

কুমিল্লার
আদর্শ সদরে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কালির বাজার ইউনিয়নের কালির বাজার মডেল
হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক
লিটন দেবনাথকে ক্লিনিকটিতে অবৈধভাবে ফার্মেসি, অপারেশন, রোগী ভর্তি, রক্ত সঞ্চালন,
অনুমোদন বিহীন রক্ত পরীক্ষা, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কোন
চিকিৎসক বা নার্সের নিয়োগ না থাকা এবং নিজেই
চিকিৎসক সেজে রোগীদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে চিকিৎসা প্রদান করার কারণে তৎক্ষণাৎ
তাকে গ্রেফতার করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল
কোর্টটি পরিচালনা করেন, আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
রোমেন শর্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউএইচএফপিও ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, কুমিল্লা
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, (উপ-পুলিশ
পরিদর্শক) ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ি, জীবন চক্রবর্তী (হেলথ ইন্সপেক্টর), আবুল কালাম
আজাদ (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর)।
উপজেলা
স্বাস্থ্য অফিস, গ্রামীন কল্যাণ জাগুল ঝুলি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিদর্শনের আবেদনের
ভিত্তিতে পুনঃ পরিদর্শনে গিয়ে, সেখানে পরিচালিত ফার্মেসিটির নিবন্ধন না থাকায় তা বন্ধ
করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রোমেন শর্মা জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। বড় রকমের কোন অসঙ্গতি পেলে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে। আমরা আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মানসম্মত
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সকল আদেশ বাস্তবায়নে
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সদা প্রস্তুত। কুমিল্লার আদর্শ সদরে প্রতি মঙ্গলবার জনসাধারণের
স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বিষয়ক অভিযোগ সমূহ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে সরাসরি দাখিল এবং
গন শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিধি মোতাবেক
সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বেসরকারি পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের
লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে নির্যাতন
এর শিকার শিশুটির জীবন ভীষণ সংকটাপন্ন। শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে শিশুটির জন্য দেশবাসির নিকট দোয়া চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে একটি
পোস্ট করা হয়েছে।
শিশুটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে দেওয়া পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
‘মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (Pediatric Intensive Care Unit) চিকিৎসাধীন । প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুটি আজ চারবার Cardiac Arrest এর শিকার হয়েছে এবং CPR প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরো নিম্নমুখী।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ০৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ছয়টায় শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়।
শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।’
মন্তব্য করুন


পরিবেশ,
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
হাসান বলেছেন, রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারি
কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার
(৪ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা জানান, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অতিরিক্ত দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি
বলেন, গ্রামগঞ্জে মানুষ চিকিৎসা পায় না। তাদের তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক
নিশ্চিত করার অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য।
সৈয়দা
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের
প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রেস
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস
সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ডেপুটি প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী
প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
মন্তব্য করুন


শনিবার (২২ জুন) দিল্লির
হায়দ্রাবাদ হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা চালুর
ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুদেশের মধ্যে
অন্তত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ
সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-মেডিকেল
ভিসা চালু করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের
জনগণের সুবিধার্থে রংপুরে একটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আজ সন্ধ্যায়
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ম্যাচের জন্য উভয় দলকে শুভ কামনা জানাই। বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম
উন্নয়ন অংশীদার এবং আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান,
বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ
অগ্রাধিকার দিই।
শেখ হাসিনা-মোদির বৈঠক
নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরও গভীর করার লক্ষ্যে আলোচনা
করেছেন।
এই আলোচনায় উন্নয়ন অংশীদারত্ব,
জ্বালানি, পানিসম্পদ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং আরও অনেককিছুসহ দ্বিপাক্ষিক
সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিন সকালে ফোরকোর্টের রাষ্ট্রপতি
ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় শেখ
হাসিনা সশস্ত্র সালাম গ্রহণ ও গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন। সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে
পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা
রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যা ৬টায়
প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায়
তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সবশেষ, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে
শেখ হাসিনা দিল্লিতে শেষ দ্বিপক্ষীয় সফর করেন।
মন্তব্য করুন


তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য
সুরক্ষায় আগামীকাল শনিবার (৪ মে) ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ মোট ২৫ জেলায় সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার,
ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের
রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার ৪ মে বন্ধ থাকবে।
মন্তব্য করুন


ওষুধ, কাফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিক— সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই।
কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না। তবে কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।
নুন জলে গার্গল:
কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম জলে সামান্য নুন দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দু’বার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।
হলুদ এবং দুধ:
রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।
মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:
প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার, এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই টোটকায়।
গরম জলের ভাপ:ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম জলে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে। এর মধ্যে আবারও স্বাস্থ্য প্রশাসনের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্বরত অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে।
বুধবার (৭ ফেব্রয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার যুগ্মসচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সই করা প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে ।
এছাড়াও জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক পদে থাকা অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাকে করা হয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্বরত মো. শামিউল ইসলামকে করা হয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হারুন অর রশীদকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/ স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিন্ম বর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
মন্তব্য করুন


গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট গভীররাতে গোটা সিয়ারা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের ব্যবহার।
মানুষের
হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে
আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয়
পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক
সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।
শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থান গুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা।
হাজার
হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ
মাদক’ও বলা হয়।সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের
বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’।
এই
কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে
বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের
কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন
হাজার হাজার যুবক।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা
ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।
এই
মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের
হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে
তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য।
গভীর
রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী
সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক
এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’
জুলিয়াস
সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি
আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন
কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বর্তমানে
গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের
হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু
খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে
পা দিচ্ছেন অনেকেই।যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে
থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।
২০২০
সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
চিকিৎসকদের
মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে
সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত
অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই
জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে
জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন
হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে
দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থানগুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা
বাহিনী।
সিয়েরা
লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের
কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির
প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে
বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না
বলে দাবি করেছেন বায়ো।
গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য। শুধু তা-ই নয়, এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।
মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।
বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বাস ও মোটরসাইকেলের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর। নিহতদের একজন বন্ধু এবং বাকি দু’জন আপন ভাই। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতের দিকে উপজেলার মাধবপুর কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন—সুমন মণ্ডল, ইমন মণ্ডল এবং তাদের সঙ্গী আসিফ মোল্লা। সুমন ও ইমন ভাই, আর আসিফ ছিলেন তাঁদের সহযাত্রী।
পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাতে তিনজন মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন। পথে মাধবপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী একটি বাস সরাসরি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অপরজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকদের চেষ্টায় তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
দুর্ঘটনার পর বাসটি থামেনি বলে স্থানীয়রা জানান। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন


তাপপ্রবাহের মধ্যে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
বিস্তারিত আসছে ...
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও
ইনস্টিটিউটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের
পাঁচটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ
করছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষের
ডিউটি অফিসার লিমা খানম আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে
শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও
তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এরপর দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন
নিয়ন্ত্রণ ও ২টা ৩৯ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণরূপে নির্বাপণ হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার
কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
এদিকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল
ও ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকের কক্ষের এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে
মনে করছেন হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি আরও বলেছেন, আগুনে রোগীদের
কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রোগীদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে
পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের আইসিইউ ভবনে আগুন লাগার তথ্যটি
ভুল। আগুন লেগেছে কার্ডিয়াক বিভাগে। ওই বিভাগের আইসিইউতে থাকা ১৭ জন রোগীকে সরিয়ে
নেওয়া হয়েছে। এ ব্লকের রোগীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে রোগীদের শিফট করা হবে।
মন্তব্য করুন