

রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো দুই সন্তানের জননী
তাসলিমা বেগম। পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে শ্বাসরুদ্ধ ও অতর্কিত হামলা
চালিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে স্বামী। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা হওয়ার
পর অবশেষে মূল হোতা পাল বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন সেলিমকে আটক করেছে চাঁদপুর
মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী হত্যা মামলার
আসামি স্বামী সেলিমকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা বাবুরহাট রয়েল তাইবা ট্রাবলস
গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজি প্রেমিক মায়া এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের জে.এম.
সেনগুপ্ত রোড সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া বাসায় পাল বাজারের
ব্যবসায়ী সেলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে আদালতে
সরোয়ার হোসেন সেলিম তার পরকীয়া প্রেমিকা সালমা মিয়াজি মায়াকে আসামি করে মামলাটি দায়ের
করেন।
অবশেষে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করতে
সক্ষম হয়।
মামলার বাদী ইদ্রিস মিয়া জানান, কচুয়া থানার প্রসন্নকাপ
এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন সেলিমের সাথে ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে
তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে শহরের মিতালী নামের একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক
করলে সেই মেয়ের পেটে অবৈধ সন্তান জন্ম হয়। সেই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হলে
২৭ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তীতে সেলিম রয়েল তাইবা গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার
সালমা মিয়াজি মায়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা প্রতিবাদ করলে ঘটনার
দিন রাতে সেলিম তার স্ত্রী সালমা বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। অবশেষে ঘটনাটি ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে ও মামলা না দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে আদালতে মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সেলিম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মায়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর
ইউনিয়নের পাঁচোড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন পাঁচোড়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহাজাহান।
নিহত দুই বোন হলো: হাফেজ ঘটক মিয়ার
মেয়ে উম্মে কুলছুম তামান্না (৯) ও খাদিজা আক্তার (৭)। নিহত উম্মে কুলছুম তামান্না পাঁচোড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ও নিহত খাদিজা আক্তার একই বিদ্যালয়ের
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার
(২২ মে) বিকেলে উপজেলার পাঁচোড়া দক্ষিণ কালেম পাড়া মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নামে
ওই দুই বোন। এক সময় তারা পানিতে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর
পুকুরে নেমে তাদের দুই বোনকে উদ্ধার করে। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃত্যুতে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন,
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবুল হাসানাত খন্দকার জানান, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। পরিবারের
পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া বটতলা এলাকায় মাস ব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার কচুয়া পৌরসভার আয়োজনে এ মেলায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আহসান হাবিব জুয়েল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তুষ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি মানিক ভৌমিক, কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম রাজু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মুদাফরগঞ্জ এলাকা হতে ২০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ দুপুরে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মুদাফরগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার নানরা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাগর ইসলাম (২৬), মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার কাটাখালী গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে ফয়সাল আহমেদ এবং কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার গাসিয়াল গ্রামের আব্দুল লতিফ এর ছেলে মোঃ সবুজ (২৫)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


শনিবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের হোটেল সবুজ বিপনির আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পালবাড়ি এলকার আলাউদ্দিনের পুত্র সারোয়ার খান (২৫), নগরীর বন্দর বাজার পুরান লেনের জয়নাল আবেদীনের পুত্র ইয়ামিন (২৫), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া (৩৫), একই উপজেলার চিকার কান্দি এলাকার মৃত লিম্বর আলীর পুত্র ও হোটেল স্টাফ রইচ আলী (২৮), জামালগঞ্জ উপজেলার মশালঘাট এলাকার বদরুল আলমের পুত্র ও হোটেল স্টাফ মোঃ রুমেল আহমদ (২৮), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধরা এলাকার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার জান্নাত (২৫), বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার সিয়ার এলাকার মৃত. আমজাদ হোসেনের মেয়ে মোছাঃ মেঘনা আক্তার (২৬), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্ব ছিলাপাড়া শেরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (২৬), রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানার তাজহাট এলাকার মোঃ নাজির হোসেনের মেয়ে মোছাঃ নাজমা বেগম (২৮)।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মাঘের শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গায়। বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে, মঙ্গলবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আরো কমতে পারে তাপমাত্রা।
কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সকাল ৯টার দিকে কোনো রকম সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই তাপ। ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে বহুগুন। হাড় কাঁপানো এই শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা আবার কমে আসবে। ওদিন রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গায় গত দুইদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এর উল্টো চিত্র বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে। আগের নিয়মেই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই নেই।
জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, উপ-পরিচালক ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাপমাত্রা কম থাকলে বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকবে জেলার ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, গত দুইদিন জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় এমনিতেই স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম।
মন্তব্য করুন


শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান,মহাসড়কে চলন্ত গাড়িতে রড ছুঁড়ে ডাকাতি করতে ওত পেতে থাকা আন্তজেলা ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার করার বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার তীরচর এলাকা থেকে আন্তজেলা ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা বাকি ১০ ডাকাত পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও ডিবি) নাজমুল হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তারকৃত আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার হযরত আলী , একই গ্রামের মো. হাসান , চান্দিনা উপজেলার বাগমারা গ্রামের রুহুল আমিন , একই উপজেলার পরচঙ্গা গ্রামের মো. কাউছার ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পূর্ব পোমকাড়া গ্রামের মো. জহির। বিভিন্ন অপরাধে জহিরের বিরুদ্ধে ১৩টি, হযরত আলীর বিরুদ্ধে আটটি ও কাউছারের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে।
ডাকাতি করার কৌশল নিয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মহাসড়কে লোহার রড নিয়ে ওত পেতে থাকে। তারা দুটি গ্রুপে থাকে। এক দল চলন্ত গাড়িতে রড ছুড়ে মারে। গাড়িটি থামলে অন্য গ্রুপ যাত্রীদের আতংকিত করে ডাকাতি করে ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবীদ্বারে ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস ও বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আওয়াল খাঁনের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কাশারীখোলা মাদ্রাসা মাঠে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এমএ আউয়াল খানের সভাপতিত্বে ওই শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাক খান সফরি, একরামুল হক বিপ্লব, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আহসান উদ্দিন খান শিপন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি টিপু মোল্লা।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলা মানবিক ও সমাজসেবামূলক সংগঠন “দুর্বার বাংলাদেশ” এবার তাদের বিশেষ কর্মসূচি “প্রজেক্ট স্বাবলম্বী”-এর আওতায় এক অসচ্ছল ব্যক্তিকে রিকশা প্রদান করেছে। সমাজে স্বাবলম্বী মানুষ তৈরির লক্ষ্যে এই প্রকল্পের এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যা স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এই আয়োজনটি সম্প্রতি কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্বার বাংলাদেশের উপদেষ্টা সাদমান সারার, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম রিফাত, পরিচালক আকিব হাসান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলম মহিউদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক মইন নাসের খান রাফি, এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্য অহনা, মিলি, শতাব্দী, রাত্রি, মেহজাবীন, বিপুল, আবির ও ওমর সহ আরও অনেকে। সংগঠনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অসহায় মানুষদের স্বনির্ভর করে তোলা।
দুর্বার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম রিফাত বলেন, “আমরা চাই মানুষ শুধু সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে নিজে উপার্জনের সুযোগ পাক। প্রজেক্ট স্বাবলম্বী শুরু থেকেই সেই চিন্তা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আজ যে মানুষটিকে রিকশা দেওয়া হলো, তিনি এখন নিজে উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারবেন এটা আমাদের জন্য গর্বের।”
উপদেষ্টা সাদমান সারার বলেন, “দুর্বার বাংলাদেশ শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, মানুষের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতেই কাজ করে যাচ্ছে। প্রজেক্ট স্বাবলম্বী আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি। আজকের এই রিকশা প্রদানের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনে নতুন আশার আলো খুঁজে পেয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে একমত হন যে, সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে শুধু দান নয়, আত্মকর্মসংস্থান ও সুযোগ তৈরির মতো কার্যক্রমই বেশি কার্যকর। দুর্বার বাংলাদেশ ঠিক সেই জায়গাটিতেই কাজ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল ব্যক্তি নয়, একটি পরিবারের ভবিষ্যৎও বদলে দিতে পারে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “প্রজেক্ট স্বাবলম্বী” আগামীতে সেলাই মেশিন, ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি এবং অন্যান্য স্বনির্ভর উপকরণ প্রদান কর্মসূচিও চালু করতে যাচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে অসহায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইন নাসের খাঁন রাফি বলেন,“আমাদের লক্ষ্য সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। দুর্বার বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। আমরা শুধু সমস্যার কথা বলি না, তার সমাধানেও এগিয়ে যাই।”
সচেতন ও মানবিক সমাজ গঠনে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। দুর্বার বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
৪৮৭ পিস ভারতীয় শাড়ি জব্দ করেছে।
আজ
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শিবের বাজার
বিওপি এর বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ২১০২ থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সোনাপুর
এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য প্রস্তুত বিভিন্ন প্রকার
৪৮৭ পিস ভারতীয় শাড়ি আটক করা হয়।
আটককৃত
শাড়িগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


নিজ কৃষি খামারে কাজ করতে গিয়ে পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মো. সুমন (৩৫) কে সাপে কাটে।
খামারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওঝার কাছে সেই সাপে কাটা রোগী।
চমেকে রোগীতে যথারীতি ভর্তি করালেও মায়ের আকুতি মিনতি আর নানা হুমকিতে গ্রামের উদ্দেশ্যে আবারো হাসপাতাল ছাড়ে সাপে কাটা সুমন। জানা যায়, ওঝার কাছে চিকিৎসা করতেই মূলত রোগীকে চমেক ছাড়তে বাধ্য করেন তাঁর মা শাহিদা বেগম (৫০)। শাহিদার একমাত্র ছেলে মো. সুমন।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার খামারবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দপুরের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমনের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর হলেও সুমন বসবাস করতেন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। মেঘনা নদীর করাল ভাঙ্গনে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এখন বিলিন প্রায়। সব দিকে চর এলাকা।
ঘটনার দিন গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সুমন নতুন চর এলাকায় নিজ খামারে কাজ করছিলেন। খামারটিতে গরু লালন পালন ও ডাল চাষ করতেন। এলাকাটি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরপুর ছিল। রাতে সুমন জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ পায়ে কামড় দেয় বিষধর চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে গলা দিয়ে রক্ত পড়ে সুমনের। দ্রুতই আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে সাপে কাটা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ওঝার কাছে নিতে সিট কেটে দেন। এ ঘটনা শোনে চমেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগিরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। কেননা, চট্টগ্রাম বিভাগে সাপে কাটা রোগীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে চমেক হাসপাতাল। এখানেই দেওয়া হয় সাপে কাটা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা। রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম টিকা ও আইসিইউ ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাপে কাটা মো. সুমনকে চমেকে ভর্তি করেন তাঁর খালু মোহাম্মদ খলিল। ভর্তি করানোর পর ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন সুমনকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দিয়েছেন। কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। ফলে, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর ১২ ঘন্টা না যেতেই রোগীর সিট কেটে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিলেন খলিল।
পরে রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে মূলত ওঝার কাছে গেছেন। সাপে কাটা রোগী সুমনের মা শাহিদা বেগমকে নাকি পাশের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন ছেলেকে ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে। এই ধারণায় পেয়ে বসে শাহিদা বেগমকে। ছেলেকে যেকোন মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে পৌঁছাতেই চাপ দেন রোগীর এ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসা খালু মোহাম্মদ খলিলকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সুমন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে। সুমনের এক ছেলে, এক মেয়ে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সবাই অসুস্থ। সুমনকে সাপে কামড় দিয়েছে এ খবরে তাঁর স্ত্রী রিক্তা বেগমও পাগলপ্রায়।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসলাম রোগীর এ্যাটেনডেন্ট খলিলের বরাত দিয়ে বলেন, 'সুমনের মা সরাসরি খলিলকে হুমকি দিয়েছেন। সুমন মারা গেলে তাঁকে আসামি করে মামলা করবে। সুমনকে যেন তাড়াতাড়ি ওর মায়ের কাছে পৌঁছায় দেন। এ কথা শোনে মূলত খলিল সাপে কাটা রোগীকে চমেকে ভর্তি করলেও পরে কোন মতে রোগী নিয়ে পালিয়ে যান।'
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খবর নিচ্ছি। বর্তমান যুগে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে সেখানে এখনও ওঝার ঝাঁড় ফুক বিশ্বাস করা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।'
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, 'আমরা যতটুকু জেনেছি রোগীকে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপে কেটেছে। অলরেডি চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি রোগীকে হাসপাতালে রাখতে। কিন্তু রোগীর মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। রোগীকে নিয়ে গেলেন। বিষয়টি রোগীর এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কোন ওঝা যদি মাকে প্রলুব্ধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, 'সাপে কামড়ানোর পর যারা আগে ওঝার কাছে যান, তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার বেশি। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাপে কামড়ানোর পর ৬১ শতাংশ মানুষ যান ওঝার কাছে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ যান হাসপাতালে।সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত হাসপাতালের বিকল্প নেই।'
মানুষের শরীরের ওপর সাপের বিষের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি করা গবেষক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ফয়েজ জানান, 'সাপের দংশনের শিকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পথে অন্যতম অন্তরায় অপচিকিৎসা। কেননা, অধিকাংশ সময় রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে, যাওয়া হয় ওঝা বা বৈদ্যের কাছে। এতে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অপচিকিৎসা রোধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন