বিপ্লব চক্রবর্ত্তী:
প্রতিনিয়তই কেউ না কেউ চলার পথে কিংবা হঠাৎ করেই সবচেয়ে প্রিয় ও মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে দুঃচিন্তায় ভুগতে হচ্ছে দিনের পর দিন। দুঃচিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সকল হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল (২ ডিসেম্বর ) শনিবার কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম গত দুইবছর আগে অশোকতলার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্ত্তীর ছোট ছেলে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি জিডি মূলে উদ্ধার করে হস্তান্তর করেন।
দুই বছর পর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর দুচোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
সদ্য স্নাতক পাশকৃত ছাত্র গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী বলেন, হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ফেরত পেয়ে আমি প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। শিক্ষাবস্থায় টিউশনির টাকা জমিয়ে এই মোবাইলটি ক্রয় করেছিলাম। টিউশনি করিয়ে কান্দিরপাড় হয়ে বাসায় এসে দেখি আমার শখের ও কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে কিনা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমি সাথে সাথে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হারানো জিডি করে আসি।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করে এ এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে প্রতিদিনেই অনেক মোবাইল হারানোর জিডি আসে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান স্যার এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার কাছে আসা প্রতিটা জিডিই গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং প্রতিনিয়ত প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বরল
এলাকায় একটি কোল্ডস্টোরেজ থেকে অবৈধভাবে মজুত করা জব্দকৃত ৪ লাখ ২৭ হাজার পিস ডিম
নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের নিলামে বিক্রয়কৃত
ডিমের মূল্য ২৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমাই উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
তিনি জানান, জেলাপ্রশাসকের নির্দেশনায়
বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজে অবৈধ মজুদ আছে কি না জানতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ
হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে
অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান ডিমের মজুদ সন্ধান পান ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারজানা আক্তার তাৎক্ষনিকভাবে অবৈধভাবে মজুদকৃত ডিম
নিলামে বিক্রি করেন এবং অবৈধ মজুদারির দায়ে কোল্ডস্টোরেজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
কৃষি বিপনন আইন অনুযায়ী ডিমের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ থেকে
১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবেন। এখানে গিয়ে দেখা গেছে- মাসের পর মাস ধরে মজুদ করা হয়েছে। তার মানে এসব অবৈধ মজুদ। এর আগেও এই কোল্ডস্টোরেজ
থেকে ২১ লাখ ডিমের বিশাল অবৈধ মজুদ জব্দ করে বাজারজাত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রকাশ্য নিলামে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ প্রায়
৬ টাকা পিস দরে ৪ লাখ ২৭ হাজার পিস ডিম কিনে নেন লালমাই উপজেলার ব্যবসায়ি লোকমান হোসেন।
তিনি জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
প্রকাশ্য নিলামে ডিম বিক্রি করেন। আমি ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিমের টাকা জমা দিয়ে নিলাম থেকে
ডিম কিনেছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
এসময় দুটি হাতি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। আটক হওয়া দুজনকে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো: ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো: মাহিনুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের নিজ এলাকায়
ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ
নেই। তাই তাদের হাতি দুটি নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা
যায়, আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুটি হাতি ও দুই
মাহুতকে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আটক করে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে একুশে পরিবহনের একটি বাস উল্টে যায়। সায়েদাবাদ টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়। পরে বাসটি মেরামত করে বাস টার্মিনালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বাসটির চালক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, একুশে পরিবহন নামের বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে যায়।
একুশে পরিবহনের এক কর্মী জানিয়েছেন, বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না। দুপুর ২টার কিছু আগে বাসটি শনিরআখড়ার একটি গ্যারেজ থেকে মেরামত শেষে বাস টার্মিনালের দিকে নেয়া হচ্ছিল।
এরপর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার কাছাকাছি আসলে বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে উল্টে যায় বাসটি। এতে বাসচালকের হাতে প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার কারণে টোল প্লাজার চার লেনের একটি লেন বন্ধ হয়ে যায়। বাকি তিনটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে থাকে। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পরে বিকেল ৪টার দিকে রেকার দিয়ে বাসটি দুর্ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫৩ কেজি গাঁজা, ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং ১ বোতল মদসহ মো: ইসমাইল মিয়া (২৩) নামে এক মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
আজ
সোমবার (৫ মে) দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথপুর বিওপির ডিমাতলী এলাকা থেকে
আটক করেছে। আটককৃত ইসমাল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া এলাকার ডিমাতলী গ্রামের মৃত আব্দুর
রবের ছেলে।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি)
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত
এলাকা প্রহরার মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও
সফলতার সাথে পালনের পাশাপাশি পেশাদারিত্বের সাথে যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন
এবং চোরাচালানি ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন জগন্নাথদিঘী বিওপির বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক সীমান্ত শূন্য লাইন হতে আনুমানিক
৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডিমাতলী নামক স্থান হতে মো. ইসমাইল মিয়া (২৩)কে আটক করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫৩ কেজি গাঁজা, ৩৯৬ বোতল ফেন্সিডিল এবং ০১ বোতল মদসহ আটক করা হয়।
আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য-৩ লাখ ৪৫ হাজার৪’শ
টাকা। আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্যসহ চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে ঘটনাস্থলে সেনোয়ারা বেগম (৬২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা-রামচন্দ্রপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা উপজেলার পূর্বহাটি গ্রামের আঃ রশিদ মিয়ার স্ত্রী।
এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন (৩৫) গুরুতর আহত হন। আহত আলাউদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি পাঁচকিত্তা থেকে রামচন্দ্রপুর যাওয়ার পথে দিঘলদী গ্রামের শ্মশানের পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে পরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা অটোরিকশা চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় বৃদ্ধার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় অযত্ন ও অবহেলা পড়ে আছে রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী জমিদার বাড়ি। এক সময়ের খ্যাত জমিদার বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত ভূতুড়ে বাড়িতে পরিনত হয়েছে। বাড়িটির চারদিকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, জমে আছে শ্যাওলা। ভিতরে ময়লা আবর্জনায় জমে এখন জরাজীর্ণ অবস্থায়।
জানা যায়, বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য। তারই মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ কচুয়া উপজেলা। কচুয়া সদর থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত এ জমিদার বাড়িটি। উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামে প্রায় ২শ বছর আগে নির্মিত হয় এ জমিদার বাড়ি। জমিদার শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী ছিলেন এই বাড়ির নির্মাতা। দোল মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির সহ বিশাল এক দীঘি আছে জমিদার বাড়ির আঙ্গিনায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জমিজমা ও বিশাল সহায় সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান জমিদার শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী ও তার পরিবার। ওই সময়ের বাসিন্দাদের এমন কেউ ছিলো না যে তখনকার জমিদার রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র চৌধুরীকে চিনতেন না।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জমিদার বাড়ি এখন পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অথচ বাড়িটিকে ঘিরে রয়েছে পুরোনো ইতিহাস। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল দিঘি, মাঠ এবং কারুকার্য জমিদার বাড়ি। এই ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি অবহেলিত থাকলেও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আনাগোনা থাকে সব সময়। অথচ সংস্কারের মাধ্যমে এটা হতে পারে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। জমিদার বাড়ির শিলালিপি থেকে জানা গেছে, প্রায় ২শ বছর পূর্বে শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরীর হাত ধরে ইট, পাথর আর সুড়কির গাঁথুনিতে নির্মাণ করা হয় জমিদার বাড়িটি। বাড়ির মূল প্রবেশপথের পশ্চিম পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরটিতে রয়েছে সুন্দর একটি ঘাট। জমিদার বাড়িটি পুরানো হওয়ার কারণে বাড়ির চারদিকের পলেস্তরা খসে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিন মিয়া, মোস্তাক মিয়া, বিষ্ণপদ আচার্য্য ও আবুল কাসেম বলেন, আমাদের জন্মের পরে থেকেই এই জমিদার বাড়িটি দেখছি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে শুনেছি প্রজাকল্যাণ ও বিভিন্ন ধরনের জনহিতকর কাজে জমিদার পরিবারের সদস্যদের খ্যাতি ছিল। তবে আজ সেই জমিদার বাড়ির জমিদারি নেই, নেই কোনো উত্তরসূরিও। বর্তমানে প্রাসাদের অনেকাংশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ভবনগুলো শ্যাওলা পরে আছে।
এখানে এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ঘুরতে আসছে। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। স্থানটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারের ব্যবস্থা নিলে এটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। আর না হয় একসময় হারিয়ে যাবে পাথৈর গ্রামের এই জমিদার বাড়িটি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকার
ছাত্র-জনতার স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ রবিবার জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
আদেশ বাস্তবায়নে স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষদের নির্দেশনা দিয়ে আদেশে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আরো বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা
বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা
বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে ওই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি শিশু পাতিলের মধ্যে কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
পাতিলের ভেতর বন্যার পানিতে ভাসতে দেখে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করছেন নানা আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে। আবার অনেকেই বলছেন পরিবারের সব সদস্য মৃত।
তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কুমিল্লার খারাতাইয়া, বুড়িচং এলাকার। ছবিটি তুলেছেন নাজমুল হাসান তপন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং নিরাপদে আছেন।
এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) আরেকটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা গেছে, শিশুটি গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাঁজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজ থেকে শিশুর ভাইরাল হওয়া ছবিটিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরও করুণ। তবে, আমাদের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
পোস্টে
আরও বলা হয়, আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা
ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা
করেছেন। তা ছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত
এআই বলে ফলাফল দিয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম হতে MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের
ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
"মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাডীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর কবির,উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান, ফুলবাড়ী থানার এস আই আব্দুর রশিদ, পশ্চিম পানিমাছকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল হক,নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদা মিয়া, বাইতারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়শা বেগম,ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন