কুমিল্লায় গোমতী নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাতদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আজাদ হোসেন (২৭) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার এলাকার অরন্যপুর
গ্রামের আনার হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেবিদ্বারের জাফরগঞ্জের নদীর খেয়াঘাট এলাকা
থেকে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
হয়েছে বলে জানান দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আজাদ টিক্কারচরে গোমতী নদীর
সেতুতে টিকটকের জন্য ভিডিও করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান।
এ খবর শোনার সাথে সাথেই তার স্বজনরা ও ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু
তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
সাতদিন পর বৃহস্পতিবার দেবিদ্বারের জাফরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা ওই যুবকের
ভাসমান লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এরং তাকে সনাক্ত করা হয় ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক স্থানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে দেড় বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গতকাল সোমবার দুপুরে পুকুরপাড়ে খেলার সময় পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুকুরে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ছাড়া সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা গেছে দেড় বছর বয়সী আতিফা আবেদীন ইশরা।
অন্যদিকে চিওড়া ইউনিয়নের চাপিরতলা গ্রামে নানার বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে সাইফুল ইসলাম নীরব নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো: শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের শিক্ষক শিপন আবেদীনের মেয়ে আতিফা আবেদীন ইশরা ও চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদির সুফলের ছেলে সাইফুল ইসলাম নীরব।
ইদানীং পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে। এ মৃত্যু কমাতে ছোট শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি খেয়াল রাখা উচিত বলে জানান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাঈদ আল মানসুর।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
আজ (১৫ জানুয়ায়ী) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) আবু তাহের ভুইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ রহমানিয়া হোটেল এর সামনে চট্টগ্রাম—ঢাকাগামী মহাসড়ক এর উপর পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ জন ব্যক্তি তাদের হাতে থাকা ২টি চটের বস্তার নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার কে ২০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: শেরপুর জেলার শেরপুর থানার চকপাটর এলাকার মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু এবং একই থানার লছমনপুর এলাকার শ্রী প্রভাত চন্দ্র দে সরকার এর ছেলে শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু (৪০) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
অভিনব
কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৪২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
২ ডিসেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপ
ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। আলী
করিম রিয়াদ এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৪২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আলী করিম রিয়াদ (৩৩) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন
এর ছেলে এবং ২। মোঃ জাকির হোসেন রানা (৩৭) একই থানার ছাঁন্দকরা গ্রামের মৃত দেলোয়ার
হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী রসুলপুর রেলস্টেশন থেকে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৮৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার আতশবাজি ও কিসমিস জব্দ করেছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার ব্যাটালিয়ন -১০ বিজিবি অধিনায়ক ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানাধীন রসুলপুর রেল স্টেশনে চোরাচালান বিরোধী ট্রাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয় অভিযান কালে পাস কোর্স সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ৫৭৫ পিস ভারতীয় অবৈধ বাজি এবং ৫৯ কেজি কিসমিশ আটক করেন।এসব পণ্যের বাজার মূল্য ৮৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লে.কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান কুমিল্লা ব্যাটেলিয়ান বিজিবি নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কুমিল্লা জেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি চোরা চালান বিরোধী বিশেষ ট্রাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে সহকারী কমিশনার রতন কুমার দত্ত এর উপস্থিতিতে বিজিবি এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স দল কর্তৃক মালিক বিহীন অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ৫৭৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় অবৈধ বাজি এবং ৫৯ কেজি কিসমিস আটক করা হয়। যার সর্বমোট মূল্য ৮৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
জব্দকৃত সকল অবৈধ দ্রব্য সামগ্রী বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৪৭ ক্যান বিয়ারসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ অক্টোবর বিকালে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
চৌদ্দগ্রাম থানাধীন দোলবাড়ী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ সাইফুল নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে
৪৭ ক্যান বিয়ার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক (মিশুক) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সাইফুল (৩০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ছুপুয়া মিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত সেলিম
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজিবাইক (মিশুক) ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য বিয়ার সংগ্রহ পূর্বক কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ভ্যানচালক শফিউল্লাহকে নৃশংসভাবে চোখ উপড়িয়ে হত্যার প্রধান আসামী মোঃ রাছেল হোসেন (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি- ২ ।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ১৭ মে শনিবার রাতে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের নগরের হাট এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী মোঃ রাছেল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সে , দেবীদ্বার উপজেলার আন্দিরপাড় গ্রামের পিতা-মোঃ কিরনের পুত্র।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৬ মে ২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের কারনে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন ত্রিবিদ্যা গ্রামে মোঃ ছফিউল্লাহ (৪৩) নামে এক ভ্যান চালককে শাবল দিয়ে ভিকটিমের মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত করে হত্যা ড্রিল মেশিন দিয়ে নির্মমভাবে ভিকটিমের চোখ উপড়ে ফেলে।
মন্তব্য করুন
আজ
কুমিল্লায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক
ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বিকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ক্যাবের প্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ীতে
চাঞ্চল্যকর বিধবা মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার ঘটনায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত
একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩ মার্চ হতে ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখের
মধ্যবর্তী সময়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ভিংলাবাড়ীতে বিধবা মহিলা আনোয়ারা
বেগম খুন হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ রাতে বিধবা মহিলা নিজ
শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায় এবং পরবর্তী দিন ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ সকালে খাটের উপরে বিধবা
মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এসময়ে বিধবা মহিলার মুখে, গালে, গলায় জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে ঐ দিনই মৃত বিধবা মহিলা মেয়ে বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে উক্ত হত্যাকান্ডের বিচারকার্য শুরু হলে ঘটনার
সাথে জড়িত আসামী আল আমিন দীর্ঘদিন যাবত পলাতক অবস্থায় থাকে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য
শেষে বিজ্ঞ আদালত তার নামে মৃত্যুদন্ডের সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ভিত্তিতে ১২ জুন রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন
পবনকল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার
দেবিদ্বার থানাধীন ডিংলা বাড়ী এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৪)।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আল
আমিন (৩৪) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের
পর হতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নিজের গ্রেফতার
এড়াতে সে বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপনে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সাজা কার্যকরের
জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
পবিত্র
ঈদ-উল-আযহা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
(বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ও পরিচালকের উপদেশ অনুযায়ী যাত্রী সাধারণের যাতায়াত
নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা, যানজটমুক্ত রাখা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা ও ফিটনেসবিহীন
যানবাহন নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে, জেলা প্রশাসন কুমিল্লা, জেলা পুলিশ কুমিল্লা ও বিআরটিএ,
কুমিল্লা সার্কেল, কুমিল্লার সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ
সময় বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা প্রদর্শনী নিশ্চিত করা হয় এবং
যাত্রী সাধারণকে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেই সাথে যাত্রী সাধারণের
সাথে হয়রানিমূলক আচরণের জন্য শাস্তির বিধান সম্পর্কে অবহিত করা করা হয়। উক্ত বিশেষ
অভিযানে যাত্রী সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
আজকের
অভিযানে সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের জন্য ৫ টি মামলা ও ১০,০০০/- (দশ হাজার
টাকা মাত্র) জরিমানা করা হয়।
উক্ত
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন,জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী রতন
কুমার,এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট যায়েদ হোছাইন, বিআরটিএ কুমিল্লার মোটরযান পরিদর্শক
মোঃ সাইফুল ইসলাম ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার তিতাসে ভারী ভর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যার প্রবল স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গোমতী নদীর উপর ইস্পাত ও কাঠের সংমিশ্রণে নির্মিত অস্থায়ী সেতু।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন ওই সেতুটি ভেসে যাওয়ার দৃশ্যটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সেতুটির উপর দিয়ে পারাপাররত মানুষগুলোকে দিকবিদিক ছুটতে দেখা যায়। সেতুটি প্রথমেই পূর্বদিকে হেলে যায়, তারপর কিছুক্ষণ ভেসে তা নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
সেতুটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ২২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এতে করে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাসীর মাঝে। দুর্বল অবকাঠামোয় নির্মাণ ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে সেতুটি এনিয়ে দুই বার ভেঙে যায় বলে জানান তারা।
পথচারীরা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। বিকল্প নৌকায় যাতায়াত করতে গেলে এখন টাকা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি, এখনো পরিদর্শনে যেতে পারিনি। প্রবল স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে সেতুটি ভেসে যায়। তাছাড়া নতুন ব্রিজের কাজ চলমান হওয়ায় নদীর দুপাশ সরু হওয়ায় ওই অংশে স্রোতের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অস্থায়ী সেতুটি ভেসে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী সেতুটি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন