ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পোঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের মোবাইল নম্বারে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে ছিনতাইয়ের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে মালামাল উদ্ধার সহ ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, গেল ১৩ জুলাই নগরীর রানীর দিঘীরপাড় থেকে তৌফিকুল ইসলাম সবুজ নামে একজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় মামলা হলে আজ (১৫ জুলাই) সোমবার ভোর রাতে পুলিশ নগরীর দক্ষিন চর্থা ও রানীর বাজার এলাকা থেকে মোঃ রকি (১৯) ও আল মোকাদ্দিম রিয়াজ (২৫) নামে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। এসময় ছিনতাইকৃত টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার:
আজ মঙ্গলবার
লোকপ্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে "বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ও বাংলাদেশের
বাস্তবতা" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাজদার হোসেন মামলার বাদী ও বিচার বিভাগ সংস্কার
কমিটির অন্যতম সদস্য মাসদার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- President, The Universal
Legal Aid to Foregn Prisorers (ULAFP) এডভোকেট আব্দুর রহমান।
এ
সময় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিটির অন্যতম সদস্য মো: মাসদার হোসেন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি ও বেঞ্চ
সহকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও কুমিল্লা জজকোর্টের
ভারপ্রাপ্ত নাজির বিল্লাল হোসেন, সেরেস্তাদার সোলাইমান হোসেন ও সদর সহকারী জজ আদালতের
বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হাসান।
এ
সময় প্রধান আলোচকের কাছে দাবীসমূহ তুলে ধরেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন
কুমিল্লার নেতৃবৃন্দ।
দাবী
সমূহ:
১)
বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় করতঃ অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের
সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ
জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান করা।
২)
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের
নিয়োগ, বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার
ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করা।
মন্তব্য করুন
এবার প্রেমের টানে পাকিস্তানি যুবক
বাংলাদেশে। প্রথমে ফেসবুকে পরিচয়, এরপর প্রেম। অবশেষে খাগড়াছড়িতে এসে তরুণীর সঙ্গে
বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন পাকিস্তানি এক যুবক। তরুণীর নাম তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি (২১)।
তিনি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বৃষ্টি। আর মো. আলিম
উদ্দিন (২৮) পাকিস্তানের লাহোর সিটির বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি
করেন।
গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি আদালতে তাদের
বিয়ে হয়। রবিবার বেলছড়িতে নিজ গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জানান
বৃষ্টির বাবা আবুল হোসেন। ওই তরুণী তার স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন
স্বজনরা।
জানা গেছে, আট মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুকে আলিম উদ্দিনের সঙ্গে তাহমিনার পরিচয় হয়। পরে কথা বলার এক পর্যায়ে দুজনের
মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের টানে ১১ ডিসেম্বর আলিম উদ্দিন পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে
মাটিরাঙ্গার বেলছড়িতে আসেন। এরপর উভয়ের সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এখন
তাহমিনার বাড়িতে অবস্থান করছেন পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন।
বাবা আবুল হোসেন বলেন, তাহমিনা তার
স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ
চলছে। ততদিন পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থাকবেন। দোয়া করি তারা যেন সুখী হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, যেখানেই চাঁদাবাজি, সেখানেই আপনারা প্রতিরোধ করুন। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে একটা ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম করার জন্য, চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। আপনারা কোন ভাবেই চাঁদাবাজিকে সহ্য করবেন না। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সব সময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে।
আজ
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের জামতলী বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রফেসর ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মানুষ শান্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছে। গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সরকার যতই দিন যাচ্ছে ততই জনপ্রিয় হচ্ছে। আস্তে আস্তে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে, আস্তে আস্তে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের মনে ভয়ে কাঁপুনি ধরছে, আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মান মর্যাদা উঁচু থেকে উচ্চতর অবস্থানে পৌঁছাচ্ছে। এই রমজানে লোডশেডিং এর সমস্যা হয়নি। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, এনসিপি নেতা মাইন উদ্দিন, খন্দকার ওমর ফারুক, জালাল আহমেদ, আবুল কাশেম, আসাদুজ্জামান মিলন, কবির হোসেন, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার রাসেল সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমাই উপজেলা শাখার আহবায়ক নোমান হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মারুপ সিরাজী, কবি খান মোহাম্মদ রুবেল ও জুলাই আন্দোলনে পুলিশের ছোররা গুলিতে আহত মেহেদী হাসান শুভসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
এর আগে এনসিপি নেতা শিশির দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা, লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ও সেকেন্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল ফারুকের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি ইউএনও এবং ওসিকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, অবৈধভাবে মাটি বিক্রিসহ সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (৭ অক্টোবর) সকালে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন দয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ
তানজিল উরফে লাল মিয়া নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে
৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ তানজিল উরফে লাল মিয়া (৫২) কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার ষাইটধার গ্রামের মৃত ইয়াসিন
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিনি কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
মুখে আধা পাকা দাড়ি ও চুলের ধরনও প্রায় একই। মৃদু হাসিতে অপলক দৃষ্টিতে তাকানো ৬৫ উর্ধ্ব ব্যক্তিটির নাম খোকন চন্দ্র ঘোষ। খালি পায়ে বসে কাঁদের ভার মাটিতে রেখে বাঁশের তৈরি চরকী হাতে বিশেষ এক ধরনের নাড়ানি পরনে ঢিলেঢালা একটি শার্ট ও মাজায় গামছা পেচাঁনো লুঙ্গি পরিধান করে ডেসকিতে করে (মাঠা বহনের জন্য বিশেষ পাত্র) বিভিন্ন স্থানে গাওয়াল করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করছেন টক-মিষ্টি মাঠা। বলছিলাম, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার গ্রামের ঘোষ বাড়ির মৃত. স্ত্রী শীতল ঘোষের ছেলে খোকন চন্দ্র ঘোষের কথা। ছয় ভাই বোনের মধ্যে অভাবের তাড়নায় বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি খোকন চন্দ্র।
খোকন ১৬ কিংবা ১৭ বছর বয়স থেকে বাবার কাছ থেকে শেখা মাঠা; আবার কখনো জিলাপি বিক্রি করেন সে। প্রতিদিন মাঠা বিক্রির জন্য সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে বের হয়ে কখনো ফিরেন দুপুর ১টায় আগে আবার কখনো ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়। গরুর দুধ দিয়ে তৈরি হয় দই আর বিশেষ প্রক্রিয়ায় দই থেকে তৈরি হয় মাঠা।
শিশু থেকে আরম্ভ করে সব বয়সী মানুষের প্রিয় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাদ্য হজমে সহায়তা করা এই মাঠা বিক্রিও হয় বেশ। প্রতিদিন ৬০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে ৪০০ টাকা আয় হয় খোকনের। কখনো কখনো তার বেশিও আয় হয় তবে তার বিক্রির উপর নির্ভর করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয় বলে জানান তিনি।
তবে বৃষ্টি বাদল হলেই আর বিক্রি হয় না মাঠা। গ্লাসের উচ্চতা বেঁধে পরিপূর্ণ এক গ্লাস মাঠা বিক্রি হয় ১০ থেকে ২০ টাকা করে। বেশি বিক্রি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার এবং জনসভায়। কেউ কেউ আবার পরিবারের জন্য বোতলে করে কিনে নিয়ে যান এই সুস্বাদু পানীয় খাবার।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি খোকন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, আগের মত শরীরটা আর দেয় না, যেদিন অসুস্থ থাকি সেদিন আর গাওয়াল করতে বের হতে পারি না। তিন সন্তানের জনক এই খোকন বলেন, এই পেশায় নতুন প্রজন্মের কেউ আসতে চায় না। এই ক্ষুদ্র পেশার সাথে জড়িত আমরা কোনরকম খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দাবি, সরকারি কোন আর্থিক সহযোগিতা পান না তিনি। সরকারের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর দিকে সরকার দৃষ্টি দিলে আর্থিকভাবে ভালো থাকতে পারবেন বলে অভিমত তার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা।
আজ (১১ জুন) সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটা চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে
কোতয়ালী মডেল থানাধীন টিক্কারচর ব্রীজ -টু-পালপাড়া গামী রোডের উত্তর পাশ হতে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইকবাল
হোসেন ওরফে শুক্কুর আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন রাজমঙ্গলপু এলাকার আবুল মিয়ার
ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন ওরফে শুক্কুর আলী (৪০)।
উক্ত ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল
থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলে জুয়া খেলা ও মাদক সেবনকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরের কিছু এলাকায় জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের অভিযোগ ছিল। যৌথবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন:
১. আজগর আলী (৫০), পিতা: মৃত আব্দুল মজিদ, গ্রাম: পাতুলিয়া, টাঙ্গাইল।
২. রক্ষিত (৫৫) বিশ্বজিৎ, পিতা: বিধুন ভূষণ লক্ষ্মী, গ্রাম: কালিবাড়ি, টাঙ্গাইল।
৩. মো: শাহ আলম খান মিঠু (৫৫), পিতা: আব্দুর সবুর খান (বীর বিক্রম), গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৪. জসিম উদ্দিন (৫৭), পিতা: মৃত কোবাদা আলি, গ্রাম: পাট দিঘলিয়া, টাঙ্গাইল।
৫. গোলাম মাওলা (৪৮), পিতা: আব্দুল কাদের, গ্রাম: খুদর জুগলি, ডাক: বাখিল, টাঙ্গাইল।
৬. শাহিন আহমেদ (৫০), পিতা: মৃত বদিল আহমেদ, গ্রাম: থানা পাড়া, টাঙ্গাইল।
৭. আবু জাফর খান (৪৪), পিতা: আমজাদ হোসেন, গ্রাম: থানা পাড়া, টাঙ্গাইল।
৮. মো: আব্দুর রশিদ (৫৫), পিতা: হাজি মোহাম্মদ ওমর আলী, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল সদর।
৯. মঈন খান (৬০), পিতা: মৃত খাদেম আলী, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১০. মোস্তফা কামাল (৫৮), পিতা: মৃত ইসমাইল, গ্রাম: করোটিয়া, টাঙ্গাইল।
১১. বিশ্বনাথ ঘোষ (৫৪), পিতা: মৃত মন্টু চন্দ্র ঘোষ, গ্রাম: সাকলিয়া, টাঙ্গাইল।
১২. একে এম মাসুদ (৫৫), পিতা: মিনহাজ, গ্রাম: সাকলিয়া, টাঙ্গাইল।
১৩. শিপন (৫৮), পিতা: মৃত শামসুল হক, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
১৪. শফিকুল ইসলাম (৬০), পিতা: মৃত শহীদুল্লাহ, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১৫. এস এম ফরিদ আমিন (৫৫), পিতা: মৃত নুরুল আমিন, গ্রাম: বেপারী পাড়া, টাঙ্গাইল।
১৬. কবির হোসেন (৫০), পিতা: মৃত জসীমউদ্দীন, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১৭. মোশারফ উদ্দিন (৫০), পিতা: মৃত রফিক উদ্দিন, গ্রাম: আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
১৮. হাবিল উদ্দিন (৪০), পিতা: মৃত আব্দুল হানিফ, গ্রাম: বরাট, ডাক: ঘারিন্দা, টাঙ্গাইল।
১৯. মহব্বত আলী (৫৫), পিতা: মৃত শওকত, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
২০. জাহিদ (৪৪), পিতা: মৃত মজিদ মসজিদ, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
২১. প্রিন্স খান (৬৫), পিতা: মনিরুজ্জামান, গ্রাম: থানাপাড়া, টাঙ্গাইল।
২২. সৈয়দ শামসুদ্দোহা (৪৫), পিতা: মৃত কামরুল, গ্রাম: থানাপাড়া, টাঙ্গাইল।
২৩. রফিকুল (৫৫), পিতা: আলিম, গ্রাম: আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
২৪. বিশ্বজিৎ (৪৫), পিতা: বিজু, গ্রাম: বানিয়াবাড়ি, টাঙ্গাইল।
২৫. সাদেকুর (৫০), পিতা: গোলাম রব্বানী, গ্রাম: পাড় দিঘলী, টাঙ্গাইল।
২৬. সেলিম (৪৫), পিতা: আব্দুর রশিদ, গ্রাম: কাজিপুর, টাঙ্গাইল।
২৭. হাসান আলী (৫০), পিতা: ফেরদৌস, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
২৮. রফিক (৪০), পিতা: মৃত জসিম, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
২৯. শাহ আলম (৫৫), পিতা: সবুর খান, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৩০. সিরাজুল (৪৫), পিতা: মৃত রফিক, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৩১. আশিকুর রহমান (৪৬), পিতা: রউফ, গ্রাম: বিশ্বাস বেতুকা, টাঙ্গাইল।
৩২. শফিক (৫২), পিতা: মৃত সেফাত আলী, গ্রাম: আদি টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল।
৩৩. আখতারুজ্জামান (৪৩), পিতা: মৃত গফুর, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
৩৪. আরমান (৪৩), পিতা: মৃত শওকত, গ্রাম: আশেকপুর, টাঙ্গাইল।
৩৫. শামসুল (৫৬), পিতা: মিরাজুল, গ্রাম: ছয়আনি পুকুরপাড়, টাঙ্গাইল।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী
মনজিল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, “গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।”
তিনি আরও বলেন, “আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।”
আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন