

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সুয়াগাজী ও জগোপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।
আজ দুপুরে উক্ত অভিযানে মোট ৩৯ বোতল কিং ফিশার বিয়ার ও ৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং আসামি পলাতক।
সেনাবাহিনীর এই তাৎক্ষণিক ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে এবং মাদকবিরোধী কার্যক্রমকে আরো উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে অজ্ঞাতনামা
চলন্ত গাড়ির পিছনে ধাক্কায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের আমানগন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাহাদুর মিয়া(৩২) নোয়াখালী জেলার
সুবর্ণপুর উপজেলার চড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত মিরাজ মিয়ার ছেলে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এসএম
লোকমান হোসাইন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের আমানগন্ডা এলাকায় ঢাকামুখী কাভার্ডভ্যান (ঢাকামেট্রো-ই-১১-১৫৯২) শুক্রবার
সকাল ৭টায় সামনের চলন্ত অজ্ঞাতনামা গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ
ধুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক বাহাদুর মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে
থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক
গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
১৯৭১ সালের ১৮ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দেউশ মন্দভাগ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর সালদা নদীতে প্রথম আক্রমণের পর ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওহাবের ৭ নং প্লাটুনকে দেউশ-মন্দভাগ এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান নিতে নির্দেশ দেন। এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে চান্দলা খাল ও দক্ষিণ-পূর্বে সালদা নদী ঘিরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২টি এমজি, ৭-৮টি এলএমজি এবং ৬০ মি.মি. মর্টারসহ দৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করেন।
শত্রুপক্ষ ৩৩ বালুচ রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ১৭ অক্টোবর রাতে সালদা নদী পথে অগ্রসর হয়। ১৮ অক্টোবর ভোরে চান্দলা খালে মাছ ধরায় নিয়োজিত আবু মিঞা প্রথমে শত্রুর নৌবহরের শব্দ শুনে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুর প্রথম নৌকাটি প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলে নায়েক আতাউর রহমান গুলি চালিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। মুহূর্তেই মুক্তিবাহিনীর সব পোস্ট সক্রিয় হয় এবং সুবেদার ওহাব নিজে এমজি পজিশনে থেকে ফায়ার নিয়ন্ত্রণ করেন। ভয়াবহ গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি সেনাদের ৭-৮টি নৌকা ধ্বংস হয়, বহু সেনা নিহত ও আহত হয়। ভোরের আলো ফোটার পর সুবেদার ওহাব ও তাঁর সহযোদ্ধারা লে. সীমাসহ প্রায় ১৫-২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত এক হাবিলদারের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত চিঠিতে লেখা ছিল- “এখানে মুক্তিবাহিনী নামক বাহিনী আচমকা এসে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, এদের দেখা যায় না।”
এই চিঠি মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কৌশলের সার্থকতা প্রকাশ করে।
আহতদের মধ্যে হাবিলদার আকরাম নামের এক সৈনিক জানায়, তাদের নৌকায় মেজর আফ্রিদি ছিলেন যিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। সুবেদার ওহাব আহত আকরামকে হত্যা না করে চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পে পাঠান—যা মুক্তিবাহিনীর মানবিক আচরণের উদাহরণ।
অতঃপর সকাল ৯টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রতিআক্রমণ শুরু করে। সুবেদার ওহাবের এমজি ও এলএমজি পোস্ট থেকে গুলি ও মর্টার বর্ষণে শত্রু ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পিছু হটে যায়। এরপর শুরু হয় আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ, যা অধিকাংশই খাল ও বিলের পানিতে গিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত না হলেও তাদের দৃঢ় অবস্থান শত্রুকে হতাশ করে।
দুপুরে শত্রু ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশ থেকে গুলি বর্ষণ করে। এই হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলেও মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সুবেদার ওহাব পরে হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করে যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠান।
এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৫০-৫২ জন নিহত ও ৫০-৫৫ জন আহত হয়, যার মধ্যে ২ জন অফিসারও ছিলেন। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একক অভিযানে শত্রুপক্ষের সর্বাধিক হতাহতের অন্যতম নজির। পাকিস্তানি সেনারা পরবর্তীতে সুবেদার ওহাবকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দিলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
দেউশ-মন্দভাগ অভিযান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়—যেখানে সুবেদার ওহাবের নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশল, সাহস ও আত্মত্যাগ প্রমাণ করেছিল যে আধুনিক অস্ত্র নয়, স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষাই বিজয়ের মূল শক্তি।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের কুমিল্লা হাইওয়ে থানা ১টি যাত্রীবাহী বাসসহ ১ জন বাস চোর আটক
করেছে।
আটককৃত
চোর হলেন- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন কানুনগো পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আলির ছেলে বাস
গাড়ির চালক শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মঙ্গলবার
(৭ জুলাই) ভোর অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে একজন মিনি বাসের
জনৈক শরীফ হোসেন নামক যাত্রী মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা হাইওয়ে থানার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান যে,
মিনি বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার
হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক
ভাবে রাত্রীকালীন মোবাইল পার্টিকে গাড়িটিকে আটক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। ইনচার্জ
এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক আজম সংঙ্গীয় ফোর্স সহ সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর ইদুলপুর সাকিনস্ত
হোটেল কিছুক্ষন এর সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার পাশে ভোর অনুমান
৫টা ৫ মিনিটে অবস্থান নিয়ে বাসটিকে আটক করে। বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র প্রদান করার
জন্য বললে দেখাইতে ব্যর্থ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে
ড্রাইভার একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন পার্টি ইনচার্জ এর মনে সন্দেহ
হয় যে, এই ধরনের গাড়ি সাধারণত চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে চলাচল করে। নিশ্চয় চালক চুরি করে
গাড়িটি ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন গাড়িসহ চালক শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
উক্ত
বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যাত্রীরা একেখান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান
হইতে বাসে উঠেন এবং তাদের গন্তব্যস্থল মীরসরাই, মহিপাল, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে বলে
জানান। আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে সে উক্ত গাড়িটি চুরি করে ঢাকায়
নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিল্লা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে
বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। উক্ত বাসের মালিক
ভানুদে জানান যে, সে তার মিনি বাসটি প্রতিদিনের
ন্যায় যাত্রী পরিবহন শেষে ৬ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১১টায় তার বাড়ির পাশে
রাস্তায় রেখে বাড়িতে অবস্থান করেন। ভোর অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় রাস্তায় এসে দেখেন তার
গাড়িটি নাই। তখন উক্ত এলাকার নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় বলে মালিককে জানায়। তিনি সকালে বোয়ালখালী
থানায় গিয়ে বাস চুরির বিষয়টি থানাকে অবহিত করেন এবং বাসটি খুজতে থাকেন। পরবর্তীতে অত্র
কুমিল্লা হাইওয়ে থানার ফোন পেয়ে নিশ্চিত হন যে, গাড়িটি তার। আটককৃত চালক রাতের বেলায়
চুরি করে তার বাসটি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংক্রান্তে চট্রগ্রাম
জেলার বোয়ালখালী থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিক্টোরিয়া কলেজের একজন শিক্ষার্থীর মার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নি ডাক্তার,
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত প্রায় এগারটায় সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ওই সময় উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা সেনাবাহিনীর দিকে ধেয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য
সেনাবাহিনী ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে উত্তেজিত লোকদের ছাত্র ভঙ্গ করে।
এতে করে দুই পক্ষের লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে করা একাধিক হত্যা মামলার আসামি তিনি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুল আলম।আজ সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী।তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী সুমনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রিফাত ও বাবু হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে তাকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন সুমন। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন। সুমন কুমিল্লা-১ ( দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮৬ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অবৈধ
ভারতীয় মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ২ জুন ২০২৫ তারিখ রাত
আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবেরবাজার বিওপির অধীনে একটি বিশেষ
টহলদল সীমান্ত সংলগ্ন সোনাপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায়।
অভিযানে সীমান্ত শূন্য লাইন থেকে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত
স্থানটি থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় একটি ইজিবাইকসহ মোট ২৭৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা
হয়।
উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলোর মধ্যে ১৮১টি নতুন এবং
৯৩টি পুরাতন মোবাইল ফোন রয়েছে। এসব মোবাইল ফোনের বাজারমূল্য আনুমানিক ৮৬,৫৯,২৭৪
(ছিয়াশি লক্ষ ঊনষাট হাজার দুইশত চুয়াত্তর) টাকা।
বিজিবি জানান,
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) জানান, জব্দকৃত মোবাইল ফোনসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি'র) কেন্দ্রীয় সদস্য সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভাগ সংখ্যা বৃদ্ধি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এই প্রেক্ষাপটে কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে কুমিল্লা একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ততা বহু আগে থেকেই অর্জন করেছে।
১. ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর আশপাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও লাকসাম-নাঙ্গলকোট অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই অঞ্চলগুলো মিলে একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বলয় তৈরি করে, যা একটি আলাদা বিভাগের প্রাকৃতিক কাঠামো উপস্থাপন করে।
২. জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়তা:
কুমিল্লা জেলা নিজেই বাংলাদেশের অন্যতম জনবহুল জেলা। কুমিল্লা অঞ্চল ও আশেপাশের জেলা মিলে জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। একটি বিভাগের মূল লক্ষ্য হলো প্রশাসনিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগগুলোর তুলনায় এই অঞ্চলকে একটি আলাদা বিভাগে উন্নীত করলে জনগণের ওপর প্রশাসনিক চাপ কমবে এবং সেবা পৌঁছাবে আরও দ্রুত।
৩. অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা প্রাচীন কালে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। ময়নামতি, শালবন বিহার, এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। কুমিল্লা শিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়েও এগিয়ে রয়েছে। এখানকার ইপিজেড, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এবং কৃষিপণ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। একটি বিভাগীয় শহর হিসেবে কুমিল্লার অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে এই অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে, উন্নয়ন প্রকল্প আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে।
৫. দূরত্ব ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে:
চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ হিসেবে বর্তমানে কুমিল্লা অনেক প্রশাসনিক কাজে চট্টগ্রাম নির্ভরশীল। কিন্তু কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ফলে সাধারণ মানুষকে বিভাগীয় কাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিভাগ স্থাপন হলে এই জটিলতা দূর হবে।
৬. জনআকাঙ্ক্ষা ও দীর্ঘদিনের দাবি:
কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবি অনেক পুরনো এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই দাবি শুধু রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক নয়, বরং এটি স্থানীয় মানুষের আত্মপরিচয়, মর্যাদা ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের এমন যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করা অনুচিত।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যৌথভাবে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
এ সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুটি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এ
সময় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ
সোমবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এত তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।
যৌথভাবে
পরিচালিত এই চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত
ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলায় বিভিন্ন বেকারি ও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই-এর
অভিযানকালে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ
বুধবার দুপুর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার শিফা, সালমান ফার্সি
এবং মো. আনিসুল হক।
এ
সময় বিএসটিআই কুমিল্লার মাঠ কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ, পরিদর্শক (মেট) আরিফ উদ্দিন প্রিয়,
পরীক্ষক (রসায়ন) মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লায়
বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক কে এম হানিফ জানান, মানসনদ গ্রহণ ব্যতীত পণ্যের মোড়কে স্ট্যান্ডার্ড
মার্ক (মান চিহ্ন) ব্যবহার, বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্য উৎপাদন এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর
তথ্য প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নগরীর দেশয়ালিপট্টির মেসার্স বিক্রমপুর শশী ভান্ডারকে
২৫ হাজার টাকা, বিক্রমপুর ঘি স্টোরকে দুই হাজার টাকা এবং রাজগঞ্জ বাজার এলাকার মেসার্স
নিউ প্রিমিয়াম সুইটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ডাকাতির
মালামালসহ পাঁচ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোবাবার (১০ নভেম্বর)
রাতে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে
তাদেরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে এনড্রয়েড
ও বাটন মোবাইল ফোন, স্মার্ট টিভি ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা
হলেন- নাঙ্গলকোটের আদ্রা উত্তর ইউপির শাকতলী মুন্সি বাড়ীর ওসমান গণির ছেলে মো. আবু
বক্কর (৫০), জোড্ডা পশ্চিম ইউপির নোয়াপাড়া মিস্ত্রি বাড়ির ওলি মিয়া প্রকাশ দেলু মিয়ার
ছেলে বাবুল (৪৫), আদ্রা দক্ষিণ ইউপির ভোলাইন গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে শাহিন (৩৯),
বটতলী ইউপির জিনিয়ারা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মোস্তফা (২৮), জোড্ডা পূর্ব ইউপির
পানকরা গ্রামের মোকছুদের ছেলে মো. রাবিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ
পরির্দশক মো: ওবাইদুল হক বলেন, গত ৬ নভেম্বর নাঙ্গলকোটের জোড্ডা ইউপির তালতলা এলাকায়
নাছিমা আক্তার পাখির রান্না ঘরের টিন কেটে ঘরে ডুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার,
টাকা ও বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত
৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে
বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন