ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের
হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস টাইফুন ইয়াগি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হ্যানয়ের
বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েতনামে বসবাসরদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে
বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, শক্তিশালী টাইফুন
ইয়াগি ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং তার প্রভাবে আগামী ২ দিন উত্তর
ও মধ্য-ভিয়েতনামে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা সংঘঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে
সব-প্রকার দোকান-পাট বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় আপদকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয়
খাবার ও ওষুধ সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ না করে এই সময়ে
নিরাপদে যার যার বাসস্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আপডেটের জন্য স্থানীয়
সংবাদ মনিটর করুন। ভিয়েতনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে বিধায় ভিয়েতনাম ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিককে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ভ্রমণ
করার জন্য অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ দূতাবাস, আগামী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) যথারীতি
খোলা থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্বাভাবিক সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমতাবস্থায়
জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
দূতাবাসে যোগাযোগের নম্বর : +৮৪-৮৯৬৩২১৮৬৮ (দূতালয় প্রধান)
টাইফুন ইয়াগি কালীন জরুরি সাহায্যের
জন্য ভিয়েতনামের নিম্নের নম্বরে যোগাযোগ করুন-
১১২ (জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিলে)
১১৩ (পুলিশ সহায়তা)
১১৫ (এম্বুলেন্স সহায়তা)
মন্তব্য করুন
জোয়া আখতারের পরিচালনায় ‘আর্চিজ’-এর হাত ধরে ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করেছেন শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান। এবার পা রাখতে চলেছেন বড় পর্দায়। জানা গেছে, বাবা-মেয়েকে নাকি এক ছবিতেই দেখা যাবে। ছবির নাম ‘কিং’। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন পরিচালক সুজয় ঘোষ এবং সিদ্ধার্থ আনন্দ। মে মাসেই শুটিং ফ্লোরে যেতে পারে ‘কিং’।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই ছবি তৈরির পরিকল্পনা চলছে। দুই পরিচালক স্ক্রিপ্ট নিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলেন শাহরুখের কাছে। স্ক্রিপ্ট পড়ে শাহরুখ নিজের মতামত দেন। সেই অনুযায়ী স্ক্রিপ্টে নানা পরিবর্তনও আসে। এই সিনেমার একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে অ্যাকশন দৃশ্য। শাহরুখের সঙ্গে আলোচনা করেই নাকি সবকিছু ঠিক করা হয়েছে।
অ্যাকশন দৃশ্যের অনুশীলন হয়েছে শাহরুখের বাংলো ‘মান্নাত’-এ। সুহানাও বাবার সঙ্গেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বলিউডে দক্ষ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানেই এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালে ‘পাঠান’ এবং ‘জাওয়ান’-এ শাহরুখকে অ্যাকশন অবতারে দেখেছেন দর্শক।
তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ‘কিং’-এ একেবারেই অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে শাহরুখকে। আগের দু’টি সিনেমার সঙ্গে নাকি কোনও মিল থাকছে না এই ছবির। ‘রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট’-এর সঙ্গে এই ছবির যৌথ প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘মারফ্লিক্স
মন্তব্য করুন
১১ দিনের সরকারি সফরে আজ মঙ্গলবার
(১৫ অক্টোবর) ঢাকা ছেড়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান । এ সময় তিনি
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর করবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতর, যুক্তরাষ্ট্র
ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশ নেবেন ও পারস্পারিক
সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত
বিষয়ে আলোচনা, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত
কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইএসপিআর জানায়, সেনা প্রধান আগামী
২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
মন্তব্য করুন
ভেনেজুয়েলায়
একটি সোনার খনির ধসে অন্তত
২৩ জন নিহত হয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে একটি উন্মুক্ত সোনার
খনিতে এই দুর্ঘটনা ও
প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে বেআইনিভাবে পরিচালিত একটি সোনার খনিতে
মাটির দেয়াল ধসে পড়ার পর
অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় সেখানে বহু
মানুষ কাজ করছিলেন।
স্থানীয়
কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগা বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, দেশের বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত
খোলা গর্ত থেকে প্রায়
২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত
মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বেসামরিক
নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এই ঘটনার একটি
ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায়
নিহতের সংখ্যাকে ‘বিশাল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
যদিও তিনি নিহতের কোনও
সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ভিডিওটিতে
দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির
অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে
মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে
পড়ছে। কেউ কেউ ঘটনার
সময় সেথান থেকে পালাতে সক্ষম
হলেও অনেকে আবার তাতে চাপা
পড়েন।
কর্মকর্তাদের
মতে, প্রায় ২০০ জন লোক
সেসময় খনিতে কাজ করছিল বলে
ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে
এই খনিটি অবস্থিত সেখানে পৌঁছাতে হলে নিকটতম শহর
লা প্যারাগুয়া থেকে সাত ঘণ্টার
নৌকায় যেতে হয়।
বলিভার
প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি লা
প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা
দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের
৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
রেয়েস
বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক, দমকল
বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো
‘আকাশপথে ওই এলাকায় চলে
যাচ্ছে’। তিনি বলেন,
অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে
উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে।
আল
জাজিরা বলছে, বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ।
রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এই
অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু
উত্তোলনের বিকাশমান শিল্পও রয়েছে।
এর
আগে গত বছরের ডিসেম্বরে
একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে
কমপক্ষে ১২ জন নিহত
হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিট্রিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিট্রিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় ড. ইউনূস পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চান।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জানি যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বড়িঘর করেছেন। পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে ফেরত আনা যায় সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস।’
তিনি বলেন, সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশ পুর্নগঠনের কাজে লাগাতে চায়।
বুধবার বিট্রিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। আর এই দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে বাবা, ভাই,
বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ
কিছু উপহার দিতে পারেন। সেই মানুষটিকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ
তিনি।
পুরুষ দিবস পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি
দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে
ফেলেছিল রাশিয়া।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট
ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয়ের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে
শুরু হয় বিশ্ব পুরুষ দিবস পালন। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা
জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড
নেভি ডে’ পালন করা হতো। সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত
দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের
রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়।
এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান,
ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক,
নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৪ নভেম্বর) বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের তৈরি
খাতে আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়াসে শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করবে।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের
ফাঁকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র
সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের
সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার সময় অধ্যাপক ইউনূস তাকে বলেন, ‘শ্রম ইস্যুটি আমাদের
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম এবং আমরা সকল শ্রম সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
থেরেসা
মে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রম ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে মানব পাচার ও অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক
ইউনূস আইনি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি
ঝুঁকি ও অনিয়মিত অভিবাসন কমিয়ে দেবে এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ
করবে।
অধ্যাপক
ইউনূস থেরেসা মেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় বাংলাদেশী তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল
বিষয়ক বই আর্ট অফ ট্রায়াম্ফের একটি অনুলিপি উপহার দেন।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য
সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্ক এবং আজারবাইজানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আনামুল
হক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলে
মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক এক্স বার্তায় এমন মন্তব্য করে তিনি
বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের
জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার
ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার
লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব
ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায়
রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টালে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই উড়োজাহাজে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন
।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার পৌঁছেছেন
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন ড. ইউনূস। পরিদর্শন শেষে
উখিয়ায় ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব সেখানে রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার,
রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসাথে সন্ধ্যায় ঢাকায়
ফিরবেন।
মন্তব্য করুন
গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট গভীররাতে গোটা সিয়ারা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের ব্যবহার।
মানুষের
হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে
আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয়
পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক
সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।
শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থান গুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা।
হাজার
হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ
মাদক’ও বলা হয়।সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের
বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’।
এই
কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে
বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের
কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন
হাজার হাজার যুবক।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা
ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।
এই
মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের
হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে
তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য।
গভীর
রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী
সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক
এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’
জুলিয়াস
সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি
আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন
কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বর্তমানে
গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের
হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু
খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে
পা দিচ্ছেন অনেকেই।যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে
থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।
২০২০
সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
চিকিৎসকদের
মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে
সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত
অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই
জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে
জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন
হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে
দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থানগুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা
বাহিনী।
সিয়েরা
লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের
কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির
প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে
বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না
বলে দাবি করেছেন বায়ো।
গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য। শুধু তা-ই নয়, এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।
মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।
বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।
মন্তব্য করুন
বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এক দল রাজহাঁস। ব্রাজিলের সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা জেলের বাইরের চিত্র এটা।
রাজহাঁসের একটি দল সেখানে জেল পাহারা দেয় । রাজহাঁসরাই জেলের পাহারাদার। তাদের অতন্দ্র প্রহরায় জেল থেকে মাছি গলার উপায় নেই।ব্রাজিলের এই বিশেষ জেলটিতে কিন্তু এত দিন রাজহাঁস ছিল না।
অন্য প্রাণী পাহারাদার হিসেবে ছিল। সম্প্রতি সেগুলো সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে হাঁসগুলোকে। সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা জেল এত দিন এক দল প্রশিক্ষিত হিংস্র কুকুরকে জেলের বাইরের মাঠে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি কারা কর্তৃপক্ষ কুকুরের বদলে রাজহাঁসে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বেশি দেখেছে। বিভিন্ন সুবিধা বিবেচনা করেই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই রদবদল করেছে বলে দাবি তাদের। দক্ষিণ ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটারিনা প্রদেশে অবস্থান এই সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা কারাগার। জায়গা নির্জন। ওই নির্জন এলাকা হাঁসের পক্ষে উপযোগী বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের ওই জেলের কর্মচারীদের দাবি, কুকুরের চেয়ে রাজহাঁসের মধ্যে পাহারা দেওয়ার পারদর্শিতা, তৎপরতা অনেক বেশি।
জেলের ডিরেক্টর মার্কোস রবার্টো ডিসুজা জানিয়েছেন, তাদের জেলে ৩টি স্তরে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রয়েছে। কয়েদিরা যাতে জেল থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য চলে কড়া নজরদারি।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য অ্যানিমেল রিডার
মন্তব্য করুন
শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের গ্রুপ পর্বের খেলা । এরই মধ্যে ১৬ দল নক আউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। আজ সোমবার(২০নভেম্বর)থেকে শুরু হবে নক আউট পর্বের খেলা। প্রথম দিনে ২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন মাঠে গড়াবে ৪টি ম্যাচ। তৃতীয় দিনে বাকি দুইটি ম্যাচ দিয়ে শেষ দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা।
দ্বিতীয় রাউন্ডে ১ম দিনে মাঠে নামবে ব্রাজিল। তারা ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে । একই দিনে ইউরোপের দল স্পেন খেলবে এশিয়ার জাপানের বিপক্ষে। দুপুর আড়াইটায় ব্রাজিল-ইকুয়েডর ম্যাচ শুরু হবে ।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় স্পেন-জাপান ম্যাচ ।
দ্বিতীয় দিন মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। নক আউট পর্বে তারাও মুখোমুখি একই মহাদেশের দল ভেনেজুয়েলার সাথে। এদিন আরো তিন ম্যাচের একটিতে জার্মানির প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। অন্য ২ম্যাচে মরক্কো ইরানের ও মালি মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে। নিজ নিজ খেলায় জয় পেলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল মুখোমুখি হবে। অর্থাৎ আগেভাগে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের যে কোনো এক দলকে বিদায় নিতে হবে।
৩য় দিনে ইংল্যান্ড উজবেকিস্তানের এবং ফ্রান্স সেনেগালের বিপক্ষে খেলবে।
অনূর্ধ্ব-১৭ যুব বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল নাইজেরিয়া। এ দেশটি সর্বাধিক ৫বার শিরোপা জয় করেছে। এরপরেই রয়েছে ব্রাজিলের অবস্থান। পেলে-নেইমারের দেশ চারবার চ্যাম্পিয়ন এই টুর্নামেন্টে। ঘানা এবং মেক্সিকো দুইবার করে শিরোপা জয় করেছে। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স, সৌদি আরব, সোভিয়েত ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড।
শিরোপা জয়ীদের তালিকায় নেই আর্জেন্টিনার নাম। আর্জেন্টিনা ছোটদের এই টুর্নামেন্টে কখনো ফাইনালেও উঠতে পারেনি। দেশটির সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত। ৩বার তারা তৃতীয় হয়েছে, ২বার চতুর্থ। বর্তমানে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
মন্তব্য করুন