কুমিল্লা জেলার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলো আপন বড় ভাই হানিফ মিয়া (৩৫)।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদ এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানার এস.আই মো. গিয়াস উদ্দিন।
নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারি আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশের একটি অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু ঘটে তার।
ঘটনাস্থল থেকে চান্দিনা থানার এস.আই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলো আপন বড় ভাই হানিফ মিয়া (৩৫)।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদ এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানার এস.আই মো. গিয়াস উদ্দিন।
নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারি আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশের একটি অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু ঘটে তার।
ঘটনাস্থল থেকে চান্দিনা থানার এস.আই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে নিয়মিতভাবে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিবিরবাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিবিরবাজার মাঠ নামক স্থানে একটি জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাহিদ পারভেজ, বিজিবিএমএস, পিবিজিএমএস, পিএসসি।
এ সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে মাদকমুক্ত এবং অপরাধমুক্ত একটি সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে বিজিবি অধিনায়ক সীমান্তে চোরাচালান দমন ও মাদক নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসাধারণকে বিজিবির পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক - এই মর্মে সবাইকে আশ্বস্থ করেন। পরিশেষে এলাকাবাসির উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং মঙ্গল কামনা করে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী
ও একজন আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গতকাল (২৮ জুন) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ছুপুয়া
এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। বাবলু মিয়া
(২৩), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-আইরল, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২। বিল্লাল হোসেন
(২২), পিতা-মাহবুল হক, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
মুন্না হোসেন (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, সাং- আলিপুর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা;
৪। মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট,
জেলা-কুমিল্লা; ৫। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-শফিবাদ, থানা-কচুয়া, জেলা-
চাঁদপুর; ৬। মোঃ ফয়সাল (২০), পিতা-আব্দুল বারেক, সাং-পানিপাড়া, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা
৭। ইমরান হোসেন বাবু (২৫), পিতা-মাহবুল হক, সাং-শহীদপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
৮। মোঃ সালমান হোসেন (১৯), পিতা-মৃত শহীদুল ইসলাম, সাং-মাঝিআলী, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা-যশোর;
৯। মোঃ শাহেদ হাসান (২০), পিতা-মৃত কবির হোসেন, সাং-পানিপাড়া; ১০। মোঃ হুমায়ুন হোসেন
(২০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
১১। মোঃ কাওসার (২২), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে
গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ১২। মোঃ জসিম উদ্দিন (১৬), পিতা-মোঃ
জাফর আলী, সাং-পশ্চিম নোয়াগাও, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৭০
গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, আসামীরা ও আইনের সহিত
সংঘাতে জড়িত শিশু দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয়
করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার
সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত
খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়
রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার
হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে
অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক করে।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার ২০২৪-২০২৫ সনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে ৫১৭জন ভোটারের মধ্যে ৪২৮জন ভোটার গোপন ব্যালট পেপার এর মাধ্যমে তাদের সুনিশ্চিত মতামত প্রদান করেন।
ওই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাহাবুল আলম রিমন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল বারী সরদার (বারেক) এবং সহকারী নির্বাচন কমিশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির উচ্চ পরিষদের সদস্য মোঃ এমদাদ হোসেন ও আবুল খায়ের খোকন। এসময় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন, রিক্রিয়েশন সেক্রেটারি এডভোকেট আছিয়া মাহজাবিন খান নিশু, সাবেক এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ এনামুল হক সরকার, এডভোকেট মোসাঃ কামরুন্নাহার ও এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
ওই নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে দু'টি পদে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে ভোট গণনা শুরু হয় আর শেষ হয় রাত ৯টায়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী।
ওই নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ নুরুল ইসলাম ২২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ ওমর ফারুক পেয়েছেন ১৮০ ভোট ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (সিভিল কোর্ট) পদে মোঃ সামছুল আলম ২৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আতাউর রহমান সরকার মাসুদ পেয়েছেন ১৫১ ভোট।
ভোট গণনার সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাহাবুল আলম রিমন ও এডভোকেট মোসাঃ কামরুন্নাহার, এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার, জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তাহের কালন, সাবেক সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (মজিব), সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের (খোকন) ও সাবেক সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির প্রায় শতাধিক সদস্য।
এ ছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সভাপতি পদে মোঃ শহিদুল হক লিটন, সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হোসেন মিয়া, সহ-সাধারণ (ফৌজদারি কোর্ট) পদে মোঃ হরমুজ আলী সরকার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ লিটন মিয়া মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ মাহাবুব আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহজাহান মিয়া এবং সদস্য পদে মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ আবুল কাশেম ও মোঃ জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মামুনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মামুন ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ময়নামতি ইউনিয়নের আকাবপুর গ্রামের মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভাঙচুর ও কেন্দ্র দখল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলা, মাদক, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ অন্তত ৮ মামলা রয়েছে। ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সোমবার (২ জুন) আলেখারচরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ অভিযান
পরিচালিত হয়েছে।
দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে এলাকায় অবৈধ যান চলাচল রোধে কার্যকর তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানকালে মোট ১টি সিএনজি, ১টি পিকআপ ও ৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট
২২,৫০০ (বাইশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি পিকআপ জব্দ করে হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর
করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী
ও পুলিশের এই যৌথ তৎপরতা এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা তৈরি করেছে। স্থানীয়রা
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলমান রাখার আহ্বান
জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লা শাসনগাছা এলাকায় সেনাবাহিনী চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান পরিচালনাকালে চারটি মোটরবাইক চালককে মামলা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ১৫ টি মোটরসাইকেল,
একটি মারুতি এবং একটি প্রাইভেট কারের কাগজপত্র না থাকার কারণে জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে
নেওয়া হয়েছে।
সমাজসেবা (ব্যাটালিয়ন সদর) সেনাবাহিনী ক্যাম্প শাসনগাছা এলাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেনাবাহিনী ক্যাম্প সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন