

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে পালাখাল মডেল ইউনিয়ন ও রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে, একটি বণার্ঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে যায়। পরে সেখানে আলোচনা সভায় অংশ নেয় নেতাকর্মীরা।
ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইমরান মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাহপারন ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল হোসাইন হিমেলের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কচুয়া উপজেলা উত্তর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও কচুয়ার সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস মো. ইউসুফ মিয়াজী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম,ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদার লিটন,উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন পাটোয়ারী,ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেন বাবুল,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল প্রধান আবেগ,সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
এসময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আল আমিন,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাবের হোসেন,এনামুল হাছান,সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান পাটোয়ারী,বিতারা ইউনিয়ন পশ্চিম ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার পাটোয়ারী,যুগ্ন আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সরকার সহ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের সালথায় একরাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার (১৬, ১৭ জানুয়ারি) বিভিন্ন সময়ে সালথার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি ছুরি ও ১টি শাবল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: সালথার দিয়াপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে ইয়াদ আলী (৪৬), একই গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের ছেলে মো. নাঈম মাতুব্বর (২০) ও মো. সাইফুল মাতুব্বর (২২), একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের আ. ওহাব শেখের ছেলে মো. বাবুল শেখ (৩৫), বড় লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব মাতুব্বরের ছেলে মো. মিজানুর মাতুব্বর (৫০) ও জয়ঝাপ গ্রামের আতিক শেখের ছেলে শাকিবুল শেখ (২০)।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর সালথার দিয়াপাড়া এলাকায় একই রাতে ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, ট্র্যাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) তুহিন লস্করসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়
স্ত্রী জাকিয়া। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ফিরোজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনেরা। এদিকে পলাতক স্ত্রীকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা
পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে নিজ বাড়িতে
এ ঘটনা ঘটে। আহত ফিরোজ (২৯) উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান ছেলে এবং
জাকিয়া (২৬) একই উপজেলার জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। ফিরোজ পেশায় একজন এক্সকেভেটর
(বেকু) চালক। এ ঘটনায় আহত ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
হাসপাতালে এবং পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকে (কলেজ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
এদিকে ঘটনার পর স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়। এছাড়া কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া
লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান , প্রায় এক যুগ আগে ফিরোজ ও জাকিয়া ভালবেসে বিয়ে করেন।
তাদের ঘরে পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই একে অপরকে পরকীয়া
প্রেমের সন্দেহে নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস হয়।
সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে
তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে শালিসে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ
টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবারও বাড়িতে নিয়ে আসে।
এদিকে কিছুদিন যাইতে না যাইতে আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর ফলশ্রুতিতে
বুধবার সকালে স্ত্রী জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখণ্ডিত করে ছেলেকে
সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পলাতক স্ত্রী জাকিয়াকে উপজেলার জিগাতলার নিজ গ্রাম
থেকে আটক করে পুলিশ।
প্রতিবেশী আলমগীর বলেন, ঘরের ভিতর গিয়ে দেখি স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে।
ঘর রক্ত দিয়ে ভেসে গেছে। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার
পর থেকেই স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
ফিরোজের ফুফাতো ভাই রবিন জানায় ,আমি পুকুরের পাড়ে গোসল করতেছিলাম, তখন কেরু
কাকার বউ এসে এ দুর্ঘটনার কথা জানায় । পরে আমরা ৪-৫ জন এসে ভাইকে ধরে নিয়ে সিএনজি করে
ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে উন্নত চিকিৎসার জন্য
টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়া হয়।
ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন, সকালে ফিরোজকে ঘুমে দেখে আমি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে
বের হই। হঠাৎ সাড়ে ৯ টার দিকে ফিরোজের বৌ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি বাড়িতে
যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে। একথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের
সাথে যা করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের
মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


রোববার (৯ জুন) সকাল
সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলী এলাকায় বাসচাপায় ইসাহাক আলী মিঠু (৩৫)
নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বগুড়া জেলার আদমদীঘি
উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার ইয়াদ কলোনির ইদ্রিস আলীর ছেলে নিহত মিঠু। নিহত মিঠু
নওগাঁর ট্রাক টার্মিনালে দালাল অফিসে কাজ করতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করেন, নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক।
নওগাঁ সদর মডেল থানার
ওসি জাহিদুল হক জানান, আদমদীঘি থেকে নওগাঁ আসছিলেন মিঠু। পথে কাঁঠালতলী এলাকায়
এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু
হয় তার।
খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার
করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন বন্যাদুর্গত জেলা ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লার
বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রামে পানিতে আটকে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে ।
সেই সাথে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী ।
সেনাবাহিনীর
এই অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার
থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিন জেলায় এ উদ্ধার অভিযানের এ তথ্য নিশ্চিত
করে সেনাবাহিনী সূত্র আরো জানিয়েছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের
জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বন্যাদুর্গত এলাকায়
উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেনাবাহিনী
সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, এছাড়া প্রায় ২০ জন রোগিকে হেলিকপ্টারে করে ফেনী থেকে
কুমিল্লা সিএমএইচ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন প্রসূতিও
রয়েছে। তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে দুইজনেই সুস্থ্য রয়েছেন বলে
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৪,২০০ পিস ইয়াবা, নগদ ৫৪
হাজার টাকা ও মোবাইলসহ একজন নারীকে আটক করেছে ডিএনসি, কুমিল্লা।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে
ও পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান এঁর নেতৃত্বে
ডিএনসি- কুমিল্লা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন মনোহরপুর সোনালী মসজিদ রোডস্থ ৩৪১ নং গফুর ভিলা নামীয় বিল্ডিংয়ের
দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাট থেকে আসামী রুবিনা আক্তারকে আটক করে। এ সময় তার
কাছ থেকে ৪,২০০ পিস ইয়াবা, নগদ ৫৪ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী
মডেল থানার ধর্মপুর এলাকার মৃত সহিদুল ইসলাম এর মেয়ে রুবিনা আক্তার (৩৪)।
আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোহাম্মদ
ইব্রাহিম খান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণীর ১০(গ) ধারায়
কোতয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই, চল যাই যুদ্ধে- মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় মাদক বিরোধী র্যালি ও মিছিল করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়ারা ও দহুলিয়া গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে র্যালি ও মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ওই ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দিনদিন মাদকের ছোবলে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে আটক করে আইনের আওতায় সোপর্দ করতে হবে। মাদক নির্মূলে যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মাদক প্রতিরোধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।
ভূঁইয়ারা মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কবির হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস,বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,আব্দুল্লাহ আল মামুন,আবুল কালাম,শিক্ষক কামাল হোসেন, ফজলুর রহমান,আব্দুল আলীম,ভূঁইয়ারা উত্তর পাড়া দ্বীনের আলো সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে।
এসময় ইমাম সফিকুল ইসলাম,হাজী দুলাল মিয়া,ভূঁইয়ারা পশ্চিম পাড়া মানব কল্যান যুব সংগঠনের সভাপতি আল আমিন,লোকমান হোসেন,গোলাম খাজা ভুলু,আব্দুল্লাহ,ইকবাল হোসেন, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম মোল্লা,শাকিব হোসেন ও মেহেদী সাহান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী লোকজন মাদক বিরোধী র্যালি ও মিছিলে অংশগ্রহন করেন।
মন্তব্য করুন


