কুমিল্লা লালমাইয়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে পরপর তিনবার জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে আবাদ উল্লাহ (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
এই ঘটনায় আজ রোববার (৯ মার্চ) সকালে ওই বৃদ্ধকে আসামি করে লালমাই থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা। গ্রেফতারকৃত আবাদ উল্লাহ উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ভুশ্চি গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিনের ছেলে। প্রাথমিকভাবে যৌথবাহিনীর নিকট ধর্ষণের দায় শিকার করেছেন ওই বৃদ্ধ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযুক্ত আবাদ উল্লাহ ভুক্তভোগী শিশুর সম্পর্কে দাদা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শিশু সামিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে হাত ও মুখ চেপে ধরে জনৈক হিরণের বাড়ীতে নিয়ে পায়জামা খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবাদ উল্লাহ। একই কায়দায় পরপর আরো দুইবার ধর্ষণ করে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির মা জুতি আক্তার বলেন, গত শুক্রবার (৭ মার্চ) ঘটনাটি প্রথমে আমাকে জানায় সামিয়ার দুই বান্ধবী। প্রথমে তাদেরকে ১০০ টাকার বিনিময়ে কু-প্রস্তাব দেয় ওই বৃদ্ধ। তারা রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি শোনার পর আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায় তাকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পরপর তিনবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে পাশের বাড়ির দাদা সম্পর্কে আবাদ উল্লাহ। পরে ঘটনাটি আমি স্থানীয় সর্দার ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তাদের কাছে সে (আবাদ উল্লাহ) বিষয়টি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে আমি আইনের আশ্রয় নিলে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আসামি আবাদ উল্লাহ কে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে এবং ভুক্তভোগীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কৃষিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার
জন্য ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
সিআইপি'র সমমর্যাদায় Agricultural Important
Person এআইপি প্রবর্তন করেন সরকার।
২০২১ সালের এআইপি খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার
আদমপুর গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়ন সংগঠক, অধ্যাপক এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
২০২১ সালের পদকটি আগামী ৭
জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিন সৈকত সহ অনান্য এআইপিদের
সন্মাননা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
তিনি চার দশক ধরে কৃষি পরিবেশ
সমাজ উন্নয়নে বৈপ্লবিক অবদান রাখছেন। কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি বিভাগে মতিন সৈকত-কে
এআইপি সম্মাননা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়।
এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন
জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার
পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা/দাফতরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে
Letter of Introduction ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি
হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার
সুবিধা পাবেন।
মতিন সৈকত একজন বহুমুখী সৃজনশীল
উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি
স্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার এবং সম্প্রসারণে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মতিন সৈকত-কে দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাক্তিগত ক্যাটাগরিতে
২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে
মতিন সৈকত ছয়বার সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। বিষমুক্ত ফসল,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মতিন সৈকত নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে সমবায় ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতিন সৈকত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন
আপুসি, আপুবি, বিসমিল্লাহ, আদমপুর আদর্শ মৎস্য চাষ প্রকল্প।
প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে
দাউদকান্দি মডেল এবং নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দাউদকান্দি মডেলের অন্যতম অংশীজন তিনি। সারাদেশে
বোরোধান উৎপাদন করতে সেচের পানির জন্য কৃষককে যখন ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা বিঘাপ্রতি সেচ
খরচ দিতে হয়। সেখানে মতিন সৈকত বিঘাপ্রতি এককালীন
মৌসুমব্যাপী মাত্র দুইশ টাকার বিনিময়ে ত্রিশ বছর যাবত বোরোধান লাগানো থেকে পাকা ধান
কাটা পর্যন্ত যার যতোবার সেচের পানির প্রয়োজন ততোবারই সেচের পানি সরবরাহ করে জাতীয়
দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।
বোরোধানের জমিতে ধান উৎপাদনের
পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে বিঘাপ্রতি ১০/ ১৫ হাজার
টাকা মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। মতিন সৈকতের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার কালাডুমুর নদী পূনঃখনন
করে দিয়েছেন।
এছাড়া মতিন সৈকত খাল-নদী
পূনঃখনন জলাভূমি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, পাখি
প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা
হয় -
তিনি নিজ এলাকা দাউদকান্দি কুমিল্লায় ২০০৬ সালে ১০,০০০ কৃষক নিয়ে আইপিএম-আইসিএম
ক্লাব গঠন করেন। তার এ উদ্যোগের ফলে ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দাউদকান্দি
উপজেলাকে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ২০১০ ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বন্যা দুর্গত অঞ্চলে ও কুমিল্লা মহানগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু।
উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা জিলা স্কুলের আশ্রয় কেন্দ্রে চাহিদা মত রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, মেডিসিন, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী দিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে বিবেক ।
কুমিল্লাতে এরই মধ্যে কুমিল্লা হাই স্কুল, সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপুর মহিলা সরকারি কলেজর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী বন্টন করেছে আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠন বিবেক ।
পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কাজ করে আসছে সংগঠনটি ।
সহযোগিতা প্রদানের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউসুফ মোল্লা টিপু আশ্বস্ত করেছেন বন্য পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন সহ অনেক উদ্যোগ বিবেক হাতে নিয়েছে যার কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এখানে
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিবেক সংগঠন থেকে যা কিছু করা হয় সেগুলোর আর্থিক অনুদান একমাত্র
বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু'র নিজ অর্থায়নে করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার কাবিলা বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন কোটি আট লাখ আট হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
আজ
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ মার্চ রাত থেকে ১৪ মার্চ ভোর ৫টা পর্যন্ত কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাবিলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার দত্ত-এর উপস্থিতিতে বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০০টি ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি এবং একটি ট্রাক জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি আট লাখ আট হাজার টাকা।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)। এরই অংশ হিসেবে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পণ্য বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় সাপের কামড়ে তানজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি হোমনা উপজেলার গোয়ারি ভাঙ্গা এলাকার আলী আহমেদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আজ (২৬ জুন) সকালে তাদের নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তানজিনাকে সাপে কাটে। তবে সাপটিক কোন প্রজাতির তা জানাতে পারেনি কেউ।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাপে কাটা তানজিনাকে এন্টিভেনম দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার সেটি না মেনে তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে কাজ না হয় আবার হাসপাতালে ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তানজিনার স্বামী আলী আহমেদ বলেন, সকাল আনুমানিক ৭ টায় নিজ
বাড়ির বিছানাতেই শুয়েছিল তানজিনা। এ
সময় তার বাম পায়ে আঙ্গুলে সাপের ছোবল টের পায়। উঠে খাটের নিচে তাকাতেই কালো রঙের একটি সাপকে চলে যেতে দেখে। পরে
তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সকাল ৮
টায় নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঔষধ দেওয়ার পর সেখান থেকে
স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে
'পানপড়া' খাওয়ানোর
জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে তানজিনাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফেরার
পথে তানজিনার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হয়। হাসপাতালে
নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে কি সাপে কেটেছে
বলতে পারছিনা। তবে সাপটি কালো রঙের ছিল।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাপে কাটা রোগী তানজিনা আসার পর তাকে অ্যান্টিভেনম এর ডোজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকাকালীন সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবার জন্য জোরাজুরি করে এবং নিয়ে যায়। পরে শুনেছি তাকে মৃত অবস্থায় আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে। সাপটি কি ধরনের সেটি তিনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি।
তবে তিনি জানান, তানজিনাকে কেটেছে তা বিষধর ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, তানজিনাকে যখন নিয়ে আসে তখন তার শরীরে বিষক্রিয়ার বিভিন্ন উপসর্গও দেখা গেছে। তার চোখের পাতা বারবার পড়ে আসছিল এবং গলা শুকিয়ে আসছিল। চিকিৎসকরা তাকে এন্টিভেনম দেয়ার মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে আনলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৭২০ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যানসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
গতকাল (২ জুলাই) রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে এসআই নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম মুখী লেনে আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া বাজারের পাকা রাস্তায় একটি কাভার্ডভ্যান আসতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এমতাবস্থায় কাভার্ডভ্যান এর চালক এবং হেলপার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি বন্ধ করে পালানোর সময় জনগন ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামী ১। বাবুল সিকদার ড্রাইভার, ২। মোঃ সাদেক হেলপারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগনের উপস্থিতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে কাভার্ডভ্যানের ভেতর থেকে ৭২০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, তারা গাড়িযোগে ফেন্সিডিল আমানগন্ডা কবরস্থানের সামনে থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। বাবুল সিকদার (ড্রাইভার) (৪০), পিতা-আব্দুর রহমান সিকদার, মাতা-মৃত জাহানারা বেগম, সাং-বড় বয়রা, থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি, খুলনা।
২। মোঃ সাদেক হেলপার (৩৪), পিতা-মোঃ কাশেম, মাতা-রোকসানা বেগম, সাং-চরপাড়া, থানা-পতেঙ্গা, সিএমপি, চট্টগ্রাম।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে কুমিল্লা
পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় চট্টগ্রামমুখী আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস এর ট্রেনটিতে
কাটা পড়ে একজন নারী মৃত্যুবরণ করেছে।
রেলওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে লাশটি রেখেছেন
সনাক্ত করার জন্য।
নিহত নারীর পরিচয়: নাম: খোদেজা বেগম, পিতা: আবদুল
করিম, মাতা: মনোয়ারা বেগম, দক্ষিণ পিয়ারা
পুর, মহেশগঞ্জ,নোয়াখালী, ৭নং ওয়ার্ড নিবাসী।
এ বিষয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের আইসি সোহেল মোল্লা
জানান, ইতিমধ্যে সিআইডির সহায়তায় পরিচয় সনাক্ত করা গিয়েছে। লাশটির পোস্টমর্টেম ইতিমধ্যে
সম্পন্ন হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এর উদ্যোগে রবিবার (১০ মার্চ) আগরতলা
এনএসআরসিসি বক্সিং হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমিল্লা-ত্রিপুরা ফ্রেন্ডশিপ কাপ কারাতে
চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের আমন্ত্রনে
খেলোয়াড় কর্মকর্ত সহ ১৫ সদস্যের কুমিল্লা কারাতে দল রবিবার আগারতলা সফরে যায়।
রবিবার বিকেলে আগরতলা এনএসআরসিসি বক্সিং হলে দুই দেশের বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা
কারাতে দল ও ভারতের ত্রিপুরা কারাতে দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায়
৮ বছর ১৩ বছর, ১৫ বছর ও ২১ বছর বয়সি খেলোয়ারড় দের মধ্যে ৩০ কেজি, ৪৫ কেজি, ৫০ কেজি
ও ৭২ কেজি ওয়েটের কাতা এবং কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা
জেলা কারাতে দল চ্যাম্পিয়ন হয়।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা কারাতে দল ও ভারতের
ত্রিপুরা জেলা কারাতে দলের মধ্যে কারাতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন এবং খেলোয়াড়দের
হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এর সহ-সভাপতি
শ্রী রতন সাহা। পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা স্পোর্টস
কাউন্সিলের যুগ্মসচিব শ্রী স্বপন সাহা, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, ত্রিপুরা ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অধিকর্তা শ্রী
দেবাশিস নন্দী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ এমদাদুল হক এমদু, ক্রীড়া সংগঠক
জুবায়দুল হক জুয়েল ও সারোয়ার জাহান, ত্রিপুরা ক্রীড়া আধিকারিক ধীমান বিশ্বাস
প্রমুখ।
ত্রিপুরা-কুমিল্লা জেলার মধ্যে কারাতে
প্রতিযোগিতার মুখ্য আয়োজক ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম।
প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করে ক্রীড়া সংগঠন ইউনাইটেড অল স্টাইল কাারাতে
ত্রিপুরা অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সকল পর্যায়ের ক্রীড়ামোদি ও ক্রীড়া
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতি প্রতিযোগিতাকে সাফল করে তুলে।
রবিবার ত্রিপুরা-কুমিল্লা ফ্রেন্ডশিপ কাপ ক্যারাটে
চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এ অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট
প্রতিযোগী ও প্রতিনিধি দল রবিবার ১০ই মার্চ সকালে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর সীমান্ত
এলাকা দিয়ে ত্রিপুরায় যায়। সোনামুরায় কুমিল্রা জেলা কারাতে দলকে স্বাগত জানান
সোনামোরা স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুটন রায় ও সোনামুড়া স্পোটিং এসোসিয়েশনের
অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা
কারাতে দলের সফরে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
তিনি
জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি কারাতে দল নিয়ে আমরা ত্রিপুরা খেলে এসেছি। মূলত আমরা
গিয়েছি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সাধারন সম্পাদক শ্রী সুজিত
রায়ের আমন্ত্রনে। সেখানে সুজিত রায় সহ ত্রিপুরার বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিগণ ও
ত্রিপুরা স্পোটর্স মিনিষ্ট্রির কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে
খেলাধুলা কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিঘ্রই ত্রিপুরা ফুটবল দল
কুমিল্লা সফরে আসবে। পরবর্তিতে আমরা কুমিল্লা জেলা ফুটবল ও ক্রিকেট দল নিয়ে
ত্রিপুরা সফর করবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজা এবং ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানাধীন আব্দুল্লাপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মোঃ সাকিবুল ইসলাম (২২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিসহ ৪০ কেজি গাঁজা ও ৩৯৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাকিবুল ইসলাম (২২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার কাঠালিয়া গ্রামের আব্দুল মোমেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে সিএনজি যোগে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
শনিবার (২১ ভোরে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কের কুমিল্লা সদর উপজেলার আমড়াতলীর কবিরাজ বাজার এলাকা থেকে আজাদ ও রমজান নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা ৪০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবির ওসি সাজ্জাদ করিম খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদেরে ভিত্তিতে শনিবার ভোরেসদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের কবিরাজ বাজারে বুড়িচং-কুমিল্লাগামী পাকা রাস্তার উপর পৌছিয়া ওৎপেতে থাকেন এসআই জীবন বিশ্বাস, এএসআই মোহাম্মদ ফোরকান, ডিবি সদস্য আসাদ মিয়া, সানি বড়ুয়া ও নুরুল ইসলাম একটি কার্গো ট্রাককে থামিয়ে গাড়ি বডির নিচে তল্লাশী করে স্কচটেপ মোড়ানো ৪০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এসময় গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়।
আসামীরা হলো: ট্রাক চালক মোঃ আজাদ মিয়া (৪৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে এবং মোঃ রমজান আলী (৫০) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও চকবাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দ্রব্যমূল্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে চালের খুচরা ও পাইকারী বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় মুদি দোকান ও ফার্মেসি দোকানেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৭২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জেলা টাস্কফোর্স নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও চকবাজারে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বাজার স্থিতিশাল ও দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এনামুল হক, ছাত্র প্রতিনিধি আদনান ফারসি ও ইকরাম হোসেন, জেলা পুলিশের এএসআই নাবিল আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
মন্তব্য করুন