

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানি পণ্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবেরবাজার ও আমানগন্ডা সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে তারা এসব পণ্য আটক করে।
বিজিবি থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকা থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির বিশেষ টহলদল চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কোনো মালিকানা ছাড়া পড়ে থাকা অবস্থায় ২০২ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৫৫৫ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ বোতল বিদেশি মদ, ২০২ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৪৮ বোতল বিয়ার, ৫০০টি স্কিন সাইন ক্রিম এবং ২০ হাজার ৭৭৬ পিস অবৈধ ভারতীয় বাজি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্য ও পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ২০ হাজার ৩২০ টাকা।
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ নারী নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ‘সাউথ এশিয়া ইয়ং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট একাডেমি’তে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার উদীয়মান নারী নেত্রী সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী।
সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (IDEA) এই ফেলোশিপের আয়োজন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন (UN Women)-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের তরুণ নারী নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
ফেলোশিপটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব বিকাশ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী বলেন, “আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমার জন্য গৌরব ও সম্মানের। দেশের তরুণ নারীদের অবস্থান ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ইনশাআল্লাহ। এই অভিজ্ঞতা আমাকে ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সমৃদ্ধ করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ নারী নেতৃত্ব গঠনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে।”
সুমাইয়া বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য-প্রযুক্তি সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ রাজনৈতিক ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সুমাইয়া ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এই ধরনের আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের তরুণ নারীদের সক্ষমতা ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরছে। সুমাইয়া বিনতে হোসাইনীর মতো নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নারীরা আগামী দিনের পরিবর্তনের রূপকার হয়ে উঠবেন—এমনটাই প্রত্যাশা দেশের মানুষের।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় অর্ধবার্ষিকী জুডিসিয়াল
কনফারেন্স ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কুমিল্লা বিচার
বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত
হয়।
এতে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা
জজ (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) উম্মে
কুলসুম।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ
আবদুল্লাহ আল মামুন, কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, কুমিল্লা সিভিল
সার্জন ডা. নাছিমা আকতার, সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক ফাহমিদা মুস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, GIZ এর
প্রতিনিধি মার্টিনা বারকার্ড। এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনা করেন- সিনিয়র সহকারী জজ ধ্রুবজ্যোতি
পাল, কুমিল্লা (ভারপ্রাপ্ত) জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আরিফ, কুমিল্লা জেলা জিপি এডভোকেট
তপন বিহারী নাগ ও জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং কুমিল্লা জেলা আইনজীবী
সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, জেলা আইনজীবী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, কোর্ট মালখানা'র এসআই মোঃ
ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র
কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন ক্যাশিয়ার মোঃ আতাউল্লাহ এবং গীতা পাঠ করেন লাইব্রেরি সহকারী
যামিনী কুমার নাথ। এরআগে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচছা জানান সিনিয়র সহকারী জজ আয়েশা
বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান।
এছাড়াও আদালতের সাথে অন্যান্য
ডিপার্টমেন্ট এর সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দেওয়ানি মোকদ্দমা সংশ্লিষ্ট সমস্যা / সমাধান উপস্থাপনা
করেন কুমিল্লা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাওহীদা আক্তার ও ফৌজদারি মামলা
সংশ্লিষ্ট সমস্যা/সমাধান উপস্থাপনা করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাজহারুল হক।
অনুষ্ঠানে কনফারেন্স সম্পর্কিত
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সহকারী জজ মীর মাশহুর আহমেদ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা
করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইমাম হাসান ও সহকারী জজ তৌফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) কুমিল্লার নগরীর বাদশা মিয়ার বাজারে নিত্যপণ্যের
মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযানে পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে জেলা বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে নেতৃত্ব দেন কমিটির সদস্য সচিব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম। অভিযানে সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কমিটির সদস্যরা বাজারের সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করেন, প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। ব্যবসায়ীদের ক্রয়কৃত পণ্যের পাকা ভাউচার সংরক্ষণ করতে বলেন। অভিযানে বিশেষ এ মনিটরিং টিমের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে আলু বিক্রয় ও ভাউচারে কারসাজি করার প্রমাণ মেলায় মেসার্স মায়ের দোয়া বাণিজ্যালয়কে ৫ হাজার টাকা এবং ভাউচারে কারসাজি করে অতিরিক্ত মূল্যে ব্রয়লার মুরগী বিক্রয় করায় ফাইভ স্টার ব্রয়লার হাউজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ওজনে কারচূপি করায় একটি পরিমাপক যন্ত্র জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। অন্যদের সতর্ক করা হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ করা হয়। অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭২০ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যানসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
গতকাল (২ জুলাই) রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে এসআই নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম মুখী লেনে আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া বাজারের পাকা রাস্তায় একটি কাভার্ডভ্যান আসতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এমতাবস্থায় কাভার্ডভ্যান এর চালক এবং হেলপার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি বন্ধ করে পালানোর সময় জনগন ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামী ১। বাবুল সিকদার ড্রাইভার, ২। মোঃ সাদেক হেলপারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগনের উপস্থিতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে কাভার্ডভ্যানের ভেতর থেকে ৭২০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, তারা গাড়িযোগে ফেন্সিডিল আমানগন্ডা কবরস্থানের সামনে থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। বাবুল সিকদার (ড্রাইভার) (৪০), পিতা-আব্দুর রহমান সিকদার, মাতা-মৃত জাহানারা বেগম, সাং-বড় বয়রা, থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি, খুলনা।