রাতে বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাওয়ায়
টাকা না দিয়ে গালিগালাজ করায় সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমন্ত বড় ভাইকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ে
কুপিয়ে হত্যা করে ছোট ভাই।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে
এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে ঘাতক ছোট ভাই। গত শনিবার (৯ আগস্ট ) সকালে মৌলভীবাজারের
কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে সংঘটিত একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য
উদঘাটন করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার
জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত শনিবার
৯ আগস্ট সকালে নিজ বসতঘরে আব্দুর রহিম রাফি (২৬) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রাথমিকভাবে হত্যার
কারণ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা
বেগম বাদী হয়ে পরদিন ১০ আগস্ট কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোপন সোর্স,
তথ্য প্রযুক্তি, এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল
করিম রোহান (১৬) কে সে দিনই (৯ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী এবং আশেপাশের মানুষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গত (১০ আগস্ট) সে তার ভাইকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে
হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় ঘাতক রোহানের তথ্যমতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা
এবং রক্তমাখা লুঙ্গি ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক ছোট ভাই জানায়,
ঘটনার আগের দিন গত ৮ অগস্ট রাতে তার বড়ভাই নিহত রাফির কাছে সে ৫০০ টাকা চায়। রাফি ছোট
ভাইকে টাকা না দিয়ে গালিগালাজ এবং দুর্ব্যবহার করে। পরের দিন শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে
ঘুম থেকে উঠে ঘাতক ছোট ভাই দেখে তার মা বাড়িতে নাই। অপরদিকে বাড়িতে স্ত্রী না থাকায়
সেদিন রাফির ঘরের সব দরজাও খোলা ছিল। বাড়িতে কেউ নেই আর রাফি ঘুমিয়ে ছিল- এই সুযোগে
আগের রাতের ঘটনায় ভাইয়ের উপর রাগের বশবর্তী হয়ে খাটের নিচে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত
অবস্থায় বড়ভাই রাফিকে ঘাড়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত
দা বেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয় এবং তার পরনে থাকা রক্তমাখা
লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে
থাকে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন
ও অর্থ) আসিফ মহিউদ্দীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকি ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় অভিযানকালে ভোক্তা অধিকারের
কর্মকর্তারা শাক-সবজি, মুদিসামগ্রী ও ফার্মেসি পরিদর্শন করেন। তাতে দেখা যায়, কিছু
কাঁচামাল বিক্রেতা পাকা ভাউচার সংরক্ষণ করছেন না এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন থেকে বিরত
রয়েছেন। এছাড়াও একটি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ হাজার
টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান
অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় তদারকি অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ধনপুর ও কাশিনাথপুর এলাকায় একটি শিশু খাদ্য প্রস্তুতকারক ও একটি খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চলে।
উক্ত অভিযানে দেখা যায়, ধনপুর এলাকার মেসার্স টি জে ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান শিশু খাদ্য জিওজিও ও ছুটি নামের দুটি ব্রান্ডের চিপস প্রস্তুত ও মোড়কজাত করছে। কিন্তু চিপসের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফ্লোরে বসেই উৎপাদন ও মোড়কীকরণ করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কাশিনাথপুর এলাকায় মেসার্স হাফসা সুইটস এন্ড বেকারিতে দেখা যায়, রং মিশ্রিত করমচাকে চেরি ফল বলে কেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, বার্থডে কেকে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মেয়াদ নেই, অনুমোদনহীন বিদেশী উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকলেও প্যাকেটে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনুমোদনহীন পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিকল্পে প্রচারনা বিষয়ক মাসবব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কচুয়া থানা পুলিশের ব্যতিক্রমী আয়োজনে মাঝিগাছা মাওলানা মবিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন, ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সাচার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মিঞা মো. নিজাম, এসআই মো. মাহদী, সাংবাদিক জিসান আহমেদ নান্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম পাটওয়ারী প্রমুখ।
এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেছি, কিন্তু কচুয়া থানায় যোগদানের পর এ অঞ্চলে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন স্থানে সভা করছি।
মন্তব্য করুন