প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বাংলাদেশে আরো মার্কিন বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, তার সরকার বিদেশি বিনিয়োগ
আকর্ষণ এবং দেশের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকায় তিনি
একটি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আপনারা সঠিক সময়ে এদেশে এসেছেন।’
এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোসের
নেতৃত্বে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ
করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে স্টিভেন কোবোস বলেন, এটি বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা
বাড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আপনার দায়িত্ব গ্রহণের
পর থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’
কোবোস আরো জানান, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস
কাউন্সিলের সদস্যসহ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে ব্যবসার
সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আগ্রহী।
এক্সিলারেট এনার্জির সিইও কোবোস বলেন,
তার কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা
করছে।
তিনি বলেন, কোম্পানিটি দেশে তরলীকৃত
প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চায়। বর্তমানে এক্সিলারেট বাংলাদেশের
দুটি অফশোর ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) বিনিয়োগ করেছে, যা
প্রতিদিন ১.১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। দেশের দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪
শতাংশ এখান থেকে আসে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের
সময় প্রধান উপদেষ্টা ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সেখানে এ সংগঠনের ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে কিছু শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান
বহুজাতিক কোম্পানিও ছিল। ড. ইউনূস উপস্থিত মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের
আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে স্টিভেন কোবোসের সঙ্গে
প্রতিনিধিদলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ এক্সিলারেট এনার্জির
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। পিটার সম্প্রতি এক্সিলারেট এনার্জিতে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার
হিসেবে যোগদান করেছেন। এছাড়া প্রতিনিধিদলে কোম্পানিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়ং
ও র্যামন ওয়াংডি এবং বাংলাদেশের আবাসিক ব্যবস্থাপক হাবিব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
আজ রোববার
(২০ জুলাই)) সেনা সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন
তিনি।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা শুরুতেই স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এছাড়াও, তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে সকল আহত ও শহীদ সেনা সদস্যদের। একই সাথে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকল ছাত্র জনতাকে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সকল অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সে সকল অফিসারকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড.
ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেনা সদস্যগণ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বেশ কিছু সময় ধরে পালন করে আসছেন। দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ত্যাগের জন্য তিনি সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং চীফ অব জেনারেল স্টাফ।
নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনা প্রধান অধ্যাপক
ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
এসময়
সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসলাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রোহিঙ্গা
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতার করেন তারা।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উখিয়ায় যান জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পরে সেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে
কক্সবাজারে পৌঁছে সেখানে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে বিকেলে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, ৪ দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্য করুন
দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা
ভোগ করছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বন্যা বয়ে গেছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন,
সম্পদপাচার, ভুল তথ্য মোকাবেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের
প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতারা সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা
এসব কথা বলেন।
ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
বৈঠকে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের একটি
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করা ও অর্থনীতি
পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন গতিপথ নির্ধারণের জন্য
বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। তারা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, ভিকটিমদের জন্য অন্তর্বর্তী
ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার
নিরাপত্তা আইন, কিভাবে তাদের উন্নতি করা যায় এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
অ্যালেক্স সোরোস বলেন, আমরা এসব ক্ষেত্রে
আপনার প্রচেষ্টা সমর্থন করার উপায় খুঁজব।
প্রধান উপদেষ্টা ওপেন ফাউন্ডেশনকে তাদের
সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের
খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডাভোস সফরে গিয়ে
আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা হলো, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অনেকেই জানে না।
অনেক অপপ্রচার হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের
শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের
প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ‘বিধ্বস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে
এবং তিনি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে
সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফাউন্ডেশন। এই পদক্ষেপকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস স্বাগত জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের
সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিষয়টি ঝুলে থাকার কারণে এতে কোনো দেশেরই
লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। (খবর এনডিটিভির)
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া
এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ
নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে। কারণ
পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার ভারতকে চাপ দেবে কিনা- পিটিআইয়ের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, চাপ শব্দটি অনেক
বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে
হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে
গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর
ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নতুন কোনো ইস্যু নয়, এটি অনেক পুরাতন ইস্যু।
বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। এমনকি পাকিস্তান পিরিয়ডেও কথা হয়েছে। আমরা সবাই
চেয়েছি এটির সমাধান করতে, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের
সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমরা চাই এর সমাধান করতে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের
পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের
আবেদন পর্যালোচনা কমিটি আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পেশ করেছেন।
কমিটি প্রধান জাকির আহমেদ খান কমিটির
অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়
প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদনটি পেশ করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯
সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লেখিত
সময়কালের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের
জন্য সরকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থ সচিব এবং বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প
নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
কমিটি নির্ধারিত ৯০ দিনের পূর্বেই প্রতিবেদন
পেশ করায় কমিটির সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানান।
প্রতিবেদনটি পেশ করার সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।
চার দিনের সফরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ আসবেন।
মন্তব্য করুন
১১তম
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতে মিশর যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাত ১টায় তিনি কায়রোর
উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম-সাময়িক
ইস্যুতে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ব্রিফিংয়ে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী
প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
উপ-প্রেস
সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন,
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান এতে যোগ দেবেন। এর মধ্যে রয়েছে
ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান।
মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ও নাইজেরিয়ার একজন উচ্চপস্থ কর্মকর্তা প্রতিনিধিত্ব
করবেন। ইনভেস্টিং
ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো'স ইকোনমি’ সম্মেলন
ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য যুব ও এমএসএমই ইস্যুতে সংস্থাটির গুরুত্বকে তুলে ধরে।
এজন্য এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণদের নিয়ে বৈশ্বিক
সস্মেলনে কাজ করতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। এসএমই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কীভাবে কাজে
লাগানো যায়, সেই
বিষয়গুলো এখানে আলোচনা হবে।
সম্মেলনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান,
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মিশরের
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত থাকার কথা।
ডি-৮
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন,
যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। সংস্থাটি বাংলাদেশ, মিশর,
ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান
এবং তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত। কায়রোতে
অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম
এন্টারপ্রাইজ, শেপিং
টুমরোস ইকোনমি’।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা শুধু বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত
মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।
‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’ উপলক্ষে
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি
থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান
মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন,
৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা
একটি অনন্য মাইলফলক। ৬ দফার মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির
রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।
তিনি এই মহান দিনে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালির
মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন আমি তাদের স্মৃতির প্রতি
জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা
বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত
হয়, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের
ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২
সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা
প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব
ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনসহ এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল
বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা
ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার
করে। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু ৬ দফার দাবি থেকে পিছপা হননি।
রাষ্ট্রপতি জানান, বঙ্গবন্ধু
রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।
এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান
জানান।
মন্তব্য করুন
আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুই সংস্কার কমিশনের প্রধান।
কমিশনগুলো হলো: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো। আর বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন