প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে ।
ছয় দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহ চলবে ৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর মূল প্রতিপাদ্য-স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ।
বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ পৃথক বাণী দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল সাড়ে দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিগত ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” , ৬০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)” এবং ২১০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)” পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ৩ মার্চ ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।
পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ
পুলিশ বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে । ইতোমধ্যে বন্যার্তদের
উদ্ধার এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশের জরুরি নম্বরও চালু করা
হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর
জানান, বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানানো
হয়েছে। এছাড়া জেলাভিত্তিক উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো
হলো-
জেলা
পুলিশ, নোয়াখালী
+8801320111898
জেলা পুলিশ, লক্ষ্মীপুর
+8801320112898
জেলা
পুলিশ, ফেনী
+8801320113898
জেলা
পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
+880
1320-115898
জেলা
পুলিশ, কুমিল্লা
+880
1320-114898
জেলা
পুলিশ, চাঁদপুর
+880
13 2011 6898
জেলা
পুলিশ, রাঙ্গামাটি
+8801320109898
জেলা
পুলিশ, বান্দরবান
+8801320110898
জেলা
পুলিশ, খাগড়াছড়ি
+8801320110398
জেলা
পুলিশ, চট্টগ্রাম
+8801320108398
জেলা
পুলিশ, কক্সবাজার
+8801320109398
জেলা
পুলিশ, মৌলভীবাজার
+880
1320-120698
জেলা
পুলিশ, হবিগঞ্জ
+880
1320-119698
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
শুক্রবার(৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন-ময়মনসিংহের আনার কলি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে ফিলিস্তিনের
নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার বক্তব্য রাখায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূসের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে
এ প্রশংসা করেন তিনি। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি
বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘সময়োপযোগী এবং ফিলিস্তিন
ইস্যুতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্পটলাইট তৈরি করেছে।’
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে
শিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক এখন গাজায় রোগীদের সেবা করছেন।’ আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি
জনগণের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’ফিলিস্তিনের
জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেইক ল্যাঙ্গুয়েজ কাউন্ট ফর সাসটেউনেবল ডেভেলপমেন্ট’ যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষাসমূহের মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ড. ইউনূস আরো বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরো অনেকে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রফেসর
ইউনূস সবাইকে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানান। তিনি এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইনট্যারক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সে সব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে
আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা যে ব্যাপক টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইইউ প্রতিনিধিদের বিশদভাবে জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপের ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ভিসা অফিস ঢাকা অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উপকৃত হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।
সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানান ইইউ প্রতিনিধিরা। বেশ কিছু পরামর্শ ও সুপারিশ তুলে ধরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
রোববার
(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
এক আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের
বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের ভঙ্গুর নির্বাচনী পরিস্থিতির কারণে জনগণের মধ্যে
ভোটবিমুখতা তৈরি হয়েছিল, তবে এখন তারা আবারও ভোটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সানাউল্লাহ
আরও বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হতে হবে স্বচ্ছ, যাতে কেউ ভুয়া বা অস্বচ্ছ তালিকার অভিযোগ
তুলতে না পারে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নারী ভোটাররা
যাতে বাদ না পড়ে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন রাতের ভোট দেখতে চায়
না এবং কোনো পক্ষের কর্তৃত্বও মেনে নেবে না।
নির্বাচন
কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্বীকার করেন, অতীতের নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং
এর দায় এড়াতে পারে না নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ভুলের দায় শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
নয়, একজন সাধারণ কর্মচারী পর্যন্ত এ দায় বহন করে।
তিনি
আরও বলেন, কমিশন কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
অন্যদিকে,
ইসি সদস্য আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, কেবল মুখের কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে নির্বাচন
কমিশন নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবে।
ইসি
সদস্য তাহমিদা আহমদ বলেন, ভোট যেন আর আবদ্ধ কক্ষে না হয়, সেজন্য খোলা মাঠে ভোট আয়োজনের
কথা ভাবতে হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার
জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি কর্মকর্তাদের
নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি
পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ এবং শিল্প এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে
কাজ করার নির্দেশ দেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও
কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ
প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
কনফারেন্সের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও মতামত আগামীদিনে
সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে
কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক
হবে।’
ড. ইউনুস বলেন, সামনেই রমজান আসছে,
রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু দ্রব্যমূল্য
নয়, জিনিসপত্র আনা-নেওয়া আরও কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার
যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন
দেবে। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও
আলোচনা হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ
সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
মন্তব্য করুন
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’এর উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় এই স্বাক্ষর করেন তিনি। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে তারুণ্যের উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
তারুণ্যের উৎসব বিপিএল ২০২৫-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন কমিউনিটি এনগেজমেন্টের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট এবং কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বিভিন্ন ফ্যান জোনে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল থাকবে। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক রান্নার পরিচিতি ও স্থানীয় ব্যবসার প্রচার করা হবে, যা দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ফ্যান জোনগুলোতে দেশি শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের জন্য শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এটি অনেক শিল্পীকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে এবং একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্পের উদযাপন হবে।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানী সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজে (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে মন্তব্য করে জাতির কল্যাণে আগামী দিনেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দেশ–বিদেশের কয়েকশ’প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন সম্মেলনে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো অন্যায়, অবিচার মোকাবিলা করা যায়। শুধু তাই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমরা একশ’দিন জুলাই-আগস্ট মাসে দেখিয়েছি। তাই আগামী দিনেও সবাইকে দেশ-জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, কোনো অন্যায়, দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি, তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে, যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।
তিনি বলেন, মাত্র ১০০ দিন আগে একটি অনন্য রাজনৈতিক উত্থানের সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ বছর ধরে চলা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছে ছাত্ররা। আমি এ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অতিথিদের কাছে একটি সদ্য উদীয়মান দেশে স্বাগত জানাই। নতুন বাংলাদেশ বলে অভিহিত করছি।
জুলাই বিপ্লবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা সারা জীবনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখ এবং অনেক শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড নিজের চোখে দেখার জন্য রাজধানীতে ঘুরে ঘুরে দেখার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ঠিক ১০০ দিন আগে এ শহরে যা ঘটে গেছে তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে তরুণ প্রজন্ম কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এ ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ বিপ্লবের কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনো সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে।
মন্তব্য করুন