স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ১২০ ফুট উঁচু
মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসে থাকলেন স্বামী। আর সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
শনিবার ভারতের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি
গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের হাজার অনুরোধও
কাজে দেয়নি। রাগে ঠায় মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই বসে ছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবক। খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের দু’টি
ইঞ্জিন। কিন্তু তাও নামিয়ে আনা যায়নি যুবককে। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা
বাহিনীকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় ক্ষেতমজুর
সীমন্ত মাঝি মাঝেমধ্যেই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। স্ত্রী মিঠু মাঝি প্রতিবাদ করলেই
তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। শনিবার সীমন্তের সঙ্গে মিঠুর ঝগড়ার কারণ ছিল অন্য। মিঠু
জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে স্বামী বাড়ি ফেরার সময় মিঠু গ্রামে এক সাপুড়ের কাছে সাপ খেলা
দেখতে গিয়েছিলেন। সাপুড়ে তাকে বিভিন্ন দোষ কাটাতে কবচ-মাদুলি পরার নিদান দেন। কবচ-মাদুলির
প্রতি স্ত্রীর আগ্রহের কথা জানতে পেরে ঝগড়া শুরু করেন সীমন্ত। তিনি সাপুড়েকেও গালিগালাজ
করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, তা নিয়ে গ্রামের একাংশের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েও পড়েন সীমন্ত।
মিঠুর দাবি, এর পরেই সীমন্ত ছুটে গিয়ে
গ্রামের এক প্রান্তে থাকা ১২০ ফুট উঁচু একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা
সীমন্তকে বারবার নেমে আসতে বললেও তিনি ক্রমশ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে যান। শেষ অবধি টাওয়ারের
প্রায় ১২০ ফুট উচ্চতায় থাকা ল্যান্ডিংয়ে গিয়ে থামেন সীমন্ত। সীমন্তের এমন কাণ্ড দেখে
বিপদের আশঙ্কায় দমকলে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইন্দাস থানার পুলিশও।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দমকল ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমন্তকে
নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই ঘটনার
খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জড়ো হয় টাওয়ারটির
নীচে। ভিড় সামাল দিতে পুলিশকেও হিমসিম খেতে হয়।
সীমন্তের স্ত্রী মিঠু বলেন, আমার স্বামী
প্রায় দিনই মদ খেয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনও ভাবেই মদের
আসক্তি কমানো যায়নি। আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি।
মোবাইল টাওয়ার সংস্থার আধিকারিক পীযূষ
কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নীচের অংশ ব্যারিকেড করে ঘেরা রয়েছে। ব্যারিকেডের দরজাতেও
তালা লাগানো ছিল। কিন্তু ওই যুবক ব্যারিকেড টপকে ভিতরে ঢুকে এমন কাণ্ড করেছেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
চীন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক
ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের
মধ্যে এটি একটি।
আজ
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, আগামী ২৯ মার্চ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য
রাখবেন ড. ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি
দেওয়া হবে। চীনের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। চীনের
সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। চীন এরইমধ্যে জানিয়েছে,
তারা বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করবে। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, চীনের
চেইন হাসপাতালগুলো বাংলাদেশে এসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুক এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে
হাসপাতাল পরিচালনা করুক।
মন্তব্য করুন
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। তীব্র গরমের কারণে অসহনীয় অবস্থায় জনজীবন । ছোট থেকে বড় সবাই এই তীব্র তাপদাহে কাহিল হয়ে পড়েছে।
তাপমাত্রার পারদ ৪০-এর নিচে নামছেই না,বরং পারদ চড়েই যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে ।
ভয়াবহ এই গরম আবহাওয়ার পরিস্থিতির খবর যারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তারাও রেহাই পাচ্ছেন না কিন্তু আবহাওয়ার ভয়াবহতা থেকে ।
তীব্র গরমের কারণে টিভিতে লাইভ সংবাদ পড়ার মাঝেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন কলকাতা দূরদর্শন টিভির একজন সংবাদ পাঠিকা। শনিবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
অসুস্থ হয়ে পড়া ওই সংবাদ পাঠিকার নাম লোপামুদ্রা সিনহা। নিজের ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এমনটি আর কখনো ঘটেনি তার। তাই ভক্তদের বিষয়টি জানাতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ লোপা।
গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। লোপার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণবঙ্গের দাবদাহের সংবাদ পড়ছেন।
তবে তিনি ঠিকমতো তা পড়তে পারছিলেন না। তার কথা লেগে লেগে আসছিল। একপর্যায়ে তিনি বেহুঁশ হয়ে পরেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসুস্থ হওয়া নিয়ে লোপা জানান, দূরদর্শনের নিউজ ফ্লোর সাধারণত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। তবে ওই দিন তা কাজ করছিল না। তাই ফ্লোর মারাত্মক গরম হয়ে পড়েছিল। আর একারণেই হঠাৎ এ পরিস্হিতি ।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে যুদ্ধের জেরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রটি এবার বাতিল করা হয়েছে।
ওই কেন্দ্রে যাদের এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফাইল ইসলাম ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান সোমবার এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে বলেন, আমাদের একটি দল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করেছি। নতুন দুটি ভেন্যু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমোদন পাওয়ার পর বিকল্প ভেন্যু ঘোষণা করা হল।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়নামারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকায় বিকল্প ভেন্যু করা হল।স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় দুটিতে আসন বিন্যাস করবেন বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬১ জন। নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারণ ক্ষমতা ৪২৫ জন এবং ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে । এই যুদ্ধের মধ্যে গুলি ও মর্টার শেল এপাড়ে এসে পড়ছে। এরকম ঘটনায় অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েকজন। এদিকে বিদ্রোহীরা সীমান্ত চৌকি দখল করে নেওয়ায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সোয়া তিনশ সদস্য গত সপ্তাহে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢোকে। তাদের একটি অংশকে নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনে রাখা হয়।
এসব কারণে ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় আর এ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিদল কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে বিকল্প কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর।
প্রতি বছর এই সময়টায় কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ঈদের ছুটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণে এসেছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের জন্য এবার নতুন বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা-রুপির বিনিময় মূল্য।
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সীমান্তে দীর্ঘ লাইন ছাড়াও ভিসা পেতে বিলম্বসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন পর্যটকরা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মানি এক্সচেঞ্জের সমস্যাও।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশি টাকার পরিবর্তে মার্কিন ডলার নিয়ে গেলেই লাভ হচ্ছে।
আগের চেয়ে কলকাতায় বেড়েছে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা। তবে সেই সঙ্গে বেড়েছে নানা কাজে আসা বাংলাদেশিদের মুদ্রা বিনিময়ে চরম প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও ।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার মার্কুইজ স্ট্রিটে ১০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিরা পাচ্ছেন ৬৮ অথবা ৬৯ রুপি। আবার একই দিন পেট্রাপোল সীমান্তে মুদ্রা বিনিময় করে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৭১ রুপিও।
শুধু তাই নয়, কলকাতার মানি এক্সচেঞ্জের দোকানগুলোতে সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় দামের বড় ধরনের ব্যবধানের অভিযোগও উঠেছে। কোথাও আবার মানি এক্সচেঞ্জ করা যাবে না বলেও জানানো হয়।
চিকিৎসা, কেনাকাটা, ঘুরতে এবং পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশি পর্যটককে ভারতে আসতে হয়। আর তাদের পুরো পরিকল্পনা সাজাতে হয় মুদ্রা বিনিয়মের হারের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে বসে এক পরিকল্পনা করে কলকাতায় পৌঁছে টাকার মানের জন্য বদলাতে হচ্ছে আগের পরিকল্পনা। এতে যেমন ভোগান্তিতে বাংলাদেশি পর্যটকরা, তেমন বিষয়টি নিয়ে বিব্রত কলকাতার মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ীরাও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরে এই সময়ে টাকার বিপরীতে বেসরকারিভাবে রুপি পাওয়া যেতো ৭৫ থেকে ৭৭ রুপি। তবে এ বছর রুপির বিপরীতে বেসরকারিভাবে টাকার মান কমেছে ৬ থেকে ৮ রুপি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইর্মা ভ্যান
ডুরেন সৌজন্য সাক্ষৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনুস ডাচ রাষ্ট্রদূতকে
ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্ব ও ব্যবসায়ী সম্পম্প্রদায়সহ দেশটির
সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
এ সময় ডাচ রাষ্ট্রদূত তাঁর দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, নেদারল্যান্ডস কৃষি, সামুদ্রিক সম্পদ, শিল্প, যুব, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, শ্রম, পরিবেশ এবং বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার
কর্মসূচির বাস্তবায়নে ড. ইউনূস নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতা চান।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থনীতি, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন ও ব্যবসায় পরিবেশ-প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়েও আলোচনায় উঠে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারের আশ্রয়
শিবিরগুলোতে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এমনভাবে দিতে হবে যেন
তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
ইর্মা ভ্যান ডুরেন উল্লেখ করেন- কৃষি, পানি ও
নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাতে আরও বেশি ডাচ বিনিয়োগ নিয়ে আসার
জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানাবেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ, ডাচ উপ-রাষ্ট্রদূত থিজ ওয়ুডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট
লেডি জিল বাইডেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ১২টার পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এই শুভেচ্ছা
জানান তারা।
টুইটে বাইডেন লেখেন, বৈশাখী, নবরাত্রি, সংক্রান এবং এই সপ্তাহে আসন্ন নববর্ষ
উদযাপনে সারা বিশ্বে জড়ো হওয়া সবাইকে জিল ও আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের
আনন্দ কামনা করছি।
সবশেষে তিনি লেখেন, শুভ বাংলা, খেমার, লাও, মায়ানমারিজ, নেপালি, সিংহলি, তামিল,
থাই ও বিষু নববর্ষ।
মন্তব্য করুন
করোনাভাইরাস এর পর চীনে এবার নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে হিউম্যান মেটাপনিমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নামে একটি ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
চীনের স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিভিন্ন পোস্টে বলা হচ্ছে, নতুন এই (এইচএমপিভি) ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে হাসপাতাল এবং শ্মশানগুলোতে চাপ বাড়ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে। কিছু ব্যবহারকারী জানায়, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, এইচএমপিভি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়ছে।
এসব কারণে চীনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এইচএমপিভি ভাইরাসের লক্ষণগুলো করোনার মতো হতে পারে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে গত মঙ্গলবার
একটি বাণিজ্যিক এলাকায় ট্রাম লাইন থেকে ছিটকে পার্শ্ববর্তী একটি ফোন ও কম্পিউটারের
দোকানে ঢুকে পরে। এ ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
তবে দোকানটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো
প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ট্রামের চালক ও আরো তিনজন সামান্য আহত হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রামটি লাইন থেকে ছিটকে
পার্শ্ববর্তী একটি অ্যাপলের শোরুমে বেশ জোরে ধাক্কা খায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত
পথচারীরা হতবাক হয়ে যায়।
সেখানকার পুলিশ অপারেশনের প্রধান অ্যান্ডার্স
রনিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এ দুর্ঘটনায় ট্রামের ভেতরে থাকা তিনজন ও বাইরে একজন
আহত হয়েছে। আহতদের কারো আঘাতই গুরুতর নয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ট্রামে কমপক্ষে
২০ জন যাত্রী থাকার কথা জানিয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবার উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই
কিছু যাত্রী দুর্ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানটিকে ফাঁকা করা হয়েছে।
উদ্ধারদলের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা
ভবনটির দেয়ালের স্থিতিশীলতা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ট্রামটি সেখান থেকে সরানো হবে
না।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক সংবাদপত্র
ভার্ডেনস গ্যাংকে বলেছেন, দৃশ্যটি ছিল অবিশ্বাস্য। আন্দ্রে নরহেইম বলেন, ‘যদি সবাই
এই দুর্ঘটনা থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসে, তার মানে কেউ আমাদের ওপর নজর রাখছে।
কারণ এটি একটি শক্তিশালী দুর্ঘটনার হালকা আভাস দিয়েছে।
মন্তব্য করুন