জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করতে পারবে বলে জানিয়েছেন- সংস্থাটির প্রধান প্রসিকিউটর (কৌঁসুলি) করিম এ এ খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ছাত্র-জনতার বিপ্লবে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা সংকট, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে অধ্যাপক ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। এ অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের নৃশংসতার শিকার হয়ে অন্তত ৭০০ মানুষ মারা গেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আইসিসি-তে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসি-তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
বৈঠকে করিম খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসির রোহিঙ্গা নির্বাসন নিয়ে তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে করিম খান বলেন, এসব প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন করে গতি আনবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন এবং সমাধানের উপায় বের করা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের জন্য শক্তিশালী যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রস্তাব দেন।
এ তিনটি প্রস্তাবকে
নিখুঁত- বলে মন্তব্য করেন করিম খান।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২০২৪ সালে আপনার বিজয়ের জন্য আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আনন্দিত।
মন্তব্য করুন
নিজের হাতে থাকা ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের
জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১২) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে ব্রিফ
করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
জনপ্রশাসন সচিব জানান, সব মন্ত্রণালয়ের
কাজ দ্রুত চালু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ জন্য সাত দিন সময় দিয়ে এখন
থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। গত কয়েক বছর যারা পদোন্নতি থেকে
বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের দাবিগুলো শুনে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে। মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরগুলোকে
দ্রুত ফাংশনাল করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, যেসব মন্ত্রণালয়ে
আগে মন্ত্রী ছিলেন সেসব মন্ত্রণালয়ের কাজ যাতে স্থবির হয়ে না যায়, সচিবরা সেসব কাজ
নিজ উদ্যোগে যাতে শুরু করেন তা নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সার, বিদ্যুৎ, কৃষি, জ্বালানি,
বন্দর, খাদ্যসহ জরুরি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে সাত দিনের মধ্যে তালিকা করে কাজ শুরু করতে
হবে এবং তালিকাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশের
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন ।
বুধবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে
নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন
করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে
কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির
বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার দুই দিনব্যাপী সিভিল
সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ মে (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য করুন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশকে সমর্থনে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তুতির কথা জানান।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি প্রধান মাইকেল মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত ২৭টি রাষ্ট্রের সমর্থন নিশ্চিত করে পাম্পালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিতে চাই।’
পাম্পালোনি বলেন, সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না এবং বাংলাদেশ সরকারের এই কাজ সম্পাদনের জন্য তারা প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেবে।
এই সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করায় প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তারা সেসময় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভন ডার লেয়েন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পাম্পালোনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে অনেক দেশের পাশে এভাবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া আপনার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এখন বাংলাদেশে আমাদের কাজ করার মতো একজন আছেন। আপনাকে একা অনুভব করতে হবে না। আমরা সত্যিই আপনাকে সমর্থন দিতে আগ্রহী।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে আরও ব্যবসায় সুযোগ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে এই দেশ সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, এর ফলে আরও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে শ্রম অধিকারের বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখব। এখানে কোনো লুকোচুরি হবে না। আমরা আর লুকোচরির খেলা খেলতে চাই না।’
ইইউ কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনুসের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
পাম্পালোনি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা দেখছি এমন কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আপনি নির্ধারণ করেছেন, যা নিয়ে আগে আমরা কথা বলেছি। সুতরাং আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেপাল এবং ভারতের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নেপালে বিশাল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা অপচয় হচ্ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সহায়তা পেলে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত সবাই এতে লাভবান হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের সাম্প্রতিক অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তারা খেলতে গেছে এবং জয় করেছে, একবার নয়, বরং দু'বার।’
তিনি আরও অনুরোধ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন একটি ইউরোপীয় ফুটবল দল পাঠায় যা বাংলাদেশের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ (২৬ আগস্ট ২০২৪) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
দ্রুততার সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ ১৫টি হেলিকপ্টার সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১১ জন মুমূর্ষ রোগীকে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে স্থানান্তর ও ২৪ জন ব্যক্তিকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হতে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়।
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও ৪,৮৩৯ প্যাকেট ত্রান, ৫০,৪০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি, ৫০০ মোবাইল ফোন ও এক লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সিলেট, চট্টগ্রাম,ফেনী সদর, ফাজিলপুর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, পরশুরাম ও মধুগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের
সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিষয়টি ঝুলে থাকার কারণে এতে কোনো দেশেরই
লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। (খবর এনডিটিভির)
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া
এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ
নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে। কারণ
পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার ভারতকে চাপ দেবে কিনা- পিটিআইয়ের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, চাপ শব্দটি অনেক
বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে
হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে
গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর
ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নতুন কোনো ইস্যু নয়, এটি অনেক পুরাতন ইস্যু।
বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। এমনকি পাকিস্তান পিরিয়ডেও কথা হয়েছে। আমরা সবাই
চেয়েছি এটির সমাধান করতে, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের
সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমরা চাই এর সমাধান করতে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের
পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫- এ
যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১:১৫ মিনিটে
তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী
আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড
গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান
এবং গত এক দশক ধরে দুবাইয়ে হয়ে আসা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সমাদৃত এই সম্মেলনের
বিষয়ে অবহিত করেন।
উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি।
মন্তব্য করুন
বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতি এবং অনিয়মের আখড়া বলেই জনমনে ধারণা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, জনগণ এই ধারণা পোষণ করে কারণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ আসে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকগুলো প্রকল্প নির্ধারিত সময় শেষ হয়নি যার নানা কারণ থাকতে পারে কিন্তু এটা ভালো বার্তা দেয় না। সেজন্য গৃহীত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অনুরোধ করেছেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনারা সকলেই এই বিষয়ে সচেতন থাকবেন যাতে প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা থাকে এবং কোনো অভিযোগ না আসে। বিভিন্ন সময়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কথা শোনা যায়, যেগুলো মূলত দুর্নীতি করার জন্যই নেওয়া হয়। এই ধরনের কোনো প্রকল্প যেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে না নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসলাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রোহিঙ্গা
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতার করেন তারা।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উখিয়ায় যান জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পরে সেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে
কক্সবাজারে পৌঁছে সেখানে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে বিকেলে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, ৪ দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্য করুন