

কুমিল্লার দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ীতে
চাঞ্চল্যকর বিধবা মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার ঘটনায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত
একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩ মার্চ হতে ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখের
মধ্যবর্তী সময়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ভিংলাবাড়ীতে বিধবা মহিলা আনোয়ারা
বেগম খুন হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ রাতে বিধবা মহিলা নিজ
শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায় এবং পরবর্তী দিন ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ সকালে খাটের উপরে বিধবা
মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এসময়ে বিধবা মহিলার মুখে, গালে, গলায় জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে ঐ দিনই মৃত বিধবা মহিলা মেয়ে বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে উক্ত হত্যাকান্ডের বিচারকার্য শুরু হলে ঘটনার
সাথে জড়িত আসামী আল আমিন দীর্ঘদিন যাবত পলাতক অবস্থায় থাকে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য
শেষে বিজ্ঞ আদালত তার নামে মৃত্যুদন্ডের সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ভিত্তিতে ১২ জুন রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন
পবনকল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার
দেবিদ্বার থানাধীন ডিংলা বাড়ী এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৪)।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আল
আমিন (৩৪) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের
পর হতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নিজের গ্রেফতার
এড়াতে সে বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপনে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সাজা কার্যকরের
জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১০২ কেজি গাঁজাসহ ৫ জন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি
থানাধীন হোসেনপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ দেলোয়ার হোসেন,
২। সুমন, ৩। মোঃ আব্দুল হালিম, ৪। মোঃ জাহিদ হাসান রতন এবং ৫। আব্দুর রব হাওলাদার নামের
৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১০২ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার এবং একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ দেলোয়ার
হোসেন (৩০) খাঁগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানাধীন মাটিরাঙ্গা গ্রামের মৃত বাবুল মিয়া
এর ছেলে, ২নং আসামী সুমন (৩৭) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন আলমপুর গ্রামের মৃত
জসীম এর ছেলে, ৩নং আসামী মোঃ আব্দুল হালিম (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন
মাদলা গ্রামের মৃত সিরাজ আলী এর ছেলে, ৪নং আসামী মোঃ জাহিদ হাসান রতন (৪৫) ঢাকা জেলার
বংশাল থানাধীন আলু বাজার গ্রামের আব্দুল ছাত্তার এর ছেলে এবং ৫নং আসামী আব্দুর রব হাওলাদার
(৭০) ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানাধীন বিন নারায়ণ গ্রামের মৃত আব্দুল আজীজ হাওলাদার এর
ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি বাতাবাড়িয়া এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় রোববার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৩০ জনকে এজহার নামীয় আসামি এবং ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মহাসড়কে ঝটিকা মিছিলের পরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ২টায় গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি বাতাবাড়িয়া এলাকায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু তরুণ ও মধ্য বয়সী লোকজন ব্যানার হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।
মিছিলের পরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশের একাধিক টিম। রাতভর অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম পল্লব, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের উত্তর রামপুরের শরিফ আহমেদ মজুমদার সোহাগ, লালবাগের হানিফ চৌধুরী, সাওড়াতলীর দেলোয়ার হোসেন, বেলতলীর মহিবুল্লাহ আপন, চাঙ্গিনীর জুয়েল, দিশাবন্দের দেলোয়ার, গাবতলীর জসিম উদ্দিন, মহেষপুরের ফরিদ, বৈষখলার সজিব, গোয়ালমথনের মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলার ধনপুরের জানে আলম লোটাস, আলেখাচরের নুরুল ইসলাম রানা, খিলতলীর মোবারক, বালুতুপার আব্দুল আজিজ সজিব, নাজমুল হক, বরুড়া উপজেলার ইলিয়াস, লালমাই উপজেলার সাদ্দাম হোসেন মজুমদার, চেঙ্গাহাটার নোমান ও বুড়িচং উপজেলার আব্দুল কাদের।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানায়, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে একটি কালভার্টের নিচ থেকে ১২ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এরপর সাপটি বস্তাবন্দি করে বাড়িতে নিয়ে যান স্থানীয় এক যুবক।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী বাকশীমূল ইউনিয়নের মীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় যুবক আলাউদ্দিন সাহসিকতার সঙ্গে অজগরটি ধরে বস্তাবন্দি করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, কালভার্টের নিচে বিশাল আকৃতির অজগরটি দেখে প্রথমে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আলাউদ্দিন নামে এক যুবক সাপটি উদ্ধার করেন। এ সময় অনেকেই তাকে সাপটি বিক্রির পরামর্শ দিলেও এলাকাবাসী চায় এটি বন-জঙ্গলে অবমুক্ত করা হোক।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা কান্দিরপাড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) হাজী মোস্তাক মিয়া।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা শহর ও এর আশে পাশের এলাকায় র্যা বের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মহাসড়কে যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা। এরই প্রেক্ষিতে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গভীর রাত পর্যন্ত টহল কার্যক্রম পরিচালনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন প্রাইভেটকার, সিএনজি, মোটরসা ইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়াও জনসাধাণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ ও যেকোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধে র্যা বের টহল টিমের পাশাপাশি সাদা পোষাকের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
৫২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই মোঃ মেহেদী হাসান, এএসআই মোঃ হারুন
অর রশিদ, এএসআই মোঃ এমরান ভুইয়া, এএসআই মোঃ
নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৬ নং ঘোলপাশা
ইউনিয়নের আমানগন্ডা সাকিনে আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম
মহাসড়ক সংলগ্নে ১ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল সহ গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতেছে এবং অপর ২ জন
ব্যক্তি আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ কবরস্থানের পাশে গাঁজার বস্তাসহ লুকিয়ে আছে। অতঃপর
পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর সময়
মোটরসাইকেল সহ আসামী মোঃ বিজয় কে আটক করেন। অপর ২ জন ব্যক্তি কবরস্থানের পাশে ৩টি
বস্তা ফেলে দৌড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন ও মোঃ সাদেক মিয়া কে আটক করেন।
এ সময় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:
১।
মোঃ বিজয় (১৮), পিতা- সালেক মিয়া, মাতা- সাহেদা আক্তার, সাং- কাশিপুর, ইউপি- রতনপুর,
থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি- দুলালপুর, থানা- ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা- কুমিল্লা।
২।
মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪), পিতা- আব্দুল মতিন, মাতা- রিজিয়া বেগম, সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর,
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
৩।
মোঃ সাদেক মিয়া (২০), পিতা- মোঃ মজিদ আলী, মাতা- মোছাঃ রহিমা বেগম, সাং- কাশিপুর,
ইউপি রতনপুর, থানা- হবিগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং- বালিনা, ইউপি দুলালপুর, থানা-
ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা- কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য
যে, গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী মোঃ ছালাউদ্দিন (২৪) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ৩ টি মাদক মামলা
ও ৩নং আসামী মোঃ সাদেক মিয়া (২০) এর বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন
রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর এর উদ্যোগে কুমিল্লায় গোমতী নদী তীরবর্তী বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ।
২২ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীন এ বিবির বাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে বিজিবি।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আরাফাত হোসেন অনি এ ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি আরো বলেন, বিজিবির উদ্যোগে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, “কুমিল্লা একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এই নগরীর যানজটসহ নানান সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চাই। এ কাজে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “কুমিল্লায় পোস্টিং হওয়ায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা খুশি নন। কুমিল্লা আসার সময় রাগ করে তারা তার সাথে হাতও মেলাননি। তবে তিনি কুমিল্লা জেলার সন্তান হিসেবে কুমিল্লার উন্নয়ন করার উদ্দেশ্য নিয়েই এখানে এসেছেন।”
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) পূর্ণকালীন নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা শহরের সমস্যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, টমছমব্রিজের বাজার পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি দেখেন যে সিটি করপোরেশনের লোকেরাই অবৈধ দখলের সাথে জড়িত। এছাড়া প্লান পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটির প্লান পাসের ক্ষেত্রে অতীতে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে তা তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নতুন প্রশাসককে স্বাগত জানান এবং নগরীর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন।
প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, “স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনসেবার মান নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। সবাই মিলে কাজ করলে কুমিল্লাকে একটি আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।”
সভা শেষে তিনি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং অচিরেই একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া, মাঈন উদ্দিন চিশতী, সহকারী প্রকৌশলী আবু ইউনুস।
সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, জনবল দ্রুত আনার চেষ্টা করব।
মন্তব্য করুন


শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
৮ অক্টোবর থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ১৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী। ইতোমধ্যে স্বেছাসেবকগণকে উপজেলা প্রশাসন, আদর্শ সদর এর আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, "এই ধরণের জনকল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী কাজে তরুণরা এগিয়ে আসছে সেটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। তরুণদের হাত ধরে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।"
শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, অটোর সংখ্যা কমিয়ে আনা, কিছু রাস্তাকে একমুখীকরণ প্রভৃতি অন্যতম।
জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এবং ট্রাফিক বিভাগ, কুমিল্লা এর এই সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ফলে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন কুমিল্লা মহানগরের অধিবাসীরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)নুরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল পাশা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন


পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় -এর উদ্যোগে এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগিতায় ‘বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ও বাংলাদেশের বাস্তবতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসাইন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান জীবল এবং ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
এছাড়া লোকপ্রশাসন এবং আইন বিভাগের শিক্ষকগণও উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথকীকরণ এবং পৃথকীকরণ পরবর্তীতে বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব পড়বে- এ বিষয় নিয়ে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'বাংলাদেশের চালিকাশক্তির তিনটা স্তম্ভ হলো-আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ। এ তিনটা বিভাগের মধ্যে একধরনের প্রতিযোগিতা হওয়া দরকার ছিল, কোন বিভাগ কত ভালো করবে। স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করতে হলে বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। যারা নির্বাহী বিভাগে কাজ করেন তাদেরও স্বাধীন হতে হবে। অন্যথায় আবার সেই ফ্যাসিজম আরও ভয়ানকভাবে ফিরে আসবে।'
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসেন বলেন, 'কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামো হবে এর ওপর অনেকে তাদের বিজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। আপনি একটা রাষ্ট্রের সংবিধান করবেন, আইন করবেন কিন্তু সেটা জনবান্ধব অথবা সেটা জনগণের জন্য কল্যাণকর কি-না, সংবিধান সেটা দেখার দায়িত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট কে। কোনো আইন যদি জনকল্যাণকর না হয় তাহলে সুপ্রিমকোর্ট সেই আইন ডিক্লাইন করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, '১৭৩১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১৮৬ বছরে ১৮২ বার বিচার বিভাগকে আলাদা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ রাজা যে শাসন চালাবে, কেউ যদি তাকে হস্তক্ষেপ করে তাহলে সে তো এটা স্বাভাবিকভাবে নিবে না। ২০০৭ সালে আমার মামলায় (মাসদার হোসেন মামলায়) বিচার বিভাগকে কাগজ-কলমে আংশিক স্বাধীন করা হলেও আসলে এটি স্বাধীন হয়নি। তবে এখন সংস্কার কমিটির কাজ চলমান আছে।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমরা আশা করি বাংলাদেশ একটি উন্নত বিচার ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাবে। যেখানে মানুষ মনে করবে এটা তার শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে গিয়ে সে ন্যায় বিচার পাবে, সে যেই রাজনৈতিক দলের হোক, যে ধর্মের হোক, দুর্বল কিংবা শক্তিশালি হোক।'
সেমিনারটির সভাপতি মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণের কারণে প্রশাসক ও বিচারকদের স্বাধীনতা আমাদের দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মাসদার হোসেন মামলা ২০০৭ সালে ফয়সালা হয়েছে। উনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি, নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান। দেশে-বিদেশে মাসদার হোসেন মামলা এখন পঠিত বিষয়। তিনি একজন বিচারক এবং আইন সংস্কার কমিশনেরও একজন সদস্য।'
মন্তব্য করুন