এমদাদুল
হক সোহাগ, কুমিল্লা:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন খাল দিয়ে অপসারিত স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালীর তরল বর্জ্যের কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের পাশাপাশি ফসলী জমি পতিত জমিতে পরিণত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তত সাতটি পয়েন্টে থেকে নমুনা সংগ্রহের পর সেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা শেষে সেই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়।
জানা যায়, কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীবকে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাল সমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালী তরল বর্জ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রতিনিধিদল কুমিল্লা এসে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যেমন রেইসকোর্স, টমসনব্রিজ, ইপিজেড সীমানার বাহিরের সিটি কর্পোরেশনের খাল, ইপিজেড সীমানার ভেতরের খাল, সিইটিপি আউটলেট ও সিটি কতর্পোরেশনের খালের পানির মিশ্রণের পয়েন্ট, রাজাপাড়া এলাকার ব্রীজ এর নিচ দিয়ে প্রবাহীত খাল এবং দীশাবন্দ এলাকা সহ মোট সাতটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিনিধি দলটি। চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার বিশ্লষেণে দেখা যায়, দ্রবীভূত অক্সিজেন, সাসপেন্ডেড সলিডস,জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা, রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন, ফসফেট এর মান পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর মৎস চাষে ব্যবহার্য ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানিতে নির্গমনের এবং পয়: নির্গমনের জন্য নির্ধারিত মান মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন। গত ০৬ ফ্রেব্রুয়ারী ২২.০২.১৫০০.১৮৬.০০২.১৯ স্মারকে নমুনা সংগ্রহের গুণগত বিশ্লষন ফলাফল কুমিল্লা কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।
রিপোর্ট
বিশ্লেষণে দেখা যায়, রেইসকোর্স খালে ময়লা পানিতে COD অর্থাৎ রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা
পাওয়া গেছে ২২৯, টমছন ব্রিজ এলাকায় ২০৭, ইপিজেড সীমানার বাইরে ২৭৩, ইপিজেড সীমানার
ভিতরে ৩১২, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৬৯, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ১৭৭ যার মানমাত্রা
৫০ এবং ১২৫ এর নিচে থাকার কথা।
BOD অর্থাৎ জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৪৯.৩, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৪৬.১, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৫৯.২, ইপিজেড সীমানার ভিতরে ৫২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৩২.১, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৩১.৫ যার মানমাত্রা ৬ এবং ৩০ এর নিচে থাকার কথা। PO4 বা ফসফেট পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ২০.২, টমছন ব্রিজ এলাকায় ১৮.২, ইপিজেড সীমানার বাইরে ১৯.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৩২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৫.৫, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৯.৯ যার মানমাত্রা ০.৫ এবং ১৫ এর নিচে থাকার কথা। NH3-N মানে অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৩৭.৫, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৩০.৫, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৪১.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৫০.৬, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৩.১৬, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ২৪.৯ যার মানমাত্রা ০.৩ এর নিচে থাকার কথা। এই রিপোর্ট অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থী বর্জ্যের কারনেই খাল সমূহে মাছ সহ অন্যান্য জলজপ্রাণী বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন ( সিনিয়র সহকারী সচিব) মুঠোফোনে জানান, তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারীতে সিটি কর্পোরেশনে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর তেমন কিছু জানা নেই।
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের খালের পানির যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটার রিপোর্ট ভালো আছে। আমাদের পানির কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীন, কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে বিষয়টি ঠিক না। আপনারা এসব ভুয়া খবর কোথায় পান? রিপোর্ট আমাদের পক্ষে বলে ফোন কেটে দেন।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের নমুনা সংগ্রহের পর যে রিপোর্ট এসেছে তাতে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের প্রমাণ মিলেছে। গত ০৮ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার এর মুঠোফোনে কল করলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন এবং পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে জানান।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আমরা
জেনেছি। গত আইন শৃঙ্খলা সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে দ্রুত স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিকেএমইএ ঢাকা কার্যালয়ে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, এ কে এইচ আখতার হোসেন এবং আরিফুল ইসলাম আদিব।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, এ দেশের আপামর জনসাধারণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন একটি বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার। এর জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকবেন। আর যারা আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সবার এগিয়ে আসা উচিত। এ কাজে একাত্ম হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অর্থ সহায়তাই শেষ কথা নয়। এক্ষেত্রে মেধা, শ্রম, সর্বোপরি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজকের এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রসে মারাত্মক প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খেজুরের রস বিক্রেতাদের কাঁচা রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত জরুরি এক স্বাস্থ্য বার্তায় অধিদপ্তর জানায়, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এই রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।
এতে বলা হয়েছে, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।
স্বাস্থ্য বার্তায় আরো বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছিকে এবং জনসাধারনগণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিজ্ঞপ্তিতে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়,নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না।
নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ সমূহ :
১. জ্বরসহ মাথা ব্যাথা
২. খিচুনি
৩. প্রলাপ বকা
৪. অজ্ঞান হওয়া
৫. কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় :
১. খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না
২. কোনো ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না
৩. ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন
৪. নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন
৫. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন
মন্তব্য করুন
আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীরা যাতে পানি খেতে ভুলে না যায় সেই লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি ঘণ্টায় ‘পানি ঘণ্টা’ চালু ও পানি সরবরাহের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ চিঠি প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা অফিসার এবং সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও সব গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ পানি ঘণ্টা চালু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জানান, প্রচণ্ড তাপদাহে শিক্ষার্থীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ পানি ঘণ্টা চালু করেছি। যতদিন তাপপ্রবাহ অধিক থাকবে, পানি ঘণ্টা ততদিন চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গরমে অসুস্থ
হয়ে পড়েছিল একজন রিকশাচালক, ট্রাফিক পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে রক্ষা পেল রিকশাচালকের
প্রাণ। প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালানো অবস্থায় হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে সড়কে পড়ে
যান ওই ব্যক্তি। এমন ঘটনা দেখে ট্রাফিক পুলিশরা দ্রুত গিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার
দিকে যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে ঘটে এমন ঘটনা। জানা যায়, সেখানে দায়িত্বরত
ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দায়িত্বরত
অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় রিকশাচালকের মাথায়, চোখে ও মুখে পানি ছিটিয়ে
দেন। এরপর পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিতভাবে সাধারণ জনগণের জন্য বিলি করা পানি ও স্যালাইন
অসুস্থ রিকশাচালককে খাওয়ালে তিনি ক্রমাগত সুস্থ হয়ে সাধারণ অবস্থায় ফিরে আসেন।
সুস্থ হওয়ার পর রিকশাচালক জানান, তিনি
রিকশা চালাচ্ছিলেন। প্রচণ্ড গরমের কারণে হঠাৎ তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন
তিনি চলন্ত রিকশা থেকে রাস্তায় পড়ে যান। পুলিশের দ্রুত সহযোগিতার জন্য তিনি তার প্রাণ
ফিরে পেয়েছেন। তা না হলে হয়তো হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যুও হতে পারতো।
এ সময় তিনি ট্রাফিক পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট
অ্যালার্ট। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এদিন ছিল
৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দাবদাহে দেশের বিভিন্ন
স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা
সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর
কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না।
এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার
তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি,
তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে
২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬
ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং
ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব
আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জর্ডানের রাজধানী
আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের
রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি,
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
অন্য সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি এবার মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে
যাচ্ছে। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে
দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
একনজরে দেখে নিন হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো
প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ
ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি
লক্ষণ হতে পারে।
বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো : হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে
ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত
ঘাম তৈরি করতে পারে।
হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী
শ্বাস-প্রশ্বাসও।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে
ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের
লক্ষণ।
পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও
সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা
জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের
অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ
করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে
করতে পারে।
ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া।
সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল
প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প
নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে।
সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ
পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ,
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
হাসান বলেছেন, রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারি
কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার
(৪ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা জানান, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অতিরিক্ত দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি
বলেন, গ্রামগঞ্জে মানুষ চিকিৎসা পায় না। তাদের তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক
নিশ্চিত করার অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য।
সৈয়দা
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের
প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রেস
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস
সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ডেপুটি প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী
প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
মন্তব্য করুন
মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে নির্যাতন
এর শিকার শিশুটির জীবন ভীষণ সংকটাপন্ন। শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে শিশুটির জন্য দেশবাসির নিকট দোয়া চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে একটি
পোস্ট করা হয়েছে।
শিশুটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে দেওয়া পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
‘মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (Pediatric Intensive Care Unit) চিকিৎসাধীন । প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুটি আজ চারবার Cardiac Arrest এর শিকার হয়েছে এবং CPR প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরো নিম্নমুখী।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ০৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ছয়টায় শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়।
শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।’
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে। এর মধ্যে আবারও স্বাস্থ্য প্রশাসনের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্বরত অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে।
বুধবার (৭ ফেব্রয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার যুগ্মসচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সই করা প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে ।
এছাড়াও জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক পদে থাকা অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাকে করা হয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্বরত মো. শামিউল ইসলামকে করা হয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হারুন অর রশীদকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/ স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিন্ম বর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
আদর্শ সদরে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কালির বাজার ইউনিয়নের কালির বাজার মডেল
হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক
লিটন দেবনাথকে ক্লিনিকটিতে অবৈধভাবে ফার্মেসি, অপারেশন, রোগী ভর্তি, রক্ত সঞ্চালন,
অনুমোদন বিহীন রক্ত পরীক্ষা, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কোন
চিকিৎসক বা নার্সের নিয়োগ না থাকা এবং নিজেই
চিকিৎসক সেজে রোগীদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে চিকিৎসা প্রদান করার কারণে তৎক্ষণাৎ
তাকে গ্রেফতার করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল
কোর্টটি পরিচালনা করেন, আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
রোমেন শর্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউএইচএফপিও ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, কুমিল্লা
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, (উপ-পুলিশ
পরিদর্শক) ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ি, জীবন চক্রবর্তী (হেলথ ইন্সপেক্টর), আবুল কালাম
আজাদ (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর)।
উপজেলা
স্বাস্থ্য অফিস, গ্রামীন কল্যাণ জাগুল ঝুলি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিদর্শনের আবেদনের
ভিত্তিতে পুনঃ পরিদর্শনে গিয়ে, সেখানে পরিচালিত ফার্মেসিটির নিবন্ধন না থাকায় তা বন্ধ
করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রোমেন শর্মা জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। বড় রকমের কোন অসঙ্গতি পেলে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে। আমরা আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মানসম্মত
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সকল আদেশ বাস্তবায়নে
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সদা প্রস্তুত। কুমিল্লার আদর্শ সদরে প্রতি মঙ্গলবার জনসাধারণের
স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বিষয়ক অভিযোগ সমূহ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে সরাসরি দাখিল এবং
গন শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিধি মোতাবেক
সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বেসরকারি পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের
লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্ণিত শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। আর এ ১০ নির্দেশনা হলো :
১. বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একইসঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে, কিন্তু শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে, তারা লাইসেন্স পাওয়া ছাড়া কোনাভাবেই নামে উল্লিখিত সেবা প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটারগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্তাবলি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ ইন্টারভেনশনাল প্রসেডিউর করা যাবে না।
৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই ‘Operation Theatre Etiquette’ মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন