মালয়েশিয়ায় চলছে ৮ দিনব্যাপী ৬৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা। আর সে আয়োজনে বিশ্বের ৭১টি মুসলিম দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানী কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত কুরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
সংশ্লিষ্ট জানা যায়, ৬৪তম আন্তর্জাতিক আল-কুরআন তিলাওয়াত ও হেফজ বিভাগের প্রথম বিজয়ী পাবেন ৫২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের পুরস্কার। এছাড়া কুরআন তেলাওয়াত এবং হেফজ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেকে ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল পুরস্কার ছাড়াও সরকারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার রিঙ্গিত পাবে ।
উভয় বিভাগেই রানার্সআপ পাবে ৩০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ২০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক সোনার মেডেল এবং বিজয়ী সকলেই পুরস্কার, অংশগ্রহণের শংসাপত্র এবং স্যুভেনির পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মন্ত্রী (ধর্ম বিষয়ক) দাতুক মোহাম্মদ নাঈম মোখতার।
হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারী মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইতে অনষ্টিত কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে হাফেজা মাইমুনা।
হাফেজা মাইমুনার বাবা কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফ বলেন, ৭ অক্টোবর ছিল আমার মেয়ের অডিশন। আলহামদুলিল্লাহ সে ভাল করছে। আমি আশাবাদী মাইমুনা দেশের সম্মান বয়ে আনবে।আমি দেশবাসী এবং মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাছে দোয়া চাই মাইমুনার জন্য।
আন্তর্জাতিক এ কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ৭১টি দেশের ৯২ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। হিফজ বিভাগ ৩৯ জন ও তিলাওয়াত বিভাগে ৫৩ জন এই দুই ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে ।
আগামী ১২ অক্টোবর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন দেশটির রাজা ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং সুলতান ইব্রাহিম এবং রানী পেরমাইসুরি আগোং রাজা জারিথ সোফিয়াহ।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী
নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টায়
বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ
রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমবিষয়ক
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যা উৎসাহিত করি তা হলো শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি
নারীর অংশগ্রহণ।
শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭
জন শান্তিরক্ষী ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কাজ করছে।
জাতিসংঘ
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, নারীদের শান্তিরক্ষায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের
একটি নীতিমালা রয়েছে।
তিনি
বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।’ তিনি উল্লেখ করেন
যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগে সমর্থন দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ পাঠাতে
প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিপিআরএস)-এর র্যাপিড
ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত পাঁচটি ইউনিটের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশি নেতৃত্ব
বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারেও তারা বাংলাদেশকে সমর্থন
দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ
কঠোরভাবে মেনে চলে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও
সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়, যাতে মানবাধিকার প্রতিপালন আরও জোরদার হয়।
প্রধান
উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল
আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের
সম্মেলনে অংশ নেবে।
মিয়ানমারে
চলমান সংঘর্ষ, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং নাফ নদী সংলগ্ন
এলাকায় জীবিকা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি
সতর্ক করেন, এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও অবনতি হয়ে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি
করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই সফর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নতুন করে আশা জুগিয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ প্রধান উপদেষ্টা ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের বিষয় গুলোতে আলোচনা করেন।
ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, ভ্যাটিকান সিটির আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিভাগের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ভ্যাটিকানের সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বতী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এদিকে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাসেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
৮৫
বছর বয়সে চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানো
ক্যারিশম্যাটিক কোচ সেজার লুইস মেনোত্তি।
এক্স
হ্যান্ডেলে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়ে এএফএ লিখেছে, আর্জেন্টিনা
ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার
বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!
স্থানীয়
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে,
মেনোত্তিকে মার্চ মাসে গুরুতর রক্তাস্বল্পতা নিয়ে একটি
ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি এপ্রিল মাসে ফ্লেবিটিসের জন্য অস্ত্রোপচার
করেছিলেন এবং পরে দেশে ফিরে আসেন বলে জানা গেছে। আর্জেন্টিনার ফুটবলে তাকে সবচেয়ে
প্রভাবশালী কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মেনোত্তি
একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগী সদস্য হবার
পাশাপাশি বক্সিং অনুরাগী ছিলেন। তিনি রোজারিও সেন্ট্রাল (১৯৬০-৬৩ এবং ১৯৬৭) এর
একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তারপরে রেসিং
ক্লাব (১৯৬৪) এবং বোকা জুনিয়র্স (১৯৬৫-১৯৬৬)সহ একাধিক ক্লাবের হয়ে খেলেন।
মেনোত্তি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক জেনারেলদের হয়ে খেলেছেন (১৯৬৭), তারপরে ব্রাজিলের
সান্তোস (১৯৬৮) এবং ইতালির জুভেন্টাসের (১৯৬৯-১৯৭০) হয়েও তাকে খেলতে দেখা গেছে।
মেনোত্তি
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। বিশ্বকাপের
প্রাক্কালে, মেনোত্তি
১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছিলেন-যে সিদ্ধান্তের জন্য
উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি নয়। পরবর্তীতে মেনোত্তি ১৯৯১-৯২ সালে মেক্সিকো
জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তিনি বার্সেলোনাকেও নেতৃত্ব দেন, যেখানে তার
স্কোয়াডে ম্যারাডোনা ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, উরুগুয়ের পেনারোল,
ইতালির সাম্পডোরিয়া এবং মেক্সিকোর টেকোসে ছিল তার শেষ কোচিং জীবন। মেনোত্তি
সিগারেটে আসক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে তার তামাক আসক্তির কারণে তিন দিনের জন্য
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি এই অভ্যাস ছেড়ে দেন।
মেনোত্তি একজায়গায় রসিকতা করে বলেছিলেন, আমাকে না
হারানো পর্যন্ত আমি আমার চুল কাটব না। মেনোত্তির হাত ধরেই সহিংসতাপূর্ণ খেলার
কুখ্যাতি থেকে সরে এসে রোমান্টিক ধাঁচের ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জিতেছে
আর্জেন্টিনা।
মেনোত্তির
মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের
অধিনায়ক লিওনেল মেসি লিখেছেন,
আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং
প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।
মন্তব্য করুন
ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া নয়জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলিতে থাকা দূতাবাস জানায়, লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসনপ্রত্যাশী সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিউনিসিয়া উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পরে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে। জীবিত ফিরিয়ে আনে ৪৩ জনকে।
আর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর মারা যাওয়া নয়জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
দূতাবাস আরো জানায়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎপূর্বক তাদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দূতাবাসের একটি টিমকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিউনিসিয়া পাঠানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
পাশাপাশি দূতাবাস বলছে, আইওএমের তথ্যমতে বিভিন্ন দেশের উপকূল হতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন।
সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপযাত্রা অত্যন্ত বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।
ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইউরোপযাত্রা না করতে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সতর্ক করেছে দূতাবাস।
এছাড়া লিবিয়ায় কর্মরত-বসবাসরত প্রবাসীদের বর্ণিত বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদেরও সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে
মন্তব্য করুন
এ বছর পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন
৩৮ হাজার ৯৯০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
শুক্রবার (২৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজবিষয়ক প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য মতে, পবিত্র হজ পালন
করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৯৯০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। মোট ৯৮টি ফ্লাইটে তারা
সৌদিতে পৌঁছেন। সৌদি আরবে পৌঁছা হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭
ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার ২৪৩ জন। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৫৪৫টি ভিসা
ইস্যু করা হয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরব গিয়ে আরো একজন হজযাত্রী
মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মক্কায় মো. মুরতাজুর রহমান খান
নামে এ হজযাত্রী মারা যান। তাঁর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি
হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেলেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করবেন ৮৫ হাজার
১১৭ জন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইনট্যারক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সে সব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে
আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা যে ব্যাপক টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইইউ প্রতিনিধিদের বিশদভাবে জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপের ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ভিসা অফিস ঢাকা অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উপকৃত হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।
সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানান ইইউ প্রতিনিধিরা। বেশ কিছু পরামর্শ ও সুপারিশ তুলে ধরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
মন্তব্য করুন
প্রায় ২,০০০ বছর আগের একটি রোমান মূর্তি আবিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্যের একটি পার্কিং লট নির্মাণকারী শ্রমিকরা । খননকারী গ্রেগ ক্রালি গত বছর সংস্কারের কাজ করার সময় ইংল্যান্ডের পিটারবারোতে ষোড়শ শতকের কান্ট্রি এস্টেট বার্গলে হাউসে একজন রোমান নারীর মার্বেল মূর্তির মাথা খুঁজে পান। ২ সপ্তাহ পরে একটি আবক্ষ মূর্তিও ওই স্থানের কাছে পাওয়া গিয়েছিল। ধ্বংসাবশেষগুলিকে একজন সংরক্ষক পরিষ্কার করে পরীক্ষা করার উদ্দেশে নিয়ে যান। তিনি জানান ভাস্কর্যটির তারিখ প্রথম বা দ্বিতীয় শতাব্দীর।
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, একটি লোহার কীলক আবক্ষ মূর্তিটিকে পাদদেশের সাথে সংযুক্ত করেছিলো। ঐতিহাসিকভাবে ১৮ শতকের শেষের দিকে ইতালিতে ভ্রমণকারী অভিজাতদের কাছে বিভিন্ন পুরনো আইটেম বিক্রি করার সময় ইতালীয় ব্যবসায়ীরা এই কিলোকটি যুক্ত করেছিলেন ।
অনুমান করা হয়, ১৭৬০-এর দশকে নবম আর্লের ইতালিতে ২টি সফরের একটির সময় যখন তিনি অনেক পুরাকীর্তি কিনেছিলেন, তখন তিনি ভাস্কর্যটি বারঘলিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ব্রাউনলো সেসিল ১৭৫৪ সালে উত্তরাধিকারসূত্রে 'এক্সেটারের নবম আর্ল' শিরোনামটি পেয়েছিলেন।
এস্টেট অনুসারে তিনি একজন ভ্রমণকারী এবং চারুকলার সংগ্রাহক ছিলেন।এস্টেট অনিশ্চিত যে কীভাবে মাথা এবং আবক্ষ মূর্তিটি গাড়ি পার্কে মাটি দ্বারা সমাহিত হয়েছিল। বার্গলে হাউস মনে করে কেউ মূর্তিটি চুরি করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলো। খননকারী ক্রাওলির মতে, এই মূর্তিটি অনেক পুরানো। এই ধরণের প্রাচীন মূর্তি খুঁজে পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
এই মূর্তিটি তার ‘এখনও পর্যন্ত সেরা আবিষ্কার’ বলে অভিহিত করেছেন ক্রাওলি।
এখন মূর্তিটি বার্গলে হাউসে নবম আর্ল দ্বারা সংগৃহীত অন্যান্য মূর্তির পাশাপাশি প্রদর্শিত হবে। সূত্র : সিএনএন
মন্তব্য করুন
স্ত্রী জন্মদিনে দুবাই নিয়ে যাওয়ার আবদার করেছিলেন । ইচ্ছে ছিল সেখানেই স্বামীর সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদযাপন করবেন। তবে ইতিবাচক সাড়া দেননি স্বামী আর এতে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই নারী স্বামীকে ঘুষি দিলে তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের ওয়ানওয়াদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিখিল খান্না পেশায় একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ছিলেন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
ওয়ানওয়াদি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তে আরো উঠে আসে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিখিলের ৩৬ বছর বয়সী স্ত্রী রেনুকার জন্মদিন ছিল। তিনি এই দিনটি দুবাইতে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামী তাতে সম্মতি দেননি।এ ছাড়া গত ৫ নভেম্বর এই দম্পতির বিবাহবার্ষিকী ছিল। এই উপলক্ষে স্বামীর কাছ থেকে ভালো কিছু উপহারও আশা করেছিলেন। এক আত্মীয়ের জন্মদিন উপলক্ষে রেনুকা দিল্লি যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামীর কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি। আর এসব কারণেই তিনি আপসেট ছিলেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, এসব বিষয় নিয়ে শুক্রবার এই দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ক্ষোভের মধ্যে ওই নারী তার স্বামীর নাকে ঘুষি মারেন। এতে তার প্রচুর রক্ত ঝড়ে। ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখিলকে সসুন জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ
অংশীদার বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
বিকেলে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সরকারি দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই
উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে উল্লেখযোগ্য অবদান
রেখে চলেছে এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা
করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ৫০ বছর
ধরে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের দৃঢ় অংশীদারত্ব এবং উন্নয়নে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে
ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জাতিসংঘে যোগদানের অর্ধশত বছর পূর্তিতে গুতেরেসকে বাংলাদেশ
সফরের সাদর আমন্ত্রণ জানান তিনি।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে মহাসচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা
করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের
প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের
বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনী তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ
করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
নিম্নআয়ের দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা
কামনা করলে গুতেরেস এ বিষয়ে বিশ্ব সংস্থার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, এজন্য বাংলাদেশকে
পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তিদান নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের
গাজায় সংঘাতসহ চলমান বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মহাসচিবকে তার নেতৃত্বের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাফায় সংঘাত এড়াতে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব যেভাবে
নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করেছে।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশ্বের
আলোকপাত বজায় রাখা, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ
রোহিঙ্গার মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময়
পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে জাতিসংঘের জোরদার ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘ মহাসচিব গত দশকে বাংলাদেশের
অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করলে ড. হাছান মহাসচিব গুতেরেসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ অনেক আগেই সামাজিক, অর্থনৈতিক,
মানবিক সূচকসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং গত কয়েক বছরে অনেক সূচকে ভারতকেও
ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়েও
ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ বৈঠকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সফরসঙ্গী ও মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বৈঠক এর সময় ড. ইউনূস পাচার অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চান।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জানি যে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়িঘর করেছেন। পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে ফেরত আনা যায় সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস।’
তিনি আরো বলেন, সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনের কাজে লাগাতে চায়।
বুধবার ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন