

চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় আরো ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গেল ৬দিনে জেলায় মোট ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মামলা, লিফলেট বিতরন ও নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বুড়িচং পরিহলপাড়ার আওয়ামীলীগ কর্মী মোঃ মহিউদ্দিন (৪৭), চান্দিনা নাওতলা গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা মজনু মিয়া (৩৬), হোমনা উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ আরিফুল ইসলাম জনি (৪২) ও তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউপির ২নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন (৪০)।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের উত্তর
রসুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন সেপটিক ট্যাংকিতে পড়ে তিন বছর বয়সী মোছা.
নুরী নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে রসুলপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী
ইউনিয়নের প্রবাসী মোহাম্মদ রিজানের কন্যা মোছা. নুরী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক
তদন্ত শিবেন বিশ্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার
বিকালে তার মায়ের সাথে নানা বাড়ি বেড়াতে যাবার কথা ছিল। দুই মাসের বেশী সময় ধরে
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির জন্য গর্ত করে ফেলে রাখে
ঠিকাদার। কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা
গর্তটি। বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশু কন্যা পড়ে যায় গর্তে। বৃহস্পতিবার
দুপুর ২টার দিকে নুরের লাশ ভেসে উঠে ওই গর্তের পানিতে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ
জানান, কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা গর্তটি।
বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশুটি পড়ে যায় গর্তে। পরে দুপুর ২টার দিকে নুরীর
মরদেহ ভেসে ওঠে ওই গর্তে।
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. স্বপন আহমেদ জানান, আমরা বারবার ঠিকাদারকে বলেছিলাম যেন
সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। উনি কেন এটা করলেন না, আমার বোধগম্য
নয়। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ
পরিদর্শক তদন্ত শিবেন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আমরা পরিবারের অভিযোগের
ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১০৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,সিপিসি-২।
আজ (২৯ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১,সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন দক্ষিণ রামপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা আসামী মোঃ আল আমিন (২২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আল আমিন (২২) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ বাবুল মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী গভর্নমেন্ট প্লিডার (এজিপি) এডভোকেট মোঃ আবু
মুছা ভূঁঞা ১৯৭৯ সালের ২৫ নভেম্বর কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি
বাগমারা দাখিল মাদ্রাসায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে মুরাদনগর
বাঁশ কাইট পীতাম্বর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে ১ম বিভাগে মাধ্যমিক পাশ করেন।
তৎপর চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে অর্নাস করেন।
পরে উক্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াকালীন সময়ে
বিএনসিসি ও স্কাউট এর সাথে জড়িত ছিলেন।
অ্যাড.
আবু মুছা ভূঁঞার দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে
দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার এর অনুপ্রেরণায় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হন তিনি। সেই
সুবাদে এডভোকেট মোঃ আবু মুছা ভূঁঞা ১৯৯৬-৯৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র দলের
রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে "ওয়াসিম-ছানাউল্লাহ পরিষদ" এর পাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা
রাখেন এবং ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা আইন কলেজে অধ্যয়নরতকালে ছাত্র সংসদ "নাজমূল-মহান
পরিষদ" এর নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ
বার কাউন্সিল থেকে সনদ প্রাপ্ত হয়ে একই সালে ৩১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে
যোগদান করে পেশাগত জীবনে আত্ম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তরুণ আইনজীবী হিসেবে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য
হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লাস্থ দেবীদ্বার সমিতির নির্বাচন
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেবীদ্বার সমিতির "ক্রীড়া সম্পাদক"
হিসেবে মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এড. আবু মুছা ভূঁঞা ২০১০ সালে সর্ব সম্মতিক্রমে
দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন বিএনপির "সভাপতি" নির্বাচিত হয়ে বর্তমানেও
পুনরায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেবীদ্বার উপজেলা বিএনপি'র "মানবাধিকার বিষয়ক
সম্পাদক" হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ২০২২ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি)'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত কুমিল্লা উত্তর জেলার আহবায়ক
কমিটির "সদস্য" মনোনীত হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুমিল্লা
ইউনিটের "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক" হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জেলা
আইনজীবী সমিতির "লাইব্রেরী সেক্রেটারি" হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার
আইনজীবী ও কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু'র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের
মামলা পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অ্যাড. মুছা ভূঁঞা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের
সকল প্রকার দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সরকারের পতনের পর যখন দেশের ক্রান্তিলগ্নে
অতিক্রম করে তখন ১৫নং বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও
তিনি জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ গেলো ৩রা জুন দেবীদ্বার উপজেলাধীন বাগমারা ইসলামিয়া
আলীম মাদ্রাসা'র গভর্ণিং বডির "সভাপতি" মনোনীত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দেড় যুগেরও
বেশি সময় ধরে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে আইন পেশা পরিচালনা করে আসছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত
রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এর কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর সফল অভিযানে ৩০ লক্ষ
৪৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাসমতি চাউল জব্দ করা হয়েছে।
১৪ মার্চ রাত ১টায় কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের
আওতাধীন বিবির বাজার বিওপির কটকবাজার পোষ্টের একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক
ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পালপাড়া নামক স্থানে সীমান্ত শূন্য
লাইন থেকে আনুমানিক ৭ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মালিকবিহীন অবস্থায় ৬,৭৭০ কেজি
অবৈধ ভারতীয় বাসমতি চাউল উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত চাউলের বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ
৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা করা হবে।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর
অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি :
একশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা এর আয়োজনে ইমপাওয়ারিং গার্লস এন্ড কমব্যাটিং চাইল্ড ম্যারেজ প্রজেক্ট এর আওতায় (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহনুমা তারান্নুম। সভায় অত্র উপজেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ সহ প্রকল্পের সরাসরি অধিকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অধিকারভোগীগণ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ববাহককে তাদের চাহিদা সমূহ তুলে ধরেন।
প্রকল্প সমন্বয়কারী রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আবদুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার চাইল্ড স্পন্সরশীপ এন্ড চাইল্ড রাইটস প্রোগ্রাম, একশনএইড বাংলাদেশ বলেন অধিকারভোগীদের চাহিদা সমূহ দায়িত্ববাহকগণ গুরুত্বের সাথে নিয়ে সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিশোরী ক্লাবের সদস্য রেশমা খাতুন তার বক্তব্যে বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষক, ইমাম, কাজী, ঘটক ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রান্তিক নারী নেত্রী হালালী খাতুন বলেন, আমরা দরিদ্র মায়েরা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে বাল্যবিবাহ থেকে আমাদের শিশুরা রক্ষা পেতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী মোর্শেদ আলম বলেন, বাল্যবিবাহ এর জন্য অভিভাবক ও এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনলে বাল্যবিবাহ কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
পানিমাছ কুটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তা শেখ বলেন, যে, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সমাজের প্রত্যেক অংশীজনকে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে কাজ করে যেতে হবে।
সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের প্রভাষক শংকর কুমার সেন বলেন, আমরা এটি বাল্যবিয়ে দিয়ে হাজারটি সমম্যার জন্ম দেই। তাই আসুন আমরাই পারি বাল্যবিবাহ রোধ করতে।
ফুলবাড়ী উপজেলার ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ একরামুল হক বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকের বড় দায়িত্ব হলো ছেলেমেয়েদের সঠিক পথে পরিচালিত করা। এইটি হলে পরে বাল্যবিবাহ অনেকাংশে কমে যাবে।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, একজন মেধাবী মেয়ের কখনোই বাল্যবিবাহ হয় না। তাই আমাদের মেয়েশিশুদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। যারা ভালো ফলাফল করছে না তারাই বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর কবীর, ইউএসএস এর প্রধান কার্যালয়ের সমন্বয়কারী আব্দুর রউফ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, বাল্যবিবাহ লিগ্যাল ভাবে হয় না। অধিকাংশ বাল্যবিবাহ ছেলেমেয়েদের প্রেম ঘটিত ফলাফল। আমরা সমাজে যারা পুরুষ আছি তারা যদি সিদ্ধান্ত নেই ১৮ বছরের কম কোন মেয়েকে আমরা বিয়ে কিংবা ছেলের বউ হিসেবে বেছে নিব না, তাহলেই অনেক বাল্যবিবাহ কমে যাবে। বাল্যবিবাহ রোধ করতে চাইলে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে একসাথে কাজ করবো এই প্রতিজ্ঞা দেওয়া হলো।
মন্তব্য করুন


ফারুক হোসেন, প্রতিবেদক:
এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি ২০২৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম।
আমরা কুমিল্লার তরুন প্রজন্মের সদস্য সচিব সাজ্জাদ সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ জাবের হোসাইন, মোহাম্মদ আজিম, রাজিবুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্মের উপদেষ্টা কাজী কায়কোবাদ।
এ সময় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে কাজী কায়কোবাদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষা দিয়েই শিক্ষাজীবন শেষ না করে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। সামনে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এজন্য ঠিকমতো পড়াশোনা করতে হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই প্রসাধনী পণ্য
বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলা
সদর ও সাহেবাবাদ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
এতে পৃথকভাবে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম
এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা।
এ সময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড
টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক (কুমিল্লা) কাজী মো: শাহান ও থানা পুলিশের
একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভারতীয়
ও পাকিস্তানি অবৈধ প্রসাধনী দোকানে রাখা ও বিক্রির দায়ে উপজেলার সদর বাজারের শরীফ কসমেটিকস
নামের এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা ও এমি কসমেটিকস অ্যান্ড গিফট সেন্টার নামের অন্য
এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ রিয়েজেন্ট কেমিক্যাল পাওয়ার অপরাধে সাহেবাবাদ
বাজারের আল বারিয়া বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভারতীয় ও পাকিস্তানি কসমেটিক্সের
বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় অভিযান চলাকালে সদর উপজেলার দুটি মার্কেটের দুটি দোকানে
অননুমোদিত কসমেটিক্স রাখা ও বিক্রয়ের দায়ে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও
উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের এক বেকারি মালিককে নানা অনিয়মের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ
২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত
১১টায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা
করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ৫নং পাঁচতুবি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ডুমুরিয়া
চাঁনপুর ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তার উপর
হতে ৫২(বায়ান্ন) কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মামুন মিয়া (৫২) ও মোঃ সুজন
মিয়া (৩৩)কে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন


কিশোরগঞ্জে ভৈরবের মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির
ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশাপাশি কবরে দাফন
করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এতে নয় জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ১১ জন।
সোমবার (২৫মার্চ) কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে সোহেল রানার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পাশে তাদের দুই সন্তানকে
সমাহিত করা হয়।
আজ সকালে সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের
মরদেহ উদ্ধার হয়। গত শনিবার সোহেলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও গতকাল রোববার মেয়ে মাহমুদার
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোহেল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের
ছেলে।
সোহেলের সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ
জেলার ভৈরব হাইওয়ে থানা।
এদিকে সোমবার বিকালে সোহেলের বাড়িতে
গিয়ে দেখা যায়, সবাই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন। তিনজনের মরদেহ বাড়িতে আনার খবরে ভিড় করেন
এলাকার লোকজন। সন্ধ্যার কিছু আগে অ্যাম্বুলেন্সে সোহেল ও তার দুই সন্তানের মরদেহ গ্রামের
বাড়িতে আনা হয়। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের সাথে দুই শিশু সন্তানকে পাশাপাশি
কবরে দাফন করা হয়। এর আগে রোববার একই স্থানে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী,
দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে
গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নৌকায় থাকা অন্য পরিবারের লোকজন ছবি তোলার জন্য মাঝিকে অনুরোধ
করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে নৌকা
উল্টে যায়।
মন্তব্য করুন