

কুমিল্লায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক মামলায় তিতাস গ্যাসের পিয়ন (অফিস সহায়ক) জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রায় এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার ৩টি মামলায় জহিরুলের ৩ স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকার অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে ৩ স্ত্রীর সাজা হলেও স্বামী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয় তাকে।
অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। স্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিটি মামলাতেই দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম ছিল জহিরুলের। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তার ৩ স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।
দুদক কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি দায়েরকৃত পৃথক ৩টি মামলায় সেলিনা আক্তার, আকলিমা আক্তার ও আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ তদন্তপূর্বক মামলার বাদী ছিলেন, দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, স্থাবর, অস্থাবর অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)
রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শিমপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ
শাকিব আহমেদ নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৩০ কেজি
গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ শাকিব আহমেদ (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার চরপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের বাজারে
ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি অভিযান, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্ট বন্যার প্রেক্ষিতে শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন তথ্যা পাওয়ায় নগরীর বৃহৎ পাইকারি বাজার চকবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ তদারকি অভিাযান পরিচালনা করা হয়। চিড়া, মুড়ি, গুড়, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপণ্যের দোকানে এ তদারকি কার্যক্রম চলে। অভিাযানে অনিয়ম পাওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানগুনলো যথাক্রমে বেশি দামে চিড়া বিক্রি করায় আনোয়ার স্টোরকে ১০ হাজার, ক্রয়ের ভাউচার না রেখে বেশি দামে মিষ্টি বিস্কুট বিক্রি করায় লক্ষণ স্টোরকে ৫ হাজার, বেশি দামে পেয়াজ বিক্রির প্রস্তাব করায় নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীকে ২ হাজার এবং অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি এবং মূল্য উল্লেখ না করে ইচ্ছে মাফিক দামে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ায় শাহ পরান ট্রেডার্সকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ আজ মোট চার প্রতিষ্ঠাকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তদারকি করা হয় অন্তত অর্ধ শতাধিক নিত্যেপণ্যের দোকান। বেলা ১১টা থেকে সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলা এ তদারকি কার্যক্রমে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একেচ আজাদ এবং কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৫৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গতকাল
(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কৃষ্ণপুর মধ্য পাড়া সাকিনস্থ মৃত
লুতু মিয়ার বাড়িতে আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর বসত ঘরের ভিতর থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা
সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী
হলো: মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), পিতা-আবুল হাসেম, মাতা-অজুফা খাতুন, গ্রাম-কৃষ্ণপুর
(মধ্য পাড়া-মৃত লুতু মিয়ার বাড়ী), থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিদের
সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নতুন জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান।
আজ বুধবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে
মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মো: সাইফুল
ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( এডিএম) জাফর সাদিক চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান বলেন, কুমিল্লা শিক্ষা
দীক্ষা ও প্রবাসী আয়ে এগিয়ে। এ জেলার জন্য আমি কাজ করব।
তিনি বলেন, নির্বাচন করব সুন্দরভাবে। আমি সবাইকে
তথ্য দিয়ে সহায়তা করব। আগের ডিসির কাজ যেন চালিয়ে নিতে পারি। টাউন হল, বিয়াম স্কুল
ও ডিসি পার্কের কাজ এগিয়ে নেব।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে সিটি করপোরেশন অনেক জায়গা
অধিগ্রহণ করে শহর সম্প্রসারণ করেছে। রাস্তা বাড়িয়েছে। কুমিল্লা চাইলে সেটা করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাকে সময় দিতে হবে। আপনাদের ( গণমাধ্যমকর্মী)
সহযোগিতা চাই। কোথাও যেন ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, মীর শাহআলম, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা এমরান ও আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা তিতাসে সাময়ন আরিয়ানকে হত্যা অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড; আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিল্লাল পাঠান হলেন- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি পাঠান বাড়ী'র মোঃ খেলু পাঠানের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শেফালী আক্তার (৪৩) হলেন একই উপজেলার কলাকান্দি উত্তর পাড়া মাষ্টার বাড়ীর জামাল মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব আক্রোশের বশবর্তী হইয়া আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ভিকটিম সায়মন আরিয়ান (৭) কে হত্যা করিয়া কলাকান্দি বালুর মাঠে (কাঁশ বনে) লাশ গুম করে।
জানা যায়- ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলবেলা ভিকটিম সায়মন আরিয়ান আসামি শেফালী আক্তারের ছেলে রাফি'র সাথে খেলাধুলা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় বাদীনি তাঁর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি না পেয়ে বাদীনি তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন ঘটনাস্থলে ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট নিহতের গর্ভধারিনী মাতা খোর্শেদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ নয়ন মিয়া ও সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জাহিদুল হক এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জীবন বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আসামি শেফালী আক্তার ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবন বিশ্বাস ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর আসামি বিল্লাল পাঠান ও শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আসিলে চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারী তাহাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্র পক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, "মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে গলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হল"।
আসামি শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ের আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, আসামি শেফালীর উভয় দণ্ড একসাথে চলবে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, শালি-দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে পেলায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশু সায়মন আরিয়ানকে হত্যা করে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন


এই মুহূর্তে কুমিল্লা গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ ঘটিকায়)
আপনারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যান। আদর্শ সদর উপজেলার সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা আছে। যেটা কাছে সেটাতে উঠে যান। গোমতী নদীর পাড় থেকে দয়া করে দর্শনার্থীগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। উপজেলা প্রশাসন আদর্শ সদর, কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা কোম্পানি। আটক হওয়া সন্দেহভাজনের নাম আব্দুর রব (৭৩)।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম। জানা গেছে, আব্দুর রব (৭৩) পেশায় কবিরাজ। তার বাড়ি লাঙ্গলকোট উপজেলায়। নিহতের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল আব্দুর রবের বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, ‘সন্দেহভাজন একজনকে লাঙ্গলকোট থেকে দুপুরে আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
এর আগে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে নিজ বাসা থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’।
সুমাইয়ার মৃত্যুতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আজই তার পঞ্চম সেমিস্টারের শেষ পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুরে নগরীর পূবালী চত্বর এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে তারা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা মাধাইয়ায় আদাভর্তী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে আব্দুল খালেক নামে একজন পথচারী নিহত হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার মাধাইয়া অংশে বাঁশ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল খালেক পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিন পেশায় কসাই।
স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানান, ভোর পাঁচটার দিকে আবদুল খালেক গরু জবাই করতে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আদা ভর্তি একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালেককে চাঁপা দিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় খালেক। এ সময় খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়
মন্তব্য করুন


ফেনীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার পৌর এলাকার জগতপুর গফুর ভান্ডারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, আলমগীর হোসেন দুই বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ ঘরে তাদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মঙ্গলবার ভোরে সে দ্বিতীয় স্ত্রীর থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথম স্ত্রীর ঘরে এলে শুরু হয় ইয়াসমিনের সাথে বাকবিতণ্ডা।
বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সকালে ইয়াসমিন ঘরে থাকা দা দিয়ে আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান। স্বামীকে হত্যার পর সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন ইয়াসমিন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তিনি তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভুঞা থানার ওসি ওয়াহিদ পারভেজ কালবেলাকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সদর উপজেলার ঈশ্বর পাঠশালার মহেশাঙ্গন প্রাঙ্গণে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরা। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক, ২৩ বীর। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর এডমিন ডিএডি মহসিন, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলার আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সাহা।
সভায় বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবসময় আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সমন্বয় সভা সেই সম্পর্কেরই প্রতিফলন। পূজাকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই সবার অঙ্গীকার।
নিরাপত্তা জোরদার ও পূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ এলাকায় ব্যাগ চেকিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা সচল রাখা ও পর্যবেক্ষণ, দ্রুত যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয় রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ চিহ্নিতকরণ ও নজরদারি বাড়ানো, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণের কথা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন