চোর ভেবেছিল সে দামি
কিছু চুরি করেছে। ভেবে ছিলো চুরি করা ফোনটা আইফোনই হবে। তবে কিছুদূর যেতে চোর বুঝতে
পারে সে ভুল করেছে। এটা আইফোন নয় বরং অ্যান্ড্রয়েড ফোন। আর সে ভুল ভাঙতেই ফোনটা
মালিকের কাছে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিয়েছে চোর।
ওয়াশিংটনের বাসিন্দা
ফোনের মালিক নিজেই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
ফোনের মালিক জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড়
করিয়ে কাছেই একটি কাজে গিয়েছিলেন। গাড়িতে ফোনটা ফেলে গিয়েছিলেন। তাড়াহুড়া থাকায়
গাড়ি লক করে যেতেও ভুলে যান। চাবিটি গাড়ির গায়েই ঝুলছিল।
ঠিক সেই সময়েই চোর এসে ফোনসহ গাড়িতে থাকা অন্য
জিনিসও নিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর গাড়ির মালিক ফিরে এসে দেখেন, ফোন চুরি হয়ে গেছে।
ফলে ফোন করে কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন সেটা
বুঝে উঠতে না পেরে হয়রান হয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক সে সময় চোর নিজে এসেই তাকে ফোনটি
ফিরিয়ে দিয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনি তাজ্জব বনে যান। কৌতূহল
মেটাতে চোরকেই সরাসরি প্রশ্নটি করেন। উত্তরে চোর জানায়, সে আইফোন ভেবে চুরি
করেছিল। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর ভাল করে দেখে সে বুঝতে পারে, এটি আইফোন নয়।
সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোন।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
ঘানার বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী আবু বকর তাহিরু ছোট থেকে বড় হয়েছেন কৃষক পরিবারে।
তাই প্রকৃতির প্রতি তার টান সেই ছেলেবেলা থেকে। পড়াশোনাও করছেন বনবিদ্যা বিভাগে।
আর এসময়ে এসে সেই গাছ নিয়েই গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। মাত্র এক ঘণ্টায় এক হাজারের
বেশি গাছের সঙ্গে কোলাকুলি করে তিনি গিনেস বুকে তাঁর নাম লিখেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউপিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবু বকর এক ঘণ্টায় এক হাজার
১২৩টি গাছের সঙ্গে কোলাকুলি করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের তুস্কেগি
ন্যাশনাল ফরেস্টে গাছের
সঙ্গে কোলাকুলি ,করে নতুন এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন
।
তবে বিষয়টি ততটা সহজ ও ছিলো না কারণ এই রেকর্ড গড়ার সময় আবু বকরকে বেশ কিছু শর্ত
মানতে হয়েছে। যেমন দুই হাত দিয়ে গাছকে জড়িয়ে ধরতে হবে। তবে এই সময় গাছের কোনো ক্ষতি
হতে পারবে না। কোনো গাছকে এক বারের বেশি জড়িয়ে ধরা যাবে না।
আরও মজার ব্যাপার হলো তিনি রোজা রেখেই এই কাণ্ড করেছেন। এর ফলে তাকে যেমন চ্যালেঞ্জের
মুখে পড়তে হয়েছে, তেমনি সুফলও পেয়েছেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে আবু বকর বলেছেন, পুরো প্রক্রিয়ায় একবারও পানি পান
না করতে পারাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের দিক থেকে।
তবে পরে এটি একটি সহায়ক উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ আমাকে পানি পানের জন্য
কোনো বিরতি দিতে হয়নি। ফলে একটানে শুরু থেকে শেষ করতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেছেন, তার সরকার
দেশে মানবাধিকার এবং
বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি
হোটেলে অর্ধ ডজনেরও
বেশি বিশ্বের শীর্ষ
মানবাধিকার সংস্থার সিনিয়র
কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে
এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার
প্রেস উইং জানায়,
এ সাক্ষাতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব
এবং গত ১৫ বছরের বেশি
সময় ধরে শেখ
হাসিনা সরকারের শাসন
আমলে চালানো নৃশংসতা
এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের
বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে
আলোচনা হয়।
এছাড়া তারা
নিরাপত্তা সেক্টর সংস্কার,
সাইবার নিরাপত্তা আইন
বাতিল এবং অধিকতর
তদন্ত, একনায়কতন্ত্রের সময়
বলপূর্বক গুমের শিকার
ব্যক্তিদের রাখা ডিটেনশন
কেন্দ্রগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার এবং
জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান
জানান।
বৈঠকে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব
দেন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান
রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি
কেনেডি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল
অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও এ বৈঠকে যোগ
দেন।
অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত
একটি শক্তিশালী বার্তা
পাঠানো যে একটি
নতুন বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, তার সরকার
পুলিশসহ প্রধান প্রধান
প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে কয়েকটি
কমিশন গঠন করেছে।
ড. ইউনূস
বলেন, তার সরকার
যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত
জানায় এবং অন্তর্বর্তী প্রশাসন
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত
রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন,
এ সরকার কোনো
সমালোচনায় বিরক্ত হয় না। বরং
আমরা সমালোচনার জন্য
আমন্ত্রণ জানাই।
অন্যদের মধ্যে
কথা বলেন, হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনের
সাবেক অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ
আশরাফুজ্জামান, হিউম্যান রাইটস
ওয়াচ এর সিনিয়র
গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার
প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর।
প্রতি বছর এই সময়টায় কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ঈদের ছুটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণে এসেছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের জন্য এবার নতুন বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা-রুপির বিনিময় মূল্য।
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সীমান্তে দীর্ঘ লাইন ছাড়াও ভিসা পেতে বিলম্বসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন পর্যটকরা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মানি এক্সচেঞ্জের সমস্যাও।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশি টাকার পরিবর্তে মার্কিন ডলার নিয়ে গেলেই লাভ হচ্ছে।
আগের চেয়ে কলকাতায় বেড়েছে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা। তবে সেই সঙ্গে বেড়েছে নানা কাজে আসা বাংলাদেশিদের মুদ্রা বিনিময়ে চরম প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও ।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার মার্কুইজ স্ট্রিটে ১০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিরা পাচ্ছেন ৬৮ অথবা ৬৯ রুপি। আবার একই দিন পেট্রাপোল সীমান্তে মুদ্রা বিনিময় করে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৭১ রুপিও।
শুধু তাই নয়, কলকাতার মানি এক্সচেঞ্জের দোকানগুলোতে সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় দামের বড় ধরনের ব্যবধানের অভিযোগও উঠেছে। কোথাও আবার মানি এক্সচেঞ্জ করা যাবে না বলেও জানানো হয়।
চিকিৎসা, কেনাকাটা, ঘুরতে এবং পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশি পর্যটককে ভারতে আসতে হয়। আর তাদের পুরো পরিকল্পনা সাজাতে হয় মুদ্রা বিনিয়মের হারের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে বসে এক পরিকল্পনা করে কলকাতায় পৌঁছে টাকার মানের জন্য বদলাতে হচ্ছে আগের পরিকল্পনা। এতে যেমন ভোগান্তিতে বাংলাদেশি পর্যটকরা, তেমন বিষয়টি নিয়ে বিব্রত কলকাতার মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ীরাও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরে এই সময়ে টাকার বিপরীতে বেসরকারিভাবে রুপি পাওয়া যেতো ৭৫ থেকে ৭৭ রুপি। তবে এ বছর রুপির বিপরীতে বেসরকারিভাবে টাকার মান কমেছে ৬ থেকে ৮ রুপি।
মন্তব্য করুন
ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে খাওয়া নিয়ে তর্কবিতর্ক হওয়া নতুন কিছু নয়। খাওয়া নিয়ে তাদের মাঝে টক ঝাল মিষ্টি সম্পর্ক যেন লেগেই থাকে। ক্রেতাকে সামলানো বিক্রেতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক সময়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বনিবনা না হলে উভয়ের মাঝে তর্কবিতর্কও হয়। তবে কিছু বিক্রেতা আছেন যারা অতিরিক্ত রাগের বশে ক্রেতাদের গায়ে হাত তুলেন।
কিন্তু তাই বলে অস্ত্র দিয়ে কোপানো?
এমন অদ্ভুত ঘটনাটা কিন্তু সত্যি ঘটেছে।
তবে ঘটনাটি আমাদের দেশে নয় এটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির শাহদারা এলাকায়।
আনন্দবাজারে প্রকাশিতে এক সংবাদে দেখা যায়, মোমো খেতে গিয়ে একটু বেশি চাটনি চাওয়ার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন এক যুবক। বেশি চাটনি বেশি চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছেন মোমো বিক্রেতা।
এ ঘটনার শিকার ওই যুবকের নাম সন্দীপ।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় মোমো খেতে গিয়েছিলেন একটি দোকানে। মোমো খাওয়ার সময় আরও একটু চাটনি চেয়েছিলেন মোমো বিক্রেতার কাছে। কিন্তু তিনি দিতে রাজি হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এরপর এ নিয়েই শুরু হয় কথা কাটাকাটি । পরে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও উত্তপ্ত । আর এর মধ্যেই আচমকা একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবককে আঘাত করেন মোমো বিক্রেতা। স্থানীয়রা পরে ওই মোমো বিক্রেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তবে আহত সে যুবক শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন
বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের আয়োজনে মাছ-মাংস না থাকার কারণে কনেপক্ষকে
মারধর করে বিয়ে বাতিল করেছে বরপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
খবরে বলা হয়েছে, অভিষেক শর্মা নামের বর আনন্দনগরের বাসিন্দা দীনেশ শর্মার মেয়ে
সুষমাকে বিয়ে করতে আসেন। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, এমনকি মালা বিনিময়ের অনুষ্ঠানও
সম্পন্ন হয়েছিল। বরপক্ষ যখন জানতে পারে যে খাবারের মেনুতে কোনো আমিষ খাবার
নেই, তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
বর
অভিষেক শর্মা, তার বাবা সুরেন্দ্র শর্মা ও অন্যান্য আত্মীয়রা কনেপক্ষকে অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করে এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে।
এই মারধরের ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, উভয়পক্ষ হাতাহাতি ও কিলঘুষি
করছে এবং চেয়ার ছুড়ে মারছে। এমন অপ্রীতিকর ঘটনার পর বর অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে
যান এবং বিয়ে বাতিল করা হয়।
কনের পরিবার বরপক্ষের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা ও যৌতুকের অভিযোগ দায়ের
করে। অভিযোগে বলা হয়, বরপক্ষকে প্রায় ৫ লাখ রুপি এবং সোনার আংটি যৌতুক হিসেবে
দেওয়া হয়েছিল।
কনের বাবা দীনেশ শর্মা পুলিশের কাছে জানান, যৌতুকের পাশাপাশি একটি
গাড়ি কেনার জন্য বরকে সাড়ে ৪ লাখ রুপি দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে যুদ্ধের জেরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রটি এবার বাতিল করা হয়েছে।
ওই কেন্দ্রে যাদের এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফাইল ইসলাম ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান সোমবার এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে বলেন, আমাদের একটি দল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করেছি। নতুন দুটি ভেন্যু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমোদন পাওয়ার পর বিকল্প ভেন্যু ঘোষণা করা হল।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়নামারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকায় বিকল্প ভেন্যু করা হল।স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় দুটিতে আসন বিন্যাস করবেন বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬১ জন। নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারণ ক্ষমতা ৪২৫ জন এবং ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে । এই যুদ্ধের মধ্যে গুলি ও মর্টার শেল এপাড়ে এসে পড়ছে। এরকম ঘটনায় অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েকজন। এদিকে বিদ্রোহীরা সীমান্ত চৌকি দখল করে নেওয়ায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সোয়া তিনশ সদস্য গত সপ্তাহে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢোকে। তাদের একটি অংশকে নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনে রাখা হয়।
এসব কারণে ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় আর এ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিদল কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে বিকল্প কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের মক্কা নগরে পবিত্র হজের
আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের হজে ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা
লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফা।
আজ হিজরি ১৪৪৫ সালের জিলহজ মাসের ৮
তারিখ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে
অবস্থান করতে হয় আরাফাতের ময়দানে। আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি
শেষে আরও দুদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচদিন
সময় লাগে। সূত্র: আলজাজিরা।
প্রথম দিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই
ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু
নিয়ম নীতি মানতে হয়।
ইহরাম পরার পর দলে দলে হাজিরা মিনায়
যান। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। ফজরের
নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের আরাফাতের ময়দানের
উদ্দেশ্যে।
আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে।
মিনা থেকে ৯ জিলহজ ভোর থেকেই হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের
ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে
মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে
জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন
নয় কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও
এশার নামাজ। এ রাতে মুজদালিফায় তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।
এসময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ
করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এরপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায়
প্রতীকী বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম
খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর)
করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুদিন দ্বিতীয়
ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস
সালামকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার সবচেয়ে প্রিয় কিছু আল্লাহর জন্য কোরবানি
করেন। হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সবচেয়ে প্রিয়। মিনার এ
স্থানে তিনি আল্লাহকে খুশি করতে যখন নিজের সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে নিয়ে যান, তখন সেখানে
উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।
ওই সময় ইব্রাহিম (আ.) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এ স্থানে প্রতীকি
শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন
সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ভেড়াকে এনে দেন।
মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজিরা মক্কায়
ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।
দেশে
ফেরার আগে বেশিরভাগ হাজি মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
(সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। তীব্র গরমের কারণে অসহনীয় অবস্থায় জনজীবন । ছোট থেকে বড় সবাই এই তীব্র তাপদাহে কাহিল হয়ে পড়েছে।
তাপমাত্রার পারদ ৪০-এর নিচে নামছেই না,বরং পারদ চড়েই যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে ।
ভয়াবহ এই গরম আবহাওয়ার পরিস্থিতির খবর যারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তারাও রেহাই পাচ্ছেন না কিন্তু আবহাওয়ার ভয়াবহতা থেকে ।
তীব্র গরমের কারণে টিভিতে লাইভ সংবাদ পড়ার মাঝেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন কলকাতা দূরদর্শন টিভির একজন সংবাদ পাঠিকা। শনিবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
অসুস্থ হয়ে পড়া ওই সংবাদ পাঠিকার নাম লোপামুদ্রা সিনহা। নিজের ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এমনটি আর কখনো ঘটেনি তার। তাই ভক্তদের বিষয়টি জানাতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ লোপা।
গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। লোপার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণবঙ্গের দাবদাহের সংবাদ পড়ছেন।
তবে তিনি ঠিকমতো তা পড়তে পারছিলেন না। তার কথা লেগে লেগে আসছিল। একপর্যায়ে তিনি বেহুঁশ হয়ে পরেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসুস্থ হওয়া নিয়ে লোপা জানান, দূরদর্শনের নিউজ ফ্লোর সাধারণত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। তবে ওই দিন তা কাজ করছিল না। তাই ফ্লোর মারাত্মক গরম হয়ে পড়েছিল। আর একারণেই হঠাৎ এ পরিস্হিতি ।
মন্তব্য করুন
রাতে রহস্যজনক স্ট্যাটাস আর সকালে অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে শাড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল ভারতীয় অভিনেত্রী অমৃতা পান্ডের মরদেহ।
অমৃতা পান্ডে ‘অন্নপূর্ণা’ নামে ইন্ডাস্ট্রিতে
পরিচিত ছিলেন। বিহারের ভাগলপুরের জোগসার থানা এলাকার আদমপুর জাহাজ ঘাটে অবস্থিত একটি
অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় অভিনেত্রীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। অভিনেত্রীর
মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ
উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে কী কারণে অমৃতা আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনো
জানা যায়নি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে,
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অমৃতা তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি
নোট শেয়ার করেছিলেন।
পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপে
অমৃতার নোটে লেখা ছিল, ‘কেন দুই নৌকায় ভাসছিল জীবন, নৌকা ডুবিয়ে জীবন সহজ করে দিয়েছি।’
রিপোর্ট বলছে, অমৃতা তাঁর স্বামীর সঙ্গে
মুম্বাইয়ে থাকতেন। কিন্তু তিনি সম্প্রতি ভাগলপুরে একটি বিয়ের জন্য তাঁর আত্মীয়দের
সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন অমৃতা এবং তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ
স্ট্যাটাসে সেই নোটটি পোস্ট করেন।
এর কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে তাঁর ঘরে মৃত
অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন