মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামায় রমজানের শুরুতেই সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের
দাম লাগামহীন। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীতে ব্যবহৃত বেগুনি, শসা ও লেবু দ্বিগুণের বেশি
দামে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি টাকা না দিলে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ,
কাঁচা মরিচ ও মাছ-মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চার -পাঁচ দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ
ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি। মূলত প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে বিক্রেতারা
খেয়ালখুশিমতো দাম বৃদ্ধি করছেন।
জানা যায়, রমজানে ইফতার সামগ্রী
তৈরিতে ছোলা, বেগুনি, শসা, কাঁচা মরিচ, লেবু ও ভোজ্যতেলের চাহিদা বেশি থাকে। এর মধ্যে
বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেগুনি, শসা ও লেবুর দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখানে প্রকারভেদে বেগুন কেজিপ্রতি ৬০-৭০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। তবে বাজারে স্থিতিশীল
রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম।
শসা কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি গত সপ্তাহে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি
হলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বৃদ্ধি
পেয়ে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোলা প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, বেসন কেজি মানভেদে
৮০-১২০ টাকায়, চিনি ১২০ টাকা ও খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, রমজান ঘিরে পর্যাপ্ত
আমদানি হলেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া
যাচ্ছে না। যাদের দোকানে পাওয়া যায় সেখানেও নির্ধারিত দামের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকটে দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা সয়াবিন
তেল।
অন্যদিকে উপজেলার পাকেরহাট বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কাটা কেজিপ্রতি ২৭০-২৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকা ও লেয়ার কাটা প্রতি কেজি
৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাল্পা
দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও।
দিনমজুর রাসেল রানা জানান, রাজনৈতিক
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভেবেছিলাম এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু চাহিদা
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে
বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং
ব্যবস্থা নেই। সাধারণ মানুষকে বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হয়।
এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার (৩ মার্চ)দুপুরে খানসামা
উপজেলার পাকের হাট, চেহেলগাজী বাজার, ও খানসামা
বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)
কামরুজ্জামান সরকার, দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন,পুলিশ ও আনছারসহ মনিটরিং অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম,
মান, মূল্য তালিকা, পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। তবে ধারাবাহিক মনিটরিং
না থাকায় সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগীরা।
দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, রমজানে সিন্ডিকেটে যেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা না হয় সে জন্য
নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কোনো ত্রুটি আছে কি-না যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাচ্ছে একটি ট্রেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছবে।
এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে। ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় ওই টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দফতরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।
তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ বা ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা এ রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
রোববার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
আগামী শুক্র, শনি ও রোববার (৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল) ৩দিন ব্যাংক খোলা থাকবে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারখানার কর্মীদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকায় । তবে পূর্ণ দিবসের বদলে ওই তিনদিন সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে নির্ধারিত সময়ে লেনদেন চলবে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী/কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও রপ্তানি বিল ক্রয়ের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো ঈদের আগের সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
এলাকাগুলো হলো—ঢাকা মহানগরী, সাভার, ভালুকা, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম। এসব এলাকার তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ছুটির দিন সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত শাখার অফিস সময়সূচি হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) লেনদেন হবে সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং অফিস চলবে ৩টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী জানিয়েছেন,দেশজুড়ে নাশকতা এড়াতে ও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় লোকাল, মেইল ও কমিউটারসহ ছয়টি ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আরো বলা হয়, হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়ানোর জন্য পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেসটির চলাচল ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস এবং ইশ্বরদী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত ট্রেনটি অনেক রাতে যাত্রা করে। আমরা ট্রেনটির নিরাপত্তা দিতে পারছি না। ট্রেনটির নিরাপত্তার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
উত্তর-পশ্চিম
বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ফলে নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর
উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে
বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে আবহাওয়ার ১ নম্বর
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে
বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম
দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তরপশ্চিম
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় (২১.৩° উত্তর অক্ষাংশ এবং
৮৯.৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)
অবস্থান করছে।
এটি
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে,
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০ কিলোমিটার
দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূল
অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ
করছে।
উত্তর
বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো
হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০
কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ
কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও
পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
আরো বলা হয়েছে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট,
ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী,
ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ১-৩ ফুট অধিক
উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর
বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে
এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। তখন থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে যে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৮৫টি। এ সময় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি রিভলভার, ৫৬টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ২৫ টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ২০টি শুটারগান, ১৩টি এলজি, ২৫টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, দুটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এয়ারগান, চারটি এসবিবিএ, চারটি এসএমজি, দুটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ও দুটি ত্রি-কোয়াটার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়াও তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, আট হাজার ৯০৫টি টিয়ারগ্যাস সেল, দুই হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার
দুদক কার্যালয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেয়ারম্যানের সঙ্গে তারা কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ শেষে সমন্বয়ক হাসনাত
আবদুল্লাহ বলেন, অনেকের নামে দুদকে মামলা হচ্ছে এসবের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের
কোনো সম্পর্ক নেই। দুদক স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের নাম
ব্যবহার করে কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করে তাহলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে
দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আজ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও
খনিজ
সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য
কর্মকর্তা মীর
মোহাম্মদ আসলাম
উদ্দিন
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আজ সোমবার (২২
এপ্রিল)
রাত
৯টায়
১৬
হাজার
২৩৩
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ
রেকর্ড
হয়।
আজকের দিনের এর
আগে পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
ছিল
গতকাল
রবিবার
১৫
হাজার
৬৬৬
মেগাওয়াট।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা
হয়, দেশের ইতিহাসে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে
রেকর্ড হয়েছে। এ
সময় ১৬ হাজার
২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে
দেশব্যাপী চলছে
তীব্র দাবদাহ। জনজীবনে
স্বস্তি বজায়
রাখতে এই মুহূর্তে
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ
উৎপাদনে আন্তরিকভাবে
কাজ করে যাচ্ছে
বিদ্যুৎ বিভাগ।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি শিশু পাতিলের মধ্যে কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
পাতিলের ভেতর বন্যার পানিতে ভাসতে দেখে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করছেন নানা আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে। আবার অনেকেই বলছেন পরিবারের সব সদস্য মৃত।
তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কুমিল্লার খারাতাইয়া, বুড়িচং এলাকার। ছবিটি তুলেছেন নাজমুল হাসান তপন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং নিরাপদে আছেন।
এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) আরেকটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা গেছে, শিশুটি গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাঁজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজ থেকে শিশুর ভাইরাল হওয়া ছবিটিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরও করুণ। তবে, আমাদের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
পোস্টে
আরও বলা হয়, আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা
ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা
করেছেন। তা ছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত
এআই বলে ফলাফল দিয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম হতে MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের
ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য করুন
শীতকে
উপেক্ষা করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষসহ সকল বয়সী মানুষের
ঢল নেমেছে। কেউ দাঁড়িয়ে, আবার কেউবা মাটিতে বসে উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করছেন ঘোড়দৌড়
প্রতিযোগিতা। গ্রামের একটি ফসলের মাঠে অতিথিদের বসার স্টেজ। তার সামনে মাঠের চারপাশে
দড়ি দিয়ে গোল চত্বর চিহ্নিত করে, তার চারপাশ দিয়ে ঘুরছে ঘোড়ার দল। মাঠের এক পাশে নানা
রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
মঙ্গলবার
পড়ন্ত বিকালে এমন চিত্র দেখা যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর
গ্রামে। সেখানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
হয়। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে তিনটি
গ্রুপে ২০ জন খেলোয়াড় তাদের নিজ নিজ ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
দুপুরের পর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ওই এলাকায়
তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। খেলা দেখতে পেরেও খুশি দর্শকরা।
প্রধান
অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান
ফিজার এমপি। খেলা শেষে এ প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের
মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
ফেনী জেলার পরশুরামে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পরিদর্শনকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন সেনাপ্রধান। এরপর তিনি হেলিকপ্টার যোগে ফেনী জেলার পরশুরাম এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় তিনি উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়াসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ যথাক্রমে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এলাকায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই সাথে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মন্তব্য করুন