২। মোঃ সাদেক হেলপার (৩৪), পিতা-মোঃ কাশেম, মাতা-রোকসানা বেগম, সাং-চরপাড়া, থানা-পতেঙ্গা, সিএমপি, চট্টগ্রাম।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


শিক্ষা,
সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” দেবিদ্বার উপজেলা শাখার ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন
করা হয়েছে। এই নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আল আমিন
এবং সদস্য সচিব হয়েছেন শরীফ নাজিরী।
সংগঠনের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত
করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক
মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, আমরা দেবিদ্বার উপজেলায়
আর্তমানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং
তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
সদস্য
সচিব শরীফ নাজিরী বলেন, কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত
মানুষের জন্য কাজ শুরু করব।
সংগঠনের
জেলা আহ্বায়ক পিয়ারে মাহবুব এবং জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ খান।
নবগঠিত
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
যুগ্ন
আহবায়ক আবুল খায়ের,সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আবু মূছা নিরব,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ম
আহ্বায়ক পিবি হাবিব,ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক সুজন আহমেদ,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক মুনতাসির রাফি,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহ্বায়ক আবু জর গিফারী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রফিকুল ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক বিল্লাল হোসেন আত্তারী,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ -দেবিদ্বার পৌরসভা
যুগ্ন
আহবায়ক মো.আসরার জাহিদ আলেমদার, ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রবিউল ইসলাম -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মনিরুল হক,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ -পইয়াবাড়ি,এলহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মিজানুর রহমান -সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক নাহিদ হাছান -সুলতানপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আল-আমিন -জাফরগন্জ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক ওলিউল্লাহ,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মাহফুজ মিয়া,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহবায়ক মোঃ মেরাজ, সুলতান ইউনিয়ন।
সদস্য
মো:জোবায়ের
ইসলাম-গুনাইঘর
ইউনিয়ন।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ কবির হোসাইন রেজা কাদেরী।
সুবিল
ইউনিয়ন।
সদস্য
রানা মাহমুদ,বরকামতা ইউনিয়ন।
সদস্য
সাবিত রেজবী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
রফিকুল ইসলাম
সদস্য
এনামুল আহমেদ, দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
শাহ কামাল -সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
ইসমাইল আহমেদ মাহিন,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
ইলিয়াস,এলাহবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
জুবায়ের ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
সদস্য
শরীফুল ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
কাইয়্যুম ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন
সদস্য
ওমর ফারুক,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ আলী, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাকিব,সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাব্বি, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
দ্বীন ইসলাম, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
হৃদয় আহমেদ সাগর -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
মো.আরিফুল ইসলাম,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
আরিফ রেজা,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
সাইদুল ইসলাম সুমন, ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, “কুমিল্লা একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এই নগরীর যানজটসহ নানান সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চাই। এ কাজে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “কুমিল্লায় পোস্টিং হওয়ায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা খুশি নন। কুমিল্লা আসার সময় রাগ করে তারা তার সাথে হাতও মেলাননি। তবে তিনি কুমিল্লা জেলার সন্তান হিসেবে কুমিল্লার উন্নয়ন করার উদ্দেশ্য নিয়েই এখানে এসেছেন।”
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) পূর্ণকালীন নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা শহরের সমস্যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, টমছমব্রিজের বাজার পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি দেখেন যে সিটি করপোরেশনের লোকেরাই অবৈধ দখলের সাথে জড়িত। এছাড়া প্লান পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটির প্লান পাসের ক্ষেত্রে অতীতে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে তা তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নতুন প্রশাসককে স্বাগত জানান এবং নগরীর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন।
প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, “স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনসেবার মান নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। সবাই মিলে কাজ করলে কুমিল্লাকে একটি আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।”
সভা শেষে তিনি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসনের সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং অচিরেই একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া, মাঈন উদ্দিন চিশতী, সহকারী প্রকৌশলী আবু ইউনুস।
সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, জনবল দ্রুত আনার চেষ্টা করব।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা শহর থেকে বিপুল পরিমাণ স্কাফ ও ফেন্সিডিলসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (৫ অক্টোবর ২০২৫) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার রাজমঙ্গলপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব সদস্যরা। এসময় জেসমিন (৪০) নামে এক নারীকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার আবাদ মিয়া খন্দকারের স্ত্রী।
র্যাব জানায়, এ অভিযানে ২৮৫ বোতল স্কাফ ও ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেসমিন স্বীকার করেছেন, তিনি ও তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কুমিল্লা ও আশপাশের এলাকায় পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করতেন।
র্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন