বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মাঝে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি দরজা খুলে দিয়েছে ভারত।
বলা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশটির বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বন্যা ও পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার এই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধসের বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারত। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল বৃষ্টি হওয়ায় ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে পানির চাপ সামলাতে ফারাক্কা বাঁধের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে একদিনে বাংলাদেশে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবেশ করবে।
এর ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পে যে পরিমাণ পানি আসছে, সেই পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধে পানির অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি হওয়ায় তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, পানি না ছাড়া হলে ফারাক্কা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবেশি দুই রাজ্য—বিহার, ঝাড়খণ্ডে বন্যা দেখা দেওয়ায় ফারাক্কা বাঁধে পানির চাপ রয়েছে। তবে নেপালের পাহাড় থেকে এখনও কোনও পানি নেমে আসায় কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় বিপৎসীমা থেকে ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গেট খুলতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফিডার ক্যানেলে পানির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।
দেশটির ওই সংবাদমাধ্যম বলেছে, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। এদিকে এই পানি ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে পানি ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় গঙ্গায় হু হু করে পানি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন
এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শ আজ মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের একটি হোটেলে এই সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সরকারি সফরে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডন পৌঁছান।
মন্তব্য করুন
দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে
সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকজন উপদেষ্টা বৈঠকে ছিলেন। তাদের
সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশ কীভাবে শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে
আগামীতে একটা কার্যকর নির্বাচনের দিকে এগোতে পারে, সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষে
এ দেশ আমাদের সবার। সবাই মিলেমিশে জাতীয় ঐক্য আরও কীভাবে সংহত করা যায়, প্রশাসনকে আরও কীভাবে গুছিয়ে আনা যায়, এসব বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, যেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটাকে
লাঘব করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে রমজান মাস আসছে, এটাকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা
যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেসব নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা পরামর্শ করেছি।
পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু
বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। এসব আলোচনায় আমরা একমত হয়েছি যে—দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়েই দেশকে সামনে
এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকবে,
তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দিতে হবে। এরজন্য
প্রয়োজন সর্বোত জাতীয় ঐক্য। দল-মত-ধর্মের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে জাতীয় স্বার্থে আমরা
যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সে আহ্বান জানাই। আমরা বৈঠকেও এ কথা
বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম যে
সংস্কার দরকার, সেটা দ্রুত করে তারপর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে এসেছি আমরা।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত
ছিলেন, দলটির দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, আব্দুল হালিম এবং
নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়াও দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তখন তিনি এসব কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলমান সংকট নিরসনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। আমাদের সমানে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাদের প্রতিহতের জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ড. খন্দকার মোশাররফ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন
আগে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে International Convention for the Protection of
All Persons from Enforced Disappearance (ICPPED) যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের
সভায় গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক
সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে
এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য
হলো: গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের
সহায়তা দেওয়া।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে পুলিশ
এবং নির্বাচন কমিশনসহ প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা
করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন
তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়,
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সৌজন্য সাক্ষাতে
তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা
বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত বিষয়ে আলাপ করেন।
গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া
সংস্কার উদ্যোগে সহায়তায় আগ্রহের কথা জানান এবং বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে
অসাধারণ ভূমিকা নেওয়ায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এটা ছিল গোটা জাতির জন্য এক অনন্য আন্দোলন। তার সরকারের
প্রধান কাজ প্রত্যেকের জন্য একটা ভালো উদাহরণ স্থাপন করা। এটা দেশের অর্থনীতি এবং প্রায়
সকল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য বিরাট সুযোগ।
গোয়েন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা
বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার পুলিশের সংস্কারের
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সারা দেশে সমন্বিত
তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দেশে হয়রানি এবং দুর্নীতি হ্রাস
করবে। নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। সুতরাং আগামীতে অবাধ ও
সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত
বিষয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড
এবং ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইএলও আহত এবং মানসিক ট্রমাতে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা
করছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বিষয়ে
গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশের পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বন্যা
পরবর্তী পুর্নবাসনে সহায়তা হিসেবে ৪ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে।
তিনি বলেন, বন্যায় বাংলাদেশে প্রায়
১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা
ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেছে জাতিসংঘ।
দক্ষিণ এশিয়ায় আগাম বন্যা সতর্কতার
জন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতিসংঘের আবাসিক
সমন্বয়ক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে আলাপ করেন।
তিন পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো
যে সাহায্য কাজ করেছে, তার চিত্র তুলে ধরেন গোয়েন লুইস।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ
ইউনূস রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অধিকতর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জাতিসংঘের সহায়তা চান।
মন্তব্য করুন
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫- এ
যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১:১৫ মিনিটে
তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী
আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড
গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান
এবং গত এক দশক ধরে দুবাইয়ে হয়ে আসা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সমাদৃত এই সম্মেলনের
বিষয়ে অবহিত করেন।
উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি।
মন্তব্য করুন
ফিফা
প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব উৎসবে যোগ
দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ফাঁকে প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ও সংস্থার প্রধান কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়।
অধ্যাপক
ইউনূস ফিফা প্রধানকে উৎসব সম্পর্কে অবহিত করেন এবং স্বনামধন্য মহিলা ফুটবল দলকে বাংলাদেশে
আনতে তার সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা এখন বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে বাকুতে চার দিনের এক সরকারি সফরে রয়েছেন।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা বাকুতে পৌঁছান।
তিনি
কপ২৯-এর বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং বিভিন্ন সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে ফিলিস্তিনের
নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার বক্তব্য রাখায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূসের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে
এ প্রশংসা করেন তিনি। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি
বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘সময়োপযোগী এবং ফিলিস্তিন
ইস্যুতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্পটলাইট তৈরি করেছে।’
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে
শিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক এখন গাজায় রোগীদের সেবা করছেন।’ আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি
জনগণের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’ফিলিস্তিনের
জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সংস্কার। তার সরকার নির্বাচনের আগে সেই সংস্কার করতে বদ্ধপরিকর।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরও বেশি সুইডিশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই’। তার সরকার দুর্নীতি দমন করেছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগ সহজ করেছে এবং শ্রম আইনের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত উইকস জানান, সুইডেনের সরকার ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশের সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন পুনর্গঠনের উদ্যোগকে সমর্থন করে।
নিকেলাসউ উইকস বলেন, 'আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই পরিবর্তনকালে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে।'
বৈঠককালে তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের সুইডিশ বিনিয়োগ এবং গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উচ্চ প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে। 'দাবিদাওয়া মেটানো একটি বড় কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, তবে খুব সতর্কও রয়েছি,' তিনি বলেন।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শাহীনা গাজী।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান সেনাপ্রধান। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন