

কুমিল্লায় ৩২ কেজি গাঁজা ও একটি প্রাইভেটকারসহ
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ ।
আজ (১২ জুলাই) সকালে হোমনা থানার এসআই
মোজাফফর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোমনা থানার ছয়ফুল্লাকান্দি মাথাভাঙ্গা
এলাকায় ছিনাইয়া-টু-মেঘনাগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্টে একটি প্রাইভেটকার তল্লাশী
করে ৩২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- হবিগঞ্জ জেলার
মাধবপুর থানার গজনগর গ্রামের মোরশেদ এর ছেলে মোঃ সেলিম (৩৭)।
উক্ত ঘটনায় হোমনা থানার মামলা দায়ের
করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় সবজিক্ষেতে গাঁজা চাষের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছসহ এক চাষীকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) কুমিল্লা কার্যালয়ের সরবরাহকৃত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, বুড়িচং থানা পুলিশ ও কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের বড়াইল পশ্চিম পাড়ায় মো. দুলাল মিয়া (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে তার সবজিক্ষেত থেকে গাঁজা গাছসহ আটক করা হয়। অভিযানে একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের আগেই তিনি অতিরিক্ত গাছ সরিয়ে ফেলেছেন। পরে তার বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এক বক্স শুকনো গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, দুলাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সবজিক্ষেতের আড়ালে গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিলেন। আটক ব্যক্তি মৃত মো. কালা মিয়ার ছেলে। তার বাড়ি বুড়িচং উপজেলার বড়াইল পশ্চিম পাড়া।
এ ঘটনায় রাতেই কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, “আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসা-বাড়ীতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয় বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালিয়াজুরীতে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা ইউনিটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকারের একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার তাঁর ছোটভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর কপালে চন্দন দিয়ে ফোঁটা এঁকে ছড়া কেটে বলেন "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।" এভাবেই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে বোন ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। এরপরে ভাইবোনেরা একে অপরের সাথে মিষ্টি বিনিময় করে এবং উপহার আদান-প্রদান করে থাকে।
জানা যায়- শুভ দিনের পরম পবিত্র লগ্নে ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের পুনঃ নবীকরণ করে নেওয়া হয় প্রতি বছর। শৈশবের হারিয়ে যাওয়া মধুর এই দিনটিতে বড় বেশি করে মনে পড়ে যায়। ভাই-বোনের স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্কের প্রকাশ ভাইফোঁটা আচার অনুষ্ঠানটি মন কেড়ে নেয়। একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চিরন্তন আবেগ অনুভূতিই জীবন্ত হয়ে ওঠে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে বোন তাঁর ভাইকে পরম যত্ন সহকারে একটি সুন্দর আসনে বসিয়ে হেমন্তের শিশির ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে হাতের তিন আঙ্গুলের সাহায্যে বোন তাঁর ভাইয়ের কপাল ধুয়ে দেয়। এরপর বোন তার কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে একইভাবে চন্দন তিলক এঁকে দিয়ে ছড়া কেটে বলে "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।"
অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- দীপাবলির একদিন পরেই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। হেমন্তের পবিত্র শিশির দিয়ে বোন তাঁর ভাইয়ের সব অশুভ, অমঙ্গল ও অকল্যাণকর শক্তিকে ধুয়ে দেয়। সুগন্ধি চন্দন তিলক ললাটে এঁকে দিয়ে এনে দেয় সৌভাগ্যের পরশমনি। তারই সঙ্গে অমরত্বের প্রতীক দুর্বা আর ধনের প্রতীক ধান দিয়ে প্রার্থনা বা আশীর্বাদ বা তার মঙ্গল কামনা করেন। তিনি আরো বলেন- যমী (যমুনা) তার ভাই যমকে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে নিজ গৃহে এনে পূজা করে ভোজনে আপ্যায়িত করেছিলেন। তিনি বলেন জনশ্রুতি আছে, সেই থেকে অদ্যাবধি বিপুুুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব।
অন্যদিকে, ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে আচার্য সবানন্দ সুবীর পুঁথির শেষ শ্লোকে বলা হয় মহাবীরের জীবনবাসন হলে রাজা নন্দী বর্ধন বোনের শোক নিবারণের জন্য বোনকে বুঝিয়ে আদর যত্ন করে আপ্যায়ন করেছিলেন। ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করা হয়। ভাইফোঁটার দিনে বোনেরা তাদের দাদা বা ভাইকে নিজের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করে এবং ভাইয়েরাও বোনদের প্রাণ ভরে আর্শীবাদ করে। ভাগ্নিরা ভাইয়ের কপালে চন্দন ও কুমকুমের তিলক বা ফোঁটা এঁকে দিলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারবেনা। সেজন্যই বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেয়। এভাবে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এরপর ভাইকে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাওয়ায়। ভাইও তার সাধ্যমত বোনকে কিছু উপহার বা টাকা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের ন্যায় বাংলাদেশেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয় বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
দাউদকান্দির গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারী ডিগ্রী কলেজের একটি ভবনের দেয়াল ধ্বসে
পড়েছে।
গতকাল
বুধবার রাতে বজ্রপাতের কম্পনে এ দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যাযনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের চত্বরের পশ্চিম পাশে রাবেয়া কবির স্মৃতি হলের উত্তর সাইটের দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। কলেজের সামনে পুকুরে মাছ চাষে ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ধ্বসে পড়েছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শহিদুজ্জামান মিয়া।
তিনি
বলেন, কলেজের সামনের পুকুরে মাছ চাষের ফলে ভবনের নিচের অংশের মাটি ধীরে ধীরে সরে গেছে।
আর কয়েকদিন আগে পুকুরের পানি সেচের কারনে ফাটল দেখা দেয়। একারনে ভবনটিকে তালাবদ্ধ করে
রেখেছি। আর গত রাতে বজ্রপাতের প্রচন্ড কম্পনে ভবনের দেয়ালটি ধ্বসে পড়েছে। পুরো ভবনের
উত্তরাংশে গাইড ওয়াল করার বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়েছে। অতি দ্রুত প্রোটেকশান
দেয়াল করা না হলে পুরো ভবনটি রক্ষা করা যাবে না।
এ
বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সাথে আলোচনা করে কলেজের পুরো ভবনটি রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও বজ্রপুর এলাকায় ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লা।
শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্যারনিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন, রাজগঞ্জ ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান মালা-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে সেনাসদরের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা এরিয়ার ব্যবস্থাপনায় প্রায় দেড় হাজার অসহায় গরীব ও অসুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
সোমবার
(২৮ জুলাই) কুমিল্লা নগরীর শাকতলা এলাকার দ্যা
ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা সেনানিবাস হতে আগত মেডিসিন, সার্জারী, গাইনি, শিশু রোগ, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল অফিসার ও প্যারামেডিক্স এর সমন্বয়ে বিশেষায়িত মেডিকেল দলের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পুরুষ,
স্ত্রী ও শিশুসহ আনুমানিক প্রায় দেড় হাজার
স্থানীয় জনসাধারণকে বিনামূলো চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা
হয়েছে।
এছাড়াও একটি ফিল্ড অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাইনর অপারেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এই মহতী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করায় স্থানীয় জনসাধারণ সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়ে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় কাভার্ডভ্যানের
পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় মো. নাজমুল (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মহাসড়কের
উভয় পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) ভোরে ঢাকা-চট্রগ্রাম
মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার
শিবগঞ্জ উপজেলার শরতনগর গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের ছয়ঘড়িয়া এলাকায় একটি মালবোঝাই কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা
দেয় অপর একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকে থাকা ব্যবসায়ী নাজমুল নিহত হয়। এ ঘটনায়
মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল ১১টায় হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক
ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করে। তারপর থেকে ধীর গতিতে
যান চলাচল শুরু করে। দুপুর ১টায় মহাসড়কে
যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চান্দিনায় নতুন মোটরসাইকেল কেনার একদিন পরেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ২ বন্ধু। বুধবার দিন গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনার খাদঘর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের কাদের প্রধানের ছেলে ও ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক ছাত্রদল সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন (১৯) ও একই গ্রামের সোলেমান আহমেদের ছেলে রিজওয়ান আহমেদ শামিম (১৮)। তারা দুইজনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় নাজমুল ও শামীম। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাদঘর এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এসময় তারা সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের এলাকার বাসিন্দা মো. এরশাদুল হক বলেন- নতুন মোটরসাইকেল কেনার আনন্দেই বের হয়েছিল তারা। দাউদাকান্দি উপজেলার নতুন বাজারের এক নামকরা চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ১ দিন আগে সোলেমান আহমেদের ছেলে শামিম মোটরসাইকেলটা কিনেছিল। কে জানত সেই বাইকেই ওদের শেষ যাত্রা হবে!!
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে দুজন নিহত হয়। ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপে
করে মাদক পরিবহনকালে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১
সিপিসি-২।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন
চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
মিনি পিকআপের পিছনে মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। মোঃ
দিপু , ২। কামরুল ইসলাম , ৩। মোঃ ছুটন মিয়া , ৪। শিপন এবং ৫। মোঃ মাহফুজ নামের পাঁচজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ দিপু
(২৭) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাইয়ুমপুর গ্রামের আইয়ুব খান এর ছেলে; ২। কামরুল ইসলাম
(৩০) কুলনা পাথর গ্রামের মৃত জামাল হোসেন এর ছেলে; ৩। মোঃ ছুটন মিয়া (৩০) কামালপুর
গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে; ৪। শিপন (৩০) নোয়াগাঁ গ্রামের টুনু মিয়া এর ছেলে
এবং ৫। মোঃ মাহফুজ (২৪) কামালপুর গ্রামের বাছির মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি ;
সময়মত নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’ প্রতিপাদ্যে কুমিল্লায় পালিত হচ্ছে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ।
আজ বুধবার সকালে নগরীর ঝাউতলার হোটেল এলিট প্যালেসে দিবসটি উপলক্ষে এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
মূল্য সংযোজন কর সম্পর্কে জনসচেতনতা জোরদার ও সঠিকভাবে ভ্যাট পরিশোধে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এ সেমিনার।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান সরদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কর অঞ্চল কুমিল্লার কর কমিশনার মো. আবদুস সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর অঞ্চল নোয়াখালীর কর কমিশনার শাহ্ মুহাম্মদ ইত্তেদা হাসান এবং কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুগ্ম কমিশনার ফাহাদ আল ইসলাম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম কমিশনার নিতীশ বিশ্বাস।
এতে কমিশনারেটের বিভাগীয় কর্মকর্তা, সার্কেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বিভিন্ন সেক্টরের অংশীজন এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।সেমিনারে বক্তারা বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ ও ভ্যাট পরিশোধকে সহজ ও উৎসাহব্যঞ্জক করতে কমিশনারেট নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। কেনাকাটার সময় ভ্যাট চালান গ্রহণে ক্রেতাদের সচেতনতা সৃষ্টি হলে ভ্যাট ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে।
দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে করদাতা, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সমন্বিত ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বিজয়ের মাসে আয়োজিত এ কর্মসূচি ভ্যাটসংক্রান্ত সচেতনতা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন