প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘তাঁর বক্তৃতায় তিনি
বাংলাদেশে গত দুই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন এবং একটি গণমুখী, কল্যাণধর্মী
ও জনস্বার্থমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনরুল্লেখ করবেন
বলে আশা করা হচ্ছে।’
তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচার রোধ, অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মাত্র তিনদিন নিউইয়র্কে থাকবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার
উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার প্রধানদের মতো চার্টার ফ্লাইটে
নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এই যাতায়াত করবেন।
তৌহিদ বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের
প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তির বছর। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মাইলফলক উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ইউনূসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই নেতার সময়সূচি না মেলার কারণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে না। তবে হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউএনজিএ’র পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লী কীভাবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভাল ‘কাজের সম্পর্ক’ বজায় রাখতে পারে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি জোট নিরপেক্ষ
আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, ইসলামিক
কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর
(এলডিসি) বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাংলাদেশের
প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এবারের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য “কাউকে পেছনে ফেলে নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।”
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। পরিস্থিতি ভালো আছে।
তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সব জায়গা থেকে চাহিদা এসেছে সেখানে বেশি ফোর্স দিয়েছি। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন পরিবেশ ভালো। আশাকরি নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো।
তিনি বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়টা হলো আমাদের প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। জনবল রাখা হয়নি। এজন্য নিয়মিত কর্মকর্তাদের দিয়েই বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। আমাদের আর্থিক, জনবলের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। অচল হয়ে যাচ্ছে। ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো সচল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোই ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
সিটি ভোটে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না, সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের ক্ষেত্রে উত্তেজনা থাকেই। সব প্রার্থীই চায় নির্বাচনে জেতার জন্য। তবে এরকম কোনো ইয়ে নাই ওখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেবো।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশের
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন ।
বুধবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে
নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন
করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে
কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির
বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় ছিল।
আবেদন ফরম পূরণের পর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ প্রধান উপদেষ্টা ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের বিষয় গুলোতে আলোচনা করেন।
ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, ভ্যাটিকান সিটির আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিভাগের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ভ্যাটিকানের সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বতী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এদিকে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাসেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স পাঠায় সেজন্য
প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্বুদ্ধ করতে এনআরবি ওয়াল্ড নেতৃবৃন্দকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে অনাবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর একটি
প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ।
এসময় তিনি তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা
রেমিটেন্স যোদ্ধা - তাঁরা বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের
উদ্বুদ্ধ করতে পারে ।
এনআরবি ওয়ার্ল্ডের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড এর
প্রেসিডেন্ট মোহা. সাহিদুজ্জামান। সাক্ষাৎকালে এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধিদল তাদের
সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন
পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিংয়ে করার কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দেশের জন্য ভালো কিছু করার
দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য তারা
এনআরবি স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
এনআরবি ওয়ার্ল্ড একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশী
জনগণ এবং অনাবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে একটি বন্ধন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, এই সংগঠনটি পৃথিবীর
প্রায় ৫০টি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত।
অভিবাসী বাংলাদেশিদের মেধা, দক্ষতা ও বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা
রাখাই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে জানান,
বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘বিনিয়োগ বান্ধব’ পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দেশের সম্ভাবনাময়
খাতে নিজেদের বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এনআরবি
নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখছে। বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে
পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন তিনি।
অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিদেশে দেশের দূত (অ্যাম্বাসেডর) উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন
তাঁরা যাতে দেশে সঠিক স্বীকৃতি পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এসময়
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
আজ
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি
সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইর্মা ভ্যান
ডুরেন সৌজন্য সাক্ষৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনুস ডাচ রাষ্ট্রদূতকে
ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্ব ও ব্যবসায়ী সম্পম্প্রদায়সহ দেশটির
সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এ সময় ডাচ রাষ্ট্রদূত তাঁর দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, নেদারল্যান্ডস কৃষি, সামুদ্রিক সম্পদ, শিল্প, যুব, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, শ্রম, পরিবেশ এবং বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার
কর্মসূচির বাস্তবায়নে ড. ইউনূস নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতা চান।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থনীতি, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন ও ব্যবসায় পরিবেশ-প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়েও আলোচনায় উঠে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারের আশ্রয়
শিবিরগুলোতে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এমনভাবে দিতে হবে যেন
তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
ইর্মা ভ্যান ডুরেন উল্লেখ করেন- কৃষি, পানি ও
নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাতে আরও বেশি ডাচ বিনিয়োগ নিয়ে আসার
জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানাবেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ, ডাচ উপ-রাষ্ট্রদূত থিজ ওয়ুডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এ. চুলিক এবং অ্যান্ড্রু হেরাপের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত সে
দেশের একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার
(১৭ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই সমর্থনের কথা জানান।
এ সময় তারা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন প্রতিনিধি
দলটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা
বাংলাদেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন
এবং এ ইস্যুতে অগ্রগতির জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ
জানান।
মিয়ানমার সরকার ১
লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করাকে
একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এ. চুলিক বলেন, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসনীয় যে আপনি রোহিঙ্গা
সংকটকে আলাদাভাবে না দেখে মিয়ানমারকে একটি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা
আঞ্চলিক সহযোগিতা, সংযুক্ততা ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান
উপদেষ্টার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ
ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং পুরো দ্বিপাক্ষিক
ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি
পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পুনরায় চালু করায় এবং পাল্টা শুল্ক
আরোপের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের বিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ
জানান। তিনি বলেন, আমরা তার বাণিজ্য কর্মসূচিকে সমর্থন করার কাজ অব্যাহত রেখেছি।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা
উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র মিশনের প্রধান ট্রেসি অ্যান
জ্যাকবসন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন