ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে মোটরসাইকেল
নিয়ে ঘুরতে গিয়ে রাইস মিলের দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার
শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দামদি গ্রামে
আমিনুল ইসলামের ছেলে রনি মিয়া (১৬) ও একই এলাকার আবুল হাশেমের আশিক (১৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের
নামাজের পর রনি ও আশিক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে
ঈশ্বরগঞ্জ-শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের
একটি মিলের দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়
আশিক। স্থানীয়রা আশিককে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আশিকের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ
থানার এসআই কমল সরকার জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় রনির
মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। আশিকের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরে যাত্রী ছদ্মবেশে ২ নারীকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করে আসা ১টি চোর চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে ওই চোরচক্রের ৬ সদস্যকে।
আটককৃতরা হলো: শহরের টেপাখোলা এলাকার আকরাম শেখের ছেলে তূর্য ওরফে রায়হান শেখ (২৫), ছনেরটেক এলাকার সুমাইয়া (২৫), সদরের চরমাধবদিয়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৫৫), দিনাজপুরের ডাসমারী এলাকার শাকিলা (৩০), ফরিদপুরের সালথার বালিয়াগট্টি এলাকার রায়হান মাতুব্বর (২৫) ও সালথার আটঘর এলাকার মনসুর সরদার (৪৪)।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে চোর চক্রের মূলহোতা তূর্য রায়হান ও শাকিলা এবং সুমাইয়া নামে ২ নারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১টি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতেই জেলার সালথা উপজেলার আটঘর এলাকা থেকে জব্দ করা হয় আরেকটি চোরাই অটোরিকশা। পরে অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের ওই ৬ জনকে বিভিন্ন এলাকায় থেকে আটক করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার দুপুরে আটককৃতদের ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার ২০২৪-২০২৫ সনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৪টায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের খোকন, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আবু তাহের কালন এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসেন মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল হক মজুমদার, নির্বাচন কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন ও মোঃ মিজানুর রহমানসহ আইনজীবী সহকারীগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত পাঠ শেষে জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির প্রয়াত আইনজীবী সহকারীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত/সৎগতি কামনাসহ অসুস্থ্য আইনজীবী সহকারীদের সুস্থতা কামনার্থে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সোলেমান
আহমেদ ও ২। আবু সায়েম নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা এবং মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সোলেমান আহমেদ
(২০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন খারেরা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং ২। আবু সায়েম (২১)
একই এলাকার শরিফুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন- রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাখরাবাদ গ্রামের প্রয়াত মহাদেব সরকারের ছেলে তপন চন্দ্র সরকার (৫০) ও একই গ্রামের প্রয়াত নিত্যন চক্রবর্তীর ছেলে পলাশ চক্রবর্তী (৩৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে স্পিরিট জাতীয় বিষাক্ত অ্যালকোহল (মদ) খেয়ে তপন চন্দ্র সরকার ও পলাশ চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে পরিবারের লোকজন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পলাশ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপরজন তপন চন্দ্র সরকারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কুমিল্লা নেওয়ার পথে তপন চন্দ্র সরকার মারা যান। আজ বুধবার বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ পলাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ আসার পূর্বেই তপনের লাশ দাহ করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হোমিওপ্যাথি দোকানের স্পিরিট জাতীয় অ্যালকোহল (মদ) পানে ২ জন মারা গেছেন। পলাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তপনের লাশ দাহ করে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পলাশের লাশ ময়না তদন্তের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে
গবাদিপশুর হাট-বাজার পরিদর্শন করেন।
আজ বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি মডেল থানাধীন চানপুর
গরুর বাজার ও বালুতুপা গরুর বাজার পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির
আহমেদ খাঁন।
এ সময় তিনি গবাদি পশু ক্রেতা-বিক্রেতা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ
জনসাধারনের সাথে হাট-বাজারের আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্তে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, যে কোন আইনি
সহায়তা প্রদানে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে রয়েছে। গবাদি পশু
ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্তে চাঁদাবাজি বা কোন ধরনের অপরাধের সংবাদ পেলে কঠোর আইনি
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সকলকে সতর্ক করেন।
এসময় আরো
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)
মোহাম্মদ সাইফুল মালিক সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে এক কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
সোমবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্ত এলাক থেকে এসব মালামাল আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা সীমান্ত এলাকার নোয়াপুর কাচিগাং মাঠ থেকে মালিক বিহীন অবস্থায় ৫২ লাখ টাকা মূল্যর অবৈধ ১২১টি মোবাইল ফোন আটক করে।
অন্য অভিযানে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৬ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার বাজি, শাড়ীসহ অন্যান্য চোরাচালানী পণ্য আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘ভদ্র জ্বীনের
বাদশা’ পরিচয় দেওয়া এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার
দক্ষিণ রাজানগর তুপ্পার পাড়ে চাঁদা তুলতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আটক ওই ব্যক্তির ওমর ফারুক নিজেকে
‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’ পরিচয় দিতেন।
স্থানীয়রা জানান, ‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’
নামে এই ব্যক্তি বড়ুয়া থেকে মুসলিম হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়
ঘুরে ঘুরে জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে বিভিন্ন কিছু সমাধান করবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা
নিয়ে ধোঁকাবাজি করে আসছে। কয়েক দিন আগেও তিনি এক শিক্ষকের অবসরের টাকা, আত্মীয়-স্বজনকে
দেওয়া ধারের টাকা ফেরত এনে দেবে বলে ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ
হয়ে যান।
সম্প্রতি তিনি তার মেয়ের বিয়ে দিবে
বলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা নিচ্ছেন। শুক্রবার সোনারগাঁ এলাকায় চাঁদা নিতে
গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) সুজন হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে
আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
ভাই-বোনের সম্পর্ক মজবুত করতে রাখতে থালায় রাখি, মিষ্টি, প্রদীপ, সিঁদুর, লাল সুতো, ধান ও দূর্বা দিয়ে সাজিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে এ উৎসব পালিত হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার রাখি বন্ধনের মাধ্যমে তাঁর ছোটভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। তদ্রুপ ভাইও বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দাবার ও উপহারের ব্যবস্থা করা হয়। রাখি উৎসবকে ঘিরে পরিবারের সব্বাই মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে।
জানা যায়- প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের ভালবাসার প্রতীক এই উৎসব। এই পবিত্র দিনে বোন ভাইকে রাখী বেঁধে দেয় এবং ভাই বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরফলে ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের বন্ধনকে দৃঢ় শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ভাইদের পাশাপাশি বোনরা নতুন পোশাক পরিধান করে এবং মিষ্টি মুখ করানোর মধ্যদিয়ে ভাইয়ের হাতে রঙ বেরঙের সুতো বা রাখি বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনদেরকে উপহার দিয়ে থাকে। এই দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক আজীবন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে বোনেরা পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়।
আরও জানা যায়- রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসবটি ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্কের এক নিবিড় উদযাপন। তবে বর্তমানে শুধুই ভাই-বোনদের মধ্যে এই উৎসব সীমাবদ্ধ নেই। জাতি বর্ণ ধর্ম র্নিবিশেষে পারষ্পারিক সৌহার্দ্য-সৌভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্যেও রাখি পূর্ণিমা পালিত হয় থাকে। রাখি পূর্ণিমার ঠিক পাঁচদিন আগে ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমার সাতদিন পর জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় বলে এর আরেক নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা। এই দিনটির জন্য প্রত্যেক ভাইবোন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। বোন ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় আর ভাই বোনকে রক্ষার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। এই ভাবেই এই অনুষ্ঠিত যুগের পর যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে। রাখি বন্ধন মূলত বিহারী সংস্কৃতি হলেও পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পরে।
মহাভারতে বর্ণিত, এক যুদ্ধে কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। ফলতু দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোনের মর্যাদা দেন। এই উৎসবটি ভাই-বোনের সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানি পণ্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবেরবাজার ও আমানগন্ডা সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে তারা এসব পণ্য আটক করে।
বিজিবি থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকা থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির বিশেষ টহলদল চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কোনো মালিকানা ছাড়া পড়ে থাকা অবস্থায় ২০২ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৫৫৫ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ বোতল বিদেশি মদ, ২০২ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৪৮ বোতল বিয়ার, ৫০০টি স্কিন সাইন ক্রিম এবং ২০ হাজার ৭৭৬ পিস অবৈধ ভারতীয় বাজি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্য ও পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ২০ হাজার ৩২০ টাকা।
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীয়ারা গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মো. আবুল কাশেম পাটোয়ারী’র সুযোগ্য কন্যা অ্যাডভোকেট সুমি আক্তার ঢাকা মহানগর ও দায়রা জজ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪র্থ) আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সুমি আক্তার পঞ্চম। তিনি নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি, ঢাকা শহীদ জিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। অ্যাডভোকেট সুমি আক্তার উপজেলার কাদিরখিল গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. জাহিদুল ইসলাম সবুজের সহধর্মনী।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও সিএমএম আদালতসহ বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে মোট ৬৬৯ আইনজীবীকে পিপি, জিপি, এপিপি ও এজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের স্বাক্ষরিত এ নিয়োগ দেওয়া হয়। অ্যাডভোকেট সুমি আক্তার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।
মন্তব্য করুন