

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বড় চমক হয়ে এসেছেন কুমিল্লার জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে প্রার্থী ছিলেন দুইজন-আসিফ আকবর এবং মীর হেলাল উদ্দিন। আজ বুধবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, দুপুর ১২টার আগে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন মীর হেলাল। ফলে একক প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হচ্ছেন আসিফ আকবর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ৬ অক্টোবর। তার আগে আজ বুধবার (০১ অক্টোবর) ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে তামিম ইকবালসহ ১৬ পরিচালক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এদিকে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে বড় চমক ছিলেন তামিম ইকবাল। শুধু তামিমই নয়, আরও একাধিক প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন বিসিবি নির্বাচন থেকে। ক্যাটাগরি-২ থেকে তামিম ইকবাল ছাড়াও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন সাইদ ইবরাহিম, ইসরাফিল খসরু, রফিকুল ইসলাম বাবু, বোরহানুল পাপ্পু, মাসুদুজ্জামান, আসিফ রব্বানি, মির্জা ইয়াসির আব্বাস ও সাব্বির আহমেদ রুবেল। ক্যাটাগরি-১ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন মির হেলাল। আর ক্যাটাগরি-৩ থেকে সিরাজ উদ্দিন আলমগীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
প্রত্যাহার লিস্ট : তামিম ইকবাল (ওল্ডডিওএইচএস); রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা ক্রীড়াচক্র); মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান); সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স); মির হেলাল (চট্টগাম জেলা); সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি); ইসরাফিল খশরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স); সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ); তৌহিদ তারেক (পাবনা); অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর); সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (ক্যাটাগরি-৩); ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং); ফাহিম সিনহা (সুর্যতরিণ); সাইফুল ইসলাম সপু (গুপিবাগ ফ্রেন্ডস); ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। অবকাঠামো ও শিল্প থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে তাদের সেবা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা আমাদের আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি বৃহত্তর পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে আইডিইবি এই দক্ষ কর্মীবাহিনীকে লালন-পালন, কারিগরি শিক্ষার প্রচার এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে। গণপ্রকৌশল দিবস-২০২৫ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আইডিইবি প্রতিবছর ৮ নভেম্বর গণপ্রকৌশল দিবস পালন করে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘দক্ষ জনশক্তি-দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’।
প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, একটি জাতির প্রকৃত শক্তি কেবল তার প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেই নয়, বরং তার জনগণের জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার মধ্যেও নিহিত। অব্যাহত প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং উদ্ভাবনের চেতনার মাধ্যমে আইডিইবি’র সদস্যরা আমাদের জাতি গঠনের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকবেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অবদান রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান উপদেষ্টা ‘গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


তীব্র তাপদাহের মধ্যে আগামীকাল রবিবার
(২৮ এপ্রিল) খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
থাকবে।
শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে
কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট
পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১. আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলমান থাকবে।
২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ
প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত
চলমান থাকবে।
৪. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত
অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
৫. উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের
নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন
বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন
করবেন।
৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তাপদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার পূর্ব-পর্যন্ত
এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উল্লিখিত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ২৩ দিন পর নিহত সাব্বির হোসেন সবুজের মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার মিরপুর এলাকায় বরেন্দ্র সেচ পাইপের ভেতর থেকে সবুজের মাথা উদ্ধার করা হয়।
সাব্বির হোসেন সবুজ উপজেলার ৩ নম্বর কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত ইবনে সাউদ সরকারের ছেলে। ফুলবাড়ী থানা চত্বরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার “ মো. মারুফাত হুসাইন ” এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাব্বির হোসেন সবুজ ২৩ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। থানায় এ সংক্রান্ত একটি জিডি করে তার পরিবার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নিখোঁজ সাব্বির হোসেন সবুজকে খুঁজতে থাকে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মারুফাত হুসাইন বলেন, উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুর হামেদ ২০০৫ সাল থেকে সবুজদের বাড়িতে কাজ করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সবুজ তাদের জমিতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য আব্দুর হামেদকে ডেকে নিয়ে যান।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে কোদাল দিয়ে সবুজের মাথায় আঘাত করেন হামেদ। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান সবুজ। পরে মরদেহ পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রেখে বাড়ি থেকে একটি হাসুয়া এনে মরদেহটি ০৩ টুকরো করা হয়। পরে ০২ টুকরো ধান ক্ষেতে পুঁতে রেখে মাথাটি পাশে নলকূপের পাইপের ভেতরে রেখে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আব্দুর হামেদ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মাথা, ব্যবহৃত হাসুয়া ও কোদাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে হত্যার তদন্ত চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। টানা ৫ দিন তিনি সিসিইউতেই আছেন। তবে আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত রোববার রাত থেকে ৮-১০লিটার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আইসিইউর কিছু সাপোর্ট সিসিইউতেই সরবরাহ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের ১ জন সদস্য সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থার হালকা অবনতি হয়েছে। আইসিইউতে নেওয়া হয়নি। তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই আইসিইউ সাধারণ আইসিইউর মতো নয়। এখানে সব ধরনের সাপোর্ট রয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ড এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ম্যাডামকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন।
গত (২৭ নভেম্বর ) বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনফেকশনের (সংক্রমণ) শঙ্কায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়৷ উন্নত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কন্ডিশন ট্রাভেল করার মতো হলে সিদ্ধান্ত হবে। সোমবারও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ফলোআপ করা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডে নতুন করে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও যুক্ত হয়েছেন। যেখানে তিনি গত জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন আলোচনা করে নতুন করণীয় ঠিক করছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনস হপকিনস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের বৈঠকে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


তীব্র
তাপদাহকালীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা
সংক্রান্ত নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার
(১৯ মে) দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল এন্ড কলেজ এবং বেসরকারি নিম্ন
মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও স্কুল এন্ড কলেজের প্রধানদের কাছে এই
নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায়
বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক
পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তীব্র তাপ প্রবাহকালীন শ্রেণি কার্যক্রম চালু অবস্থায়
নিম্নে বর্ণিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো-
১।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখা।
২।
শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন শ্রেণি কক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা।
৩।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি
থাকে) সচল রাখা।
৪।
পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা।
৫।
শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা।
৬।
নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, যেন কোন শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক
জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়।
৭।
প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা।
৮।
শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা।
৯।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব
সূর্যের আলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর
চাটখিলে তাহাজ্জুদের নামাজরত অবস্থায় আকরাম হোসেন (১২) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী
মৃত্যুবরণ করেছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের
নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর
আগে ভোর রাতে উপজেলার বিষ্ণুরামপুর এলাকার নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নামাজের সময় এ
ঘটনা ঘটে। আকরাম লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ফারুক হোসেনের বড়
ছেলে।
জানা
যায়, ভোরে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাহাজ্জুদের নামাজে অংশ নেয় আকরাম।
সালাম ফেরানোর আগ মুহূর্তে হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে শুরু করে সে। পরে সহপাঠী
ও শিক্ষকরা তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মাদ্রাসার পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও আকরামের মামা মাওলানা বোরহান
উদ্দীনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আকরামের সহপাঠী আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা
এক সঙ্গে খেলাধুলা করতাম। তাকে হারানোর পর আমাদের মধ্যে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।
মাদ্রাসা
শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন, আকরাম খুবই ভালো শিক্ষার্থী
ছিল। কখনো তার নামে কোনো অভিযোগ পাওয়া যেত না। খুবই নম্র এবং ভদ্র ছিল।
আকরামের
মামা মাওলানা বোরহান উদ্দীন বলেন, আকরামকে বিকেল সাড়ে ৪টায় লক্ষীপুরের কমলনগরে তার
পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তাকে হারিয়ে তার বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।
মাদ্রাসার
মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন বলেন, আকরাম ১৫ পারা শেষ করে ১৬ পারায় ছিল। খুব শিগ্গির
তার হিফজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালাম। আল্লাহ
তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুক। তার পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফীক
দিক।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও রোগমুক্তি কামনায় কুমিল্লায় মানবিক ও ধর্মীয় আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কুমিল্লার বিভিন্ন এতিমখানায় পশু সদকা প্রদান করা হয়েছে এবং দোয়া, কুরআন খতম ও খাবার বিতরণ চলছে ধারাবাহিকভাবে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মসূচির ৭ম দিনের আয়োজন। কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে বিভিন্ন এতিমখানার প্রধানদের হাতে সদকার পশু—খাসি ও ছাগল—তুলে দেওয়া হয়। এ উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার বর্ষীয়ান বিএনপি নেতা ও সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক সভাপতি এসএ বারী সেলিম, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুটি, শহীদুল্লাহ রতন, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল কাইয়ূম, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুব চৌধুরী, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, মহানগর বিএনপি নেতা সাজ্জাদুল কবির সাজ্জাদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর ছাত্রদল নেতা রবিন খান। এছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন এতিমখানার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কুমিল্লার ১৬টি মাদ্রাসায় সদকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। সদকা প্রদান শেষে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ক্বারী মাওলানা ইব্রাহিম খলিল। তিনি দোয়ার মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
এছাড়া ধারাবাহিক এ দোয়ার ৭ম দিনেও নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয়ে দিনব্যাপী কুরআন খতম ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাদ্রাসার এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
নেত্রীর জন্য ধারাবাহিক আয়োজনে হাজী ইয়াছিনের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি শুধু ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি—বরং নিজে সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে এ আয়োজনগুলো বাস্তবায়ন করছেন। সাধারণ মানুষ, এতিম শিশু, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী—সবাইকে এ মানবিক উদ্যোগে যুক্ত করেছেন।
দোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী মানুষের ভালোবাসা ও প্রার্থনা বেগম খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছে। কুমিল্লায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ—সবাই তার সুস্থতা কামনা করছে।
এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আয়োজক পক্ষ থেকে জানানো হয়—আগামীতেও কুমিল্লার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সদকা বিতরণ অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা আয়োজন চলবে নিয়মিত।
ছবিঃ কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় বিভিন্ন এতিমখানায় পশু সদকা প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন


ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ রোববার (৩ আগস্ট) নৌবাহিনী সদর দপ্তরে ‘নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
নৌবাহিনী
সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন হতে কমডোর, কমান্ডার হতে
ক্যাপ্টেন ও লেঃ কমান্ডার হতে কমান্ডার এবং বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন হতে এয়ার
কমডোর, উইং কমান্ডার হতে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লীডার হতে উইং কমান্ডার পদবিতে
কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের
সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা নির্বাচন করবেন।
অনুষ্ঠানের
শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে
১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আন্তঃবাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাচনী
পর্ষদ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সেনা, সকল শ্রেণি-পেশার
মুক্তিকামী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে
আত্মত্যাগকারী সকল শহীদকে।
তিনি
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস, সংগ্রাম ও বীরত্বের কথা স্মরণসহ শান্তিকালীন
সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং জাতীয় প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ভূয়সী
প্রশংসা করেন।
তিনি
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও নানা সংকটে বিশেষত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র
জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের নিরাপত্তা সংকটে আপামর জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা
নিয়ন্ত্রণ, দেশ গঠনে উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে দেশের মানুষের ভালোবাসা ও
পরম নির্ভরতা অর্জন করায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা দেশের সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন,
ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র গভীর সমুদ্র বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর
অবদান এবং সার্বিকভাবে সুনিল অর্থনীতির বিকাশে প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার ব্যাপারে
নির্দেশনা প্রদান করেন। একইসাথে তিনি দেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশে চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড,
মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমআইডিএ) প্রতিষ্ঠা, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নসহ
দেশের সার্বিক উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের
ওপর আলোকপাত এবং এক্ষেত্রে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী কর্তৃক দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ
অবদানসহ দেশমাতৃকার সেবায় ও সুরক্ষায় বাহিনী দ্বয়ের ভূমিকা ও সর্বোপরি সশস্ত্র বাহিনীর
আধুনিকীকরণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী দেশের সংবিধান
সমুন্নত রেখে যে কোন রাষ্ট্রীয় সংকটে এবং দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় জনগণের পাশে
দাঁড়ানোর এই ধারা ভবিষতেও অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক, মেধাবী, দক্ষ, পেশাদার, সৎ,
মানবিক এবং নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন যোগ্য কর্মকর্তাদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পর্ষদকে
যথাযথ নির্দেশনা দেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি,
এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান,
বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি তাঁকে স্বাগত জানান।
নির্বাচনী
পর্ষদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা
ও দিকনির্দেশনা নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সকল সদস্যের কর্মস্পৃহা ও মনোবল বৃদ্ধি
করেছে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও,
প্রধান উপদেষ্টার মূল্যবান দিকনির্দেশনায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে নেতৃত্ব প্রদানে
দেশপ্রেম, পেশাগত দক্ষতা, মানবিক ও অধিনায়কত্বের গুণাবলির মাপকাঠিতে দক্ষ ও উপযুক্ত
কর্মকর্তা নির্বাচনের মাধ্যমে সুদক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন বাহিনী
প্রধানগণ ।
অনুষ্ঠানে
সংশ্লিষ্ট সামরিক ও বেসামরিক উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান
উপদেষ্টা নৌবাহিনী সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষরোপণ করে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী
ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন ।
মন্তব্য করুন


আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি আগামী জুন মাসের শেষের দিকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সূচি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল আগামী মার্চে প্রকাশ করা হবে। এরপর ফরম পূরণ শুরু হবে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার খসড়া রুটিন তৈরির বিষয়ে কাজ চলছে। খসড়া রুটিন তৈরির পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন