মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে।
বুধবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামি জানু মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়।
লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান জানান, গত ২৮ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় ওই গ্রামের মৃত বন্দে আলী মিয়ার ছেলে জানু মিয়া (৭০) তার নাতনির খেলার সাথী ওই শিশু কন্যাকে একা পেয়ে ঘরে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশুটি তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
আজ (১৫ জানুয়ায়ী) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) আবু তাহের ভুইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ রহমানিয়া হোটেল এর সামনে চট্টগ্রাম—ঢাকাগামী মহাসড়ক এর উপর পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ জন ব্যক্তি তাদের হাতে থাকা ২টি চটের বস্তার নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার কে ২০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: শেরপুর জেলার শেরপুর থানার চকপাটর এলাকার মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু এবং একই থানার লছমনপুর এলাকার শ্রী প্রভাত চন্দ্র দে সরকার এর ছেলে শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু (৪০) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
১৬ কেজি গাঁজাসহ ডিএনসি-কুমিল্লার হাতে
আটক ০২ নারী।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক মো: মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে ১৪ ফেব্রুয়ারি
২০২৫ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় কুমিল্লা
টু ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট নামীয় বাসে তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ মোসা: রুনু
আক্তার(৩৭) ও আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি রুনু আক্তার (৩৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার মুরাদপুর মৃত চারু মিয়ার মেয়ে।
অপর আসামী আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কোতয়ালী থানার মৃত সুমন মিয়ার মেয়ে এবং রাব্বি
হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, অল্প
সময়ে অধিক উপার্জনের লোভে তারা বারবার মাদক বহনের কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মহিলাদের মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করছেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মো: মুরাদ
হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা
দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩১ কেজি ৫শত গ্রাম কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১১ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন শশীদল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ বিল্লাল ও মোঃ মেহেদী হাসান নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৩১ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ বিল্লাল (৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার রঘুরামপুর গ্রামের মোঃ জলিল এর ছেলে এবং ২। মোঃ মেহেদী হাসান (২০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার বায়েক গ্রামের মোঃ রশিদ আহম্মদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
খাদ্যে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ
ও রঙ ব্যবহার করায় বেকারিতে অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই
) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার যাত্রাপুর
এলাকায় " রসনা বিলাস বেকারিতে" ভোক্তা
অধিদপ্তরের অভিযানের সময় দেখা যায় মিষ্টি ও পারুটিতে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, অননুমোদিত রঙ,
মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কিট পুনরায় প্যাকেটজাত করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরীসহ
নানা অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটিকে ৬০,০০০ টাকা জরিমানা
করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা
দেয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদেন জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া।
উক্ত অভিযানে সহযোগিতা
করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আবুল
কালাম আজাদ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন দয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সোহাগ (২৬)
এবং ২। মোঃ হাসান (২৬) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ২৪৪ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সোহাগ (২৬)
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ মোসলেম মিয়া এর ছেলে এবং ২। মোঃ
হাসান (২৬) ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ ইয়াছিন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী
ও একজন আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গতকাল (২৮ জুন) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ছুপুয়া
এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। বাবলু মিয়া
(২৩), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-আইরল, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২। বিল্লাল হোসেন
(২২), পিতা-মাহবুল হক, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
মুন্না হোসেন (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, সাং- আলিপুর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা;
৪। মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট,
জেলা-কুমিল্লা; ৫। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-শফিবাদ, থানা-কচুয়া, জেলা-
চাঁদপুর; ৬। মোঃ ফয়সাল (২০), পিতা-আব্দুল বারেক, সাং-পানিপাড়া, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা
৭। ইমরান হোসেন বাবু (২৫), পিতা-মাহবুল হক, সাং-শহীদপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
৮। মোঃ সালমান হোসেন (১৯), পিতা-মৃত শহীদুল ইসলাম, সাং-মাঝিআলী, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা-যশোর;
৯। মোঃ শাহেদ হাসান (২০), পিতা-মৃত কবির হোসেন, সাং-পানিপাড়া; ১০। মোঃ হুমায়ুন হোসেন
(২০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
১১। মোঃ কাওসার (২২), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে
গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ১২। মোঃ জসিম উদ্দিন (১৬), পিতা-মোঃ
জাফর আলী, সাং-পশ্চিম নোয়াগাও, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৭০
গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, আসামীরা ও আইনের সহিত
সংঘাতে জড়িত শিশু দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয়
করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার
সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত
খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়
রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার
হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে
অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক করে।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম থানা কর্তৃক ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ০৭/০২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ)/মেহেদী হাসান, এসআই(নিঃ) ছাইদুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা চালানো হয়।
তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ১০নং বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা সাকিনে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী মহাসড়কের পাশে নানকরা রাস্তার মাথা হতে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বশর প্রকাশ বছির(৩৮), পিতা-মৃত আবু রশিদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-মাসকরা (চন্দ্রপুর), পোঃ মরকটা, ০৯নং কনকাপৈত ইউনিয়ন, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-০৭/০২/২০২৪, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১৯(গ)/৪১ রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ এই স্লোগান নিয়ে কুমিল্লায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। এই সপ্তাহ চলবে আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
সোমবার (১৮আগস্ট) জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে উদ্ভোদন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল মালিক।
অনুষ্ঠানটি জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক অশোক কুমার দাস সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুদীপ্তি পাল।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেন, মৎস্য সেক্টরের অবদান জিডিপিতে যুক্ত আছে। আমিষের চাহিদার ৬০ শতাংশ মাছ থেকে আসে। আমরা বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষে নজর দিচ্ছি। সমুদ্রেও মাছ চাষের অপার সম্ভাবনা আছে। মাছ উৎপাদনে কুমিল্লা জেলা সারাদেশে দ্বিতীয়। কুমিল্লায় চাহিদার দ্বিগুণ বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। গত এক বছরে দুই হাজার মৎস্যচাষীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিন হাজার মৎস্য চাষীকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার চান্দিনার যুগপুকুরিয়া এলাকার মো সহিদুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রামের বাহেরগড়া এলাকার পাটোয়ারী বহুমুখী এগ্রো ফিসারীজের স্বত্বাধিকারী বায়েজীদ হোসেন পাটোয়ারী, দাউদকান্দির সিংগুলা এলাকার রহমত ফিসারীজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রহমত আলী।
সম্মাননা পেয়েছেন বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার আগাতা ফিড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেমাংশু বিকাশ ভৌমিক ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মকিমপুর এলাকার আর কে ফিড এন্ড পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো রেহান উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
বন্যার পানি কমে এলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের কষ্ট।
গৃহহীন মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
এ মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্বাসনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
কুমিল্লায় স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিবেক যেটি হলো মানবতার তরে কাজ করা সামাজিক সংগঠন মানুষদের আশ্রয়স্থল পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১১সেপ্টেম্বর বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু এর নেতৃত্বে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের নমষোদ পাড়া ও ইন্দ্রবতি গ্রাম এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বালেশ্বর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের মাঝে গৃহ পূর্ণনির্মাণের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় ।
অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস নিয়ে বিবেকের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন