বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর)।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যদি আকাশ মেঘমুক্ত থাকে তাহলে বাংলাদেশ থেকেও এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণটি রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শুরু হয়ে পরদিন (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত চলবে।
মোট সাত ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে গ্রহণ। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২৭ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে।
চন্দ্রগ্রহণটি পূর্ণাঙ্গভাবে দেখা যাবে, এমন স্থান হলো—পূর্বে ইন্দোনেশিয়ার হিলা দ্বীপ থেকে শুরু করে পশ্চিমে কেনিয়ার মোম্বাসা বন্দর পর্যন্ত। এই দুই প্রান্তের কিছুটা পূর্ব-পশ্চিমেও আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে।
তবে উত্তর আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা থেকে এটি দেখা যাবে না।
উল্লেখ্য, আকাশপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ— সবার জন্য এটি এক অনন্য সুযোগ। শুধু সৌন্দর্য নয়, চাঁদের লাল রঙের মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করারও বিরল সুযোগ মিলবে।
মন্তব্য করুন
২০২৫-২৬
অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশের
ইতিহাসে ৫৪তম এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এই
প্রথম বাজেটটি দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি)’র ১২.৭ শতাংশের সমতুল্য।
অর্থ
উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বিকাল ৩টা থেকে বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে পূর্বে ধারণকৃত সম্প্রচারের মাধ্যমে
এটি প্রচারিত হয়।
মোট
বাজেটের মধ্যে পরিচালন ব্যয় ও অন্যান্য খাতে ৫,৬০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে
এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাবদ ২,৩০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী
মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ
সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার মহান মে দিবস ২০২৪
উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,আমি বাংলাদেশসহ
বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বের অন্যান্য
দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ
ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ২০৪১
সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে
শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ
শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত
করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি
ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং
শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ
২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল
এক অনন্য মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার
পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ
শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করা নিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন
বলেন, শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস
দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, টেকসই শিল্প
ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক
সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের
সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন
এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন
এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি মহান মে দিবস
২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
সোমবার ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, ভোট শেষে যেসব এলাকা থেকে ভোট গণনার তথ্য পেতে সমস্যা হবে সেগুলোতে ভেরিফাইড হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ভোট পড়ার হার দুই ঘণ্টা পরপর নির্বাচনি অ্যাপে জানাবে নির্বাচন কমিশন।
৭ জানুয়ারির ভোটের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, সেসময় মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে৷ ফলে চরাঞ্চল থেকে কুয়াশার কারণে ফলাফলের লিখিত তথ্যের কাগজ আসতে দেরি হতে পারে। এজন্য ফল সংগ্রহে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, তবে ভেরিফাইড হোয়াটসঅ্যাপে যেন তথ্য নিয়ে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা যায় সে চিন্তাভাবনা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির তৈরি স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে ভোটের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান সচিব।অ্যাপটির হালনাগাদ করার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ভোটকন্দ্রের তথ্য এখনই জানা যাচ্ছে, কার ভোটকেন্দ্র কোনটি এবং লোকেশন কোথায়।
নির্বাচনের দিন দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের গতিও কমবে না বলে জানান তিনি বলেন, আমাদের যতগুলো মোবাইল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আছে সবগুলোই ফুল স্পিডে চালু থাকবে।
তবে অ্যাপটিতে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাওয়া গেলেও পার্বত্য অঞ্চলগুলোর মত ২০ শতাংশ এলাকা নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় কেন্দ্রীভূত ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, কোনো কারণে ফলাফল পাঠাতে না পারলে ভোটের পারসেন্টেজে গরমিল হয়ে যেতে পারে। তবে সম্ভব হলে আমরা জানাব। আমরা সেখানে বিজিবি, পুলিশের ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করব।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, নির্বাচনি অ্যাপে প্রায় ৩৯০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল; বাছাইয়ে টিকেছে ২৬টি।
এ অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম, প্রার্থী, দল ও আসনভিত্তিক তথ্য যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি আইনবিধি, ভোট পড়ার হার, ফলসহ নানা ধরনের তথ্যও জেনে নিতে পারবেন নাগরিকরা।
এতে একজন ভোটার সহজেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন। আগের বছরগুলোর মতো কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন তা নিয়ে যেমন জটিলতায় পড়তে হবে না, তেমনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নম্বর খোঁজার বিড়ম্বনার মধ্যেও পড়বেন না।
মন্তব্য করুন
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা অনুদান পাবেন। তবে এ অনুদান পেতে আবেদন করতে হবে অনলাইনে ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের এ টাকা দেওয়া হবে। বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল–কলেজ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা এ টাকা পাবেন। অনুদানের টাকা বিতরণে নীতিমালা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা পেতে আবেদন করতে হবে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অনুদানের টাকা বিতরণে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে । ওই দিন থেকে অনলাইনে অনুদান পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের এ টাকা পেতে আবেদন করা যাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ–এর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ টাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ আরো জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি, এমপিওভুক্ত ও নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগগ্রস্ত, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সংগ্রহ, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য অনুদানের আবেদন করা যাবে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার লেখাপড়ার মান ভালো থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক–কর্মচারীরা দুরারোগ্য ব্যাধি বা দৈব দুর্ঘটনার জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
আজ মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে।
যা চলবে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে ২৪ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।আর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায়, শেষ হবে বেলা ১১টায়।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।বিষয়ভিত্তিক বিভাজন পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
জানা যায়, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি।
মন্তব্য করুন
দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও তীব্র শীত আর অনুভূত হচ্ছে না। তাপমাত্রা কিছুটা উঠানামার মধ্যে থাকলেও কনকনে ঠান্ডা আর অনুভূত হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস নেই।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তীত থাকতে পারে। (৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা আর থাকবে না; তবে শীত একদম বিদায়ও নিচ্ছে না। ফেব্রুয়ারিজুড়ে মৃদু শীত অনুভূত হবে।তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকলেও জোরালো না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অপর দিকে মংলা ও ভোলায় সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে শনিবার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এ ছাড়া রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরদিন সোমবারও (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
সিনপটিকে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, আগামী কয়েক দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) কুমিল্লার মুরাদনগরে নিজ জন্মভূমিতে সংবর্ধিত হবেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম এ নেতাকে বরণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার দুপুর ২টায় মুরাদনগর ডিআর সরকারি হাইস্কুল মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর যাবেন পৈত্রিক বাড়ি আকুবপুরে। অনুষ্ঠানে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। উপদেষ্টার আগমন ঘিরে উপজেলা জুড়ে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। তরুণ এ উপদেষ্টার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে উচ্ছ্বসিত ছাত্র সমন্বয়ক ও আয়োজকবৃন্দ।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, মধ্যাহ্ন ভোজের আগে উপদেষ্টা উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে একটি মতবিনিময় করবেন। এরপর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে শীত বস্ত্র বিতরণ কমসূচিও রয়েছে। মুরাদনগরবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন।
মন্তব্য করুন
পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে।
ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মাছের বাজারে রুপালি ইলিশের কদর থাকে বরাবরই তুঙ্গে।
এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যথারীতি বাজারে ইলিশের চাহিদা রয়েছে। তবে সে তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামেই ইলিশ মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
মাছ ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, অন্যান্য সময়ের চাইতে এখন ইলিশ ধরা পড়ছে কম। এজন্য বাজারে সরবরাহ কম, ফলে দাম বেশি। সাধারণত সরবরাহ বেশি হলেই দাম কম হয়। কিন্তু এবার পাইকারি বাজারেও ভিন্ন চিত্র।
বড় আকারের ইলিশের দেখা খুব একটা মিলছে না। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির নিচে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে জাটকা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি করছেন সাড়ে ৬ শ' থেকে ৭ শ' টাকায়। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দাম ১২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১৩৫০ থেকে দেড় হাজার টাকার মতো। ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৫৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ।
এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে এবার পহেলা বৈশাখের ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় অনেক মানুষ শহরে নেই ফলে অন্যান্যবারের পহেলা বৈশাখের মতো ইলিশ বেচাবিক্রির ধুম সেভাবে চোখে পড়ছে না।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা কম থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। ঈদে শাকসবজির দাম বাড়েনি। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সোনালি বা লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংসের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। সার্বিকভাবে বাজার স্বাভাবিকই আছে। তবে ঈদের ছুটির কারণে চাহিদা কম, ফলে সরবরাহও কম। একই প্রভাব পড়েছে ইলিশের বাজারে, যার ফলে বড় আকারের ইলিশেরও দেখা মিলছে না।
মন্তব্য করুন