প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় ঋণ প্রাপ্তি একটি মৌলিক অধিকার। জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের একটি সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
জলবায়ু সম্মেলনস্থলে বাংলাদেশে প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে "একটি বৈশ্বিক সংলাপ: ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা" শীর্ষক এই ইভেন্টের আয়োজন করে।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং এতে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবোন-পারমার ডাচ প্রিন্স জেইম বার্নার্ডো।
ডাচ প্রিন্স উল্লেখ করেন কীভাবে ঋণ, বীমা, বিনিয়োগ, গবেষণা এবং অর্থায়ন কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে এবং জানান সারা বিশ্বের লাখ লাখ কৃষকের এখন এই সহায়তা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভোন পিন্টো। তিনি বলেন, কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধান উৎপাদন বেড়েছে।
ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফএমও-এর পরিচালক জোরিম শ্রাভেন ঋণ প্রাপ্তির অধিকারের বিষয়ে নৈতিক সমর্থন দেওয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন এবং জানান, এটি মানুষের তথ্য জানার অধিকার সম্পর্কিত।
ইন্টার প্রেস সার্ভিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আইপিএস নোরামের নির্বাহী পরিচালক ফারহানা হক রহমান বলেন, বর্তমানে ৫৫ কোটি ক্ষুদ্র কৃষক পরিবার বিশ্বব্যাপী দুই বিলিয়ন মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যদি একজন কৃষককে ঋণের সুবিধা দেওয়া হয় তবে সে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। প্রত্যেক ব্যবসায় টাকা এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন কৃষক শুধুমাত্র ফসল উৎপাদন করেন না, তিনি তা বাজারে বিক্রি করেন। যদি একজন কৃষককে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনে বিক্রি করতে পারবেন এবং এভাবে তার জীবনমানের উন্নতি হবে। কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করতে দেশ দেশে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা উচিত। প্রত্যেক দেশে সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসাকে কোর্স হিসেবে পড়ানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের
২৫ জুন প্রমত্তা পদ্মা নদীর উপর দেশের বৃহত্তম সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু উদ্বোধন
করেছিলেন। নিজস্ব অর্থায়নে ৩২ হাজার ৬০৫.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতু নির্মাণে নেওয়া ঋণ পরিশোধের ৭ম ও ৮ম কিস্তি হিসেবে ৩১৪,৬৪,৮৬,৯৬৩ টাকার
বেশি গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি প্রধানমন্ত্রীর
কাছে পদ্মা সেতুর ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি হিসেবে ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকার
চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম. নাঈমুল ইসলাম খান, অর্থ বিভাগের
সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণভবনে উপস্থিত
ছিলেন।
অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু
কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া
হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতু থেকে মোট ১৬৫৩,৭১,৬৫,৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
৫ এপ্রিল, সেতু বিভাগ প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসাবে সেতু থেকে টোল আদায় হিসাবে অর্জিত
রাজস্ব থেকে ৩১৬,৯০,৯৭,০৫০ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ শুরু করে।
সর্বশেষ কিস্তিসহ সেতু বিভাগ এই পর্যন্ত সরকারকে মোট
১২৬২,৬৬,০৬,৫৪৮ টাকা পরিশোধ করেছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত
বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ
করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন
করতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা- এ কথা উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই
হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে
আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক
নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান
করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর
উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়:‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার
উন্নয়ন’। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণ-অভ্যুত্থান
সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লক্ষ লক্ষ ছাত্রী বিভিন্ন
ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে
শাহাদত বরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি
এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা
এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা
ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায়
নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে
‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান
সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে
ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অর্জনকে স্বীকৃতি
দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সকলের
মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোটা বিশ্বের সম্মিলিত অঙ্গীকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা
জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একটি বিশ্ব
গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যেখানে ন্যায়বিচার, সমতা এবং মানবিক মর্যাদা সবার
জন্য সমুন্নত থাকবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ অঙ্গীকার করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অধিকার,
আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে মৌলিক
স্বাধীনতার অবক্ষয়, ক্রমাগত বাড়তে থাকা অসমতা, অসহিষ্ণুতা, জলবায়ু সংকট, কর্তৃত্ববাদ
এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উত্থানের চ্যালেঞ্জের মুখে এই প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী
এবং প্রাসঙ্গিক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র মর্যাদা,
সমতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে একটি মৌলিক দলিল, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় মানবাধিকার
সার্বজনীন, অবিচ্ছেদ্য এবং সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
৭৬ বছর আগে মানবাধিকারের সার্বজনীন
ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর থেকে বিশ্বে নাগরিক মর্যাদার অগ্রগতি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি
বলেন, ‘তবে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশের দীর্ঘস্থায়ী সংকট নির্দেশ করে যে বিশ্বমানবতা সৃষ্টির
জন্য আমাদের এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি অত্যন্ত
দুঃখজনক যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার দিকে খুব কমই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে
ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান বর্বর নিপীড়নের অর্থ হলো আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ। ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য একটি ন্যায্য, দীর্ঘস্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের
জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, আমরা গর্বিত যে, নয়টি মূল
মানবাধিকার চুক্তিতে সই করা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকারের
সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে নিহিত মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে অদম্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্বাধীনতা
ও মর্যাদার জন্য আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষা কতটা দৃঢ় তা প্রমাণ করে উল্লেখ করে ড. ইউনূস
বলেন, ন্যায্য অধিকারের জন্য আমাদের জনগণ তাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে পুনর্ব্যক্ত করেছে। আমাদের
তরুণ সমাজ যে সাহস নিয়ে মানুষের অধিকার রক্ষায় ব্রত হয়েছে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা
আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করার যাত্রা শুরু করেছি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের
সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সর্বত্র মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারে অবদান রাখবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে থাকবে।
জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সুশাসন
সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সেই ঐকান্তিক প্রত্যাশার ভিত্তিতে সার্বিক কার্যক্রমে
সহায়তা করতে ২৯-৩০ অক্টোবর ঢাকা সফরকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বাংলাদেশে
মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি মিশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক
ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, আর্থ-সামাজিক কাঠামো এবং বিদ্যমান বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সরকার
প্রস্তাবিত ধারণাটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সরকারের
সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে কারিগরি সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রস্তাবিত এই মিশনের
লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্ম-পরিধি, গঠন কাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
প্রস্তাবিত মিশনটি স্থাপনপূর্বক এটিকে কার্যকরী করার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার বিষয়ে সরকার আশাবাদী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রূপা হকের এক প্রশ্নের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গোটা দেশ এখন তাদের কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে, তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচনের অস্থায়ী তারিখ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক বলেন, ‘বাংলাদেশ দেখে সত্যিই আমি উৎসাহিত।’ আগামী সাধারণ নির্বাচন দেখতে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস রূপা হককে ব্যাখ্যা করেছেন যে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জনগণের দমন কী কারণে হয়েছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবীর (সা.) অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য করুন
২৬ আগস্ট ২০২৪ দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী।
এ দিনটিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিবিধ অনুষ্ঠান ও উপাসনালয় সমূহের বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এ তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগণ।
উল্লেখ্য যে, দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সংঘর্ষ ও অন্যায়কে পরাভূত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা। এই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এই সকলের প্রত্যাশা।
জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাশে আছে এবং থাকবে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এতে বলা হয়, টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির কারণে দেশের নয়টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এতে পানি উঠেছে মহাসড়ক ও রেললাইনে। ফলে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সাথে আরো বলা হয় যে, আকস্মিক বন্যায় সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক জায়গায় রেলপথ ডুবে গেছে। এমন অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সকল আন্তনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এদিকে
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল,
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে
অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও
কোথাও ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার এবং মালয়েশিয়ায় পেশাজীবী ও কর্মী বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর নিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তার ‘মহান বন্ধু’হিসেবে উল্লেখ করে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
ঢাকায় এলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারসহ লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দুই নেতার মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক ও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বৈঠকের সময় দুই নেতা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ডেটা সায়েন্স, সেমি-কন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অর্থ, স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও হালাল অর্থনীতিসহ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় নেতা শিগগিরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে পরবর্তী দফা আলোচনা করতে সম্মত হন।
আগামী বছরের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ কমিশনের বৈঠকে বসতেও সম্মত হন তারা।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যত্র ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশাল অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
‘আমরা একটি নতুন বাংলাদেশে যাচ্ছি, যা আমাদের গর্বিত করবে’- বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, সভায় ‘স্থানীয় সরকার (সিটি
কর্পোরেশন) (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া
হয়েছে।
এছাড়া,
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন)
(দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন