বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৭টায় পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান।
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে ক্রমেই ফুঁসে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদী। এরই মধ্যে অতিক্রম করেছে বিপৎসীমা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পানি প্রবাহ ক্রমাগত বাড়ছে। যেখানেই আমরা খবর পাচ্ছি, সেখানেই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খান
মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আরো বলেন, বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পাউবো, উপজেলা
প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষার্থী
ও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করছেন।
এদিকে, ফেসবুকে ‘বাঁধ ভেঙে গিয়েছে’ গুজব ছড়িয়ে পড়ায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন গোমতীর উভয় তীরের মানুষ।
গতকাল রাত ২টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, রাতে সেচ প্রকল্পের ড্রেন ছাড়াও কয়েকটি স্থান দিয়ে কিছু পানি বের হচ্ছিল, স্থানীয়দের সহায়তায় তা বন্ধ করা হয়। তবে ফেসবুকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার গুজব ছাড়ানো হয়।
কুমিল্লা
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, জেলায় বুধবার পর্যন্ত ১৪টি
আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) আরও কয়েকটি বাড়তে পারে।
বন্যা দুর্গতদের চাল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর
ইউনিয়নের পাঁচোড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন পাঁচোড়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহাজাহান।
নিহত দুই বোন হলো: হাফেজ ঘটক মিয়ার
মেয়ে উম্মে কুলছুম তামান্না (৯) ও খাদিজা আক্তার (৭)। নিহত উম্মে কুলছুম তামান্না পাঁচোড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ও নিহত খাদিজা আক্তার একই বিদ্যালয়ের
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার
(২২ মে) বিকেলে উপজেলার পাঁচোড়া দক্ষিণ কালেম পাড়া মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নামে
ওই দুই বোন। এক সময় তারা পানিতে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর
পুকুরে নেমে তাদের দুই বোনকে উদ্ধার করে। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃত্যুতে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন,
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবুল হাসানাত খন্দকার জানান, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। পরিবারের
পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলায় গত জুলাই মাসে ১১টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩২টি। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে ৮ টি। বিভিন্ন অপরাধে জুলাই মাসে জেলায় মোট মামলা করা হয়েছে ৪৭৫টি।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল কায়সার। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণীতে জানানো হয়, ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, চাঁদাবাজি, চুরি, দ্রুত বিচার, মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষণ, আহত, অস্ত্র উদ্ধার ও চোরাচালানের মামলা কমেছে।
এ ছাড়া জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হন এবং সাতজন আহত হন। এই মাসে ৩৫৯টি মামলা করেন ২১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব মামলায় ২৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ২৮৪ জনকে অর্থদণ্ড, পাঁচজনকে কারাদণ্ড, ৭০ জনকে উভয় দণ্ডসহ মোট ৩৫৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় যানজট নিরসন, মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা, শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত, পরিবেশ দূষণ, পলিথিনের ব্যবহার রোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সমাধানে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি কদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে অভিযান এবং যানজট নিরসনে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার উল্লেখিত এবং আলোচিত বিষয়গুলো দ্রুত নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ধামতী ইউনিয়নে নানা পন্থায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ক্রয় করা বসত জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক এমপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। বসতজমির কলাগাছ কেটে নেয়া, বসতঘর কুপিয়ে ঘরের বাসিন্দাদের মারধর-মালামাল লুট, আবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আওয়ামী দোসর বানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে বির্তকিত করে তার ক্রয় করা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনদের বিরুদ্ধে।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ছোট ভাই মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমার বড় ভাই ধামতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিগত ২০২২ সালের ২২ জুন দুয়ারিয়া এলাকায় ৫২ শতক জায়গা হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের কাছ থেকে কেনার জন্য বায়নাপত্র করে এবং সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৪৩ লক্ষ টাকার চেক তাদের প্রদান করেন। তারা পরে টাকা বুঝে নিয়ে আমাদেরকে জায়গা ভোগ দখল বুঝাইয়া দিলে আমরা গত দুই বছর যাবৎ উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে সেখানে কলার বাগান করি। আমরা বহুবার তাদেরকে সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও মকবুল হোসেন প্রবাসে থাকার বাহানা দিয়া ‘অদ্যবধি তারা আমার ভাইয়ের নামে উক্ত সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। চলতি বছরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারি ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের বায়না করা ৫২ শতক জমির ৫ পাঁচ শতাধিক কলা গাছ কেটে নিয়ে জমির চারপাশে তার কাটা বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে আলামিন বাশার ও আলামিনসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা । পরে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিন তারা চুপচাপ থাকে। এছাড়া আমরা এই বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।
সোহরাব আরো জানান, পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় আমাদের জমিতে নির্মিত দুটি ঘরে বসবাসরত মো: জুয়েল (১৮) ও মো: হোসাইনকে (১৮)মারধর করে দুটি ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নেয় হুমায়ুন কবির বাহিনী। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় ৭ জনের উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন ধামতী ইউনিয়নের দুয়ারিয়া গ্রামের মো: বাচ্চু মিয়ার ৩ ছেলে মো: হুমায়ুন কবির, মকবুল হোসেন ও মহসিন, মৃত. খোরশেদ মিয়ার ছেলে এছাড়া আবু বকর ও আবু সাইদ, হোসেন মেম্বারের ছেলে আল আমিন ও মো: খলিল, জসিমের ছেলে মো: রিফাত এবং শাহ জালালের ছেলে মো: সিয়াম প্রমুখ। হামলা–ভাংচুর করেও জায়গা দখল করতে না পেরে ১৪ নভেম্বর আমার ভাইকে আওয়ামী দোসর বানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হুমায়ুন কবির বাহিনী। আমরা তো বসতজমি দখল করিনি, জমিটি ক্রয় করেছি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত আওয়ামী নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন তিনি। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজাদ এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়েও তিনি যেতে পারতেন না এমপি আজাদ সমর্থিত নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে। এরপরই চেয়ারম্যান মিঠুর লোকজনকে একাধিকবার মারধর করা হয়। সম্প্রতি তার বসতজমিটিও দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। মহিউদ্দিন মিঠু দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য চেয়ারম্যান । বর্তমানে মহিউদ্দিন মিঠু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে কল দিলে মুঠোফোন সংযোগে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ইন্সপেক্টর শাহীন ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি হয়তো এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ জানান, মিঠু সাহেবের বসতজমিতে হামলার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। পরিবেশ যাতে ঘোলাটে না হয় সে জন্য সর্তক করা হয়েছে।আর বসতজমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চান্দিনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে শ্রমিক দল ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং এর সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল এর ৩ জন নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটককৃতরা হলো- পৌর এলাকার বেলাশ্বর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে চান্দিনা পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ালী উল্লাহ, একই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কুমিল্লার উত্তর জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চান্দিনা পৌর শ্রমিক দল আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন, রমিজ উদ্দিনের ছেলে ৪নং ওয়ার্ড এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে চান্দিনা থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র এবং মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়- ঢাকার বনানী আলীসা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী কোম্পানীর ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন মালামাল দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করেন। রবিবার বেলা পৌনে ২টায় মালামাল নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে
চান্দিনা পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মো. অলিউল্লাহ ওই ম্যানেজারের মোবাইলে কল দিয়ে তার দলীয় পরিচয় দেয় এবং মালামাল নিতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। পরে অলিউল্লাহকে সমিতির স্টোর রুমে আসতে বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার। সেখানে অলিউল্লাহ্ অপর দুই জন আসামিকে নিয়ে চাঁদার টাকা আনতে যায়। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় চাঁদাবাজরা। বিষয়টি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবহিত করলে মেজর মাহমুদ এর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ওই ৩ জনকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান, যৌথবাহিনী তাদেরকে আটক করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর
হোসেন,
কুমিল্লা
প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘গ্রাম বাংলার মা-বোনদের সামাজিক বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক জাগরণে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপক ভূমিকায় তিনি (খালেদা জিয়া) নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। গ্রাম বাংলার মা-বোনদের সংস্কৃতির যে বিবর্তন তার একমাত্র কারণ খালেদা জিয়া।’
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তখন অনেকে আমাকে বলেছিলেন ‘মেয়েদের ফ্রি লেখাপড়া হচ্ছে, ছেলেদের কী হবে?’ তখন আমি খালেদা জিয়াকে বিষয়টি বললাম, এর উত্তরে তিনি বলেন- ‘আজকে যেসব মেয়ে লেখাপড়া করছে তারাই একদিন মা হবেন। যে পরিবারে মা শিক্ষিত সেই পরিবারের সন্তান শিক্ষিত হয়।’ তার এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত মা-বোনদের সামাজিক ও সংস্কৃতিক বিবর্তনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল। সেই অভ্যুত্থানের পর চাইলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা ক্ষমতা নেয়নি। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের বাহিনী। তারপর ১৯৯১ সালে একটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশাল বহাল না রেখে কেউ কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার কথা বলেন। এরপরই আব্দুল মালেক উকিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনরায় গঠন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চান। সেই আ.লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুদানে প্রাপ্ত দল। সেদিন যদি মালিক উকিলের আবেদনে জিয়াউর রহমান সাড়া না দিতেন তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না।’
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয় উল্লেখ করে বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, দেশি-বিদেশি অনেক শক্তিই বিএনপির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে সারা বিশ্বের অনেক ঈগল পাখির চোখ বাংলাদেশে। সেই চোখ উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য বিএনপির বিকল্প নেই। আমরা উগ্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে বিশ্বাস করে না, তাদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার ও রাজনীতি করার অধিকার নেই।
নেতাদের উদ্দেশ্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না, যে কারণে বিএনপি, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা উঠে। আর কেউ যদি এমন আচরণ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো হাইব্রিড যেন বিএনপিতে স্থান না পায় সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে বলেও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জসিম উদ্দিন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় বাদশা মিয়া বাজারে তিন প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লা।
শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত অভিযানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এ সময় জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
দাউদকান্দির গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারী ডিগ্রী কলেজের একটি ভবনের দেয়াল ধ্বসে
পড়েছে।
গতকাল
বুধবার রাতে বজ্রপাতের কম্পনে এ দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যাযনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের চত্বরের পশ্চিম পাশে রাবেয়া কবির স্মৃতি হলের উত্তর সাইটের দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। কলেজের সামনে পুকুরে মাছ চাষে ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ধ্বসে পড়েছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শহিদুজ্জামান মিয়া।
তিনি
বলেন, কলেজের সামনের পুকুরে মাছ চাষের ফলে ভবনের নিচের অংশের মাটি ধীরে ধীরে সরে গেছে।
আর কয়েকদিন আগে পুকুরের পানি সেচের কারনে ফাটল দেখা দেয়। একারনে ভবনটিকে তালাবদ্ধ করে
রেখেছি। আর গত রাতে বজ্রপাতের প্রচন্ড কম্পনে ভবনের দেয়ালটি ধ্বসে পড়েছে। পুরো ভবনের
উত্তরাংশে গাইড ওয়াল করার বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়েছে। অতি দ্রুত প্রোটেকশান
দেয়াল করা না হলে পুরো ভবনটি রক্ষা করা যাবে না।
এ
বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সাথে আলোচনা করে কলেজের পুরো ভবনটি রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২৬ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবী ইউ.পির শাহপুর
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সোহেল (২৪) এবং ২। মোঃ মিজানুর
রহমান আলীম (৪০) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে
২,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহেল (২৪) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানার জালুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মফিজ এর ছেলে এবং আসামী মোঃ মিজানুর রহমান আলীম
(৪০) একই গ্রামের নুরুল হক এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা'র উদ্যোগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধিনস্থ ৬ জেলার প্রায় ৫২টি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষকদের মাঝে কর্মশালা- ২০২৪
অনুষ্ঠিত হয়।
২২ জুন শনিবার সকালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালায়
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ নিজামুল করিম।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমিক) ও ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়া কর্মকর্তা
মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়ার সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের শরীর
চর্চা শিক্ষক জি এম ফারুক এর সঞ্চালনায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দিনব্যাপী এই প্রথম
কোন কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং আলোচনা করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মোঃ
নাজিম উদ্দিন ভুইয়া, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাপ্তাহিক অভিবাদন এর সম্পাদক আবুল হাসানাত
বাবুল, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সঞ্চালক বদরুল হুদা জেনু।
এসময় উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠানে বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বোর্ড চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মোঃ নিজামুল করিম বলেন, আজ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এই প্রথমবারের
মতো শরীর চর্চা শিক্ষকদের কর্মশালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষকদের প্রতি
আমি কৃতজ্ঞ। শরীর চর্চা উৎকর্ষ সাধনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। তাই শিক্ষার পাশাপাশি সঠিক প্রশিক্ষণ
নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা করা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। এ কার্যক্রমের
ধারা ভবিষ্যতে যেন অব্যাহত থাকে আমি উপস্থিত সকলের নিকট এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মন্তব্য করুন