গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তাইওয়ানে। বুধবার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৫৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে অন্তত ৪ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর তিন দেশ- তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এক জরুরি বার্তায় তারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে সুনামি আঘাত হানতে পারে। তাইওয়ানে এর প্রভাব পড়তে পারে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। ২৫ বছর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত আনে। তাতে ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পে তাইওয়ানের একাধিক শহরের বেশকিছু ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের নিচেও চাপা পড়েছেন অনেকে। এছাড়া এই পাহাড়ি শহরটিতে ভূমিধ্বসের খবরও জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের পরনে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড “হার স্টোরি”র একটি জ্যাকেটে।
বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্যসের ফ্যাশন ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরে রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশ। গত ৪ মার্চ তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয় বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের একটি ছবি। সেখানে রাজপরিবারের এই সদস্যের পরনে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড “হার স্টোরি”র একটি জ্যাকেটে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্টে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছিলেন রানি মাথিল্ডে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দূত হিসেবে ওই এসেছিলেন তিনি। সেই সময় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিদর্শনের পর বাংলাদেশের পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময়ই পোশাকটি সংগ্রহ করেন তিনি।
জানা গেছে, রানি মাথিল্ডে গত ৩ মার্চ পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র আইভরিকোস্টের রাজধানী ইয়ামুসুক্রোতে রাষ্ট্রীয় সফরে পোশাকটি পরেছিলেন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত হিসেবে ওই রাষ্ট্রীয় সফরে অংশ নেন তিনি।
রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশের ওই পোস্টে অনেকেই রানির “ফ্যাশন সেন্সের” প্রশংসা করেছেন। প্রশংসিত হয়েছে রানির পরিহিত জ্যাকেটটিও। সিল্কে বিভিন্ন রঙের প্রিন্ট আর এমব্রয়ডারি করা জ্যাকেটটিতে রয়েছে রাজকীয় আবেদন। ধাতব সোনালি রঙের একরঙা কো-অর্ডস সেটের ওপর জ্যাকেটটি পরেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা
ভোগ করছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বন্যা বয়ে গেছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন,
সম্পদপাচার, ভুল তথ্য মোকাবেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের
প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতারা সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা
এসব কথা বলেন।
ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
বৈঠকে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের একটি
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করা ও অর্থনীতি
পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন গতিপথ নির্ধারণের জন্য
বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। তারা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, ভিকটিমদের জন্য অন্তর্বর্তী
ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার
নিরাপত্তা আইন, কিভাবে তাদের উন্নতি করা যায় এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
অ্যালেক্স সোরোস বলেন, আমরা এসব ক্ষেত্রে
আপনার প্রচেষ্টা সমর্থন করার উপায় খুঁজব।
প্রধান উপদেষ্টা ওপেন ফাউন্ডেশনকে তাদের
সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের
খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডাভোস সফরে গিয়ে
আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা হলো, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অনেকেই জানে না।
অনেক অপপ্রচার হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের
শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের
প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ‘বিধ্বস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে
এবং তিনি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে
সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফাউন্ডেশন। এই পদক্ষেপকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস স্বাগত জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বাড়িতে লজেন্স খাচ্ছিলেন মৌসুমী মুখোপাধ্যায়।
হঠাৎ সেটা তার গলায় আটকে যায়। দমবন্ধ হয়ে কথা বলার শক্তিও চলে যায় তার। মাকে ওই অবস্থায়
দেখে প্রাথমিক ভাবে ঘাবড়ে গেলেও অসুবিধা বুঝতে দেরি করেনি দুই মেয়ে।
গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে খেলার ছলে দুই
বোন শিখেছিলেন হাইমলিখ কৌশল। সেটাই যে এ ভাবে কাজে লেগে যাবে, কে জানত! আচমকা অসুস্থ
হয়ে পড়া মাকে সুস্থ করে তুললেন কলেজপড়ুয়া দুই বোন। শনিবার (১৩ জুলাই) বাঁকুড়ার সোনামুখী
ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের ঘটনা।
বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় এবং চতুর্থী মুখোপাধ্যায়
নামে দুই মেয়ের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তাদের মা মৌসুমী মুখোপাধ্যায়।
মায়ের উপর হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগ করেন
তারা। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালানোর পর মায়ের গলা থেকে লজেন্সের টুকরো বার করে আনতে
সমর্থ হন বৃষ্টি এবং চতুর্থী। কোনও চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই মাকে সুস্থ করে তুলতে পেরে
খুশি দুই বোন।
বৃষ্টি বলেন, মা আমাদের সঙ্গে বসে গল্প
করছিলেন। মুখে একটা লজেন্স ছিল। হঠাৎ কথা বন্ধ হয়ে যায় মায়ের। গলা থেকে অদ্ভুত একটা
শব্দ বার হতে থাকে। ধীরে ধীরে জিভ বার হয়ে আসছিল। বুঝতে পেরেছিলাম মা সাধারণ বিষম খাননি।
শ্বাসনালীতে লজেন্স আটকে শ্বাসরোধ হয়েছে। দ্রুত আমরা দুই বোন মায়ের উপর হাইমলিখ পদ্ধতি
প্রয়োগ করে লজেন্স বার করে আনি। মা আবার স্বাভাবিক হন।
চতুর্থী বলেন, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী
সমিতির রাধানগর শাখা বেশ কিছু দিন আগে আমাদের গ্রামে একটি অনুষ্ঠান করেছিল। সেই অনুষ্ঠানেই
আমরা হাইমলিখ কৌশল শিখেছিলাম। ওই কৌশল শেখা না থাকলে জানি না মায়ের কী হত! আগামিদিনে
যাতে এই কৌশল অন্যদেরও শেখাতে পারি, সেই চেষ্টা করব।”
মৌসুমী মুখোপাধ্যায় বলেন, দুই মেয়ে
এই কৌশল না জানলে হয়তো মারাই যেতাম গতকাল।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত বলেন, খাবার বা পানীয় আমাদের গলা দিয়ে পেটে
যাওয়ার সময় একটি মাংসপেশি আমাদের শ্বাসনালী আটকে দেয়। শ্বাস নেওয়ার সময় তা খোলা থাকে।
কিন্তু খাবার সময় কথা বললে বা মাংসের হাড় থেকে মজ্জা জোরে শুষে খাওয়ার সময় কিছু ক্ষেত্রে
খাবার শ্বাসনালীতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে দেয়। ফলে রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। কথা বলার
শক্তিও থাকে না তখন। অল্প সময়ের মধ্যে রোগী ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন।
এই সময় রোগীর শ্বাসনালী থেকে খাবার বার করে আনার জন্য হাতে সময় থাকে মাত্র ৪ মিনিট।
ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও থাকে না। এ ক্ষেত্রে আশপাশে থাকা লোকেদের সাহায্যে
বিশেষ কৌশলে ফুসফুসে চাপ দিয়ে খাবারের অংশ বার করে আনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী
কৌশল ‘হাইমলিখ’।
এই কৌশল ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে লক্ষাধিক রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টি
আমাদের অনুষ্ঠানে ‘হাইমলিখ’কৌশল
রপ্ত করে রাখায় তার মাকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন।
মন্তব্য করুন
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে গত মঙ্গলবার
একটি বাণিজ্যিক এলাকায় ট্রাম লাইন থেকে ছিটকে পার্শ্ববর্তী একটি ফোন ও কম্পিউটারের
দোকানে ঢুকে পরে। এ ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
তবে দোকানটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো
প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ট্রামের চালক ও আরো তিনজন সামান্য আহত হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রামটি লাইন থেকে ছিটকে
পার্শ্ববর্তী একটি অ্যাপলের শোরুমে বেশ জোরে ধাক্কা খায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত
পথচারীরা হতবাক হয়ে যায়।
সেখানকার পুলিশ অপারেশনের প্রধান অ্যান্ডার্স
রনিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এ দুর্ঘটনায় ট্রামের ভেতরে থাকা তিনজন ও বাইরে একজন
আহত হয়েছে। আহতদের কারো আঘাতই গুরুতর নয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ট্রামে কমপক্ষে
২০ জন যাত্রী থাকার কথা জানিয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবার উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই
কিছু যাত্রী দুর্ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানটিকে ফাঁকা করা হয়েছে।
উদ্ধারদলের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা
ভবনটির দেয়ালের স্থিতিশীলতা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ট্রামটি সেখান থেকে সরানো হবে
না।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক সংবাদপত্র
ভার্ডেনস গ্যাংকে বলেছেন, দৃশ্যটি ছিল অবিশ্বাস্য। আন্দ্রে নরহেইম বলেন, ‘যদি সবাই
এই দুর্ঘটনা থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসে, তার মানে কেউ আমাদের ওপর নজর রাখছে।
কারণ এটি একটি শক্তিশালী দুর্ঘটনার হালকা আভাস দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া নয়জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলিতে থাকা দূতাবাস জানায়, লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসনপ্রত্যাশী সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিউনিসিয়া উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পরে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে। জীবিত ফিরিয়ে আনে ৪৩ জনকে।
আর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর মারা যাওয়া নয়জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
দূতাবাস আরো জানায়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎপূর্বক তাদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দূতাবাসের একটি টিমকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিউনিসিয়া পাঠানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
পাশাপাশি দূতাবাস বলছে, আইওএমের তথ্যমতে বিভিন্ন দেশের উপকূল হতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন।
সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপযাত্রা অত্যন্ত বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।
ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইউরোপযাত্রা না করতে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সতর্ক করেছে দূতাবাস।
এছাড়া লিবিয়ায় কর্মরত-বসবাসরত প্রবাসীদের বর্ণিত বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদেরও সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে
মন্তব্য করুন
মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যে মাদক কারবারিরা
নিজেদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আর চলমান এ সংঘর্ষে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ১৯২
জন।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) সিনালোয়া
স্টেট পাবলিক সিকিউরিটি কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আনাদোলু
নিউজ এজেন্সি।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে,
সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ থেকে সংঘর্ষ চলছে, এতে প্রায় ২০০টি খুন এবং ২২৬টি নিখোঁজ ঘটনার
প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়াও সংঘর্ষে প্রায় ২০০ পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে,
১৮০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে গত
সপ্তাহে ৫৯০ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনালোয়ার
গভর্নর রুবেন রোচা ময়া।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল গার্ড, এয়ার
ফোর্স, নেভি এবং স্টেট পুলিশ একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যারা আমাদের সহিংসতা থামাতে
সাহায্য করছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনও বলতে পারছি না যে, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
এসেছে। আমরা আশা করছি তারা আমাদের সাহায্য করবে।
সম্প্রতি, সিনালোয়া কার্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কুখ্যাত
মাদক সম্রাট ইসমাইল ‘এল মায়ো’ জাম্বাদা গ্রেফতার হন। এর পর থেকে এ সংঘর্ষ বাধে, যা
এখনও চলমান। ৭০ বছর বয়সী জাম্বাদাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এল পাসো, টেক্সাসে হেফাজতে
নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্য চ্যাপিটোস নামক কার্টেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি এল চ্যাপোর
ছেলে এবং উত্তরাধিকারীরা দখল শুরু করে এবং আগুন জ্বালায়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। তীব্র গরমের কারণে অসহনীয় অবস্থায় জনজীবন । ছোট থেকে বড় সবাই এই তীব্র তাপদাহে কাহিল হয়ে পড়েছে।
তাপমাত্রার পারদ ৪০-এর নিচে নামছেই না,বরং পারদ চড়েই যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে ।
ভয়াবহ এই গরম আবহাওয়ার পরিস্থিতির খবর যারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তারাও রেহাই পাচ্ছেন না কিন্তু আবহাওয়ার ভয়াবহতা থেকে ।
তীব্র গরমের কারণে টিভিতে লাইভ সংবাদ পড়ার মাঝেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন কলকাতা দূরদর্শন টিভির একজন সংবাদ পাঠিকা। শনিবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
অসুস্থ হয়ে পড়া ওই সংবাদ পাঠিকার নাম লোপামুদ্রা সিনহা। নিজের ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এমনটি আর কখনো ঘটেনি তার। তাই ভক্তদের বিষয়টি জানাতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ লোপা।
গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। লোপার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণবঙ্গের দাবদাহের সংবাদ পড়ছেন।
তবে তিনি ঠিকমতো তা পড়তে পারছিলেন না। তার কথা লেগে লেগে আসছিল। একপর্যায়ে তিনি বেহুঁশ হয়ে পরেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসুস্থ হওয়া নিয়ে লোপা জানান, দূরদর্শনের নিউজ ফ্লোর সাধারণত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। তবে ওই দিন তা কাজ করছিল না। তাই ফ্লোর মারাত্মক গরম হয়ে পড়েছিল। আর একারণেই হঠাৎ এ পরিস্হিতি ।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ
অংশীদার বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
বিকেলে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সরকারি দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই
উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে উল্লেখযোগ্য অবদান
রেখে চলেছে এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা
করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ৫০ বছর
ধরে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের দৃঢ় অংশীদারত্ব এবং উন্নয়নে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে
ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জাতিসংঘে যোগদানের অর্ধশত বছর পূর্তিতে গুতেরেসকে বাংলাদেশ
সফরের সাদর আমন্ত্রণ জানান তিনি।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে মহাসচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা
করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের
প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের
বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনী তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ
করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
নিম্নআয়ের দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা
কামনা করলে গুতেরেস এ বিষয়ে বিশ্ব সংস্থার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, এজন্য বাংলাদেশকে
পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তিদান নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের
গাজায় সংঘাতসহ চলমান বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মহাসচিবকে তার নেতৃত্বের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাফায় সংঘাত এড়াতে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব যেভাবে
নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করেছে।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশ্বের
আলোকপাত বজায় রাখা, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ
রোহিঙ্গার মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময়
পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে জাতিসংঘের জোরদার ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘ মহাসচিব গত দশকে বাংলাদেশের
অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করলে ড. হাছান মহাসচিব গুতেরেসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ অনেক আগেই সামাজিক, অর্থনৈতিক,
মানবিক সূচকসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং গত কয়েক বছরে অনেক সূচকে ভারতকেও
ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়েও
ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ বৈঠকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সফরসঙ্গী ও মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বন্যাদুর্গতদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের চেক তুলেন দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
পাশাপাশি চীনা রেড ক্রসও বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় চীনা নেতা এবং জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনের কিছু সোলার প্যানেল কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আমি আশাবাদী যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ সফল হবে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধ হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের সম্পর্ক উচ্চ শিখরে রয়েছে এবং উভয় দেশ আগামী বছর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উদযাপন করবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বেইজিং ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীন সোলার প্যানেলের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, তবে রপ্তানি বাজারে ক্রমবর্ধমান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। তিনি উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বানও জানান।
ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা কবলিত অঞ্চলে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে চীনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
বৈঠকে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন।
প্রধান উপদেষ্টা চীনে তার স্মৃতি স্মরণ বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং অনেক তরুণ ত্রি-জিরো ক্লাব গঠন করেছে। এসব ক্লাবের সদস্যরা দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি দুই দেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসকে তার সুবিধাজনক সময়মতো চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণ পার করছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ এই চ্যলেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
মন্তব্য করুন