৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি টিম প্রতিযোগিতায়ে অংশগ্রহণ নেয়ে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ানে কুমিল্লার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকসের যুব ও প্রিয়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ, বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রৌপ্য পদক অর্জনকারী মাহিন কে সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করে দিঘির চাপ, আফসু ডেভলপারস লিমিটেড।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের
টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি, যমুনা টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের
সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ভারত
সরকারের অনুরোধের পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব।
আজ
শুক্রবার (৯ মে) এই চার চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছে তথ্যব্যবস্থায়
প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ
ডিসমিসল্যাব।
ডিসমিসল্যাবের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, যমুনা টিভি এবং মোহনা টিভির ইউটিউব
চ্যানেল ভারতের দর্শকেরা দেখতে পারবেন না। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে
প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই
দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের
আওতায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে
বিষাক্ত বুটলেগ অ্যালকোহল পানে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করছেন স্থানীয়
কর্মকর্তারা।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন
তারা। খবর- বিবিসির
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কল্লাকুরুচি
জেলায় গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) একাধিক মানুষ বুটলেগ অ্যালকোহল কিনে পান করেছিলেন। যাদের
অধিকাংশই শ্রমিক শ্রেণির। একাধিক মানুষের বমি, ডায়রিয়া, পায়খানা, পেটে ব্যথা, চোখ
জ্বালা করাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে কমপক্ষে ৮০
জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। তদন্তও চলছে ব্যাপক হারে।
দ্য নিউজ মিনিটের ওয়েবসাইট অনুসারে,
কল্লাকুরুচিতে অভিযুক্তরা স্থানীয় বিক্রেতার মাধ্যমে প্যাকেটে এই মদ বিক্রি করে বলে
অভিযোগ রয়েছে।
যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ১ লাখ
রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। যারা
হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, অপরাধের
সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এটি প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গুগল ম্যাপের দেখানো পথে চলতে গিয়ে
খালে পড়লো গাড়ি। পরে সেই গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৪ মে) রাতে ভারতের কেরালা
রাজ্যে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের
প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদ থেকে
চারজনের একটি পর্যটক দল সাউথ কেরালা জেলার কুরুপান্থরার কাছে একটি খালে দুর্ঘটনার শিকার
হন। তারা গুগল ম্যাপে দেখানো রাস্তায় চলছিল। কিন্তু ভারি বর্ষণে রাস্তাটি ডুবে যাওয়ায়
তারা সেটি চিহ্নিত করতে না পেরে গাড়িটি একটি খালের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। এই পর্যটক
দলটি কেরালার আলাপ্পুঝায় যাচ্ছিল। গাড়িটি খালে ডুবে যাওয়ার পর ওই চার পর্যটককে উদ্ধার
করে পুলিশ। তবে তাদের বাহনটি ডুবে যায়।
স্থানীয় কাদুথুরথী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ডুবে যাওয়া গাড়ি উদ্ধারে কাজ চলছে। এ ধরনের ঘটনা কেরালায় নতুন নয়। গত বছরের অক্টোবরে রাজ্যটিতে দুই তরুণ চিকিৎসক গুগল ম্যাপের দেখানো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে নিহত হন। ওই ঘটনার পর বর্ষা মৌসুমে চলাচলের সময় প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্কবার্তা জারি করে কেরালা পুলিশ।
সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও হজের কোটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে হজ নিবন্ধন। সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ নির্ধারণ ছিল। হজ এজেন্সিগুলো হজের কোটা পূরণ করতে না পাড়ায় শঙ্কা দেখা দেয় হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে।
আর এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের নিকট অনুরোধ করে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর জন্য। সৌদি সরকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা অর্ধেক করে ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলেই সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র প্রেরণ করে। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী প্রেরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
এ বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের আট দিন সময় ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সংস্কার। তার সরকার নির্বাচনের আগে সেই সংস্কার করতে বদ্ধপরিকর।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরও বেশি সুইডিশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই’। তার সরকার দুর্নীতি দমন করেছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগ সহজ করেছে এবং শ্রম আইনের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত উইকস জানান, সুইডেনের সরকার ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশের সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন পুনর্গঠনের উদ্যোগকে সমর্থন করে।
নিকেলাসউ উইকস বলেন, 'আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই পরিবর্তনকালে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে।'
বৈঠককালে তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের সুইডিশ বিনিয়োগ এবং গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উচ্চ প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে। 'দাবিদাওয়া মেটানো একটি বড় কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, তবে খুব সতর্কও রয়েছি,' তিনি বলেন।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শাহীনা গাজী।
মন্তব্য করুন