কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী
মনজিল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, “গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।”
তিনি আরও বলেন, “আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।”
আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক :
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগৎপুর এলাকা থেকে নোমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে একটি বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী অবৈধভাবে ও অনুমতি ব্যতীত বানরটি রাখার দায়ে ওই ব্যক্তিকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি, তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করার শপথও প্রদান করেন।
বানরটিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বানরটি লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ
এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি কর্মসূচির বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি বাড়াতে
সম্মত হয়েছেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মাম্মাদভ আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই বিষয়ে সম্মত হন।
প্রধান
উপদেষ্টা ঢাকায় আজারবাইজানের দূতাবাস খোলা এবং ঢাকা ও বাকুর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর
ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আজারবাইজান একটি দূরবর্তী
দেশ।
তিনি
বলেন, দেশটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ‘একটি সরাসরি ফ্লাইট থাকলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
জ্বালানি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং আজারবাইজানি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের
টেক্সটাইল খাত থেকে শিখতে আগ্রহী হবে।’
ড.
ইউনূস আরও বলেন, ঢাকায় দূতাবাস খোলা হলে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতাও দূর হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আপনাদের উপস্থিতি বাড়ানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে
আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
সাক্ষাৎকালে
বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি,
শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার
সময় প্রধান উপদেষ্টা গত নভেম্বর মাসে বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে আজারবাইজানের
প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি কপ-২৯ সম্মেলন
সফলভাবে আয়োজন করার জন্য আজারবাইজান সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি অনুরোধ করেন বাকুতে
অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ যেন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশে পাঠান।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজারবাইজানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান
এবং বাংলাদেশের বিপুল মানবসম্পদ কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, আমরা আপনাদের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, যার অর্ধেকই তরুণ। তাই আপনি যদি এখানে কোনো শিল্প স্থাপন
করেন, শ্রমিকের কোনো ঘাটতি হবে না।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়,
কারণ দুই বছর পর ঢাকা-বাকু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্তি হবে।
উপমন্ত্রী
মাম্মাদভ বলেন, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এখানে এসেছি।
তিনি
প্রধান উপদেষ্টাকে আজারবাইজানের আসান এবং ডোস্ট মডেলের সারাংশ তুলে ধরেন, যা দুর্নীতি
হ্রাস এবং জনসেবায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আসান এবং ডোস্ট সেবার ধারণার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে এ প্ল্যাটফর্মগুলো
প্রয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিতব্য ইকোনমিক কো-অপারেশন
অর্গানাইজেশনের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ
থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে ৪০ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ (২৬ এপ্রিল) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বানাশুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ এমরান (৪৬) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে আজ দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বানাশুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সাইফুল (৩০) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ এমরান (৪৬) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানার ফুলদি গ্রামের মোঃ সিরাজ এর ছেলে এবং ২। সাইফুল (৩০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বানাশুয়া গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
শিশু পরিবারের বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ফল উৎসব ও এক সাবেক নিবাসীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন করছে রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া, দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি।
বুধবার বিকেলে নগরীর সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারে ফল উৎসব ও সেলাই মেশিন বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক শরফুন নাহার মনি, রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার সাবেক সভাপতি রোটারিয়ান শাহ জাবেদুল হক সাগর, রোটারিয়ান আবদুল্লাহীল বাকী, রোটারিয়ান মাহফুজুর রহমান বাবুল, পরিচালক রোটারিয়ান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী,
সাংবাদিক আরিফুর রহমান মজুমদার, মাইনুল হক স্বপন, শিক্ষিকা রোজি বেগম, আম্বিয়া খাতুনসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, সঙ্গীতা দে, উখি মারমা ও ওয়াইনু মারমা।
এ সময় আম, আমড়া, মালটা, আখ, আমলকী, জাম্বুরা ফল দিয়ে শিশুদের আপ্যায়ন করা হয়।
ফল উৎসব আয়োজনের জন্য শিশু পরিবারের সদস্যরা আয়োজক প্রতিষ্ঠান রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া, দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি এর সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক শরফুন্নাহার মনি বলেন, শিশু পরিবারে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌসুমী ফল খাওয়া হলেও এক সাথে এত ফল খাওয়ানো হয় না। এক সাথে এত ফল খাওয়ানো বাচ্চাদের জন্য ব্যতিক্রম। ফলের পাশাপাশি সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে বাচ্চাদের আলাদা আনন্দ দান করেছে।
রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার পরিচালক মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী, পরিচালক বলেন, বাচ্চাদের পুষ্ঠির কথা চিন্তা করে ফল উৎসবের আয়োজন। পাশাপাশি একজন অসহায় পরিবারের আয়ের উৎস তৈরীতে সহায়তা করার জন্য সেলাই মেশিন বিতরন করা।
মন্তব্য করুন
লাল শাক, লাউ ও পেয়াজের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ২।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আজ (১৫ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম হতে খুলনাগামী দিদার বাসে তল্লাশি করে ৫ কেজি গাঁজাসহ মিলন মোল্লা (৩৫) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি বাগেরহাট জেলার সরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্লার ছেলে।
অপর এক অভিযানে ফেনী টু ঢাকাগামী স্টার লাইন বাসে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করে ৮ কেজি গাঁজাসহ মো: শিপন চৌধুরী (৫২) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানাধীন দৌলতপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
আসামী মো: শিপন চৌধুরীর(৫২) বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার ও অপর আসামী
মিলন মোল্লা(৩৫) এর বিরুদ্ধে সহকারী
উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
আজ
সোমবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লা সিটি কলেজ মিলনায়তনে মাদকমুক্ত জাতি গঠনে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া
খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার চৌধুরী
ইমরুল হাসান, সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, সংগঠক
ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা সিটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এর
সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।
সেমিনারে
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কুমিল্লা সিটি কলেজের প্রভাষক মাহদি প্রমি।
সেসিনারে
সভাপতিত্ব করেন, কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো: নাদিমুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকাসক্ত মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে
সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহবান করেন। শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে বিরত থাকার জন্য
বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য ও উপদেশ প্রদান করেন।
কুইজ
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত
খাতা, কলম,স্কেল ও জ্যামিতি বক্স বিতরণ করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সবাই মিলে "মাদক কে না বলুন"লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা ও সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (২১ জুন) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০), ২। মোঃ শাহিন (৪৮), ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) এবং ৪। মোঃ খোকন (৫০) নামক ০৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ২,৫৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত (২১ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মিজানুর রহমান (২২) এবং ২। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৯,৭৯০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা গ্রামের মৃত শফিক ইসলাম এর ছেলে, ২। মোঃ শাহিন (৪৮) একই গ্রামের মৃত খয়েজ আলী এর ছেলে, ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) একই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম এর ছেলে, ৪। মোঃ খোকন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতোরা চম্পকনগর গ্রামের মৃত তাজুল এর ছেলে, ৫। মিজানুর রহমান (২২) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পরকরা গ্রামের আবুল হাশেম এর ছেলে এবং ৬। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের মানিক মিয়া এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী ও সদর দক্ষিণ থানা এবং এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায় "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।
উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন