ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় দুইজনের প্রাণহানি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রেলগেট না ফেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রেন চলাচলের সময় গেট না ফেলার কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি বরিশালের উজিরপুর এলাকার আবুল হাওলাদের ছেলে মো. মিজান (৩২)। অপরজন ট্রেনের অজ্ঞাত যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার সকালে এ ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. সাইফুল পলাতক আছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ই/৩২(১) নম্বর রেলগেটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গেইটম্যান দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন না।
তখন চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন অতিক্রম করার সময় গেট ব্যারিয়ার দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। ওই সময় বালুবাহী ট্রাক রেললাইন পার হতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেললাইনের ওপর পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মরদেহ সরিয়ে নেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বালুবাহী ট্রাক রেল ক্রসিং করার সময় ট্রাকের পেছনের অংশে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় ৫ জেলেকে আড়াই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান শেষে রাত ১০টায় চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
অর্থদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদীর লুৎফর রহমান, ইদ্রিস আলী ও কুদ্দুস আলী, মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদের মেহেদী হাসান ও লোকমান।
অভিযানে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ বিশেষ কম্বিং অপারেশন এই অভিযান পরিচালনা করে।
জব্দকৃত জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দ জাটকা গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম থানা কর্তৃক ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ০৭/০২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ)/মেহেদী হাসান, এসআই(নিঃ) ছাইদুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা চালানো হয়।
তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ১০নং বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা সাকিনে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী মহাসড়কের পাশে নানকরা রাস্তার মাথা হতে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বশর প্রকাশ বছির(৩৮), পিতা-মৃত আবু রশিদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-মাসকরা (চন্দ্রপুর), পোঃ মরকটা, ০৯নং কনকাপৈত ইউনিয়ন, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-০৭/০২/২০২৪, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১৯(গ)/৪১ রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো. মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের অধিবাসী কলা চাষী ও ব্রয়লার ব্যবসায়ী গনেশ সরকারের খামারে আকস্মিক জ¦ড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। গত রবিবার রাতে আকস্মিক এই ঝড় বৃষ্টির কারনে গনেশ সরকারের কলা বাগান ও ব্রয়লার খামারে সবকিছু ভেঙ্গে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। বর্তমানে গনেশ সরকার তার ব্যবসা পুনরায় দাড় করানোর জন্য ক্ষতিগ্রস্থ ঘর মেরামতের কাজ করছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী গনেশ সরকার বলেন, আমি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন খামারী ব্যবাসয়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসাটি পরিচালনা করে আসছি। বিগত রবিবার ঝড়ে আমার মুরগীর খামার, কলার বাগান, মাঠে ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এত ক্ষতির পরেও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা একবারের জন্যও আমার খামারে পরিদর্শন কিংবা পরামর্শ দিতে আসেননি। তার এসব ক্ষতি পোশাতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
কুমিল্লা:
প্রাকৃতিক
দুর্যোগের কারণে কুমিল্লা বোর্ডে গত ১০ জুলাই স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা
আগামী ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আজ
রোববার (২০ জুলাই) শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রুনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত
৯ জুলাই কুমিল্লা বোর্ডের অধিনে থাকা জেলাগুলোতে হঠাৎ করে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়।
ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে শুধুমাত্র ১০ জুলাইয়ের পরীক্ষা
স্থগিত করা হয়। ওই দিনের স্থগিত পরীক্ষাগুলো হলো পদার্য়বিজ্ঞান প্রথম পত্র, হিসাববিজ্ঞান
প্রথম পত্র ও যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্র।
কুমিল্লা
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রুনা নাসরিন বলেন, কুমিল্লা বোর্ডের অধীনস্থ জেলা
সমূহে বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
করা হয়। স্থগিত পরীক্ষাটি আগামী ১২ আগস্ট সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
মাইক্রোবাসের
চাপায় চার শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন।
রোববার
(২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কোরআন পড়া শেষে মসজিদ থেকে ফেরার সময় কুষ্টিয়া
জেলার খোকসার শিমুলিয়ায় কুঠিপাড়া এলাকার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা
ঘটেছে।
খোকসা
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, নিহতরা হলেন, কুষ্টিয়ার খোকসা
উপজেলার শিমুলিয়া কুঠিপাড়া গ্রামের হানিফের মেয়ে মিম (১২), একই গ্রামের পালন শেখের
মেয়ে তানজিলা (১১) ও হেলাল উদ্দিনের মেয়ে যুথি (১২)। বাকি একজনের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা
সম্ভব হয়নি।
এদিকে
এ ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
শিমুলিয়া
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুদস বলেন, রোববার সকালে ৭টার দিকে শিমুলিয়া
কুঠিপাড়া জামে মসজিদে কোরআন পড়া শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরছিল। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস তাদের চাপা দিয়ে পাশের পুকুরে উল্টে
পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে তিন মেয়ে শিশু মারা গেছে।
খোকসা
থানার ওসি আননুর যায়েদ জানান, মাইক্রোবাসের ধাক্কায় চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের
চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ
বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার
দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের
সদস্যরা নিহতসহ আহতদের উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের
আজমনগর গ্রামের রেজাউল হোসেনের ছেলে জিহাদ, কবির আনোয়ারের ছেলে বিজয়, ইলিয়াস হোসেনের
ছেলে শিশির, মাসুম হোসেনের ছেলে সিফাত ও ভাড়ইমারী গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে শাওন। আহতরা
হলেন- একই গ্রামের জেটুর ছেলে শাহেদ ও সুমন আলীর ছেলে নাঈম।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নিহতের
মধ্যে বিজয় হোসেন ঢাকার একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির প্রাইভেটকার চালাতেন।
ছুটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে গিয়ে সেই গাড়িতে আরও ছয় বন্ধুকে নিয়ে
ঘুরতে বের হয়। দাশুড়িয়া-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে পৌঁছালে প্রাইভেটকারটি
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে
মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা জিহাদ, বিজয় ও শিশির নামে তিন বন্ধু নিহত হন।
এ সময় আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার
করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাত
ও শাওনের মৃত্যু হয়। শাহেদ ও নাঈম নামে আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক
শামীম।
পাকশী হাইওয়ে থানার ওসি বেলাল হোসেন
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস
ও ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যদের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আহত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাদের মধ্যে আরও ২ জন মারা যায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় ছিনতাইকারি সন্দেহে সায়েম নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে । এ ঘটনায় রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় কয়েকজন ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে স্থানীয় যুবকরা পুলিশের গাড়ির উপর হামলা করে। পরে আরো সেনাবাহিনী ও পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ২১ আগষ্ট) বিকেলে বিসিক শিল্প নগরী এলাকার এস. আলম ষ্টীলের ব্যানারে জান্নাতুল ফুড প্রোডাক্ট মিলে গণপিটুনিতে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত সায়েম সদরের দিদার মার্কেট এলাকার ভাড়াটিয়া অটো রিক্সা চালক আমিনুল ইসলামের ছেলে। তাদের মূল বাড়ি রংপুর জেলায়।
ঘটনার পর ওই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ পলাতক রয়েছে। কোম্পানির ভিতর শনপাপড়ি তৈরি করে বাজারে বিপণন করা হতো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শন পাপড়ি খাবার জন্য ওই মিলে গেলে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, সায়েম ও সাকিব এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত।
মন্তব্য করুন
সবুজের মাঝে ফুটে আছে গোল গোল ফুল। কোনোটি হলুদ, কোনোটি বেগুনি রঙের। কাছে গেলে ভুল ভাঙে। কারণ এগুলো রঙিন ফুলকপি। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায়। এই জেলার ১৭টি উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ। চাহিদা বেশি ও স্বাদ ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
শিবপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাশের গ্রামের উৎসুক মানুষ রঙিন ফুলকপির জমির পাশে ভিড় করছেন। কেউ ফুলকপি কিনতে এসেছেন। কেউ জানতে এসেছেন কোথায় এর বীজ পাওয়া যায়। অনেকে ফুলকপি ধরে দেখছেন। হাত দিয়ে পরীক্ষা করছেন- রং আসল না কৃত্রিম!
শিবপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেছেন, দেড় যুগ ধরে সবজি চাষ করি। এ্ই প্রথমবার ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করেছে, ভালো ফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছে। ফলন দেখে এখন অনেকে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রতিটি ফুলকপি বড়গুলো ৭০-৮০ টাকা, ছোটগুলো ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, না হলে আরও ভালো ফলন পেতাম।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেছেন, শিবপুরে প্রথম রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। এ চাষ দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেছেন, আমরা কয়েকজন কৃষককে রঙিন ফুলকপির বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে শিবপুরের মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরজোকা এলাকার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকিরসহ মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগম কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল।
র্যাব জানান, চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেকারত্ব ও দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশে ভালো চাকরী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানব পাচার করে আসছিল। এই চক্রটি ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখ (৪৮) এর ছেলে জুবায়েদকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আসে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য জুবায়েদের হত দরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগার করে উপরোক্ত মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয় । এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে বলে তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ছয় লক্ষ টাকা দিলেও তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মানব পাচারের সাথে জড়িত চক্রটির মূলহোতা মিলন ফকিরসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সিপিএসসি কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। আজ (৫ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মিলন ফকির (৪২), মানব পাচার চক্রের সদস্য ২নং আসামী রিজাউল ফকির (৬৫), ৩নং আসামী তাসলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন চরজোকা এলাকার মোঃ রিজাউল ফকির এর ছেলে মিলন ফকির, মৃত আলিম উদ্দিন ফকির এর ছেলে রিজাউল ফকির, রিজাউল ফকির এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, ও গুলি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ গ্রেপ্তার করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম মোট ৩০টি মামলার আসামি বলে জানায় র্যাব।
তাছাড়া, র্যাব-১১-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা নজরদারি চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি, টাকা গণনার একটি মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন খুন হন। তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছিল।
র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের দলটি স্পিডবোডে করে গজারিয়া থানার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জামালপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছামাত্র প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫ টি হাইস্পিডি ট্রলারে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলা, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি চাঁদাবাজি, ৩টি মাদক, ও ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন