

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম রাতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে তাদের জালে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ভালো পরিমাণ মাছ পেয়ে ভোরেই ঘাটে ফিরেছেন অনেকে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ইলিশ ঘাটগুলোতে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বুড়িরচর সূর্যমুখী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটজুড়ে চলছে ব্যাপক বেচাকেনা। শ্রমিকরা টুকরি ভর্তি ইলিশ মাথায় নিয়ে দৌড়াচ্ছেন নৌকা থেকে বাজারে। পাইকার ও ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখরিত পুরো এলাকা। কেউ দরদাম করছেন, কেউ ট্রলারে মাছ তুলছেন।
সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি “আলাউদ্দিন” বলেন, ভোর থেকেই মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলেরা মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সাগর থেকে ভালো মানের ইলিশ ধরে এনেছেন। বহুদিন পর এমন জমজমাট বাজার দেখছি।
স্থানীয় জেলে ও নৌকার মাঝি আব্দুল কাদের বলেন, রাত ১২টার পর নদীতে গিয়েছিলাম, সকালে ঘাটে ফিরে এসেছি তিন মণ মাছ নিয়ে। যদিও মাছগুলো একটু ছোট, তবুও দাম ভালো থাকায় লাভ হয়েছে। এখন আবার সাগরে যাচ্ছি। কয়েক দিন এমন মাছ পেলে আগের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।
নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নিয়ে কিছু জেলের ছিল ক্ষোভ। তারা বলছেন, ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে যদি ১৩ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু করা হতো, তাহলে ক্ষতি কিছুটা কমে আসত। কারণ নিষেধাজ্ঞার আগেই সাগরে প্রচুর ইলিশ মিলছিল। তবুও সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ৪ অক্টোবর বিকেলেই তারা ঘাটে ফিরে আসেন। এখন হাতিয়ার ঘাটগুলো কর্মচঞ্চল, জেলেদের জালে রুপালি ইলিশের নাচন, আর তীরে উঠছে আশা আনন্দে ভরা মাছভর্তি ঝুড়ি। ২২ দিনের অপেক্ষা শেষে আবারও রুপালি স্বপ্নের সন্ধানে সাগরে নেমে হাসি ফিরে এসেছে জেলেদের মুখে। এভাবে যদি মাছ পাওয়া যায়, তবে অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী এবং জেলেরা।
মন্তব্য করুন


কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক শোক বার্তায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা কবির পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও বলেন, কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন তারুণ্যের শক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠ। তার কালজয়ী কবিতার মতোই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
মন্তব্য করুন


ঢাকা
মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রোববার (২২ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে
হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
আজ
শনিবার (২১ জুন) একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের
চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল (রোববার) থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের
একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকাল
দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এর আওতামুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য,
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার
প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতিকালে নারী ও শিশুসহ ২৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তার আগে সোমবার গভীর রাতে বাহারছড়ার কচ্ছপিয়া ঘাটের বিচ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপনে খবর পাওয়া যায়—একদল পাচারকারী মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যে কয়েকজন নারী, শিশু ও পুরুষকে নিয়ে কচ্ছপিয়া ঘাটের কাছে অবস্থান করছে। তথ্যের ভিত্তিতে বাহারছড়া আউটপোস্ট ও পুলিশের সমন্বয়ে রাতেই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২৮ জনকে উদ্ধার করা হলেও পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে, অল্প খরচে বিদেশে নেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের তারা এই প্রচেষ্টায় জড়ো করেছিল।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, মানবপাচার রোধে কোস্টগার্ডের অভিযান চলমান থাকবে। উদ্ধার হওয়া ২৮ জনকে সুরক্ষা ও আইনি প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পাচারকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর
চাটখিলে তাহাজ্জুদের নামাজরত অবস্থায় আকরাম হোসেন (১২) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী
মৃত্যুবরণ করেছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের
নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর
আগে ভোর রাতে উপজেলার বিষ্ণুরামপুর এলাকার নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নামাজের সময় এ
ঘটনা ঘটে। আকরাম লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ফারুক হোসেনের বড়
ছেলে।
জানা
যায়, ভোরে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাহাজ্জুদের নামাজে অংশ নেয় আকরাম।
সালাম ফেরানোর আগ মুহূর্তে হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে শুরু করে সে। পরে সহপাঠী
ও শিক্ষকরা তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মাদ্রাসার পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও আকরামের মামা মাওলানা বোরহান
উদ্দীনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আকরামের সহপাঠী আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা
এক সঙ্গে খেলাধুলা করতাম। তাকে হারানোর পর আমাদের মধ্যে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।
মাদ্রাসা
শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন, আকরাম খুবই ভালো শিক্ষার্থী
ছিল। কখনো তার নামে কোনো অভিযোগ পাওয়া যেত না। খুবই নম্র এবং ভদ্র ছিল।
আকরামের
মামা মাওলানা বোরহান উদ্দীন বলেন, আকরামকে বিকেল সাড়ে ৪টায় লক্ষীপুরের কমলনগরে তার
পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তাকে হারিয়ে তার বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।
মাদ্রাসার
মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন বলেন, আকরাম ১৫ পারা শেষ করে ১৬ পারায় ছিল। খুব শিগ্গির
তার হিফজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালাম। আল্লাহ
তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুক। তার পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফীক
দিক।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব
ইজতেমা-২০২৪ এর প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলাকালীন ময়দান ও আশপাশের সড়ক ও এলাকার
পরিবেশ ছিল শান্ত। সড়কগুলোতে যে যার মত বসে মোনাজাতে অংশ নেয় ।
দুই
হাত তুলে অনেকেই কেঁদেছেন, কেউ কেউ আল্লাহ আল্লাহ ধ্বনিও উচ্চারণ করেছেন। সবাই নিজেদের
সব গুনাহর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আর আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হয় তবলিগ
জামাতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের আখেরি মোনাজাত। তারপর থেকে শুরু
হলো মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার ঢল।
রোববার
(৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর মোনাজাত শেষে ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়ে যায়
মুসুল্লিদের ভিড়।
টঙ্গী
সড়কের আব্দুল্লাহপুর, স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর স্লুইসগেট ও কামারপাড়াসহ ময়দানের চারপাশে
সড়কে মুসুল্লিদের ঢল নেমেছে।
সড়কে
যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে পথ চলাচল করছেন মুসল্লিরা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও
মাথায় বিছানাপত্র। যে যার মাল-সামান নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে।
ট্রাফিক
পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন।
এদিকে,
বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রয়েছে। র্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গোয়েন্দা
পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
নিরাপত্তার
স্বার্থে ময়দান ও আশপাশের নজরদারি রাখতে মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। এছাড়াও
র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেওয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।
মোনাজাত
শেষে মুসল্লিদের নিরাপদ চলাচলের জন্য ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ভারতীয় মদসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি। আটকরা হলেন রাহুল তাঁতি (৩০) ও রাজু কুমার ঝরা (২০)। তাদের কাছ থেকে ২৩ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১টি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মদের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। বিষয়টি শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান নিশ্চিত করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকা থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উরিষ্যা এলাকায় চলাচলরত একটি মোটরসাইকেলকে সন্দেহজনক মনে করে সিগন্যাল দিলে দুইজন মোটরসাইকেল ফেলে চা বাগানের মধ্যে পালানোর চেষ্টা করে। তবে বিজিবির টহল দল তাদের ধাওয়া করে হাতেনাতে আটক করে।
আটকদ্বয় এবং জব্দকৃত মালামাল মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া, বিজিবি অন্যান্য চোরাকারবার ও মাদক পাচার চক্রের কার্যক্রমও অনুসরণ ও দমন করতে অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কৃষি
ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান
যুদ্ধ ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। এখানে কোন ধরনের
সমস্যা নেই। কৃষকরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বিরল উপজেলার মোকলেছপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ব্রি
ধান-৮৮ কাটার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষি
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন আমাদের সাড়ে ৭ কোটি
মানুষ ছিল; সেই সময়ে কৃষিজমির সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন লোকসংখ্যা ১৮ কোটি, ফলে
কৃষি জমি কমে গেছে। উন্নত জাত এবং কৃষকদের কঠোর ও বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের কারনে
ধানের উৎপাদন ভালো।
কৃষি
জমির ব্যাপারে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, নতুনভাবে আইন করা হবে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা, কৃষি
জমি সুরক্ষা আইন নতুনভাবে করার চিন্তা-ভাবনা আছে, কিছুদিনের মধ্যেই তা করা হবে। ভাটা
যেন না চলে; সেজন্য আমরা নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছি।
এ
সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তরিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার
শহীদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ
আলীসহ রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চার দিনব্যাপী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চারদিনের সম্মেলনে দুই দেশ সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অপর দিকে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশসহ হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান। এ ছাড়া আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সম্মেলনে যেসব বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ একমত হয়েছে, সেগুলো হলো—
১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে, এমন তাৎক্ষণিক এবং আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের আর্থসামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সীমান্তে যেকোনো হত্যা সংঘটিত হলে তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২. আলোচনায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয়, এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিলের ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে যথোপযুক্ত পর্যায়ে জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের (যৌথ যাচাই) মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।
৩. বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন, বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
৪. আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিক ও বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের ফলে সৃষ্ট ভুল–বোঝাবুঝি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে উভয় বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
৫. মানব পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশেষ করে মানব পাচারের মতো অমানবিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত উভয় দেশের অপরাধী বা দালালচক্রের কার্যক্রম প্রতিরোধে পরস্পরকে সহায়তা এবং মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত দেশের আইন অনুযায়ী উদ্ধার ও পুনর্বাসন করা হবে।
৬. উভয় পক্ষ ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার’ আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
৭. এ ছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন, জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান এবং তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আঞ্চলিক পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, সড়কের পাশে আগে থেকে পেতে রাখা আইইডিটি পুলিশের গাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর অস্ত্রধারীরা নিরাপত্তা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। ঘটনায় একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)সহ তিন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এবং প্রাদেশিক গভর্নর ফয়সাল কুন্ডি হামলাটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান অঞ্চলে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। পুলিশি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই ৬০০–র বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ৭৯ জন পুলিশ সদস্য এবং ১৩৮ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন


রপ্তানিকারকদের নগদ অর্থের চাহিদা পূরণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা (যেমন ডলার বা ইউরো) ভাঙানো ছাড়াই তার বিপরীতে টাকার সুবিধা নিতে পারবেন।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে এই সোয়াপ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় রপ্তানিকারকদের ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা ও রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে ‘বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি’ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সোয়াপ হলো এক ধরনের চুক্তি, যেখানে রপ্তানিকারক সাময়িকভাবে তার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে একই পরিমাণ মুদ্রা ফেরত নেবে। এ সময়ের মধ্যে রপ্তানিকারক টাকার সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে—অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়িক নগদ টাকার সংকটও মেটাতে পারবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, এই সোয়াপ চুক্তি একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য সময়ের বেশি হবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যেই সীমিত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ ও মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। তবে এই লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপ থেকে প্রাপ্ত টাকা শুধুমাত্র রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফটকা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই উদ্যোগের ফলে রপ্তানিকারকরা বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রেখেও টাকার প্রবাহ বাড়াতে পারবেন। এতে একদিকে ডলার বাজারে চাপ কমবে, অন্যদিকে রপ্তানিকারকরা তাদের আয় আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন