

মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই কিশোর ও দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যায় দুই কিশোর। নিহতরা হলেন- পয়ালগচ্ছ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)। তারা উভয়েই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
একই দিন দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক। নিহতরা হলেন- কোরবানপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত বীর চরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৫) এবং আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩২)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম জানান, কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে কৃষকরা ধান কাটছিলেন। হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাতে নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া নিহত হন।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্তব্য করুন


ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক:
নিটোল
পায়ে রিনিক ঝিনিক,পায়েলখানি বাজে
মাদল
বাজে সেই সংকেতে
শ্যামা
মেয়ে নাচে...
এস
ডি বর্মণের কণ্ঠে সেই প্রখ্যাত গান। বলছিলাম উপমহাদেশের সংগীতের রাজপুত্র কুমার শচীন
দেববর্মণের কথা।
শচীন
দেববর্মণ (১ অক্টোবর, ১৯০৬-৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫) বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী
গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত। আগরতলার বাসিন্দা হলেও শচীন দেবের শৈশব কেটেছে কুমিল্লায়
এবং শেষ জীবন মুম্বাইতে। তাঁর সহধর্মিণী মীরা দেবী এবং একমাত্র পুত্র রাহুল দেববর্মনও
মুম্বাই চিত্রজগতের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পী।প্রায়শ তাঁকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ
করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত।
প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন
কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক।
তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পুত্র রাহুল
দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। তাঁর ছাত্রী এবং পরবর্তীতে
সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রবি গুহ মজুমদার এর
অনেক গানে সুর দিয়েছেন এবং তা শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি ২ বার (১৯৫৫ ও ১৯৭৪)
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) লাভ করেন।
শচীন
দেব বর্মণ তার যুগের তুলনায় অনেকাংশে আধুনিক ছিলেন। তার অনেক গানই আজকাল রিমিক্স হচ্ছে
এবং জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানছেন না, গান গুলোর আসল
সুরকার এবং গায়ক শচীন দেববর্মণ। শচীন দেব অনেক বাংলা গানে সুর দিয়েছেন। ১৯৩৪ সালে
নিখিল ভারত সঙ্গীত সম্মিলনে গান গেয়ে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৩৭ সাল থেকে পরপর
কয়েকটি বাংলা ছায়াছবিতে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য
ছায়াছবি হলো: রাজগী, ছদ্মবেশী, জীবন-সঙ্গিনী, মাটির ঘর ইত্যাদি। তার বিখ্যাত কিছু
গান যেমন-
শোনো
গো দখিন হাওয়া
হৃদয়ে
দিয়েছো দোলা
কে
যাসরে
ঝিল
মিল ঝিল মিল
তুমি
আর নেই সেই তুমি
রজ্গীলা
তুমি
এসেছিলে পরশু ইত্যাদি।
প্রতি
বছর দু-তিন দিন জুড়েই পালিত হয় 'শচীন মেলা'। স্নিগ্ধতা এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা ব্যাখ্যা
দেয় সোনালী অতীতের। শচীন দেববর্মণের মতো মানুষরা অমর প্রজন্মের পর প্রজন্মে।
বাংলা ও হিন্দি গানের কিংবদন্তি সুরকার শচীন দেববর্মণ এর জন্মভিটা কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থায়। একসময় রাজবাড়ি হলেও এখন সেটি ইতিহাসের কান্না বয়ে চলা এক পরিত্যক্ত ভবন।
সরকারি উদ্যোগে ‘সংস্কৃতি কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে বাড়িটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়।
আমরা কি তবে শচীন কর্তার সুরের স্মৃতি হারাতে বসেছি?
মন্তব্য করুন


পাহাড়ে অস্থিরতা ও মব জাস্টিসের বিরদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আইন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের সুইচিং মারমা বলেন, 'বর্তমানে পাহাড়ে যে অস্থিতিশীলতা চলছে তা ব্যক্তিগত ইস্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি। এখন তা সামগ্রিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সামগ্রিক পর্যায় থেকে শুরু হয় বাঙালি বনাম পাহাড়িদের সংঘাত। এ ইস্যুতে সাধারণ ছাত্র ও সরকারের মাধ্যমে সমাধানে যাওয়া দরকার। আমরা যে যার জাতিসত্ত্বা নিয়ে বাংলাদেশে সুশৃঙ্খলভাবে বসবাস করতে চাই। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যেতে চাই। আমরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একসাথে মিলে বসবাস করতে চাই।'
মোজ্জাম্মেল হোসাইন আবির বলেন, 'স্বৈরাচারী দোসররা সারাদেশে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ছাত্র জনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। তারা পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। মব জাস্টিসের নামে যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রেতাত্না রয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও ছাত্রলীগের অনেক প্রেতাত্নারা সুশীলরূপে চলাফেরা করছেন। আপনারা যদি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, তাহলে কঠিনভাবে প্রতিহত করা হবে। এ ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারের দোসর, ছাত্রলীগের কোনো স্থান নাই।'
মানববন্ধনে কুবির অন্যতম সমন্বয়ক আবু রায়হান সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
পৃথক দুইটি অভিযানে কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ সেপ্টেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে
জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার দুইজন যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। রতন দত্ত কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়া
এর ছেলে এবং ২। রতন দত্ত (৩৮) একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ
দত্ত এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গত ২৭/০১/২০১২ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাইয়া ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কালীপূজা
উপলক্ষে দুই দিন বন্ধ থাকছে দেশের চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। ১২ এবং ১৩ নভেম্বর
কালীপূজায় ২দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার তথ্যটি
নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানিয়েছেন, রবিবার ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কালীপূজা। পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে উভয় দেশের
এক্সপোর্টার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা
সভার ভিত্তিতে এই দুদিন স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় দেশের কাস্টমস,ব্যবসায়ী সংগঠন, ও বন্দর কর্তৃপক্ষসহ
সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
থাকবে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
নজরুল ইসলাম বলেছেন, পূজায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ
থাকবে তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ।
মন্তব্য করুন


"রুখে
দিয়ে ড্রেজার,
নিশ্চিত করি
বাঁচার অধিকার"
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিন
ফসলী কৃষি
জমির ক্ষার্থে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন মুরাদনগর উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান খান।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধ ভেকু,
ড্রেজার মেশিন
দিয়ে মাটি
উত্তোলনের দায়ে
একই দিনে
৫টি স্থান
থেকে ৪ টি অবৈধ
ড্রেজার মেশিনসহ
৩ হাজার
ফুট পাইপ
বিনষ্ট ও অপসারণ করেছে
ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আক্তার হোসেন নামের এক ব্যাক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদন্ড প্রদান ও ২ টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
দুপুরে
উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ও পশ্চিম
ইউনিয়নের কুরবানপুর, জানঘর, খোঁশঘর, হাটাশ,
মালিপাড়া এলাকায়
ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করেন
উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান
খাঁন। এ অভিযানে বাঙ্গরা
বাজার থানা
পুলিশ উপস্থিত
ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন
বলেন, তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধভাবে মাটি
কাটা, বালু
উত্তোলনের দায়ে
ভেকু ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের
মাধ্যমে ড্রেজার
মেশিন, পাইপ,
ব্যাটারি অপসারণ
জব্দসহ জেল
ও জরিমানা
করে এসেছি।
উপজেলার কৃষি
জমি রক্ষায়
অসাধু ড্রেজার
ব্যবসায়ী চক্রকে
নির্মূল করার
লক্ষ্যে আমাদের
এই অভিযান
অব্যাহত থাকবে।
সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান
খান যোগদানের পর থেকে প্রায়
৭ মাসে
১৭০ টি
ড্রেজার ও ১ লক্ষ
২০ হাজার
ফুট পাইপ
অপসারণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়ার মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় শুরু হয় রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা এবং কুমিল্লা নিয়ে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের স্বপ্ন–ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম।
আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে নগরীর নূরপুর জামে মসজিদে আছরের নামাজ শেষে দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরে নূরপুর, হাউজিং ও কাটাবিল এলাকা ঘিরে এই কর্মসূচি ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
দোয়া শেষে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য এবং কুমিল্লা-৬ আসনের জননেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই গণমুখী কর্মসূচিকে ঘিরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় এবং সড়কে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নারী-পুরুষ, তরুণ-প্রবীণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লিফলেট গ্রহণ করতে এগিয়ে আসেন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য এবং কুমিল্লা-৬ আসনের জননেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন,“মনোনয়ন নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি বিষয়টি দলের চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি। কারণ আমি আমার জীবনের বাকি সময়টা এই অঞ্চলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই থাকতে চাই।
অতীতের কঠিন সময়ে তারা যেমন আমার পাশে ছিলেন, আমিও তেমনি তাদের পাশে ছিলাম—এ সম্পর্ক আস্থার, ত্যাগের এবং আন্দোলনের। মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন—সব প্রতিকূল সময় আমরা একসঙ্গেই অতিক্রম করেছি।
তিনি আরও বলেন,“দলীয় মনোনয়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্বত্বে থাকা দায়িত্বশীলরা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখছেন বলেও আমাকে জানিয়েছেন। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল—এখানে জনগণের ইচ্ছাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। জনগণ যা চাইবে, বিএনপিও সেই পথেই চলবে।”
দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এস এ বারী সেলিম,কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ রতন, আতাউর রহমান ছুটি, মাহাবুবুর রহমান দুলাল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান কামাল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রোমান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল পাসা সিদ্দিকী রাকিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব, আসিফ মাহমুদ জহির, সালমান সাঈদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এ কে এম শাহেদ পান্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম, কুমিল্লা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক কাজী শাহিনুর, সদস্য সচিব ইকরাম হোসেন তাজ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা,
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রবিন, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, মহানগর যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, মশিউর রহমান সজিবসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এবং কৃষকদলের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণবিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত হন।
নূরপুর, হাউজিং এবং কাটাবিল এলাকায় লিফলেট বিতরণের স্থানীয় দোকানদার, পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থীসহ সবাই লিফলেট হাতে নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে প্রায় ৮৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার যশপুর বিওপি’র অধীনস্থ সুবর্ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্তের প্রায় ৩০০ গজ অভ্যন্তরে একটি পরিত্যক্ত অবস্থানে মোট ১,৭৩৩ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ডিসপ্লে উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ছিয়াশি লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা।
বিজিবি সূত্র জানায়, আটককৃত মোবাইল ডিসপ্লেগুলো কোনো মালিকবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এগুলো সীমান্তপথে বাংলাদেশে চোরাইভাবে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জব্দকৃত মালামাল যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


এনসিপির
দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন,
কুমিল্লাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামীলীগ ফিরে আসলে ৪ কোটি
সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখবে না তারা। আপনি বিএনপি-জামাত করেন আমার সমস্যা নাই, কিন্তু আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা আমরা মেনে নিবো না। বুধবার বিকালে
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউনহল মাঠে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই
পদযাত্রার ২৩ তম দিনে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর এনসিপি এ সভার আয়োজন করে।
হাসনাত
আবদুল্লাহ আরো বলেন, হাসিনা দম্ভ করে বলেছিলো,
কুমিল্লার নামের আগে কু রয়েছে, এই কুমিল্লা
নামে বিভাগ করা যাবে না। আমরা হাসিনাকে উৎখাত করেছি এবং কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে।
আমরা বলতে চাই, কুমিল্লা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র ক্যান্টনমেন্ট।
তিনি
বলেন,
রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছে কুমিল্লা। কুমিল্লার মানুষ
আত্মনির্ভরশীল। কুমিল্লার উন্নয়ন কুমিল্লার মানুষের টাকাতেই হয়েছে। কুমিল্লার
মানুষ রেমিটেন্সযোদ্ধা। কুমিল্লায় উন্নয়নের নামে যে বিনিয়োগ হয়েছে তা একটি দলের
পকেট ভারী করার জন্য। আমরা কুমিল্লার মানুষেরা রাষ্ট্রীয় বঞ্চিতের শেষ চাই।
তিনি
আরো বলেন,
আমরা আগে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত মনে করতাম। কিন্তু, উত্তরবঙ্গ ঘুরে আমরা কুমিল্লায় এসে দেখি কুমিল্লায় ঠিক করে টানা দুই
কিলোমিটার রাস্তা ঠিক নাই। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকার
এগুলো ঠিক না করলে আমরা নিজেরা টাকা তুলে তা ঠিক করবো। ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট
রোড নাকি মহাসড়ক। কিন্তু এখানে দুটো বাস একসাথে ক্রস করতে পারে না।
কুমিল্লাবাসীকে
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,
আমাদের লড়াই শেষ হয় নাই। কুমিল্লাবাসী আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন।
তিনি
বলেন,
হাসিনার দূশ্চিন্তার বিষয় ছিলো কুমিল্লা। কুমিল্লাতে সম্প্রীতির
বন্ধন নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। কুমিল্লাবাসী আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷
কুমিল্লা হবে এনসিপির ক্যান্টনমেন্ট।
এসময়,
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সমন্বয়ক সার্জিস
আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম
সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিপা, সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য
সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন
মোহাম্মদ, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জাতীয় যুবশক্তির আহবায়ক এডভোকেট তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম
মূখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ, কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য
হাফসা জাহান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ,
এনসিপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম।
এর
আগে সভার শুরুতে, ঢাকায় এসময় মাইলস্টোন
স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়৷
এবং, সভাটিকে শোকসভা ঘোষণা করা হয়।
এর
আগে বিকাল ৫ টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে
কুমিল্লা টাউনহলে এসে শেষ হয়। এসময় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা
মিছিলে মিছিলে টাউনহল মাঠে জড় হয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানায়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় দুটি ভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে অস্ত্র ব্যবসায়ী হায়দার ও পেনু মির্জাকে ৪টি শর্টগানসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, তারা ছদ্মনাম ব্যবহার করে অস্ত্রের ব্যবসা করতো। ২২ জুলাই ভোররাত ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের দুটি ভিন্ন এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে দুইজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন কুমিল্লা কোতয়ালী থানার মুরাদপুর এলাকার মো. আবু হায়দার (৪০), কোতয়ালী থানার নূরপুর এলাকার মজিবর রহমান (৩৮)। মজিবরের ছদ্মনাম নাম পেনু মির্জা ।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে শর্টগান ৪টি, বিদেশি চাকু ১টি, ছেনি ১টি, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ২টি, বাটন ফোন ২টি ,পাসপোর্ট ১টি, এলজির কার্তুজ ১টি উদ্ধার করা হয়।
যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অল্প পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হলেও গোয়েন্দা তথ্য ও মোবাইল ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেমন, প্রাথমিক অডিও বিশ্লেষণে জানা যায়, পেনু মির্জা ৭.৬৫ পিস্তল এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করতেন। এছাড়া হায়দার আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
এই দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত চারটি আগ্নেয়াস্ত্র বহনের প্রমাণসহ ধরা পড়লেও তাদের চ্যানেলে দুটি ৭.৬৫ পিস্তল লেনদেন হয়েছে। এমন তথ্য ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে।
এছাড়া, অপরাধ জগতে ছদ্মনাম ব্যবহারের প্রবণতাও এই অভিযানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, যেমন পেনু মির্জা নামটি। মূল পরিচয় গোপন রাখতে এটি ব্যবহৃত হতো।
নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী (২৩ বীর) ও র্যাব-১১-এর যৌথ অভিযান ধারাবাহিকভাবে ফলপ্রসূ প্রমাণিত হচ্ছে বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনী আসামিদের থানায় হস্তান্তর করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন