কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।
এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
র্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।
গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।
গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
র্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।
টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।
২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার এর নির্দেশনায় কুমিল্লার কাঁচা বাজারের বৃহৎ আড়ত বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার পরিচালিত এ অভিযানটি বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দ্বারা সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে পাইকারি আড়তদারদের পাকা ভাউচার সংরক্ষণ ও বিক্রি সময় পাকা ভাউচার প্রদান করার জন্য কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।
পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করা হলে অন্যথায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সময় বিভিন্ন অনিয়মে ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে পুরো রমজান ব্যাপি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও বুড়িচং থানার পুলিশ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন
শনিবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের হোটেল সবুজ বিপনির আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পালবাড়ি এলকার আলাউদ্দিনের পুত্র সারোয়ার খান (২৫), নগরীর বন্দর বাজার পুরান লেনের জয়নাল আবেদীনের পুত্র ইয়ামিন (২৫), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া (৩৫), একই উপজেলার চিকার কান্দি এলাকার মৃত লিম্বর আলীর পুত্র ও হোটেল স্টাফ রইচ আলী (২৮), জামালগঞ্জ উপজেলার মশালঘাট এলাকার বদরুল আলমের পুত্র ও হোটেল স্টাফ মোঃ রুমেল আহমদ (২৮), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধরা এলাকার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার জান্নাত (২৫), বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার সিয়ার এলাকার মৃত. আমজাদ হোসেনের মেয়ে মোছাঃ মেঘনা আক্তার (২৬), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্ব ছিলাপাড়া শেরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (২৬), রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানার তাজহাট এলাকার মোঃ নাজির হোসেনের মেয়ে মোছাঃ নাজমা বেগম (২৮)।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সিলেটের
কানাইঘাট দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
(বিজিবি)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত টকশোতে মানিক ঔদ্ধত্য ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করেন, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলা
সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি মানিক।
তিনি বলেছিলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের চর। জিয়াউর
রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে
মানহানিকর বক্তব্য দেন তিনি। যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
তার এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশেষ করে
মামলার
বাদী রবিউল হাসান পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিক জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত
ও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর
বক্তব্য দিয়েছেন। তাই এই মামলা দায়ের করেছি।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৯ দিন পর বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি পচে যাওয়ায় মাথার খুলি শরীরের হাড়গুলো বস্তায় পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না এটা ওই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ কিনা।
সোমবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপূর্বপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে ওইগ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসা ও নুরানী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নওশিন ইসলাম শর্মিলা (১০) গত ২৬ মে দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে উদ্ধারে থানায় সাধারন ডায়রী করেন শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া।
এদিকে ধানক্ষেতে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি দ্বিখন্ডিত গলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে আশপাশের শতশত মানুষ সেটি দেখতে ভীড় করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া জানান, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে, কুকুরে টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পড়নের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলার দেহ।
নিহত শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া বলেন, কারোর সাথে কোন শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কেউ মুক্তিপণ বা টাকা পয়সা চায়নি। বাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। এরপর ৩ জুন সকালে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে লোকজন খবর দেয়। এরআগে ওই বস্তাটি কুকুর টানাটানি করছিল। যে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার কঠোর শাস্তি দাবী করি।