

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জুলাই চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে জোট হবে।
সেখানে সকল ইসলামি দল,জুলাই চেতনাকে ধারন করে এসম সমমামনা দল নিয়ে এক বৃহৎ জোটের জন্য আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে আলেম-ওলামা ও ইসলামি রাজনীতিকদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচন যত কাছে আসবে, আমাদের এ প্রক্রিয়া তত দৃশ্যমান ও সুসংগঠিত হবে।
দিন দিন জামায়াতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পক্ষান্তরে অন্য একটি দলের জনপ্রিয়তা কমছে। ওই দলটি গত কয়েকদিন আগেও হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। দেশের জনগন কোন চাঁদাবাজ ফ্যাসিবাদকে আর চায় না।
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা কেন্দ্র নির্বাচনী সমাবেশে জামায়াত নেতা আবুল কালাম মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর এডভোকেট মু. শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর মাহফুজুর রহমান, বাতিসা ইউনিয়ন নির্বাচনের অঞ্চল পরিচালক মজিবুর রহমান ভুঁইয়া।
ডা: তাহের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন চায়। যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যেন তেন উপায়ে কারো চাপিয়ে দেয়া নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। জাতীয় নির্বাচন এই নির্বাচন হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রিয় জনগণের বিজয়ের নির্বাচন।
এই নির্বাচন হতে হবে সন্ত্রাস ও দখলদার মুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রত্যেক ভোটারের কাছে দাঁড়িপাল্লার প্রতীকের আহবান পৌঁছে দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল উদ্দিন ও আবদুল কাইয়ুম মানিকের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাইয়েদ রাশীদুল হাসান জাহাঙ্গীর, এম ইউসুফ, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন মজুমদার। এরআগে প্রধান অতিথি ডা: তাহেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান সমাজসেবক মহসিন মজুমদার, আবদুল হক, মো: লিটন।
এ সময় যুবনেতা নুরুল করিম মামুন, পেয়ার আহমেদ, হোসাইন মোহাম্মদ কাউসার, জাফর আহমেদ, রেজাউল করিম মিন্টু, ইব্রাহিম চৌধুরী অরুপ, ফরহাদ হোসেন, ওহিদুর রহমানসহ লুদিয়ারা, কুলিয়ারা, কালিকসার ও দুর্গাপুর গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এছাড়া একই সময়ে মহিলা সমাবেশে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ ওয়াসিম (৩০) এবং মোঃ সবুজ (৩৮) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ৩৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ওয়াসিম (৩০) বি.বাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার লালপুর গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেন এর ছেলে এবং মোঃ সবুজ (৩৮) নওগাঁ জেলার সদর থানার দশপাইকা গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর
হোসেন,
কুমিল্লা
প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘গ্রাম বাংলার মা-বোনদের সামাজিক বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক জাগরণে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপক ভূমিকায় তিনি (খালেদা জিয়া) নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। গ্রাম বাংলার মা-বোনদের সংস্কৃতির যে বিবর্তন তার একমাত্র কারণ খালেদা জিয়া।’
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তখন অনেকে আমাকে বলেছিলেন ‘মেয়েদের ফ্রি লেখাপড়া হচ্ছে, ছেলেদের কী হবে?’ তখন আমি খালেদা জিয়াকে বিষয়টি বললাম, এর উত্তরে তিনি বলেন- ‘আজকে যেসব মেয়ে লেখাপড়া করছে তারাই একদিন মা হবেন। যে পরিবারে মা শিক্ষিত সেই পরিবারের সন্তান শিক্ষিত হয়।’ তার এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত মা-বোনদের সামাজিক ও সংস্কৃতিক বিবর্তনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল। সেই অভ্যুত্থানের পর চাইলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা ক্ষমতা নেয়নি। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের বাহিনী। তারপর ১৯৯১ সালে একটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশাল বহাল না রেখে কেউ কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার কথা বলেন। এরপরই আব্দুল মালেক উকিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনরায় গঠন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চান। সেই আ.লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুদানে প্রাপ্ত দল। সেদিন যদি মালিক উকিলের আবেদনে জিয়াউর রহমান সাড়া না দিতেন তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না।’
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয় উল্লেখ করে বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, দেশি-বিদেশি অনেক শক্তিই বিএনপির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে সারা বিশ্বের অনেক ঈগল পাখির চোখ বাংলাদেশে। সেই চোখ উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য বিএনপির বিকল্প নেই। আমরা উগ্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে বিশ্বাস করে না, তাদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার ও রাজনীতি করার অধিকার নেই।
নেতাদের উদ্দেশ্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না, যে কারণে বিএনপি, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা উঠে। আর কেউ যদি এমন আচরণ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো হাইব্রিড যেন বিএনপিতে স্থান না পায় সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে বলেও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জসিম উদ্দিন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কুমিল্লার সাব্বির হোসেন ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মারা গেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দেবিদ্বার ভিংলাবাড়ি এলাকায় তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সাব্বির হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকার হলেও তিনি ছোটবেলা থেকেই নানাবাড়ি দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
সাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো: শাহিনুল ইসলাম।
পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম বলেন, সাব্বিরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমরা তার বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে তার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আমাদের বাধা সৃষ্টি করে বলেন- তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করবেন। পরে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সাব্বিরের মরদেহ দাফনের অনুমতি দিয়ে থানায় ফিরে আসি।
নিহত সাব্বির হোসেন(১৯) তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। বছর তিনেক আগে তার বাবার মৃত্যুর পর সাব্বির সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সির বরাত দিয়ে উত্তর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান তামিম বলেন, নিহত সাব্বির আমাদের দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও তিনি আমাদের দলীয় প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশ নিতেন। আমাদের কাছে তার ছবি আছে। সে ছাত্র আন্দোলনের সময় সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিল। আমরা তার হত্যার বিচার চাই। দলীয়ভাবে আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট উপজেলায় গরু ছুটে গিয়ে গাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষের
সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা
হলেন- রোকন আলীর স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০),বশির আহম্মেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫),
জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০)।
তাদের
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে।
দায়িত্বরত
ডাক্তার শিমা মজুমদার জানান, দুপুর ১ টার পর তিন নারী ও এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে
চিকিৎসা নেন। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ
হোসনেয়ারা বেগম বলেন, বেলা ১১টার দিকে দোতলা মসজিদের সামনে শেখ ফরিদের লোকজন এসে আমাদের
গুলি করে। এতে আমিসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়।
এ
বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর
পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে আটক পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লার সীমান্ত মেইন পিলার-২১২৫ এর কাছে গীলাবাড়ী এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তরকৃতরা হলেন-নওগাঁর পত্নীতলার মো. রাফি (২৫), চাঁদপুরের শাহরাস্তির মো. আবুল বাশার (৫৫), ফেনীর পরশুরামের এমদাদ হোসেন (২৭) ও সাইদুজ্জামান ভূঁঞা (২৯) এবং ছাগলনাইয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন (৪০)।
বিজিবি জানায়, আটককৃতরা বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিজিবির সাথে যোগাযোগ করে ফেরত প্রদানের উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদের নাগরিকত্ব ও ঠিকানা যাচাই সঠিক পাওয়া গেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়।
পরে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আটক পাঁচজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে প্রায় ৮৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার যশপুর বিওপি’র অধীনস্থ সুবর্ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্তের প্রায় ৩০০ গজ অভ্যন্তরে একটি পরিত্যক্ত অবস্থানে মোট ১,৭৩৩ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ডিসপ্লে উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ছিয়াশি লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা।
বিজিবি সূত্র জানায়, আটককৃত মোবাইল ডিসপ্লেগুলো কোনো মালিকবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এগুলো সীমান্তপথে বাংলাদেশে চোরাইভাবে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জব্দকৃত মালামাল যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-কুমিল্লার মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ৫০ পিস ইয়াবা, ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির ১ লাখ ১৩ হাজার ৯শত টাকাসহ দুইজনকে আটক।
সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) সকাল ৪:৪৫ মিনিট থেকে ৬:৪৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে লাকসাম থানাধীন খুন্তা দক্ষিণ পাড়াস্থ আসামী মোহাম্মদ আলীর নিজ ঘর এবং মিশ্রী মধ্যম পাড়াস্থ আসামী মো: মামুন এর নিজ ঘর থেকে ইয়াবা,গাঁজা ও টাকা সহ তাদের আটক করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা এর নেতৃত্বে এবং লাকসাম উপজেলা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এর সার্বিক সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডিএনসি কুমিল্লা, সেনা সদস্য, লাকসাম থানার পুলিশ সদস্য ও লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিকেল টিম অংশগ্রহণ করেন।
আটককৃত আসামীরা হলো-১/ লাকসাম থানাধীন মিশ্রী(মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে মো: মামুন (৪৪), ২/ খুন্তা দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোহাম্মদ আলী(৫০)।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার সীমান্তবর্তী রসুলপুর রেলস্টেশন থেকে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৮৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার আতশবাজি ও কিসমিস জব্দ করেছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার ব্যাটালিয়ন -১০ বিজিবি অধিনায়ক ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানাধীন রসুলপুর রেল স্টেশনে চোরাচালান বিরোধী ট্রাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয় অভিযান কালে পাস কোর্স সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ৫৭৫ পিস ভারতীয় অবৈধ বাজি এবং ৫৯ কেজি কিসমিশ আটক করেন।এসব পণ্যের বাজার মূল্য ৮৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লে.কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান কুমিল্লা ব্যাটেলিয়ান বিজিবি নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কুমিল্লা জেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি চোরা চালান বিরোধী বিশেষ ট্রাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে সহকারী কমিশনার রতন কুমার দত্ত এর উপস্থিতিতে বিজিবি এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স দল কর্তৃক মালিক বিহীন অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ৫৭৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় অবৈধ বাজি এবং ৫৯ কেজি কিসমিস আটক করা হয়। যার সর্বমোট মূল্য ৮৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
জব্দকৃত সকল অবৈধ দ্রব্য সামগ্রী বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে।
মন্তব্য করুন


আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় রেললাইনের পাশে দুলাল হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে লাশ গুমে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে লালমাই উপজেলার পেরুল এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে মাথায় জখম ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ। পরে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়—তিনি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ভল্লবপুর গ্রামের জব্বর মালের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৫)।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এরপর র্যাব-১১ এর একটি চৌকস দল ১৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার, লাকসাম এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুলাল হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ ফারুক (৪৫), মোঃ মফিজুল ইসলাম (৪৫), তাজুল ইসলাম (৪২), রুবেল আহাম্মেদ (৩৯), আবুল হাসেম (৩৪), মরিয়ম (৩৭) এবং ফাতেমা আক্তার সিনথিয়া (১৯)।
র্যাব জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে দুলালের সঙ্গে ফাতেমা আক্তার সিনথিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দুলাল স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এ সময় সিনথিয়ার সঙ্গে ইমুতে পরিচয় হয় দুবাইপ্রবাসী আবুল হাসেমের, যা পরবর্তীতে পরকীয়ায় রূপ নেয়।
দুলালের সঙ্গে ডিভোর্সের পর সিনথিয়া হাসেমকে বিয়ে করে। কিন্তু দুলাল তা মেনে নেয়নি; হাসেমের অনুপস্থিতিতে প্রায়ই সিনথিয়ার বাসায় গিয়ে ভীতি প্রদর্শন করত।
এ পরিস্থিতিতে সিনথিয়া, তার বর্তমান স্বামী হাসেম ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে দুলালকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন সিনথিয়া স্বামী হাসেমের পরামর্শে দুলালকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ায়। দুলাল অচেতন হয়ে পড়লে গ্রেফতারকৃত আসামিরা মিলে তাকে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য ড্রাইভার রুবেল নোহা গাড়িতে করে লাশ লালমাই রেললাইনের পাশে ফেলে আসে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন