এক পায়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে নিয়মিত কলেজে যায় ইয়াছমিন আক্তার (২০)। অদম্য এই শিক্ষার্থী ইয়াছমিনের এক পা নেই, অন্য পা থাকলেও তা প্রায় শীর্ণকায়।এ গল্প নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল গ্রামের দিনমজুর নুরনবীর মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের।
দেড় বছর বয়সে আগুনে পুড়ে এক পা হারিয়ে এমন বাস্তবতা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ১৯টি বছর। তবুু কঠিন জীবন সংগ্রামে দমে যাননি। দরিদ্রতা আর শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে সে এখন জেলার সদর উপজেলার ড. বশির আহমদ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগে পড়ছেন।
জান যায়, ২০০৫ সালে শিশু ইয়াছমিনকে বিছানায় রেখে পাশের বাড়ি থেকে পানিতে আনতে যান তার মা। হঠাৎ করে চৌকির পাশে থাকা চেরাগ থেকে মশারিতে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে ইয়াছমিনের দুই পা দগ্ধ হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। পায়ের রগ পুড়ে অপর পাও অনেকটা শীর্ণকায় হয়ে যায়।
এরপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে প্রথমে ভর্তি হন স্থানীয় পশ্চিম গাংচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে গাংচিল কবি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বর্তমানে দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রথমে স্থানীয় গাংচিল বাজারে যান। পরে সেখান থেকে গাড়ি করে বাড়ি থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে কলেজে ক্লাস করছেন নিয়মিত। আবার বাড়ি ফিরতেও তাকে হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার পথ। এভাবে বয়ে চলেছেন জীবনের ভার। বছরে পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতা পান। কিন্তু সরকারের এ সহযোগিতা একেবারেই অপ্রতুল।
ইয়াছমিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমি লেখাপড়া করছি। পড়ালেখা শেষ করে আমি শিক্ষক হতে চাই। সবার সহযোগিতায় একটি কৃত্রিম পা সংযোজন হলে আমার স্বপ্ন পূরণে সহজ হবে। ইয়াছমিনের বাবা নুরনবী বলেন, আমি একজন দিনমজুর। তবে শত কষ্ট-যাতনা সহ্য করে হলেও মেয়েকে লেখাপড়া করাব। তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজনে সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা।
ড. বশির আহমদ কলেজের প্রভাষক এএইচ তানিম জানান, আমরা তার কষ্টকে মূল্যায়ন করি। একই সঙ্গে তার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কেননা ইয়াছমিন যেটা সম্ভব করে চলেছেন তা সবার কাছেই অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত।
ড. বশির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা মুক্তা জানান, ইয়াছমিন প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ এক পায়ে হেঁটে কলেজে আসা যাওয়া করছে। সে একজন জীবন সংগ্রামী তরুণী। অদম্য প্রচেষ্ঠায় তার গল্পটি হয়ে উঠেছে প্রেরণার।
মন্তব্য করুন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী।
মঙ্গলবার (১১জুন ) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় ১১ জুন মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) মো: খলিলুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ -বাহুবল সার্কেল) আবুল খায়ের,সহকারি পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল)নির্মেলেন্দু চক্রবতী। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী, পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লায় চোরকে চিনে ফেলায় রাশেদা বেগম(৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে নিজ ঘরে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে এমন তথ্য জানিয়েছেন মোঃ নাদিম(১৯)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামি নাদিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া নাদিমের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি দোকান থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত নাদিম দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামের নুর আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামের মৃত আলী আশাদ মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম নিজ বাড়িতে খুন হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া জুতার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ঘটনার চার ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী নাদিমকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন নাদিম৷ তার দেওয়া তথ্য মতে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগমের দুই ছেলে ও চার মেয়ে। বড় ছেলে প্রবাসে আর ছোট ছেলে দেশেই থাকেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন রাশেদা বেগম। নাদিমের ধারণা নিহত রাশেদা বেগমের বাড়িতে অনেক টাকা পয়সা থাকবে। তাই তিনি রাশেদা বেগমের বাড়িতে যান। পরে তার কানের দুল গলার চেইন ছিনিয়ে নেন। তখন নিহত রাশেদা বেগম তাকে চিনে ফেলেন। পরে নাদিম গলা টিপে বৃদ্ধা রাশেদাকে হত্যা করেন শরীরে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও গলার চেইনটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু যাওয়ার সময় পায়ের জুতা ফেলে যান নাদিম। সেই জুতার সূত্র ধরেই তাকে আটক করা হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোয়েব স্যারের দিকনির্দেশনায় ঘটনার ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে সনাক্ত করে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে বৃদ্ধা রাশেদা বেগমের শরীর থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত রাশেদা বেগমের ছোট ছেলে সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর উপজেলার শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডে
চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার চার জন আসামী গ্রেফতার করেছে
র্যাব। এসময় একটি বিদেশি পিস্তলসহ চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে এ
তথ্য জানান র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার
মাহমুদুল হাসান।
র্যাব জানায়, কুমিল্লা সদর উপজেলার
শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে সংঘর্ষে
কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব (২৭) নিহত হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ ছয় জন। এ ঘটনায় কুমিল্লা
কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে নিহতের পরিবার। এ মামলায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে
সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আদর্শ সদর উপজেলার
শাসনগাছা এলাকার মকবুল মিয়ার ছেলে মোঃ মোজাম্মল হোসেন জনি (২৫), আইয়ুব আলীর ছেলে ফয়সাল
আহমেদ রিমন (২০), আতিকুর রহমান খোকনের ছেলে সাইফ আলী রিয়াদ (২২) ও মোঃ আনু মিয়ার ছেলে মোঃ শুভ (২২)।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই মোঃ মেহেদী হাসান, এএসআই মোঃ হারুন
অর রশিদ, এএসআই মোঃ এমরান ভুইয়া, এএসআই মোঃ
নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৬ নং ঘোলপাশা
ইউনিয়নের আমানগন্ডা সাকিনে আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম
মহাসড়ক সংলগ্নে ১ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল সহ গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতেছে এবং অপর ২ জন
ব্যক্তি আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের পাশে গাঁজার বস্তাসহ লুকিয়ে আছে। অতঃপর
পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর সময়
মোটরসাইকেল সহ আসামী মোঃ বিজয় কে আটক করেন। অপর ২ জন ব্যক্তি কবরস্থানের পাশে ৩টি
বস্তা ফেলে দৌড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন ও মোঃ সাদেক মিয়া কে আটক করেন।
এ সময় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:
১।
মোঃ বিজয় (১৮), পিতা- সালেক মিয়া, মাতা- সাহেদা আক্তার, সাং- কাশিপুর, ইউপি- রতনপুর,
থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি- দুলালপুর, থানা- ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা- কুমিল্লা।
২।
মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪), পিতা- আব্দুল মতিন, মাতা- রিজিয়া বেগম, সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর,
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
৩।
মোঃ সাদেক মিয়া (২০), পিতা- মোঃ মজিদ আলী, মাতা- মোছাঃ রহিমা বেগম, সাং- কাশিপুর,
ইউপি রতনপুর, থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর, থানা-
ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য
যে, গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ৩ টি মাদক মামলা
ও ৩নং আসামী মোঃ সাদেক মিয়া (২০) এর বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা:
শীত শেষ হলেও সমস্যা কাটেনি লাইন গ্যাসের, মাসিক টাকা নিয়েও গ্যাস দিতে পারছেনা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
গেলো এক যুগ ধরে শীত উঁকি দিলেই থাকেনি বাখরাবাদের গ্যাস, শীতের তীব্রতার সাথে বেড়েছে গ্যাস সঙ্কটও। এবছর এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি গ্যাস সরবরাহ। বাখরাবাদের দায়সারা এমন আচরণে ভূগান্তিতে পরেছেন গ্রাহকেরা। অস্থির বাজারমূল্যের সময় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা, বয়োবৃদ্ধ আছে এমন পরিবার, কর্মজীবী নারী, শ্রমিক ও অফিসগামী মানুষেরা বেশী ভূগান্তি পোহাচ্ছেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারেরও সুযোগ নেই প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের। অথচ মাস শেষে বাখরাবাদ ঠিকই তাদের বিল আদায় করছেন।
কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স, পশ্চিম বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, পুলিশ লাইন, শুভপুর, চকবাজার এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বাখরাবাদের এমন অবহেলায় ফুঁসে উঠেছে গ্রাহক জনসাধারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ করছেন অনেকে। বাখরাবাদ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা অতীতেও বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাদের অঢেল সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত করে ইনকাম ট্যাক্স ও দুদকের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনারও দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
এনজিও কর্মী তাহরিমা ইসলাম জানান, তাঁর বাসা কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর। সেখানে প্রতিদিনই গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যায় তাদের প্রত্যাহিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। মো: আফতাব আমিন জানান, তাঁর শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লা নগরীর শুভপুর এলাকায় সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এম ফিরোজ মিয়া জানান, কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচটি মহল্লায় গ্যাস থাকেনা। সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ১৭ থেকে ১৮টি গ্রামে গ্যাস থাকেনা। প্রতিদিনই তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সমাজকর্মী রাইসুল ইসলামে সোহাগ জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় সকালে গ্যাস থাকেনা। পুরো শীত মৌসুমে এমন সমস্যা পোহাতে হয়েছে তাদের। শীত চলে গেছে অথচ রয়ে গেছে বাখরাবাদের গ্যাস সমস্যা।
ব্যবসায়ী মামুন আহম্মেদ জানান, কুমিল্লা নগরীর স্টেশনরোড এলাকার নিলয় সোসাইটিতে তাঁর বাসা। সেখানেও গ্যাসের সমস্যা করছে। নবাব ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতা আজাদ সরকার লিটন জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সংরাইশ পশ্চিমপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গ্যাসের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। শীত মৌসুমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস থাকতো না। বর্তমানে সকাল হলেই গ্যাসের দেখা মেলেনা, দুপুর দুইটা তিনটার পর গ্যাস পাওয়া যায়। বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ছুটি জানান, চকবাজারের আংশিক, সংরাইশ, জগন্নাথপুর এলাকায় গ্যাস সঙ্কট রয়েছে। রোটারেক্টর টিআই সাদেক জানান ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সোহেল মিয়া নামের একজন জানান নগরীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকায় সকালে গ্যাস থাকেনা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শম্পা জানান, সদর উপজেলার বাজগড্ডা, জগন্নাথপুর এলাকাতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। কলেজ শিক্ষিকা ফাহমিদা আক্তার জিনিয়া জানান, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রান্না করে সেই রান্না টিফিনে করে কলেজে নিয়ে যান এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য রেখে যান। রান্নার মাঝে-ই গ্যাস চলে যায়। আমার বাসায় সিলিন্ডার গ্যাস নেই। কয়েক বছর ধরে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটা কেমন কথা, দিনের পর দিন বিল নিচ্ছে কিন্তু গ্রাহক সেবা দিচ্ছেনা। দেশে কি এসব দেখার লোক নেই? নাগরিক অধিকার বলে কি কিছু নেই? আমাদের প্রত্যাহিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। পারিবারিক অশান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানওে প্রভাব পড়ছে। যারা সম্পদশালী বা দুর্নীতিবাজ তাদের বাসায় সিলিন্ডার রাখতে পারে কিন্তু আমরাতো চাইলেই পারিনা। আমার দাবি দ্রুত গ্যাসের ব্যবস্থা করা হউক, না হয় গ্যাস বিল অর্ধেক নিতে হবে।
বাখরাবাদ গ্যাসের ইঞ্জনিয়ারিং সার্ভিস বিভাগের (কুমিল্লা রিজিওন) উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ছগীর আহমেদ এর কাছে গ্যাস সরবরাহ কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি কম হওয়াতে এমনটি হচ্ছে। এটি জাতীয় সমস্যা। জাতীয় গ্রীড থেকেই আমরা চাহিদামত গ্যাস পাচ্ছিনা। কুমিল্লা, চাঁদপুর, লাকসাম, গৌরীপুর সহ আমার রিজওিনে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট অথচ আমরা পাচ্ছি ২২ থেকে ২৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিছু এলাকায় লাইন ক্যাপাসিটির কারনেও গ্যাস সমস্যা করে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন এলএনজি আমদানি কম হলে গ্যাসের চাপও কমে যায়, যার ফলে দূরবর্তী এলাকাগুলোতে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়।
জানতে চাইলে বাখরাবাদের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মর্তুজা রহমান খান জানান, আমরা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল) থেকে যে পরিমান গ্যাস পাই সেটাই বিতরণ করছি। সমস্যাটা আমাদের না জাতীয় সমস্যা। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারবোনা।
এ
বিষয়ে জানতে বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর মুঠোফোনে
একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চান্দিনায় দিন দুপুরে এক প্রবাসীকে সিআইডি পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুট করা হয় প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, আইফোন। পরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এ ঘটনার পর পৃথক অভিযানে চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার (১৪ জুলাই) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রবাসীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চক্রের ৫ সদস্য আটক করা হয়। সেদিন রাতেই ৬ জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং মুন্সিবাড়ি এলাকার মৃত আজিজ মুন্সির ছেলে সোহেল মুন্সি (৩৯)। তিনি চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল যুগ্ম আহবায়ক ও ১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি।
অন্যরা হলো- মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মালাপদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে সোহাগ আহমেদ (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হাড়িয়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৯), নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বীর চরমধুয়া গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে মো. হানিফ (২৭) ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে মো. ফয়সাল (২৭)।
সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দক্ষিণ বটতলী গ্রামের মো. জব্বার সরকারের ছেলে। গত ১১ জুলাই রাতে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে সরাসরি শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে আসেন।
তিনি জানায়, গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ৫-৬ জন লোক আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজেন। এসময় তারা নিজেদের সিআইডি পরিচয় দেন। আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসতেই তারা আমাকে ঝাপটে ধরে এবং আমার কাছে অবৈধ মাল আছে বলে জানায়। পরে তারা আমার শ্বশুরের ঘর থেকে বিদেশ থেকে আনা প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি আইফোন ও একটি স্মার্ট ফোনসহ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে আনে। তারা আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় এনে ২ লাখ টাকা দাবি করে এবং আমার স্ত্রীকে ফোন দেয়। আমার স্ত্রী চান্দিনা সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে সোহেল মুন্সিসহ ২ জনকে আটক করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুইজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। এরপর আমরা অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করি। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(সূত্র: ইত্তেফাক)
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় মনির হোসেন নামে আওয়ামী লীগের সক্রিয় এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে কৃষ্ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মনির হোসেন (৪৫) কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিনুল ইসলাম জানান, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইনে ছাত্র জনতার উপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ২৬১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জন লোকের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা ইনজামুল হক রানা বাদী হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলার এজহার নামীয় আসামি মনির হোসেনের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ছাত্র জনতার উপর হামলাকারীদের একজন মনির হোসেন। মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার এড়াতে সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতে নেয়া হলে বিজ্ঞ বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
সদর দক্ষিণ উপজেলায় অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে দুটি পরিবহন সার্ভিসকে জরিমানা
করেছে কুমিল্লা ভোক্তা অধিদপ্তর।
সোমবার
(২৬ মে) বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উপজেলার ঢুলিপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালান ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
ভোক্তা
অধিদপ্তর,কুমিল্লা জানায়- আজ সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার
ঢুলিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কুমিল্লা থেকে রংপুর, পঞ্চগড়গামী (দূরপাল্লা)
পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসব বাস কাউন্টারে নির্ধারিত ১ হাজার
২৮০ টাকার স্থলে অগ্রিম প্রতি টিকিট বিক্রি করছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। অতিরিক্ত
৬০০-৭০০ টাকা বেশি নেওয়ায় এলআরবি পরিবহনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা
ও নুর স্পেশাল পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে কুমিল্লা বাস মালিক
সমিতি, জেলা পুলিশসহ অন্যরা সহযোগিতা করেন।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাউছার মিয়া বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী
সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে বিভিন্ন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন