নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) কুমিল্লা পদুয়া বাজার (বিশ্বরোড) এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিরুল কায়সারের নির্দেশে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানমের তত্ত্বাবধানে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার জাহান।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর সকল ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে পদুয়া বাজার বিশ্বরোডে ওভারব্রিজের চারপাশের ফুটপাত ও সড়কে গড়ে ওঠা প্রায় ১০০টি অবৈধ দোকান ও বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার উচ্ছেদ করে সড়কটি দখলমুক্ত করা হয়।
এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এবং বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ (শুক্রবার) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার ভোর ৫টায় অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (৭ অক্টোবর) সকালে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন দয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ
তানজিল উরফে লাল মিয়া নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে
৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ তানজিল উরফে লাল মিয়া (৫২) কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার ষাইটধার গ্রামের মৃত ইয়াসিন
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিনি কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ কেজি গাঁজা এবং ৭৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান (২২) এবং ২। মোঃ পারভেজ (২৪) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা, ৭৩ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ইজি বাইক (অটো) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ মেহেদী হাসান (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতরা গ্রামের মোঃ আলমগীর
এর ছেলে এবং আসামী মোঃ পারভেজ (২৪) একই গ্রামের মোঃ শাহীন এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজি বাইক (অটো)টি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা’সহ অন্যান্য জেলায়
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন
মো:মিজানুর রহমান মিনু,কুমিল্লা
কুমিল্লায় কিছুতেই যেন কমছে না শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল বাতাস আর হার কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির।
দুপুর গড়িয়ে গেলও
সূর্যের দেখা মিলছে না, এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের
মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা।
এদিকে শীতের প্রকোপ
বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শীত জনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক
রোগির সংখ্যা।
আজ কুমিল্লায়
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিজিবি ভারতীয় বাজি ও চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) তাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন শিবের বাজার বিওপি’র বিশেষ টহলদল দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে সীমান্তের ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি টহল দল কর্তৃক মালিকবিহীন অবস্থায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪’শ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় বাজি এবং ৪২ ড্রাম চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। যার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে অস্ত্র সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নগরীর টাউনহল মাঠের ভিতর পূর্ব পাশে
দেশীয় অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে, জনমনে আতংকিত করে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। উক্ত
সংবাদ কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল উল্লাহ মোবাইল ফোনে জানালে
থানা এলাকায় ডিউটিরত মোবাইল-১ পার্টি এবং কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ
অফিসার ও ফোর্সসহ ৯ জানুয়ারী রাত ৪ টা ৪০ মিনিটে কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড়
সাকিনস্থ টাউন হল মাঠের ভিতর পূর্ব পার্শ্বে পৌছামাত্র আসামীগন পুলিশের উপস্থিতি টের
পেয়ে পালাইয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় তাদেরকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শরীফ
(২০), পিতা-আব্দুর সামাদ, মাতা-মোসাঃ জোসনা বেগম, সাং-শাসনগাছা, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন
(২০), পিতা মৃত-দুলাল মিয়া, মাতা মৃত-রওশন আরা, সাং-রামপুর, ৩। জসিম উদ্দিন (২০),
পিতা-মোঃ সুরুজ মিয়া, মাতা- মোসাঃ খুরশিদা বেগম, সাং- নিশ্চিন্তপুর, ৪। মোঃ আকাশ
(২০), পিতা-কামাল হোসেন, মাতা- মোসাঃ রহিমা বেগম, সাং-অশোকতলা, ৫। মোঃ রবিউল (২১),
পিতা মৃত আব্দুল করিম, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-অরন্যপুর, সর্ব থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা,
৬। মোঃ সবুজ আলী (২১), পিতা-রেসু মিয়া, সাং-ছালিয়াকান্দি, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা,
৭। মোঃ বাবু সওদাগর (২৫), পিতা মৃত-মহন সওদাগর, মাতা- মোসাঃ চায়না, সাং-মদন গোপাল
আঙ্গিনা, থানা-মধুপুর, জেলা-টাঙ্গাইল।
জব্দকৃত অস্ত্রগুলো হচ্ছে- ২ টি চাকু,
২ টি হাসুয়া,ষ্টীলের তৈরী মাথায় লোহার করাত, ১ টি কাচি, ৩টি মোবাইল ফোনের বেক কাভার,
মানিব্যাগ,১ টি রেঞ্জ, পেপার কাটার।
আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় কোনো ঘুষ, তদবির বা হয়রানি ছাড়াই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে ৪৭ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট ) কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৭ জন সবাই এ পুরুষ । এদের মধ্যে ৪৫ জন সাধারণ কোটায় ও ১ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের শহীদ আরআই এবিএম আবদুল হালিম মিনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তীর্ণদের বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ মো.গাউছাল আজম এবং চাঁদপুর হাজীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সার্কেল) মুকুল চাকমা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ঘুষ ছাড়া নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, আমরা সেটিই প্রমাণ করেছি। এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা সবাই মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
চলতি বছরের জুন মাসে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট আবেদন পড়ে ১ হাজার ৮৯১টি। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৩৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪৭ জন। এর মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন ৭৫ জন।
এ বিষয়ে চাকরি পাওয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণের এমরান হোসেন নামে এক তরুণ বলেন, ‘কোনো টাকা লাগে নাই, কেউ চায়ও নাই।দালালের খপ্পরে ও পড়ি নাই।আমার বাবা একজন সিএনজি চালক।বাবা-মায়ের দোয়ায় আমার স্বপ্ন ছিলো দেশের সেবা করার জন্য আল্লাহ আমার ডাক কবুল করেছে।
মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ বদলাচ্ছে।’
নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সজিব বলেন, ‘এখন বিশ্বাস হচ্ছে, যোগ্যতা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে সবাই অবাক!’
চাকুরি পাওয়া এমরান হোসেনের পিতা সদর দক্ষিণ রামপুর গ্রামের সিএনজিচালক মো.এরশাদ মিয়া বলেন, ‘ছেলের চাকরির জন্য বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবছিলাম। আল্লাহর রহমতে কিছুই লাগেনি, শুধু পরিশ্রম আর প্রার্থনা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ের
জের ধরে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বেঙ্গা (৬৫) নামের একজনকে পেট কেটে ভুরি বের করে হ*ত্যা
করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম বেঙ্গা ওই গ্রামের মৃত ছুনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অলেক মিয়া নামে একজনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী, কমিক মিয়াসহ তিন পরিবারের ১০/১২জন মিলে দশ লাখ টাকা বাজেট করে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানিয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। আজ সকালে আমার স্বামীকে মেরে এসে আবার আমাদেরকেও মারার জন্য দল বল নিয়ে হামলা চালায়। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি জায়গা দখল-বেদখল নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। সে কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন