কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ধোড়করা বাজার শাখা থেকে তিন কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুল কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল বাজারের এসএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ও পাশ্ববর্তী চন্দ্রপুর গ্রামের মরহুম মীর হোসেন মিয়াজীর ছেলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ধোড়করা বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ব্যবসার জন্য সাইফুল ইসলাম ধাপে ধাপে ব্যাংক থেকে তিন কোটি টাকার বেশি ঋণ গ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দিলেও তিনি কর্ণপাত করেনি। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। একটি মামলায় আদালত সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পুলিশের একটি টিম তারাশাইল বাজার থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন বলেন, চেকের মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর মানামা হোটেলের সামনের মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছিল, হানিফ পরিবহনের ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ নম্বরের বাসটি উল্টো পথে চলাচল করার কারণেই সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে, তারপর ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাসটি জব্দ হলেও চালক বা হেলপার কাউকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে খাদঘর এলাকায় রেখে আত্মগোপনে চলে যান চালক এবং হেলপার। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা মহেশাঙ্গণ শ্রী শ্রী লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারাধন ভৌমিক ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ভিপি চিত্তরঞ্জন ভৌমিক এর গর্ভধারিনী মাতা এবং চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার আবুতোরাবস্থিত শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম, শিব মন্দির ও কালীমাতা বিগ্রহ বাড়ী পরিচালনা পরিষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্বর্গীয় গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক এর সহধর্মিণী এবং শ্রী শ্রী মা নয়নমণি শ্রীধাম পরিচালনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী মিহির কান্তি নাথের শাশুড়ী মাতা স্বর্গীয় কিরণ বালা ভৌমিক এর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মৃতার নিজ বাসায় শ্রাদ্ধকার্য অনুষ্ঠিত হয়।
তদুপলক্ষে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে পরদিন শুক্রবার দুপুরবেলা কুমিল্লা মহেশাঙ্গণে শাকান্নভোজ এর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ যে, চলতি বছর ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রয়াত কিরণ বালা ভৌমিক বার্ধক্যজনিত কারণে ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন। তিনি মৃত্যুকালে হারাধন ভৌমিক, চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, অমূল্য ধন ভৌমিক, পূর্ণধন ভৌমিক, জর্নাধন ভৌমিককে ০৫ (পাঁচ) পুত্র এবং বর্ণানী ভৌমিক ও জয়ন্ত ভৌমিককে (০২) দুই কন্যা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
গাজীপুরের চান্দুরাতে হাসনাত আবদুল্লাহ উপর আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও হাফসা জাহান কে নিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক তথ্য প্রকাশ করার প্রতিবাদে কুমিল্লার পূবালী চত্তরে ৪ মে ( রবিবার) রাত ৯ টায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপি কুমিল্লা জেলা।
প্রতিবাদ মিছিল টি টাউন হল থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পড়ে পূবালী চত্তর এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাফসা জাহান, এসবি জুয়েল,সৈয়দ আহসান টিটু, মাসুমুল বারী কাওসার, কাজী মো: জায়েদ, নাইম আলম, ইব্রাহিম খালিদ হাসান, আরিফুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন,মো রাসেল ভূইয়া,মুজাহিদুল ইসলাম, ইফতেখার, জাহিদুল হক অনিক,মাসুদ আলম, মো:আমির,
আরিফুল ইসলাম বাশার,লতা, সাবিকুন নাহার,সহ জাতীয় নাগরিক পার্টির বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরের নেতা কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাএ আন্দোলনের সদস্যবৃন্দ সহ সাধারন জনগন।
মন্তব্য করুন
রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঘর থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ধারণায় পুলিশ বলছে, তারা আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবে তারা।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জালালাপুর গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল্লাহ প্রধান।
উদ্ধার হওয়া লাশ দুটির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন ওই গ্রামের মৃত জীবন চন্দ্রের স্ত্রী নমিতা পাল (৪২) ও তার মেয়ে তন্নী রাণী পাল (১৮)।
পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ঋণগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, ঋণের কারণে বিষপানে মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফাঁড়ি ইনচার্জ শহীদুল্লাহ প্রধান জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লাশ দুটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান ওরফে
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিশুদ্ধ খাদ্য
আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এ আদেশ দেন। অনুমোদনহীন ব্লু ড্রিংকস বাজারজাত করার জন্য
এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত
খাদ্য পরিদর্শক মো: কামরুল হোসেন জানান, ব্লু ড্রিংয়ের কোনো অনুমোদন নেই। এমনকি ওষুধ
প্রশাসনও জানে না এসব ওষুধ না পানীয়। সেই প্রেক্ষিতে ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাফসানের এই প্রতিষ্ঠানটির
নাম মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ। এটি কুমিল্লার বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি
মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন না নিয়ে তাদের উৎপাদিত ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। কারখানাটিতে
কোনো পরিমাপ যন্ত্রও ছিল না। যার ফলে এখানে হাতে করে ড্রিংকসগুলো বোতলজাতকরণ করা হচ্ছিল।
এ সময় নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন -২০১৮’ এর ৪১ ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানটি পরিচালনা করেন কুমিল্লার নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিন। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)
এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম)।
মন্তব্য করুন
আজ
সোমবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লা সিটি কলেজ মিলনায়তনে মাদকমুক্ত জাতি গঠনে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া
খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার চৌধুরী
ইমরুল হাসান, সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, সংগঠক
ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা সিটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এর
সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।
সেমিনারে
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কুমিল্লা সিটি কলেজের প্রভাষক মাহদি প্রমি।
সেসিনারে
সভাপতিত্ব করেন, কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো: নাদিমুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকাসক্ত মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে
সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহবান করেন। শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে বিরত থাকার জন্য
বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য ও উপদেশ প্রদান করেন।
কুইজ
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত
খাতা, কলম,স্কেল ও জ্যামিতি বক্স বিতরণ করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সবাই মিলে "মাদক কে না বলুন"লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাওয়ালপুর এলাকা হতে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাওয়ালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার পশ্চিম জালুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৫)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সহবরাহ করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন